তরুণ চক্রবর্তী, কলকাতা
বাঙাল-ঘটির লড়াই পাশে রেখে এখন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা মুক্তির পথ খুঁজছেন। কলকাতার বিখ্যাত পটুয়া শিল্পীদের পাড়া এখন ধুঁকছে। দুর্গা পূজার বাকি আর মাত্র আড়াই মাস। তবু বায়না নেই প্রতিমার।
অন্যবার এই সময়েই বিদেশে পাড়ি দিতে শুরু করে কুমোরটুলির দুর্গা প্রতিমা। এবার সেই বাজারও বন্ধ। কারণ, জাহাজ বা উড়োজাহাজের চলাচলই তো নেই। সাত-সমুদ্র-তেরো-নদী পার করে প্রতিমা যাবেই–বা কী করে বিদেশ-বিভুঁইয়ে! মৃৎশিল্পীদের মাথায় হাত।
গতবারও একই চেহারা ছিল কুমোরটুলির। অথচ করোনাকালের আগে কলকাতার শোভাবাজারের বিধান সরণি দিয়ে কিছুটা এগিয়ে ব্রিটিশ আমলের কুমোর পাড়া এই সময় গমগম করত প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততায়। সব কেড়ে নিয়েছে করোনা।
তবে এবারও বিদেশে যাচ্ছে কুমোরটুলির দুর্গা। তবে সংখ্যাটা অনেক কম। কারণ, সেই করোনা। বিদেশ যেতেও তো চাই জাহাজ বা উড়োজাহাজ। সেগুলো তো বন্ধ বহুকাল।
তবে এবারই প্রথম জার্মানির বার্লিনে পাড়ি দিচ্ছে কুমোরটুলির দুর্গা প্রতিমা। শিল্পী মিন্টু পাল জানালেন, সেখানকার বাঙালিরা এবার নতুন করে পূজা করছেন। তাই ফাইবারের প্রতিমা জাহাজে করে সিঙ্গাপুর হয়ে জার্মানির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতেও প্রতিমা পাঠিয়েছে কুমোরটুলি। মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্যবার বিদেশ থেকে অর্ডার অনেক বেশি থাকে। কিন্তু এবার সংখ্যাটা খুব কম।’
আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকাতে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে উঠেছে। কলকাতার পূজা ঘিরেও রয়েছে অনিশ্চয়তা। গতবারের চেয়েও বাজেট কমিয়েছে অনেক কমিটি। ফলে মন্দার আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে বিশ্ববিখ্যাত কুমোর পাড়াকে।
কলকাতা কুমোরটুলির যাত্রা শুরু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে। মাটির বাসন তৈরির জন্য শোভাবাজারের মহারাজা নবকৃষ্ণ কৃষ্ণনগরের মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছ থেকে মৃৎশিল্পীদের নিয়ে আসেন। পরে দুর্গাপূজা চালুর জন্য শুরু হয় প্রতিমা তৈরি। এর পর দেশভাগের কারণে বাংলাদেশ থেকেও বেশ কয়েকজন গুণী শিল্পী এসে যোগ দেন এখানে। শুরু হয় বাঙাল ও ঘটির প্রতিযোগিতা।
রাজনীতির রং না ঢুকলেও বাঙাল আর ঘটির প্রতিযোগিতা অবশ্য রয়েছে এখনো। নিজেদের কাজের উৎকর্ষ বাড়াতে ঘটি-বাঙালের লড়াই বেশ আকর্ষণীয়। পাল্লা দিয়ে চলে নিজেদের শৈল্পিক বিকাশ।
এখানে বাঙালদের রয়েছে কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সমিতি। ঘটিদের আছে দুটি সংগঠন—কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সংস্কৃতি সমিতি ও প্রগতিশীল মৃৎশিল্পী সাজশিল্প সমিতি।
ঘটি বা কৃষ্ণনগর ঘরানার শিল্পী রঞ্জিত সরকারের মতে, ‘বাঙাল-ঘটি দুই ঘরানার শিল্পীই কুমোরটুলির অহংকার। বাঙালরা সাবেকি বড় কাজ ভালো করেন। আমরা আবার সূক্ষ্ম কাজে এগিয়ে।’
প্রগতিশীল মৃৎশিল্পী সাজশিল্প সমিতির সম্পাদক লক্ষ্মণ পালের মতে, ‘থিম পূজায় সবচেয়ে এগিয়ে ঘটিরাই। আর কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত মাটির কাজ আমাদের শিল্পীদের হাতেই ফুটে ওঠে।’
আবার কলকাতায় জন্ম হলেও পূর্বপুরুষের কারণে বাঙাল মৃৎশিল্পী সমিতির কার্যকরী সভাপতি নারায়ণচন্দ্র রুদ্রপালের দাবি, ‘কলকাতার বড় বড় পূজা মণ্ডপগুলোর শোভা তো আমরাই বাড়িয়ে চলেছি। ভালো প্রতিমা মানেই তো আমাদের শিল্পীদের গড়া মূর্তি।’
সাবেকিয়ানাই হোক বা আধুনিক থিম পুজো, বাঙাল ও ঘটি উভয়েই কুমোরটুলির অহংকার। এখানকার কিংবদন্তি শিল্পী পরিমল পাল, দীপঙ্কর পাল, নেপাল পাল, মোহনবাঁশি রুদ্রপাল, সনাতন রুদ্রপালদের প্রশংসা গোটা দুনিয়াজুড়ে। কিন্তু সেই সুখ্যাতিকেও এবারও ম্লান করে দিতে চাইছে করোনা মহামারি।
বাঙাল-ঘটির লড়াই পাশে রেখে এখন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা মুক্তির পথ খুঁজছেন। কলকাতার বিখ্যাত পটুয়া শিল্পীদের পাড়া এখন ধুঁকছে। দুর্গা পূজার বাকি আর মাত্র আড়াই মাস। তবু বায়না নেই প্রতিমার।
অন্যবার এই সময়েই বিদেশে পাড়ি দিতে শুরু করে কুমোরটুলির দুর্গা প্রতিমা। এবার সেই বাজারও বন্ধ। কারণ, জাহাজ বা উড়োজাহাজের চলাচলই তো নেই। সাত-সমুদ্র-তেরো-নদী পার করে প্রতিমা যাবেই–বা কী করে বিদেশ-বিভুঁইয়ে! মৃৎশিল্পীদের মাথায় হাত।
গতবারও একই চেহারা ছিল কুমোরটুলির। অথচ করোনাকালের আগে কলকাতার শোভাবাজারের বিধান সরণি দিয়ে কিছুটা এগিয়ে ব্রিটিশ আমলের কুমোর পাড়া এই সময় গমগম করত প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততায়। সব কেড়ে নিয়েছে করোনা।
তবে এবারও বিদেশে যাচ্ছে কুমোরটুলির দুর্গা। তবে সংখ্যাটা অনেক কম। কারণ, সেই করোনা। বিদেশ যেতেও তো চাই জাহাজ বা উড়োজাহাজ। সেগুলো তো বন্ধ বহুকাল।
তবে এবারই প্রথম জার্মানির বার্লিনে পাড়ি দিচ্ছে কুমোরটুলির দুর্গা প্রতিমা। শিল্পী মিন্টু পাল জানালেন, সেখানকার বাঙালিরা এবার নতুন করে পূজা করছেন। তাই ফাইবারের প্রতিমা জাহাজে করে সিঙ্গাপুর হয়ে জার্মানির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতেও প্রতিমা পাঠিয়েছে কুমোরটুলি। মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অন্যবার বিদেশ থেকে অর্ডার অনেক বেশি থাকে। কিন্তু এবার সংখ্যাটা খুব কম।’
আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকাতে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে উঠেছে। কলকাতার পূজা ঘিরেও রয়েছে অনিশ্চয়তা। গতবারের চেয়েও বাজেট কমিয়েছে অনেক কমিটি। ফলে মন্দার আশঙ্কা ঘিরে ধরেছে বিশ্ববিখ্যাত কুমোর পাড়াকে।
কলকাতা কুমোরটুলির যাত্রা শুরু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে। মাটির বাসন তৈরির জন্য শোভাবাজারের মহারাজা নবকৃষ্ণ কৃষ্ণনগরের মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছ থেকে মৃৎশিল্পীদের নিয়ে আসেন। পরে দুর্গাপূজা চালুর জন্য শুরু হয় প্রতিমা তৈরি। এর পর দেশভাগের কারণে বাংলাদেশ থেকেও বেশ কয়েকজন গুণী শিল্পী এসে যোগ দেন এখানে। শুরু হয় বাঙাল ও ঘটির প্রতিযোগিতা।
রাজনীতির রং না ঢুকলেও বাঙাল আর ঘটির প্রতিযোগিতা অবশ্য রয়েছে এখনো। নিজেদের কাজের উৎকর্ষ বাড়াতে ঘটি-বাঙালের লড়াই বেশ আকর্ষণীয়। পাল্লা দিয়ে চলে নিজেদের শৈল্পিক বিকাশ।
এখানে বাঙালদের রয়েছে কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সমিতি। ঘটিদের আছে দুটি সংগঠন—কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সংস্কৃতি সমিতি ও প্রগতিশীল মৃৎশিল্পী সাজশিল্প সমিতি।
ঘটি বা কৃষ্ণনগর ঘরানার শিল্পী রঞ্জিত সরকারের মতে, ‘বাঙাল-ঘটি দুই ঘরানার শিল্পীই কুমোরটুলির অহংকার। বাঙালরা সাবেকি বড় কাজ ভালো করেন। আমরা আবার সূক্ষ্ম কাজে এগিয়ে।’
প্রগতিশীল মৃৎশিল্পী সাজশিল্প সমিতির সম্পাদক লক্ষ্মণ পালের মতে, ‘থিম পূজায় সবচেয়ে এগিয়ে ঘটিরাই। আর কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত মাটির কাজ আমাদের শিল্পীদের হাতেই ফুটে ওঠে।’
আবার কলকাতায় জন্ম হলেও পূর্বপুরুষের কারণে বাঙাল মৃৎশিল্পী সমিতির কার্যকরী সভাপতি নারায়ণচন্দ্র রুদ্রপালের দাবি, ‘কলকাতার বড় বড় পূজা মণ্ডপগুলোর শোভা তো আমরাই বাড়িয়ে চলেছি। ভালো প্রতিমা মানেই তো আমাদের শিল্পীদের গড়া মূর্তি।’
সাবেকিয়ানাই হোক বা আধুনিক থিম পুজো, বাঙাল ও ঘটি উভয়েই কুমোরটুলির অহংকার। এখানকার কিংবদন্তি শিল্পী পরিমল পাল, দীপঙ্কর পাল, নেপাল পাল, মোহনবাঁশি রুদ্রপাল, সনাতন রুদ্রপালদের প্রশংসা গোটা দুনিয়াজুড়ে। কিন্তু সেই সুখ্যাতিকেও এবারও ম্লান করে দিতে চাইছে করোনা মহামারি।
অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
৩ ঘণ্টা আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
৫ ঘণ্টা আগে