অনলাইন ডেস্ক
তিব্বতের বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা। ১৯৩৫ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ৬ জুলাই জন্ম তাঁর। বর্তমান অর্থাৎ, ১৪তম দালাই লামা থাকেন ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়। তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে দুর্গম হিমালয় পর্বতের মধ্য দিয়ে যেভাবে ভারতে আসেন দালাই লামা, সে গল্পই আজ জানাব পাঠকদের।
দালাই লামার প্রকৃত নাম তেনজিন গিয়াৎসো। লাসা থেকে তিব্বতের সরকার পরিচালনা করতেন তিনি। ১৯৫৯ সালের ১০ মার্চ ২৩ বছর বয়স্ক দালাই লামাকে একটি নাচের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় চীনা জেনারেলের পক্ষ থেকে। তবে কোনো ধরনের দেহরক্ষী ছাড়া যেতে বলা হয় তাঁকে। আর এটাই তিব্বতিদের সতর্ক করে দেয়। তাঁদের আধ্যাত্মিক গুরুকে ফাঁদে ফেলার আশঙ্কা করতে থাকে তারা।
১৯৫০ সালে তিব্বতের একটি বড় অংশের দখল নেয় চীনারা। তিব্বতের বাসিন্দারা বাধ্য হয়েই চীনের কাছে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ত্যাগ করে। তবে এ সময় দালাই লামার সরকারকে তিব্বত পরিচালনা করতে বাধা দেয়নি চীন
১৯৫৯ সালে চীন তিব্বতে ভূমি সংস্কার শুরু করতে গেলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মার্চে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। চীনারা তিব্বতের রাজধানী লাসার ঠিক বাইরে একটি ব্যারাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায় দালাই লামাকে। তবে একটি শর্ত জুড়ে দেয়, দালাই লামা সঙ্গে সশস্ত্র রক্ষী আনতে পারবেন না।
দালাই লামাকে অপহরণের চেষ্টা হতে পারে এমন একটি আশঙ্কা পেয়ে বসে তিব্বতিদের। তিব্বতিরা দালাই লামার গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে। কয়েক দিন পরেই শুরু হয় অভ্যুত্থান।
দালাই লামা বুঝতে পারেন তিনি তিব্বতে নিরাপদ নন। ১৯৫৯ সালের ১৭ মার্চ রাতে সৈনিকের বেশে তাঁর মনাস্ট্রি বা গুম্ফা থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্য ও ২০ জন কর্মকর্তা। দুর্লঙ্ঘ্য হিমালয় পর্বতের মধ্য দিয়ে চলতে থাকেন তাঁরা।
দালাই লামাকে এই চলার পথে হিমালয়ের রুদ্র জলবায়ু এবং উচ্চতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, ৫০০ গজ প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র নদী পেরোতে হয়। চীনা সৈন্যরা তাঁর খোঁজে পার্বত্য এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান চালাচ্ছিল। তাদের এড়াতে রাতে ভ্রমণ করতে হয়েছিল। এই কষ্টদায়ক ভ্রমণের পর লাসা থেকে ভারত পৌঁছান তিনি। খেনজিমানা পাস দিয়ে ভারতের সীমান্তে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে চিঠি পাঠান দালাই লামা।
ভারতে যখন পৌঁছান, তখন দালাই লামার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা, বড় বোন এবং ছোট ভাই তেনজিন চোগিয়াল। ভারত তিব্বতের এই আধ্যাত্মিক নেতার সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয় এবং তাঁকে স্বাগত জানায়। দলবলসহ অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং মঠে সংক্ষিপ্ত অবস্থান করেন দালাই লামা। মুসৌরিতে নেহরুর সঙ্গে দেখা করার পর ভারত ১৯৫৯ সালের ৩ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে দালাই লামাকে আশ্রয় দেয়।
হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা ততদিনে চীন থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার তিব্বতির অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছিল। দালাই লামা পরে ধর্মশালার কাছে ম্যাকলিওড গঞ্জে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেন এবং নির্বাসিত তিব্বত সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। এই জায়গায় প্রচুরসংখ্যক তিব্বতি অবস্থান করার পাশাপাশি এখানে প্রচুর বৌদ্ধ মন্দির বা গুম্ফা গড়ে তোলা হয়েছে। অনেকের কাছেই ম্যাকলিওড গঞ্জ এখন পরিচিত লিটল লাসা নামে।
সূত্র: বিবিসি, পিপুল ট্রি ডট ওয়ার্ল্ড, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
তিব্বতের বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা। ১৯৩৫ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ৬ জুলাই জন্ম তাঁর। বর্তমান অর্থাৎ, ১৪তম দালাই লামা থাকেন ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়। তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে দুর্গম হিমালয় পর্বতের মধ্য দিয়ে যেভাবে ভারতে আসেন দালাই লামা, সে গল্পই আজ জানাব পাঠকদের।
দালাই লামার প্রকৃত নাম তেনজিন গিয়াৎসো। লাসা থেকে তিব্বতের সরকার পরিচালনা করতেন তিনি। ১৯৫৯ সালের ১০ মার্চ ২৩ বছর বয়স্ক দালাই লামাকে একটি নাচের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় চীনা জেনারেলের পক্ষ থেকে। তবে কোনো ধরনের দেহরক্ষী ছাড়া যেতে বলা হয় তাঁকে। আর এটাই তিব্বতিদের সতর্ক করে দেয়। তাঁদের আধ্যাত্মিক গুরুকে ফাঁদে ফেলার আশঙ্কা করতে থাকে তারা।
১৯৫০ সালে তিব্বতের একটি বড় অংশের দখল নেয় চীনারা। তিব্বতের বাসিন্দারা বাধ্য হয়েই চীনের কাছে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ত্যাগ করে। তবে এ সময় দালাই লামার সরকারকে তিব্বত পরিচালনা করতে বাধা দেয়নি চীন
১৯৫৯ সালে চীন তিব্বতে ভূমি সংস্কার শুরু করতে গেলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। মার্চে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। চীনারা তিব্বতের রাজধানী লাসার ঠিক বাইরে একটি ব্যারাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানায় দালাই লামাকে। তবে একটি শর্ত জুড়ে দেয়, দালাই লামা সঙ্গে সশস্ত্র রক্ষী আনতে পারবেন না।
দালাই লামাকে অপহরণের চেষ্টা হতে পারে এমন একটি আশঙ্কা পেয়ে বসে তিব্বতিদের। তিব্বতিরা দালাই লামার গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে। কয়েক দিন পরেই শুরু হয় অভ্যুত্থান।
দালাই লামা বুঝতে পারেন তিনি তিব্বতে নিরাপদ নন। ১৯৫৯ সালের ১৭ মার্চ রাতে সৈনিকের বেশে তাঁর মনাস্ট্রি বা গুম্ফা থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্য ও ২০ জন কর্মকর্তা। দুর্লঙ্ঘ্য হিমালয় পর্বতের মধ্য দিয়ে চলতে থাকেন তাঁরা।
দালাই লামাকে এই চলার পথে হিমালয়ের রুদ্র জলবায়ু এবং উচ্চতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, ৫০০ গজ প্রশস্ত ব্রহ্মপুত্র নদী পেরোতে হয়। চীনা সৈন্যরা তাঁর খোঁজে পার্বত্য এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান চালাচ্ছিল। তাদের এড়াতে রাতে ভ্রমণ করতে হয়েছিল। এই কষ্টদায়ক ভ্রমণের পর লাসা থেকে ভারত পৌঁছান তিনি। খেনজিমানা পাস দিয়ে ভারতের সীমান্তে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে চিঠি পাঠান দালাই লামা।
ভারতে যখন পৌঁছান, তখন দালাই লামার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা, বড় বোন এবং ছোট ভাই তেনজিন চোগিয়াল। ভারত তিব্বতের এই আধ্যাত্মিক নেতার সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয় এবং তাঁকে স্বাগত জানায়। দলবলসহ অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং মঠে সংক্ষিপ্ত অবস্থান করেন দালাই লামা। মুসৌরিতে নেহরুর সঙ্গে দেখা করার পর ভারত ১৯৫৯ সালের ৩ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে দালাই লামাকে আশ্রয় দেয়।
হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা ততদিনে চীন থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার তিব্বতির অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছিল। দালাই লামা পরে ধর্মশালার কাছে ম্যাকলিওড গঞ্জে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেন এবং নির্বাসিত তিব্বত সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। এই জায়গায় প্রচুরসংখ্যক তিব্বতি অবস্থান করার পাশাপাশি এখানে প্রচুর বৌদ্ধ মন্দির বা গুম্ফা গড়ে তোলা হয়েছে। অনেকের কাছেই ম্যাকলিওড গঞ্জ এখন পরিচিত লিটল লাসা নামে।
সূত্র: বিবিসি, পিপুল ট্রি ডট ওয়ার্ল্ড, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়েছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। নানা কারণেই পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজটির বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। আর এই ঐতিহাসিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্
৯ মিনিট আগেতুলসী গ্যাবার্ডকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ড কে? নিয়োগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হওয়া প্রথম হিন্দু নারী। সাবেক এই মার্কিন সেনা একসময় রাজনীতি করেছ
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পর থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, এবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণও যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে। শেষমেশ তা-ই হলো। গত বুধবার মার্কিন গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে, এই হাউসের নিয়ন্ত্রণও পেল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
৯ ঘণ্টা আগেহিজাব আইন অমান্যকারীদের মানসিক রোগী হিসেবে বিবেচনার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এমন নারীদের জন্য ‘মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ইরানের নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ দপ্তরের প্রধান মেহরি তালেবি দারেস্তানি গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন।
১১ ঘণ্টা আগে