অনলাইন ডেস্ক
পেরিয়ে গেছে মধ্যরাত। নীরবতা জেঁকে বসে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে। এই নীরবতায় মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরটির যানবাহনের বিরামহীন আওয়াজ। কিন্তু এই শহরেরই সবচেয়ে পুরোনো অংশটিতে দিনটি কেবল শুরু হয়েছে! ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত এই অংশটির নাম পুরোনো দিল্লি।
রাত যত বাড়ছে পুরোনো দিল্লির অলি-গলিতে মানুষের কোলাহল তত বাড়তে শুরু করেছে। মধ্যযুগীয় জামা মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়া শত শত মানুষ আর রমজানের চেতনা অনুভব করতে আসা ভোজন রসিকেরা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
রমজানের বিভিন্ন অফার সহ ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁগুলোতে পা ফেলারও জায়গা নেই আর। আলোকসজ্জার নিচে শিশুরা উটের পিঠে চড়ে বসেছে। তরুণ দম্পতিরা রাতের খাবার শেষ করে হাতে হাত রেখে হেঁটে যাচ্ছে। ইফতারির উপকরণ সংগ্রহ করতে গিয়ে কিছু নারী মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা খেজুর দামাদামি করছেন। কেউ কেউ কিনছেন শিরমল। অনেকে সারা দিন রোজা রাখার পর এই খাবারটি খেয়ে ইফতারি করেন। চারদিকে আঁতর আর সুস্বাদু খাবারের গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে আছে।
আমিরাত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের চোখে এভাবেই ধরা পড়েছে রমজান মাসে পুরোনো দিল্লির রাত। রমজানে রাতের বেলায় নির্ঘুম এমন জমজমাট চিত্র পুরোনো দিল্লির চিরাচরিত দৃশ্য। শহরের পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করতে গিয়ে দ্য ন্যাশনালকে দিল্লির উত্তম নগর থেকে পরিবার নিয়ে আসা চিনা লাহোত বলেন, ‘যেন এসব বাস্তব নয়। এই সময়টিতে যখন দিল্লির বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, তখন এখানকার তাজা মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন—মনে হচ্ছে, তারা এইমাত্র ঘুম থেকে জেগে উঠেছে। এই বাজারটি সন্ধ্যার পরই জমে ওঠে।’
স্থানীয়ভাবে পুরোনো দিল্লিকে ‘পুরানি দিল্লি’ বলে ডাকা হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় এই অংশটিকে। বলা যায়—এটি এমন একটি পাত্র যেখানে নানা সংস্কৃতি গলে এক হয়ে গেছে।
ভারতীয় রাজধানীর শত শত বছরের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে পুরোনো দিল্লি। সেই মুঘল আমল থেকে শুরু করে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন—সব সময় সুস্বাদু খাবারের স্বর্গ বিবেচনা করা হয়েছে এই এলাকাটিকে।
প্রাচীর ঘেরা এই শহরটি ১৬৩৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। নিজের নামে তিনি এই শহরের নামকরণ করেছিলেন ‘শাহজাহানাবাদ’। শুরু থেকেই এটি এমন একটি কোলাহলপূর্ণ শহর ছিল, যেখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান এবং শিখ সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বাস করে। এই শহরেই বাস করতেন উর্দু কবি মির্জা গালিব। মুঘল দরবারে যাতায়াত করা অসংখ্য গণিকা ও শিল্পীও এই শহরেই থাকতেন। এই জায়গাটিই মুঘলদের রাজবংশের শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। পরে ব্রিটিশ আমলে রাজধানী নতুন দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
কয়েক শতাব্দী পরও পুরোনো দিল্লি তার অনন্য সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে। তাই সারা বছরই পর্যটক এবং ভোজন রসিকেরা এখানে ভিড় করেন। বিশেষ করে, বাজার মাটিয়া মহল মার্কেট, যেখানে অসংখ্য ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁ মুঘল আমলের খাবার বিক্রি করে।
তবে রমজান মাসে এই শহর হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এক অনন্য অবস্থা বিরাজ করে। কারণ সব ধর্মের মানুষ তখন এই এলাকায় এসে উৎসবের আমেজ উপভোগ করে।
রমজানে খাবারের একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে। আর এটি অনুভব করার জন্য পুরোনো দিল্লি সবচেয়ে সেরা। কিমা সমুচা থেকে শুরু করে আরবের ব্যবসায়ীদের দ্বারা ভারতে আনা বিভিন্ন খাবার, নানা ধরনের হালুয়া, মাংসের বিচিত্র ব্যবহার এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবে রমজান মাসে এখানকার অন্যতম জনপ্রিয় আইটেম হলো—মহব্বত-ই-শরবত বা ভালোবাসার শরবত। এটি একটি উজ্জ্বল গোলাপি পানীয়। মূলত দুধ আর রুহ আফজা দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। আর থাকে গোলাপের সুবাস সহ ভেষজ এবং নানা ফলের একটি সুমিষ্ট মিশ্রণ। এই পানীয় উপবাসের পর শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে বলে বিশ্বাস করে দিল্লির মানুষ।
পেরিয়ে গেছে মধ্যরাত। নীরবতা জেঁকে বসে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে। এই নীরবতায় মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এই শহরটির যানবাহনের বিরামহীন আওয়াজ। কিন্তু এই শহরেরই সবচেয়ে পুরোনো অংশটিতে দিনটি কেবল শুরু হয়েছে! ঐতিহাসিকভাবে বিখ্যাত এই অংশটির নাম পুরোনো দিল্লি।
রাত যত বাড়ছে পুরোনো দিল্লির অলি-গলিতে মানুষের কোলাহল তত বাড়তে শুরু করেছে। মধ্যযুগীয় জামা মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়া শত শত মানুষ আর রমজানের চেতনা অনুভব করতে আসা ভোজন রসিকেরা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
রমজানের বিভিন্ন অফার সহ ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁগুলোতে পা ফেলারও জায়গা নেই আর। আলোকসজ্জার নিচে শিশুরা উটের পিঠে চড়ে বসেছে। তরুণ দম্পতিরা রাতের খাবার শেষ করে হাতে হাত রেখে হেঁটে যাচ্ছে। ইফতারির উপকরণ সংগ্রহ করতে গিয়ে কিছু নারী মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা খেজুর দামাদামি করছেন। কেউ কেউ কিনছেন শিরমল। অনেকে সারা দিন রোজা রাখার পর এই খাবারটি খেয়ে ইফতারি করেন। চারদিকে আঁতর আর সুস্বাদু খাবারের গন্ধে বাতাস ভারী হয়ে আছে।
আমিরাত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের চোখে এভাবেই ধরা পড়েছে রমজান মাসে পুরোনো দিল্লির রাত। রমজানে রাতের বেলায় নির্ঘুম এমন জমজমাট চিত্র পুরোনো দিল্লির চিরাচরিত দৃশ্য। শহরের পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করতে গিয়ে দ্য ন্যাশনালকে দিল্লির উত্তম নগর থেকে পরিবার নিয়ে আসা চিনা লাহোত বলেন, ‘যেন এসব বাস্তব নয়। এই সময়টিতে যখন দিল্লির বেশির ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, তখন এখানকার তাজা মুখগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন—মনে হচ্ছে, তারা এইমাত্র ঘুম থেকে জেগে উঠেছে। এই বাজারটি সন্ধ্যার পরই জমে ওঠে।’
স্থানীয়ভাবে পুরোনো দিল্লিকে ‘পুরানি দিল্লি’ বলে ডাকা হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় এই অংশটিকে। বলা যায়—এটি এমন একটি পাত্র যেখানে নানা সংস্কৃতি গলে এক হয়ে গেছে।
ভারতীয় রাজধানীর শত শত বছরের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে পুরোনো দিল্লি। সেই মুঘল আমল থেকে শুরু করে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন—সব সময় সুস্বাদু খাবারের স্বর্গ বিবেচনা করা হয়েছে এই এলাকাটিকে।
প্রাচীর ঘেরা এই শহরটি ১৬৩৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুঘল সম্রাট শাহজাহান। নিজের নামে তিনি এই শহরের নামকরণ করেছিলেন ‘শাহজাহানাবাদ’। শুরু থেকেই এটি এমন একটি কোলাহলপূর্ণ শহর ছিল, যেখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান এবং শিখ সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বাস করে। এই শহরেই বাস করতেন উর্দু কবি মির্জা গালিব। মুঘল দরবারে যাতায়াত করা অসংখ্য গণিকা ও শিল্পীও এই শহরেই থাকতেন। এই জায়গাটিই মুঘলদের রাজবংশের শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। পরে ব্রিটিশ আমলে রাজধানী নতুন দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
কয়েক শতাব্দী পরও পুরোনো দিল্লি তার অনন্য সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে। তাই সারা বছরই পর্যটক এবং ভোজন রসিকেরা এখানে ভিড় করেন। বিশেষ করে, বাজার মাটিয়া মহল মার্কেট, যেখানে অসংখ্য ক্যাফে এবং রেস্তোরাঁ মুঘল আমলের খাবার বিক্রি করে।
তবে রমজান মাসে এই শহর হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এক অনন্য অবস্থা বিরাজ করে। কারণ সব ধর্মের মানুষ তখন এই এলাকায় এসে উৎসবের আমেজ উপভোগ করে।
রমজানে খাবারের একটি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে। আর এটি অনুভব করার জন্য পুরোনো দিল্লি সবচেয়ে সেরা। কিমা সমুচা থেকে শুরু করে আরবের ব্যবসায়ীদের দ্বারা ভারতে আনা বিভিন্ন খাবার, নানা ধরনের হালুয়া, মাংসের বিচিত্র ব্যবহার এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তবে রমজান মাসে এখানকার অন্যতম জনপ্রিয় আইটেম হলো—মহব্বত-ই-শরবত বা ভালোবাসার শরবত। এটি একটি উজ্জ্বল গোলাপি পানীয়। মূলত দুধ আর রুহ আফজা দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। আর থাকে গোলাপের সুবাস সহ ভেষজ এবং নানা ফলের একটি সুমিষ্ট মিশ্রণ। এই পানীয় উপবাসের পর শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে বলে বিশ্বাস করে দিল্লির মানুষ।
চিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
১ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
৩ ঘণ্টা আগে