অনলাইন ডেস্ক
উত্তর প্রদেশের হাতরাশে একটি আশ্রমে পদদলিত হয়ে ১২১ জন মারা যাওয়ার ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা বা নারায়ণ সকার হরি ওরফে সুরাজ পাল। গত মঙ্গলবার পদদলনের ঘটনার আগেই তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর এক ভক্ত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভক্তদের দাবি, মঙ্গলবার হাতরাশে যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল সে বিষয়ে ভোলে বাবা আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এ বিষয়ে তারামতি নামে ভোলে বাবার এক ভক্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই ভোলে বাবা বলেছিলেন, “আজ প্রলয় আসবে” এবং এরপর ঠিকই প্রলয় চলে এসেছে।’ তারামতি মূলত হাতরাশে পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।
এ ছাড়া ভোলে বাবার ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাস ছিল যে তাঁর পদধূলি নিয়ে তা গায়ে মাখলেই মানুষের সব ধরনের অসুস্থতা দূর হয়ে যাবে। এ বিষয়ে ভোলে বাবার ভক্ত ও অটোরিকশাচালক বিবেক ঠাকুর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, আপনি যদি তাঁর (ভোলে বাবার) পায়ের ধুলো আপনার গায়ে এবং কপালে মাখান, তাহলে আপনার সব অসুস্থতা দূর হয়ে যাবে।’
এদিকে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান শেষে ভোলে বাবার প্রস্থানের সময় তাঁর পায়ের ধূলি নিতে গিয়ে ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। আর এতেই পদদলনের ঘটনা ত্বরান্বিত হয়।
হাতরাশের সোখানা গ্রামের বাসিন্দারা বলেন যে ‘ভোলে বাবা’ জাদুবিদ্যার চর্চা করতেন। তবে এসব চর্চার বেশির ভাগই হতো অল্পবয়সী মেয়েদের ওপর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী দাবি করেছেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) সৎসঙ্গে ১০০ জনেরও বেশি লোক গিয়েছিলেন, যাঁদের ওপর ভূতের আছর ছিল এবং তিনি তাঁদের সবাইকে সুস্থ করে তুলেছিলেন।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোলে বাবা প্রায় সময়ই অনুসারীদের কাছে ভারতের গোয়েন্দা শাখায় কাজ করেছেন বলে দাবি করতেন। ভক্তদের তিনি বলতেন, গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করা অবস্থায়ই তিনি আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন। এর ফলে ১৯৯০-এর দশকে তিনি গোয়েন্দা সংস্থার চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।
উত্তর প্রদেশের ইটাহ জেলার বাহাদুর নাগরি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নারায়ণ সরকার। সেখানেই প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, কলেজে পড়াশোনা করা অবস্থায়ই তিনি গোয়েন্দা শাখায় কাজ শুরু করেছিলেন।
ধর্মগুরু হিসেবে নারায়ণ সরকার হরির একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে। আর তা হলো ভারতীয় অন্য গুরুদের মতো তিনি গেরুয়া পোশাক পরেন না। তিনি সাধারণত সাদা স্যুট এবং টাই পরতে পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে কুর্তা-পায়জামাও পরেন।
ধর্মোপদেশের সময় ভক্তদের কাছে নারায়ণ সরকার প্রায় সময়ই উল্লেখ করেন—উপহার হিসেবে তাঁকে যেসব দান করা হয়, তার কোনো কিছুই নিজের জন্য রাখেন না। বরং এসবের পুরোটাই তিনি ভক্তদের জন্য ব্যয় করেন।
উত্তর প্রদেশের হাতরাশে একটি আশ্রমে পদদলিত হয়ে ১২১ জন মারা যাওয়ার ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা বা নারায়ণ সকার হরি ওরফে সুরাজ পাল। গত মঙ্গলবার পদদলনের ঘটনার আগেই তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর এক ভক্ত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভক্তদের দাবি, মঙ্গলবার হাতরাশে যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল সে বিষয়ে ভোলে বাবা আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এ বিষয়ে তারামতি নামে ভোলে বাবার এক ভক্ত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই ভোলে বাবা বলেছিলেন, “আজ প্রলয় আসবে” এবং এরপর ঠিকই প্রলয় চলে এসেছে।’ তারামতি মূলত হাতরাশে পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।
এ ছাড়া ভোলে বাবার ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাস ছিল যে তাঁর পদধূলি নিয়ে তা গায়ে মাখলেই মানুষের সব ধরনের অসুস্থতা দূর হয়ে যাবে। এ বিষয়ে ভোলে বাবার ভক্ত ও অটোরিকশাচালক বিবেক ঠাকুর বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, আপনি যদি তাঁর (ভোলে বাবার) পায়ের ধুলো আপনার গায়ে এবং কপালে মাখান, তাহলে আপনার সব অসুস্থতা দূর হয়ে যাবে।’
এদিকে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান শেষে ভোলে বাবার প্রস্থানের সময় তাঁর পায়ের ধূলি নিতে গিয়ে ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। আর এতেই পদদলনের ঘটনা ত্বরান্বিত হয়।
হাতরাশের সোখানা গ্রামের বাসিন্দারা বলেন যে ‘ভোলে বাবা’ জাদুবিদ্যার চর্চা করতেন। তবে এসব চর্চার বেশির ভাগই হতো অল্পবয়সী মেয়েদের ওপর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী দাবি করেছেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) সৎসঙ্গে ১০০ জনেরও বেশি লোক গিয়েছিলেন, যাঁদের ওপর ভূতের আছর ছিল এবং তিনি তাঁদের সবাইকে সুস্থ করে তুলেছিলেন।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোলে বাবা প্রায় সময়ই অনুসারীদের কাছে ভারতের গোয়েন্দা শাখায় কাজ করেছেন বলে দাবি করতেন। ভক্তদের তিনি বলতেন, গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করা অবস্থায়ই তিনি আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন। এর ফলে ১৯৯০-এর দশকে তিনি গোয়েন্দা সংস্থার চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।
উত্তর প্রদেশের ইটাহ জেলার বাহাদুর নাগরি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নারায়ণ সরকার। সেখানেই প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, কলেজে পড়াশোনা করা অবস্থায়ই তিনি গোয়েন্দা শাখায় কাজ শুরু করেছিলেন।
ধর্মগুরু হিসেবে নারায়ণ সরকার হরির একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে। আর তা হলো ভারতীয় অন্য গুরুদের মতো তিনি গেরুয়া পোশাক পরেন না। তিনি সাধারণত সাদা স্যুট এবং টাই পরতে পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে কুর্তা-পায়জামাও পরেন।
ধর্মোপদেশের সময় ভক্তদের কাছে নারায়ণ সরকার প্রায় সময়ই উল্লেখ করেন—উপহার হিসেবে তাঁকে যেসব দান করা হয়, তার কোনো কিছুই নিজের জন্য রাখেন না। বরং এসবের পুরোটাই তিনি ভক্তদের জন্য ব্যয় করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়েছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। নানা কারণেই পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজটির বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। আর এই ঐতিহাসিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্
৮ মিনিট আগেতুলসী গ্যাবার্ডকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ড কে? নিয়োগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হওয়া প্রথম হিন্দু নারী। সাবেক এই মার্কিন সেনা একসময় রাজনীতি করেছ
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পর থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, এবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণও যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে। শেষমেশ তা-ই হলো। গত বুধবার মার্কিন গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে, এই হাউসের নিয়ন্ত্রণও পেল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
৯ ঘণ্টা আগেহিজাব আইন অমান্যকারীদের মানসিক রোগী হিসেবে বিবেচনার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এমন নারীদের জন্য ‘মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ইরানের নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ দপ্তরের প্রধান মেহরি তালেবি দারেস্তানি গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন।
১১ ঘণ্টা আগে