অনলাইন ডেস্ক
ফ্রান্সের প্যারিসে পুলিশের গুলিতে ১৭ বছরের কিশোর নাহেলের মৃত্যুর জেরে ছয় দিন ধরেই বিক্ষোভ সহিংসতায় উত্তাল ফ্রান্স। গত মঙ্গলবার থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত শনিবার রাতে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত ছিল ফ্রান্সের মার্সেই শহর। সেখানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কিন্তু কে এই নাহেল? তার মৃত্যুতে কেনইবা দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ফ্রান্সে?
নাহেল এমের পরিচয়
নাহেলের পরিবার আলজেরিয়া থেকে এসে ফ্রান্সে স্থায়ী হয়েছে। প্যারিসের নানথে শহরেই বেড়ে ওঠে ১৭ বছর বয়সী নাহেল এম। তাদের আর্থিক অবস্থাও খুব ভালো নয়। তাই সে খাবার ডেলিভারির কাজ করত এবং রাগবি লিগে খেলত।
একমাত্র সন্তান নাহেলকে বড় করেছেন তার মা মোনিয়া। তবে তার বাবা সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। ইলেকট্রিশিয়ান হওয়ার ইচ্ছা ছিল নাহেলের। সে জন্য নিজ এলাকার কাছেই সুরেসনেসের একটি কলেজে ভর্তি হয়েছিল। পারিবারিক ও আর্থিক অবস্থার কারণে কলেজে ক্লাসে ছিল উপস্থিতি কম।
পুলিশ তাকে চিনত আগে থেকেই। তবে নাহেলের পরিবারের আইনজীবী জোর দিয়ে বলছে, তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই। যাঁরা নাহেলকে চেনেন, তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী নাহেল ভালো ছেলে ছিল এবং সবাই তাঁকে ভালোবাসত।
যেভাবে সহিংসতার সূত্রপাত
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের নানতেরে এলাকায় নাহেল এম নামের ওই কিশোর মঙ্গলবার গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশ তাকে থামতে বলে। সে না থামলে পুলিশ খুব কাছে থেকে তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় নাহেল।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ অফিসার একটি গাড়ির চালকের দিকে বন্দুক তাক করে আছেন। এরপর একটি গুলির শব্দ শোনা যায় এবং তারপর গাড়িটি থেমে যায়। বুকে গুলিবিদ্ধ নাহেলকে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। গুলি করা পুলিশ অফিসারকে হত্যার অভিযোগে আটকও করা হয়।
ফরাসি গণমাধ্যমে বলা হয়, পুলিশ প্রথমে বলেছিল কিশোরটি গাড়িচাপা দিয়ে পুলিশকে আহত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে ধারণা করা হয় যে প্রকৃত ঘটনা ছিল ভিন্ন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাত থেকেই প্যারিস ও অন্য আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সহিংসতা শুরু হয়। গাড়ি ও বাসস্টপে আগুন, রাস্তায় ব্যারিকেড ও পুলিশ স্টেশনেও হামলা হয়। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটাতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
যে পুলিশ অফিসারের গুলিতে নাহেল মারা যায়, তিনি তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছেকৃতভাবে খুনের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
যে কারণে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এক অনলাইন বার্তায় নাহেলের মা মোনিয়া তাঁর নিহত ছেলের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি করেন। সেই সঙ্গে পাশে থাকার জন্য বিক্ষোভকারীদের ধন্যবাদও জানান তিনি।
মূলত নাহেলের মৃত্যু ফ্রান্সে বর্ণবাদ এবং সংখ্যালঘু জাতি-গোষ্ঠীর মানুষদের প্রতি পুলিশের বৈষম্যমূলক আচরণের ব্যাপারে ক্ষোভ উসকে দিয়েছে। কেননা এর আগেও ফ্রান্সে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পুরো ফ্রান্স সহিংস বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে।
গত মঙ্গলবার মূল বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল প্যারিসে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্যারিস বিক্ষোভের কেন্দ্র হিসেবে থাকলেও প্রায় একই পরিস্থিতিতে রয়েছে মার্সেইলি, লিয়ন, তুলুস, স্ট্রাসবুর্গ এবং লিলিসহ আরও কয়েকটি শহর।
তবে দেশটির পুলিশ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, বিক্ষোভ এখন দাঙ্গায় রূপ নিয়েছে। বিভিন্ন শহরে সমানে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা, সরকারি-বেসরকারি ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দোকানপাট লুটপাট এবং যানবাহন জ্বালিয়ে দিচ্ছে দাঙ্গাকারীরা।
ফ্রান্সের প্যারিসে পুলিশের গুলিতে ১৭ বছরের কিশোর নাহেলের মৃত্যুর জেরে ছয় দিন ধরেই বিক্ষোভ সহিংসতায় উত্তাল ফ্রান্স। গত মঙ্গলবার থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত শনিবার রাতে সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত ছিল ফ্রান্সের মার্সেই শহর। সেখানে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কিন্তু কে এই নাহেল? তার মৃত্যুতে কেনইবা দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ফ্রান্সে?
নাহেল এমের পরিচয়
নাহেলের পরিবার আলজেরিয়া থেকে এসে ফ্রান্সে স্থায়ী হয়েছে। প্যারিসের নানথে শহরেই বেড়ে ওঠে ১৭ বছর বয়সী নাহেল এম। তাদের আর্থিক অবস্থাও খুব ভালো নয়। তাই সে খাবার ডেলিভারির কাজ করত এবং রাগবি লিগে খেলত।
একমাত্র সন্তান নাহেলকে বড় করেছেন তার মা মোনিয়া। তবে তার বাবা সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। ইলেকট্রিশিয়ান হওয়ার ইচ্ছা ছিল নাহেলের। সে জন্য নিজ এলাকার কাছেই সুরেসনেসের একটি কলেজে ভর্তি হয়েছিল। পারিবারিক ও আর্থিক অবস্থার কারণে কলেজে ক্লাসে ছিল উপস্থিতি কম।
পুলিশ তাকে চিনত আগে থেকেই। তবে নাহেলের পরিবারের আইনজীবী জোর দিয়ে বলছে, তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই। যাঁরা নাহেলকে চেনেন, তাঁদের ভাষ্য অনুযায়ী নাহেল ভালো ছেলে ছিল এবং সবাই তাঁকে ভালোবাসত।
যেভাবে সহিংসতার সূত্রপাত
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের নানতেরে এলাকায় নাহেল এম নামের ওই কিশোর মঙ্গলবার গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশ তাকে থামতে বলে। সে না থামলে পুলিশ খুব কাছে থেকে তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় নাহেল।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ অফিসার একটি গাড়ির চালকের দিকে বন্দুক তাক করে আছেন। এরপর একটি গুলির শব্দ শোনা যায় এবং তারপর গাড়িটি থেমে যায়। বুকে গুলিবিদ্ধ নাহেলকে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। গুলি করা পুলিশ অফিসারকে হত্যার অভিযোগে আটকও করা হয়।
ফরাসি গণমাধ্যমে বলা হয়, পুলিশ প্রথমে বলেছিল কিশোরটি গাড়িচাপা দিয়ে পুলিশকে আহত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে ধারণা করা হয় যে প্রকৃত ঘটনা ছিল ভিন্ন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাত থেকেই প্যারিস ও অন্য আরও কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ও সহিংসতা শুরু হয়। গাড়ি ও বাসস্টপে আগুন, রাস্তায় ব্যারিকেড ও পুলিশ স্টেশনেও হামলা হয়। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটাতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
যে পুলিশ অফিসারের গুলিতে নাহেল মারা যায়, তিনি তার পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছেকৃতভাবে খুনের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
যে কারণে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এক অনলাইন বার্তায় নাহেলের মা মোনিয়া তাঁর নিহত ছেলের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি করেন। সেই সঙ্গে পাশে থাকার জন্য বিক্ষোভকারীদের ধন্যবাদও জানান তিনি।
মূলত নাহেলের মৃত্যু ফ্রান্সে বর্ণবাদ এবং সংখ্যালঘু জাতি-গোষ্ঠীর মানুষদের প্রতি পুলিশের বৈষম্যমূলক আচরণের ব্যাপারে ক্ষোভ উসকে দিয়েছে। কেননা এর আগেও ফ্রান্সে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পুরো ফ্রান্স সহিংস বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে।
গত মঙ্গলবার মূল বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল প্যারিসে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্যারিস বিক্ষোভের কেন্দ্র হিসেবে থাকলেও প্রায় একই পরিস্থিতিতে রয়েছে মার্সেইলি, লিয়ন, তুলুস, স্ট্রাসবুর্গ এবং লিলিসহ আরও কয়েকটি শহর।
তবে দেশটির পুলিশ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, বিক্ষোভ এখন দাঙ্গায় রূপ নিয়েছে। বিভিন্ন শহরে সমানে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা, সরকারি-বেসরকারি ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দোকানপাট লুটপাট এবং যানবাহন জ্বালিয়ে দিচ্ছে দাঙ্গাকারীরা।
এখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২৬ মিনিট আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
২ ঘণ্টা আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকের নেতৃত্বে বামপন্থী দল ন্যাশনাল পিপল পাওয়ার (এনপিপি) আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। এই জয়ের মার্ক্সবাদী প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি শিথিল করার জন্য ম্যান্ডেট পেয়েছেন
৩ ঘণ্টা আগে