অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া স্কটল্যান্ডের সরকার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট করতে পারবে না বলে গতকাল বুধবার রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের পরপরই বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তীব্র শীত উপেক্ষা করে গতকাল সন্ধ্যা থেকে শত শত বিক্ষোভকারী ব্রিটিশ রাজার সরকারি বাসভবন হলিরুড হাউসের সামনে জড়ো হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা তাঁদের মাথায় স্কটল্যান্ডের পতাকা বেঁধে রাজশাসন বিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্ল্যাকার্ডে অনেকেই লিখেছেন, ‘আমাদের ঔপনিবেশিক অবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে, এটি একটি গর্ধবদের আইন।’
এই বিক্ষোভ থেকে একটু দূরে রাস্তার অন্যপাশে আরেকটি বিক্ষোভকারীদের দল পাল্টা প্রতিবাদ করেছে। তারা এই বিক্ষোভকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান জানিয়েছে। জিম ব্র্যাক নামের একজন বিক্ষোভকারী আদালতের রায়কে ‘জয় জয়’ বলে সমর্থন জানিয়েছেন।
এদিকে জুলিয়া স্ট্রিল নামের ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘আদালতের এ রায়টি স্বাধীনতা আন্দোলনকে উসকে দেবে। ওয়েস্টমিনস্টার আশা করেছিল যে সুপ্রিম কোর্ট নিরপেক্ষ হবে। সন্দেহ নেই, এ রায় স্কটিশ জনগণের স্বাধীনতার গণতান্ত্রিক অধিকারকে স্পষ্টভাবে বাধা দেবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে আমেরিকা, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ জড়ো হয়েছেন। এলিস ট্যালারন নামের একজন ফরাসি বলেছেন, ‘আমি ১৯৯৬ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছি। তারপরও আমি স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে। আদালতের রায়ে আমি দুঃখ পেয়েছি।’
ব্রেক্সিট, করোনা মহামারি, জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস—সবকিছু মিলিয়ে স্কটল্যান্ডে টোরিবিরোধী ক্ষোভ তীব্র হয়েছে। একজন বিক্ষোভকারী তাঁর প্ল্যাকার্ডে লিখেছেন, ‘স্কটল্যান্ড কখনো যুক্তরাজ্যের অংশ হতে পারে না।’
স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এমপি টমি শেপার্ড ট্রেনে করে বিক্ষোভে এসে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউনিয়নের দাসত্ব করার আমাদের কোনো দরকার নেই।’
৫৬ বছর বয়সী ডেভিড স্পেসি বলেছেন, ‘ওয়েস্টমিনস্টার গণভোটের ব্যাপারে ভুল কার্ড খেলেছে। এই মুহূর্তে স্বাধীনতার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি। যদি স্কটিশরা আরও দরিদ্র হয় এবং জীবনযাপনের সংগ্রাম বাড়ে, তাহলে স্বাধীনার পক্ষে সমর্থন বাড়তে থাকবে।’
বিক্ষোভকারীদের মাঝখানে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার (মুখ্যমন্ত্রী) নিকোলা স্টার্জন হঠাৎ উপস্থিত হলে বিক্ষোভকারীরা উচ্চৈঃস্বরে উল্লাস করে ওঠে। তিনি বলেছেন, ‘ওয়েস্টমিনস্টার কোনোভাবেই স্কটিশ জনগণের কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে পারবে না।’
স্কটিশ সোশ্যালিস্ট পার্টির সহ-মুখপাত্র কলিন ফক্স বলেছেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন হতে পারে যদি স্বাধীনতার সমর্থকেরা বুঝতে পারে যে ব্রিটিশ রাজদের পরাজিত করার জন্য একটি ভালো কৌশল দরকার।’
বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সংগীত গেয়ে এখনো বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। রাস্তার ওপারের পাল্টা প্রতিবাদও থামেনি।
এদিকে স্বাধীনতার পক্ষের বিক্ষোভকারীদের সংগঠক লেসলি রিডক বলেছেন, ‘আমরা হয়তো এখনো সব জনগণকে বিশ্বাস করাতে পারিনি যে স্বাধীনতায় একমাত্র পথ। তবে ওয়েস্টমিনস্টারের ওপর থেকে জনগণের বিশ্বাস উঠে গেছে। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের ব্যাপক অগ্রগতি।’
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন আগামী বছরের ১৯ অক্টোবর গণভোট করতে চাচ্ছিলেন। তাঁর এ গণভোটের ব্যাপারে গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত সর্বসম্মতিক্রমে রায় দিয়েছেন যে নিকোলা স্টার্জনের গণভোট করার ক্ষমতা নেই। কারণ বিষয়টি ওয়েস্টমিনস্টারের (লন্ডনের কেন্দ্রীয় সরকার) কাছে সংরক্ষিত।
যুক্তরাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া স্কটল্যান্ডের সরকার স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট করতে পারবে না বলে গতকাল বুধবার রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের পরপরই বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তীব্র শীত উপেক্ষা করে গতকাল সন্ধ্যা থেকে শত শত বিক্ষোভকারী ব্রিটিশ রাজার সরকারি বাসভবন হলিরুড হাউসের সামনে জড়ো হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা তাঁদের মাথায় স্কটল্যান্ডের পতাকা বেঁধে রাজশাসন বিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্ল্যাকার্ডে অনেকেই লিখেছেন, ‘আমাদের ঔপনিবেশিক অবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে, এটি একটি গর্ধবদের আইন।’
এই বিক্ষোভ থেকে একটু দূরে রাস্তার অন্যপাশে আরেকটি বিক্ষোভকারীদের দল পাল্টা প্রতিবাদ করেছে। তারা এই বিক্ষোভকারীদের রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান জানিয়েছে। জিম ব্র্যাক নামের একজন বিক্ষোভকারী আদালতের রায়কে ‘জয় জয়’ বলে সমর্থন জানিয়েছেন।
এদিকে জুলিয়া স্ট্রিল নামের ৫২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘আদালতের এ রায়টি স্বাধীনতা আন্দোলনকে উসকে দেবে। ওয়েস্টমিনস্টার আশা করেছিল যে সুপ্রিম কোর্ট নিরপেক্ষ হবে। সন্দেহ নেই, এ রায় স্কটিশ জনগণের স্বাধীনতার গণতান্ত্রিক অধিকারকে স্পষ্টভাবে বাধা দেবে।’
বিক্ষোভ সমাবেশে আমেরিকা, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ জড়ো হয়েছেন। এলিস ট্যালারন নামের একজন ফরাসি বলেছেন, ‘আমি ১৯৯৬ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছি। তারপরও আমি স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে। আদালতের রায়ে আমি দুঃখ পেয়েছি।’
ব্রেক্সিট, করোনা মহামারি, জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস—সবকিছু মিলিয়ে স্কটল্যান্ডে টোরিবিরোধী ক্ষোভ তীব্র হয়েছে। একজন বিক্ষোভকারী তাঁর প্ল্যাকার্ডে লিখেছেন, ‘স্কটল্যান্ড কখনো যুক্তরাজ্যের অংশ হতে পারে না।’
স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এমপি টমি শেপার্ড ট্রেনে করে বিক্ষোভে এসে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ব্রেক্সিট-পরবর্তী বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউনিয়নের দাসত্ব করার আমাদের কোনো দরকার নেই।’
৫৬ বছর বয়সী ডেভিড স্পেসি বলেছেন, ‘ওয়েস্টমিনস্টার গণভোটের ব্যাপারে ভুল কার্ড খেলেছে। এই মুহূর্তে স্বাধীনতার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি। যদি স্কটিশরা আরও দরিদ্র হয় এবং জীবনযাপনের সংগ্রাম বাড়ে, তাহলে স্বাধীনার পক্ষে সমর্থন বাড়তে থাকবে।’
বিক্ষোভকারীদের মাঝখানে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার (মুখ্যমন্ত্রী) নিকোলা স্টার্জন হঠাৎ উপস্থিত হলে বিক্ষোভকারীরা উচ্চৈঃস্বরে উল্লাস করে ওঠে। তিনি বলেছেন, ‘ওয়েস্টমিনস্টার কোনোভাবেই স্কটিশ জনগণের কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে পারবে না।’
স্কটিশ সোশ্যালিস্ট পার্টির সহ-মুখপাত্র কলিন ফক্স বলেছেন, ‘আজ একটি ঐতিহাসিক দিন হতে পারে যদি স্বাধীনতার সমর্থকেরা বুঝতে পারে যে ব্রিটিশ রাজদের পরাজিত করার জন্য একটি ভালো কৌশল দরকার।’
বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সংগীত গেয়ে এখনো বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন। রাস্তার ওপারের পাল্টা প্রতিবাদও থামেনি।
এদিকে স্বাধীনতার পক্ষের বিক্ষোভকারীদের সংগঠক লেসলি রিডক বলেছেন, ‘আমরা হয়তো এখনো সব জনগণকে বিশ্বাস করাতে পারিনি যে স্বাধীনতায় একমাত্র পথ। তবে ওয়েস্টমিনস্টারের ওপর থেকে জনগণের বিশ্বাস উঠে গেছে। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের ব্যাপক অগ্রগতি।’
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন আগামী বছরের ১৯ অক্টোবর গণভোট করতে চাচ্ছিলেন। তাঁর এ গণভোটের ব্যাপারে গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত সর্বসম্মতিক্রমে রায় দিয়েছেন যে নিকোলা স্টার্জনের গণভোট করার ক্ষমতা নেই। কারণ বিষয়টি ওয়েস্টমিনস্টারের (লন্ডনের কেন্দ্রীয় সরকার) কাছে সংরক্ষিত।
এখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৩৪ মিনিট আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
২ ঘণ্টা আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকের নেতৃত্বে বামপন্থী দল ন্যাশনাল পিপল পাওয়ার (এনপিপি) আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। এই জয়ের মার্ক্সবাদী প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি শিথিল করার জন্য ম্যান্ডেট পেয়েছেন
৩ ঘণ্টা আগে