অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যে সংক্রমিত রক্ত কেলেঙ্কারির কারণে অন্তত ৩০ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ৩ হাজার মানুষ মারা গেছে। সম্প্রতি এক সরকারি তদন্ত থেকে বিষয়টি উঠে এসেছে। তদন্তে বলা হয়েছে, এই কেলেঙ্কারি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং চিকিৎসকদের গাফিলতি এবং সরকারের অবহেলার কারণে এমনটা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এই দূষিত রক্তের কারণে যারা আক্রান্ত হয়েছিল, তাদের বেশির ভাগই হেপাটাইটিসের বিভিন্ন ধরন ও এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। গত সোমবার ব্রিটিশ হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি ব্রায়ান ল্যাংস্টাফ কমিশন এ বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে রক্ত ও রক্তসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংক্রমিত উপাদানের কারণে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের সেবা নেওয়া ৩০ হাজার ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছে অন্তত ৩ হাজার মানুষ।
ব্রায়ান ল্যাংস্টাফ এ বিষয়ে বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাজ্যের সরকারগুলো মুখরক্ষা ও ব্যয় কমানোর স্বার্থে এই সত্য চেপে গেছে। বিষয়টির উন্মোচন যেকোনো ষড়যন্ত্রের চক্রান্তের চেয়েও অনেক বেশি সূক্ষ্ম, বিস্তৃত এবং এর প্রভাব অনেক বেশি ভয়াবহ ছিল।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বিষয়টিকে দেশটির জাতীয় লজ্জা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বলেন, ‘আমি এই ভয়াবহ অন্যায়ের জন্য আন্তরিক ও দ্ব্যর্থহীনভাবে ক্ষমা চাই।’ এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ল্যাংস্টাফ কমিশন সংক্রমিত রক্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্য থেকে যা উঠে এসেছে তা ভয়াবহ। যেমন—অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে মার্কিন বন্দী এবং উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে রক্ত নেওয়া হয়েছে। পরে সেগুলো শিশুদের শরীরে ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে এসব শিশু এইচআইভি, হেপাটাইটিস সি’র মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের সম্মতি ছাড়াই তাদের শরীরে সংক্রমিত রক্ত দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ল্যাংস্টাফ বলেন, ‘এই বিপর্যয় কোনো দুর্ঘটনা নয়। এই সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, রক্ত সংক্রান্ত পরিষেবা এবং পরবর্তী সরকারগুলোর অবহেলার কারণে। কারণ তারা কেউই রোগীদের সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রথম বিবেচনায় রাখেনি।’
তবে কেবল যুক্তরাজ্যে নয়, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্সেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এর আগে অবশ্য ব্রিটিশ সরকার ২০২২ সালে সংক্রমিত রক্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ১ লাখ পাউন্ড করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল।
যুক্তরাজ্যে সংক্রমিত রক্ত কেলেঙ্কারির কারণে অন্তত ৩০ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত ৩ হাজার মানুষ মারা গেছে। সম্প্রতি এক সরকারি তদন্ত থেকে বিষয়টি উঠে এসেছে। তদন্তে বলা হয়েছে, এই কেলেঙ্কারি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং চিকিৎসকদের গাফিলতি এবং সরকারের অবহেলার কারণে এমনটা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এই দূষিত রক্তের কারণে যারা আক্রান্ত হয়েছিল, তাদের বেশির ভাগই হেপাটাইটিসের বিভিন্ন ধরন ও এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। গত সোমবার ব্রিটিশ হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি ব্রায়ান ল্যাংস্টাফ কমিশন এ বিষয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭০-এর দশক থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে রক্ত ও রক্তসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংক্রমিত উপাদানের কারণে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের সেবা নেওয়া ৩০ হাজার ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছে। এই সময়ে মারা গেছে অন্তত ৩ হাজার মানুষ।
ব্রায়ান ল্যাংস্টাফ এ বিষয়ে বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাজ্যের সরকারগুলো মুখরক্ষা ও ব্যয় কমানোর স্বার্থে এই সত্য চেপে গেছে। বিষয়টির উন্মোচন যেকোনো ষড়যন্ত্রের চক্রান্তের চেয়েও অনেক বেশি সূক্ষ্ম, বিস্তৃত এবং এর প্রভাব অনেক বেশি ভয়াবহ ছিল।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বিষয়টিকে দেশটির জাতীয় লজ্জা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বলেন, ‘আমি এই ভয়াবহ অন্যায়ের জন্য আন্তরিক ও দ্ব্যর্থহীনভাবে ক্ষমা চাই।’ এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ল্যাংস্টাফ কমিশন সংক্রমিত রক্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্য থেকে যা উঠে এসেছে তা ভয়াবহ। যেমন—অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে মার্কিন বন্দী এবং উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে রক্ত নেওয়া হয়েছে। পরে সেগুলো শিশুদের শরীরে ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে এসব শিশু এইচআইভি, হেপাটাইটিস সি’র মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রোগীদের সম্মতি ছাড়াই তাদের শরীরে সংক্রমিত রক্ত দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ল্যাংস্টাফ বলেন, ‘এই বিপর্যয় কোনো দুর্ঘটনা নয়। এই সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে পেরেছে কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, রক্ত সংক্রান্ত পরিষেবা এবং পরবর্তী সরকারগুলোর অবহেলার কারণে। কারণ তারা কেউই রোগীদের সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রথম বিবেচনায় রাখেনি।’
তবে কেবল যুক্তরাজ্যে নয়, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্সেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এর আগে অবশ্য ব্রিটিশ সরকার ২০২২ সালে সংক্রমিত রক্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ১ লাখ পাউন্ড করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল।
ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেগুলোর সার্বভৌম মালিকানা ফিলিস্তিনি জনগণের। এই বিষয়টির স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। প্রস্তাবটিতে পশ্চিমা বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সমর্থন দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাব পাস হয়
১৯ মিনিট আগেচিকিৎসার জন্য ২০০৭ সালে ভারতের আসামে গিয়েছিল বাংলাদেশের সিলেটের এক পরিবার। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে পরিবারের এক মেয়ে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমে পড়ে। শেষমেশ তাঁকে বিয়ে করে সেখানেই থেকে যান তিনি। তবে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কখনোই প্রশস্ত ছিল না। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার হিন্দুস
১ ঘণ্টা আগেউত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
২ ঘণ্টা আগে