অনলাইন ডেস্ক
পোলান্ডে উগ্র জাতীয়তাবাদীদের পেছনে ফেলে আবারও সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পেয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক। গতকাল সোমবার পোল্যান্ডের রাজনীতিতে এই পালাবদলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে ইউরোপ। টুস্কের নেতৃত্বে দেশটি আবার গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথে ফিরে যাবে— এমন আশা বাড়ছে।
আগামীকাল বুধবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে নতুন সরকারকে শপথ পাঠ করাবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আনজেই দুদা। এর মধ্য দিয়েই আট বছর ধরে সরকারে থাকা ডানপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ল অ্যান্ড জাস্টিস (পিস) পার্টির শাসনকালের অবসান ঘটছে। ক্ষমতায় থাকাকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নানা বিরোধিতায় জড়িয়েছে দলটি।
যাই হোক, পোলান্ডের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিতে পিস পার্টির রেখে যাওয়া প্রভাব মুছে ফেলতে নতুন প্রধানমন্ত্রী টুস্ককে বেশ বেগ পেতে হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা হলেও সোমবার রাতে পোল্যান্ডে রাজনৈতিক পালাবদলের ফলে ইউরোপের বড় অংশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে, এর পেছনে রয়েছে যৌক্তিক কারণও। উগ্র জাতীয়তাবাদী পিস পার্টি আট বছরের শাসনকালে একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে পোল্যান্ডের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও আইনের শাসন দুর্বল করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছিল। ফলে কোটি কোটি ইউরো অঙ্কের ইইউ অনুদান এতকাল আটকে ছিল।
গত ১৫ অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েও বিতর্কের পথ ছাড়েনি পিস পার্টি। সেই দলেরই অতীত সদস্য ও বর্তমানে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আনজেই দুদা নির্বাচনে জয় সত্ত্বেও বিরোধী জোটকে প্রথমে সরকার গড়ার সুযোগ দেননি। তিনি দ্রুত রাজনৈতিক পালাবদলের বদলে প্রহসনের পথ বেছে নিয়ে পিস পার্টির প্রধানমন্ত্রী মাটেউশ মোরাভিয়েৎস্কিকে আবার সরকার গড়তে বলেন। সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠনের দুই সপ্তাহের মধ্যে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে গিয়ে গতকাল সোমবার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করেন মোরাভিয়েৎস্কি। সেদিনই বিরোধী জোটের নেতা ও ইইউ সরকার পরিষদের প্রাক্তন প্রধান ডনাল্ড টুস্ক সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন।
সংসদের সমর্থনের পর টুস্ক ‘নতুন ও সুন্দর’ পোল্যান্ডের প্রতি আস্থার জন্য সবার প্রতি ঋণ স্বীকার করেন। তিনি ‘ঐতিহাসিক’ পরিবর্তনের উল্লেখ করেন। তবে আস্থা ভোটে টুস্কের জোটের জয়ের পর পিস পার্টির নেতা ইয়ারোস্লাভ কাচিনস্কি তাঁকে ‘জার্মান এজেন্ট’ বলে ভর্ৎসনা করেন। নির্বাচিত জোটের প্রতি সমর্থন দেখাতে পোল্যান্ডের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও নোবেলজয়ী নেতা লেখ ভাউয়েসা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
পোল্যান্ডে রাজনৈতিক পরিবর্তনের বাতাস সত্ত্বেও পিস পার্টির আমলে নেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো আবার প্রত্যাহার করা যে সহজ হবে না, সোমবারই তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। দেশের সাংবিধানিক ট্রাইব্যুনাল এক রায় অনুযায়ী নতুন সরকার যদি সংস্কার আনতে আইন অনুমোদন করে, সেই সিদ্ধান্ত হবে অসাংবিধানিক। টুস্কের মতো ইউরোপপন্থী নেতা পোল্যান্ডের হাল ধরলেও আইনি সংস্কার না করলে ইইউ তহবিলের নাগাল পাওয়া যাবে না। পিস আমলে নিযুক্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা এবং সেই শিবিরেরই প্রেসিডেন্ট দুদা ভেটো শক্তি প্রয়োগ করে টুস্কের উদ্যোগ বানচাল করতে পারেন।
এমন কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ইউরোপীয় নেতারা আন্তরিকভাবে ডনাল্ড টুস্ককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিও আছেন।
পোলান্ডে উগ্র জাতীয়তাবাদীদের পেছনে ফেলে আবারও সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পেয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টুস্ক। গতকাল সোমবার পোল্যান্ডের রাজনীতিতে এই পালাবদলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে ইউরোপ। টুস্কের নেতৃত্বে দেশটি আবার গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথে ফিরে যাবে— এমন আশা বাড়ছে।
আগামীকাল বুধবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে নতুন সরকারকে শপথ পাঠ করাবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট আনজেই দুদা। এর মধ্য দিয়েই আট বছর ধরে সরকারে থাকা ডানপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ল অ্যান্ড জাস্টিস (পিস) পার্টির শাসনকালের অবসান ঘটছে। ক্ষমতায় থাকাকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নানা বিরোধিতায় জড়িয়েছে দলটি।
যাই হোক, পোলান্ডের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিতে পিস পার্টির রেখে যাওয়া প্রভাব মুছে ফেলতে নতুন প্রধানমন্ত্রী টুস্ককে বেশ বেগ পেতে হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা হলেও সোমবার রাতে পোল্যান্ডে রাজনৈতিক পালাবদলের ফলে ইউরোপের বড় অংশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে, এর পেছনে রয়েছে যৌক্তিক কারণও। উগ্র জাতীয়তাবাদী পিস পার্টি আট বছরের শাসনকালে একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়ে পোল্যান্ডের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও আইনের শাসন দুর্বল করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছিল। ফলে কোটি কোটি ইউরো অঙ্কের ইইউ অনুদান এতকাল আটকে ছিল।
গত ১৫ অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েও বিতর্কের পথ ছাড়েনি পিস পার্টি। সেই দলেরই অতীত সদস্য ও বর্তমানে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আনজেই দুদা নির্বাচনে জয় সত্ত্বেও বিরোধী জোটকে প্রথমে সরকার গড়ার সুযোগ দেননি। তিনি দ্রুত রাজনৈতিক পালাবদলের বদলে প্রহসনের পথ বেছে নিয়ে পিস পার্টির প্রধানমন্ত্রী মাটেউশ মোরাভিয়েৎস্কিকে আবার সরকার গড়তে বলেন। সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠনের দুই সপ্তাহের মধ্যে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে গিয়ে গতকাল সোমবার শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করেন মোরাভিয়েৎস্কি। সেদিনই বিরোধী জোটের নেতা ও ইইউ সরকার পরিষদের প্রাক্তন প্রধান ডনাল্ড টুস্ক সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন।
সংসদের সমর্থনের পর টুস্ক ‘নতুন ও সুন্দর’ পোল্যান্ডের প্রতি আস্থার জন্য সবার প্রতি ঋণ স্বীকার করেন। তিনি ‘ঐতিহাসিক’ পরিবর্তনের উল্লেখ করেন। তবে আস্থা ভোটে টুস্কের জোটের জয়ের পর পিস পার্টির নেতা ইয়ারোস্লাভ কাচিনস্কি তাঁকে ‘জার্মান এজেন্ট’ বলে ভর্ৎসনা করেন। নির্বাচিত জোটের প্রতি সমর্থন দেখাতে পোল্যান্ডের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও নোবেলজয়ী নেতা লেখ ভাউয়েসা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
পোল্যান্ডে রাজনৈতিক পরিবর্তনের বাতাস সত্ত্বেও পিস পার্টির আমলে নেওয়া বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো আবার প্রত্যাহার করা যে সহজ হবে না, সোমবারই তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। দেশের সাংবিধানিক ট্রাইব্যুনাল এক রায় অনুযায়ী নতুন সরকার যদি সংস্কার আনতে আইন অনুমোদন করে, সেই সিদ্ধান্ত হবে অসাংবিধানিক। টুস্কের মতো ইউরোপপন্থী নেতা পোল্যান্ডের হাল ধরলেও আইনি সংস্কার না করলে ইইউ তহবিলের নাগাল পাওয়া যাবে না। পিস আমলে নিযুক্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা এবং সেই শিবিরেরই প্রেসিডেন্ট দুদা ভেটো শক্তি প্রয়োগ করে টুস্কের উদ্যোগ বানচাল করতে পারেন।
এমন কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও ইউরোপীয় নেতারা আন্তরিকভাবে ডনাল্ড টুস্ককে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিও আছেন।
কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
২৯ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
১ ঘণ্টা আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকের নেতৃত্বে বামপন্থী দল ন্যাশনাল পিপল পাওয়ার (এনপিপি) আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। এই জয়ের মার্ক্সবাদী প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি শিথিল করার জন্য ম্যান্ডেট পেয়েছেন
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
৩ ঘণ্টা আগে