ডয়চে ভেলে
ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার পর জার্মানি নতুন চীন কৌশল জানিয়েছে। এই নীতিতে বেইজিংকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক সংকট সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতা জরুরি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বৃহস্পতিবার বার্লিনে মার্কেটর ইনস্টিটিউট ফর চায়না স্টাডিজে বেইজিংয়ের সঙ্গে বার্লিনের সম্পর্কের বিস্তারিত তুলে ধরেন ৷
সমালোচকেরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার মতো কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রগুলোর নতুন বৈশ্বিক হুমকির বিপরীতে জার্মানি আত্মতুষ্টিতে ভুগছে ৷
যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বেয়ারবক বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ক্রমশ কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশটি অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তবে সেই সঙ্গে দেশটির কর্তৃত্ববাদী প্রভাবও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ৷ বিশেষ করে দেশটির অভ্যন্তরে পশ্চিমের জিনজিয়াং প্রদেশ এবং হংকং ও এশিয়ায় আঞ্চলিক পরিসরেও ক্রমবর্ধমানভাবে দেশটি শক্তি প্রতিষ্ঠা করছে ৷
তিনি বলেন, ‘চীন বদলে গেছে এবং সে জন্য চীনের প্রতি আমাদের নীতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে ৷ আমরা চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছি না, আমরা কেবল ঝুঁকি কমাতে চাই৷’ রুশ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর খুব বেশি নির্ভর করে জার্মানি যে ভুল করেছিল, সেটিও উল্লেখ করেন তিনি ৷
বেয়ারবক বলেন, ‘আমরা চীনের বা নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চাই না৷’ তবে জার্মানির অর্থনৈতিক সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি ৷
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘যেসব কোম্পানি নিজেদের চীনের বাজারের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল করে তুলছে, তাদের এই ঝুঁকির আর্থিক ভার ক্রমবর্ধমানভাবে বহন করতে হবে৷ ’
বেয়ারবক বলেন, এই নীতি কেবল মানবাধিকার নয়, জার্মানির অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ৷
চীনের জবরদস্তি মোকাবিলা করার প্রয়োজনও বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানান জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ এ ব্যাপারে লিথুয়ানিয়ার তাইওয়ান নীতি বদলানোর জন্য চীনের অর্থনৈতিক চাপের কথাও তুলে ধরেন তিনি ৷
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় চীন এখনো উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করে ৷ অথচ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ৷ এই অবস্থান বদলাতে জার্মানি চীনকে চাপ দেবে বলেও জানান বেয়ারবক ৷
দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চীনের আহ্বান
বেয়ারবকের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বার্লিনে চীনের দূতাবাস ৷ চীন জার্মানির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে—এমন ধারণার প্রতিবাদ জানিয়ে দূতাবাস বলেছে, দুই দেশ বরং নানা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীদার ছিল৷
এক বিবৃতিতে চীন জানিয়েছে, ‘আদর্শিক ভ্রান্তি এবং প্রতিযোগিতাবিষয়ক উদ্বেগের ওপর ভিত্তি করে জোরপূর্বক ‘ঝুঁকিমুক্ত করার প্রক্রিয়া’ শুধু প্রতিকূল পরিস্থিতিই তৈরি করবে এবং কৃত্রিমভাবে ঝুঁকিকে তীব্র করে তুলবে৷’
জোটের মধ্যে উত্তেজনা
চীনের প্রতি এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তিন দলের জার্মান জোট সরকারের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে ৷ তিন দল তাদের ২০২১ সালের জোট গঠনের চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল যে ‘চীনের সঙ্গে পদ্ধতিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমাদের মূল্যবোধ এবং স্বার্থ উপলব্ধি করতে সক্ষম হওয়ার জন্য একটি কৌশল প্রয়োজন৷’
চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে বেয়ারবকের গ্রিন পার্টি চীনের ওপর বেশি কঠোর মনোভাবের পক্ষে ৷
এই বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয় যখন গ্রিন পার্টির আপত্তি সত্ত্বেও হামবুর্গ বন্দরে কনটেইনার টার্মিনালের অংশীদারত্ব চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির কাছে বিক্রির ব্যাপারে সম্মতি দেন চ্যান্সেলর শলৎস ৷
ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার পর জার্মানি নতুন চীন কৌশল জানিয়েছে। এই নীতিতে বেইজিংকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক সংকট সমাধানে পারস্পরিক সহযোগিতা জরুরি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বৃহস্পতিবার বার্লিনে মার্কেটর ইনস্টিটিউট ফর চায়না স্টাডিজে বেইজিংয়ের সঙ্গে বার্লিনের সম্পর্কের বিস্তারিত তুলে ধরেন ৷
সমালোচকেরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার মতো কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রগুলোর নতুন বৈশ্বিক হুমকির বিপরীতে জার্মানি আত্মতুষ্টিতে ভুগছে ৷
যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বেয়ারবক বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ক্রমশ কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশটি অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তবে সেই সঙ্গে দেশটির কর্তৃত্ববাদী প্রভাবও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ৷ বিশেষ করে দেশটির অভ্যন্তরে পশ্চিমের জিনজিয়াং প্রদেশ এবং হংকং ও এশিয়ায় আঞ্চলিক পরিসরেও ক্রমবর্ধমানভাবে দেশটি শক্তি প্রতিষ্ঠা করছে ৷
তিনি বলেন, ‘চীন বদলে গেছে এবং সে জন্য চীনের প্রতি আমাদের নীতিতেও পরিবর্তন আনতে হবে ৷ আমরা চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছি না, আমরা কেবল ঝুঁকি কমাতে চাই৷’ রুশ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর খুব বেশি নির্ভর করে জার্মানি যে ভুল করেছিল, সেটিও উল্লেখ করেন তিনি ৷
বেয়ারবক বলেন, ‘আমরা চীনের বা নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চাই না৷’ তবে জার্মানির অর্থনৈতিক সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি ৷
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘যেসব কোম্পানি নিজেদের চীনের বাজারের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল করে তুলছে, তাদের এই ঝুঁকির আর্থিক ভার ক্রমবর্ধমানভাবে বহন করতে হবে৷ ’
বেয়ারবক বলেন, এই নীতি কেবল মানবাধিকার নয়, জার্মানির অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ৷
চীনের জবরদস্তি মোকাবিলা করার প্রয়োজনও বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানান জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ এ ব্যাপারে লিথুয়ানিয়ার তাইওয়ান নীতি বদলানোর জন্য চীনের অর্থনৈতিক চাপের কথাও তুলে ধরেন তিনি ৷
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় চীন এখনো উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করে ৷ অথচ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ৷ এই অবস্থান বদলাতে জার্মানি চীনকে চাপ দেবে বলেও জানান বেয়ারবক ৷
দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে চীনের আহ্বান
বেয়ারবকের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বার্লিনে চীনের দূতাবাস ৷ চীন জার্মানির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে—এমন ধারণার প্রতিবাদ জানিয়ে দূতাবাস বলেছে, দুই দেশ বরং নানা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীদার ছিল৷
এক বিবৃতিতে চীন জানিয়েছে, ‘আদর্শিক ভ্রান্তি এবং প্রতিযোগিতাবিষয়ক উদ্বেগের ওপর ভিত্তি করে জোরপূর্বক ‘ঝুঁকিমুক্ত করার প্রক্রিয়া’ শুধু প্রতিকূল পরিস্থিতিই তৈরি করবে এবং কৃত্রিমভাবে ঝুঁকিকে তীব্র করে তুলবে৷’
জোটের মধ্যে উত্তেজনা
চীনের প্রতি এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তিন দলের জার্মান জোট সরকারের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে ৷ তিন দল তাদের ২০২১ সালের জোট গঠনের চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল যে ‘চীনের সঙ্গে পদ্ধতিগত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমাদের মূল্যবোধ এবং স্বার্থ উপলব্ধি করতে সক্ষম হওয়ার জন্য একটি কৌশল প্রয়োজন৷’
চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে বেয়ারবকের গ্রিন পার্টি চীনের ওপর বেশি কঠোর মনোভাবের পক্ষে ৷
এই বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয় যখন গ্রিন পার্টির আপত্তি সত্ত্বেও হামবুর্গ বন্দরে কনটেইনার টার্মিনালের অংশীদারত্ব চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানির কাছে বিক্রির ব্যাপারে সম্মতি দেন চ্যান্সেলর শলৎস ৷
অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
৩ ঘণ্টা আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
৬ ঘণ্টা আগে