অনলাইন ডেস্ক
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়াশিংটনের শক্ত নিরাপত্তা উপস্থিতি স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন করে তুলেছে চীনকে। সেই উদ্বেগ কাটাতেই শিগগিরই দেশ দুটির সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন চীনের সর্বোচ্চ নেতা। গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চুং বায়ং-ওনের সঙ্গে জাপানের জ্যেষ্ঠ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেহিরো ফুনাকোশি ও চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী নং রংয়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা খাতসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক যেমন চীনের উদ্বেগ তৈরি করেছে, তেমনি চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক কর্মকাণ্ড ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি টোকিও-সিউলের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই চার বছর পর তিন দেশে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়নহাপের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিম সু-সুক বলেছেন, ‘তিন দেশের নেতারা যত দ্রুত সম্ভব সুবিধাজনক সময়ে বৈঠক করবেন।’
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া বলেছেন, ‘তিন দেশের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শীর্ষ সম্মেলনসহ উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা পুনরায় শুরু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’ টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই অঞ্চলের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিন দেশের মধ্যে আলোচনা খুবই জরুরি।’
এদিকে, দূরপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন সামরিক অবস্থান এবং জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের বিষয়ে বেইজিং বারবার সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে। কিন্তু তার পরও গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কের এক ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে তিন দেশের মধ্যে এক ঐতিহাসিক নিরাপত্তা সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চীন সেই চুক্তির কড়া সমালোচনা করেছে। বলেছে, ‘সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বিভিন্ন জোট গঠন করে সংঘাত বাড়িয়ে তুলছে এবং অন্য দেশের কৌশলগত নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। বেইজিং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে।’ ক্যাম্প ডেভিডে তিন দেশের চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, দক্ষিণ চীন সাগরে চীন ‘আক্রমণাত্মক আচরণ’ করছে। এই বক্তব্য বেইজিংকে বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ করে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, বেইজিং সব সময়ই এই অঞ্চলে যেকোনো সামরিক জোটের অবাঞ্ছিত সম্প্রসারণ এবং অন্য দেশের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করার বিরোধিতা করবে। বিষয়টি নিশ্চিত হয় দক্ষিণ কোরিয়ার এক শীর্ষ কর্মকর্তার মন্তব্য থেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে আমাদের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারত্বের বিষয়ে তাদের (বেইজিংয়ের) হয়তো কিছু অস্বস্তি আছে।’
সব মিলিয়ে বলা যায়, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মৈত্রী নিয়ে স্পষ্টতই শঙ্কিত। এবং এই শঙ্কা কাটিয়ে উঠতেই টোকিও ও সিউলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করা থেকে চীন কী অর্জন করতে চায়—এ বিষয়ে মার্কিন থিংক ট্যাংক কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের সিনিয়র ফেলো টং ঝাও বলেন, ‘চীন সম্ভবত এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে টেক্কা দিতে এই দেশ দুটির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চায়। এ লক্ষ্যে বেইজিং জনগণ-জনগণ সম্পর্ক উন্নয়ন, টোকিও-সিউলের সঙ্গে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংলাপ আয়োজন করতে চায় এবং যোগাযোগ বাড়াতে চায়।’
টং ঝাও আরও বলেন, ‘জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এড়ানো এবং একটি স্থিতিশীল নিরাপত্তা সম্পর্ক বজায় রাখার আগ্রহ রয়েছে। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার ব্যাপক পারমাণবিক উন্নয়ন কর্মসূচি বন্ধ না করলে বেইজিংয়ের সাহায্যে টোকিও-সিউল তা মন্থর করতে পারে। পরস্পর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এই দেশ তিনটির মধ্যে কৌশলগত যোগাযোগ, আস্থা-নির্মাণ ও সংকট মোকাবিলার জন্য এই বৈঠক নতুন দুয়ার খুলে দেবে।’
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ওয়াশিংটনের শক্ত নিরাপত্তা উপস্থিতি স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন করে তুলেছে চীনকে। সেই উদ্বেগ কাটাতেই শিগগিরই দেশ দুটির সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন চীনের সর্বোচ্চ নেতা। গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চুং বায়ং-ওনের সঙ্গে জাপানের জ্যেষ্ঠ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেহিরো ফুনাকোশি ও চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী নং রংয়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা খাতসংশ্লিষ্ট সম্পর্ক যেমন চীনের উদ্বেগ তৈরি করেছে, তেমনি চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক কর্মকাণ্ড ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি টোকিও-সিউলের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই চার বছর পর তিন দেশে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়নহাপের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিম সু-সুক বলেছেন, ‘তিন দেশের নেতারা যত দ্রুত সম্ভব সুবিধাজনক সময়ে বৈঠক করবেন।’
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া বলেছেন, ‘তিন দেশের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শীর্ষ সম্মেলনসহ উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা পুনরায় শুরু করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’ টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই অঞ্চলের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিন দেশের মধ্যে আলোচনা খুবই জরুরি।’
এদিকে, দূরপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ায় মার্কিন সামরিক অবস্থান এবং জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কের বিষয়ে বেইজিং বারবার সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে। কিন্তু তার পরও গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্কের এক ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে তিন দেশের মধ্যে এক ঐতিহাসিক নিরাপত্তা সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চীন সেই চুক্তির কড়া সমালোচনা করেছে। বলেছে, ‘সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বিভিন্ন জোট গঠন করে সংঘাত বাড়িয়ে তুলছে এবং অন্য দেশের কৌশলগত নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। বেইজিং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে।’ ক্যাম্প ডেভিডে তিন দেশের চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, দক্ষিণ চীন সাগরে চীন ‘আক্রমণাত্মক আচরণ’ করছে। এই বক্তব্য বেইজিংকে বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ করে।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, বেইজিং সব সময়ই এই অঞ্চলে যেকোনো সামরিক জোটের অবাঞ্ছিত সম্প্রসারণ এবং অন্য দেশের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করার বিরোধিতা করবে। বিষয়টি নিশ্চিত হয় দক্ষিণ কোরিয়ার এক শীর্ষ কর্মকর্তার মন্তব্য থেকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে আমাদের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারত্বের বিষয়ে তাদের (বেইজিংয়ের) হয়তো কিছু অস্বস্তি আছে।’
সব মিলিয়ে বলা যায়, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপান-দক্ষিণ কোরিয়ার মৈত্রী নিয়ে স্পষ্টতই শঙ্কিত। এবং এই শঙ্কা কাটিয়ে উঠতেই টোকিও ও সিউলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায়।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করা থেকে চীন কী অর্জন করতে চায়—এ বিষয়ে মার্কিন থিংক ট্যাংক কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের সিনিয়র ফেলো টং ঝাও বলেন, ‘চীন সম্ভবত এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে টেক্কা দিতে এই দেশ দুটির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চায়। এ লক্ষ্যে বেইজিং জনগণ-জনগণ সম্পর্ক উন্নয়ন, টোকিও-সিউলের সঙ্গে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংলাপ আয়োজন করতে চায় এবং যোগাযোগ বাড়াতে চায়।’
টং ঝাও আরও বলেন, ‘জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এড়ানো এবং একটি স্থিতিশীল নিরাপত্তা সম্পর্ক বজায় রাখার আগ্রহ রয়েছে। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার ব্যাপক পারমাণবিক উন্নয়ন কর্মসূচি বন্ধ না করলে বেইজিংয়ের সাহায্যে টোকিও-সিউল তা মন্থর করতে পারে। পরস্পর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এই দেশ তিনটির মধ্যে কৌশলগত যোগাযোগ, আস্থা-নির্মাণ ও সংকট মোকাবিলার জন্য এই বৈঠক নতুন দুয়ার খুলে দেবে।’
কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
৩৩ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
১ ঘণ্টা আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকের নেতৃত্বে বামপন্থী দল ন্যাশনাল পিপল পাওয়ার (এনপিপি) আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। এই জয়ের মার্ক্সবাদী প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি শিথিল করার জন্য ম্যান্ডেট পেয়েছেন
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
৩ ঘণ্টা আগে