অনলাইন ডেস্ক
নিউজিল্যান্ড ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। এপ্রিল পর্যন্ত গত একবছরে সোয়া লাখের বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছে। বছরের হিসাবে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
সরকারি অভিবাসন ডেটা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আনুমানিক ১ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ মানুষ নিউজিল্যান্ড ছেড়ে চলে গেছে। এর মধ্যে ৮১ হাজার ২০০ জন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক।
দেশ ছেড়ে যাওয়া নাগরিকদের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ৪১ শতাংশ। নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের দেশ ছাড়ার পূর্বের রেকর্ডটি ছিল ২০১২ সালে। সেবার ৭২ হাজার ৪০০ জন দেশ ছেড়েছিলেন।
২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডে আসেন ২৪ হাজার ৮০০ জন নাগরিক। ফলে সামগ্রিক অভিবাসন কমার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৫০০ জনে, যা ২০১২ সালে ৪৪ হাজার ৪০০ জনের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
ওই বছর ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ জন বিদেশি নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করায় ৯৮ হাজার ৫০০ জনের অভিবাসন হয়। এই অভিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতীয়। তারপরই আছে ফিলিপাইন ও চীন।
গতকাল বুধবার, স্ট্যাট নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অভিবাসন–সংক্রান্ত অস্থায়ী ডেটাও প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ছেড়ে যাওয়া নাগরিকদের ৫৩ শতাংশই গেছে অস্ট্রেলিয়ায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিউজিল্যান্ডের নাগরিক বিশেষ করে তরুণ পেশাদার ও স্নাতকেরা দেশটিতে জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়া এবং কর্মসংস্থানের অভাবে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের অনেক তরুণ স্কুল বা উচ্চশিক্ষা শেষ করার পর বিদেশ যাওয়ার দিকেই মনোযোগ দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডবাসীরা কেন চলে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট ডেটা সংগ্রহ করেনি স্ট্যাট নিউজিল্যান্ড। তবে তারা সামগ্রিক প্রবণতার দিকে জোর দিয়েছে। স্ট্যাট নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা নির্দেশক ব্যবস্থাপক তেহসিন ইসলাম বলেছেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে অভিবাসনের পরিবর্তনের পেছনে বেশ কিছু কারণ জড়িত থাকে—যার মধ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ড এবং বাকি বিশ্বের মধ্যে তুলনামূলক অর্থনৈতিক এবং শ্রমবাজারের অবস্থা।’
বিদেশে অভিবাসনের পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে বলে মত দেন ইনফোমেট্রিক্সের প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্র্যাড ওলসেন। তিনি বলেন, কম বয়সী কিউইরা বিদেশের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য দেশের বাইরে যাবে। তাদের বিদেশ সফর বিলম্বিতও হতে পারে। কারণ, ক্ষেত্রটিতে কয়েক বছর ধরে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে।
তিনি আর বলেন, নিউজিল্যান্ড ত্যাগকারীদের মধ্যে অর্ধেকেরই অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানো নির্দেশ করে যে অনেক বেশিসংখ্যক মানুষ এবং পরিবার অন্য কোথাও সুযোগ খুঁজছে এবং সে জন্য আরও স্থায়ী পদক্ষেপের দিকে ঝুঁকছে।
অস্ট্রেলিয়ান নিয়োগকর্তারা প্রায়ই নিউজিল্যান্ডের কর্মীদের উচ্চ বেতনের চাকরি এবং আরও ভালো কর্মস্থলের প্রস্তাব দেয়। ওলসেন বলেন, ‘কিউইদের জন্য দেশ ছাড়ার প্রবণতা স্বাভাবিক। তবে আবাসন খরচ মেটানোর সামর্থ্য এবং চাকরির ঘাটতি অব্যাহত থাকলে তাদের আবার দেশে ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়বে। জনসংখ্যার গড় বয়স বেড়ে যাওয়া এবং মেধাবী তরুণদের দেশ ত্যাগের প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নিউজিল্যান্ডের সমাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যতটা সম্ভব তরুণদের রেখে দেওয়া দরকার। কারণ, তারা অর্থনীতির অংশ। তাদের উদ্ভাবনী নতুন চিন্তাভাবনা দিয়ে দেশ আরও উৎপাদনশীল হতে পারবে। আমরা যদি আমাদের মেধাবী তরুণদের হারিয়ে ফেলি এবং তাদের ফিরিয়ে আনতে না পারি, তবে সবকিছু আরও কঠিন হয়ে যাবে।’
নিউজিল্যান্ড ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। এপ্রিল পর্যন্ত গত একবছরে সোয়া লাখের বেশি মানুষ দেশ ছেড়েছে। বছরের হিসাবে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
সরকারি অভিবাসন ডেটা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আনুমানিক ১ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ মানুষ নিউজিল্যান্ড ছেড়ে চলে গেছে। এর মধ্যে ৮১ হাজার ২০০ জন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক।
দেশ ছেড়ে যাওয়া নাগরিকদের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ৪১ শতাংশ। নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের দেশ ছাড়ার পূর্বের রেকর্ডটি ছিল ২০১২ সালে। সেবার ৭২ হাজার ৪০০ জন দেশ ছেড়েছিলেন।
২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডে আসেন ২৪ হাজার ৮০০ জন নাগরিক। ফলে সামগ্রিক অভিবাসন কমার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৫০০ জনে, যা ২০১২ সালে ৪৪ হাজার ৪০০ জনের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
ওই বছর ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ জন বিদেশি নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করায় ৯৮ হাজার ৫০০ জনের অভিবাসন হয়। এই অভিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতীয়। তারপরই আছে ফিলিপাইন ও চীন।
গতকাল বুধবার, স্ট্যাট নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অভিবাসন–সংক্রান্ত অস্থায়ী ডেটাও প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ছেড়ে যাওয়া নাগরিকদের ৫৩ শতাংশই গেছে অস্ট্রেলিয়ায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিউজিল্যান্ডের নাগরিক বিশেষ করে তরুণ পেশাদার ও স্নাতকেরা দেশটিতে জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়া এবং কর্মসংস্থানের অভাবে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। নিউজিল্যান্ডের অনেক তরুণ স্কুল বা উচ্চশিক্ষা শেষ করার পর বিদেশ যাওয়ার দিকেই মনোযোগ দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডবাসীরা কেন চলে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট ডেটা সংগ্রহ করেনি স্ট্যাট নিউজিল্যান্ড। তবে তারা সামগ্রিক প্রবণতার দিকে জোর দিয়েছে। স্ট্যাট নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা নির্দেশক ব্যবস্থাপক তেহসিন ইসলাম বলেছেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে অভিবাসনের পরিবর্তনের পেছনে বেশ কিছু কারণ জড়িত থাকে—যার মধ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ড এবং বাকি বিশ্বের মধ্যে তুলনামূলক অর্থনৈতিক এবং শ্রমবাজারের অবস্থা।’
বিদেশে অভিবাসনের পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে বলে মত দেন ইনফোমেট্রিক্সের প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্র্যাড ওলসেন। তিনি বলেন, কম বয়সী কিউইরা বিদেশের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য দেশের বাইরে যাবে। তাদের বিদেশ সফর বিলম্বিতও হতে পারে। কারণ, ক্ষেত্রটিতে কয়েক বছর ধরে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে।
তিনি আর বলেন, নিউজিল্যান্ড ত্যাগকারীদের মধ্যে অর্ধেকেরই অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানো নির্দেশ করে যে অনেক বেশিসংখ্যক মানুষ এবং পরিবার অন্য কোথাও সুযোগ খুঁজছে এবং সে জন্য আরও স্থায়ী পদক্ষেপের দিকে ঝুঁকছে।
অস্ট্রেলিয়ান নিয়োগকর্তারা প্রায়ই নিউজিল্যান্ডের কর্মীদের উচ্চ বেতনের চাকরি এবং আরও ভালো কর্মস্থলের প্রস্তাব দেয়। ওলসেন বলেন, ‘কিউইদের জন্য দেশ ছাড়ার প্রবণতা স্বাভাবিক। তবে আবাসন খরচ মেটানোর সামর্থ্য এবং চাকরির ঘাটতি অব্যাহত থাকলে তাদের আবার দেশে ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়বে। জনসংখ্যার গড় বয়স বেড়ে যাওয়া এবং মেধাবী তরুণদের দেশ ত্যাগের প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় নিউজিল্যান্ডের সমাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যতটা সম্ভব তরুণদের রেখে দেওয়া দরকার। কারণ, তারা অর্থনীতির অংশ। তাদের উদ্ভাবনী নতুন চিন্তাভাবনা দিয়ে দেশ আরও উৎপাদনশীল হতে পারবে। আমরা যদি আমাদের মেধাবী তরুণদের হারিয়ে ফেলি এবং তাদের ফিরিয়ে আনতে না পারি, তবে সবকিছু আরও কঠিন হয়ে যাবে।’
তুলসী গ্যাবার্ডকে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে বেছে নিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। তুলসী গ্যাবার্ড কে? নিয়োগ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হওয়া প্রথম হিন্দু নারী। সাবেক এই মার্কিন সেনা একসময় রাজনীতি করেছ
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক দিন পর থেকেই আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, এবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণও যাচ্ছে রিপাবলিকানদের হাতে। শেষমেশ তা-ই হলো। গত বুধবার মার্কিন গণমাধ্যমগুলো নিশ্চিত করেছে, এই হাউসের নিয়ন্ত্রণও পেল নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের
৯ ঘণ্টা আগেহিজাব আইন অমান্যকারীদের মানসিক রোগী হিসেবে বিবেচনার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। এমন নারীদের জন্য ‘মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ইরানের নারী ও পরিবার বিভাগের নীতি ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ দপ্তরের প্রধান মেহরি তালেবি দারেস্তানি গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন।
১১ ঘণ্টা আগেজনগণের ভোটাধিকার হরণ, অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার ও সংবিধানের ২৬তম সংশোধনী পাসের প্রতিবাদে ২৪ নভেম্বর (বুধবার) দেশব্যাপী ‘চূড়ান্ত’ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন কারান্তরীণ পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাঁর মুক্তি ও নির্বাচনে কথিত কারচুপির বিরুদ্ধে বিক্ষ
১৩ ঘণ্টা আগে