অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ‘কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে’ অপরিচিত এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে আজ শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ওই তরুণীর নাম জুং ইয়ু-জং। টেলিভিশনে দেখানো বিভিন্ন ক্রাইম শো এবং উপন্যাসের প্রতি আচ্ছন্ন ছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, সাইকোপ্যাথ পরীক্ষায়ও তাঁর নম্বর অনেক বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুং প্রথমে একটি হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে একটি টিউটরিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হওয়া ইংরেজি ভাষার এক নারী শিক্ষকের বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে তাঁকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। গত মে মাসে সংঘটিত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড পুরো দক্ষিণ কোরিয়াকে হতবাক করে দিয়েছিল।
আইনজীবীরা জুংয়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন। তাঁরা আদালতকে বলেছিলেন, জুং একজন নিঃসঙ্গ বেকার। দাদার সঙ্গে থাকতেন। হত্যার পরিকল্পনা করার পর একটি অ্যাপে কয়েক মাস ধরে তিনি শিকারের সন্ধান করেছিলেন। এটি করতে গিয়ে তিনি ৫০ জনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। মূলত নারীরাই ছিল তাঁর প্রথম পছন্দ। তাঁদের কাছে জুং জানতে চাইতেন—বাড়িতে তাঁরা কোনো পাঠ পরিচালনা করছেন কি না।
গত মে মাসে শিক্ষার্থীর মা পরিচয় দিয়ে এবং ইংরেজি ভাষার শিক্ষক প্রয়োজন জানিয়ে ২৬ বছর বয়সী এক নারী শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জুং। ওই শিক্ষক দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর বুসানে বসবাস করতেন। পুলিশ তাঁর বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি।
পরবর্তী সময় ওই শিক্ষকের বাড়িতে দেখা করতে যান জুং। বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেই তিনি শিক্ষকের ওপর আক্রমণ করেন। শিক্ষকের শরীরে ১০০ বারেরও বেশি ছুরিকাঘাত করেন তিনি। এমনকি মৃত্যুর পরও তিনি উন্মত্ত আক্রমণ চালিয়ে যান।
একপর্যায়ে নিহত শিক্ষকের দেহটি টুকরো টুকরো করে একটি স্যুটকেসে ভরে বুসানের উত্তরে অবস্থিত একটি নদীর কাছাকাছি জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার জন্য ট্যাক্সি ভাড়া করেন। ওই ট্যাক্সিচালকই সন্দেহজনক যাত্রীর বিষয়ে প্রথমে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ জুংকে গ্রেপ্তার করে এবং ফেলে আসা রক্ত ভেজা স্যুটকেসও উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, জুংয়ের অনলাইন ব্রাউজিংয়ের রেকর্ডে দেখা গেছে—কীভাবে হত্যা করা যায়, তা নিয়ে তিনি কয়েক মাস ধরে গবেষণা করেছেন। তবে তিনি অসতর্ক ছিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরা এড়াতে তাঁর কোনো চেষ্টাই ছিল না। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে নিহত গৃহশিক্ষকের বাড়িতে বেশ কয়েকবার জুংকে আসা-যাওয়া করতে দেখা গেছে।
আজ শুক্রবার বুসান জেলা আদালতের এক বিচারক বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড সমাজে ভয় ছড়িয়ে দিয়েছে, যে কেউ বিনা কারণে হত্যার শিকার হতে পারে এবং বিষয়টি সমাজের মধ্যে অবিশ্বাসকে উসকে দিয়েছে।
গত জুনে অপরাধ স্বীকার করে জুন জানিয়েছিলেন তিনি হ্যালুসিনেশন ও মানসিক ব্যাধিতে ভুগছেন। এ জন্য সাজা কম দেওয়া অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। তবে আদালত তাঁর যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, সংঘটিত অপরাধটি অনেক সময় নিয়ে পরিকল্পনা করে করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অনেক নাটকীয় মোড়ও নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জুং দাবি করেছিলেন—শিক্ষককে অন্য কেউ হত্যা করেছে। তিনি শুধু তাঁর মরদেহটি সরিয়েছেন। পরে দাবি করেছিলেন—তর্কাতর্কির জের ধরে তিনি ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি হত্যার প্রকৃত তথ্য দিতে বাধ্য হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিষিদ্ধ না হলেও ১৯৯৭ সাল থেকে দেশটিতে কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ‘কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে’ অপরিচিত এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে আজ শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া ওই তরুণীর নাম জুং ইয়ু-জং। টেলিভিশনে দেখানো বিভিন্ন ক্রাইম শো এবং উপন্যাসের প্রতি আচ্ছন্ন ছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, সাইকোপ্যাথ পরীক্ষায়ও তাঁর নম্বর অনেক বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুং প্রথমে একটি হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে একটি টিউটরিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয় হওয়া ইংরেজি ভাষার এক নারী শিক্ষকের বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে তাঁকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। গত মে মাসে সংঘটিত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড পুরো দক্ষিণ কোরিয়াকে হতবাক করে দিয়েছিল।
আইনজীবীরা জুংয়ের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন। তাঁরা আদালতকে বলেছিলেন, জুং একজন নিঃসঙ্গ বেকার। দাদার সঙ্গে থাকতেন। হত্যার পরিকল্পনা করার পর একটি অ্যাপে কয়েক মাস ধরে তিনি শিকারের সন্ধান করেছিলেন। এটি করতে গিয়ে তিনি ৫০ জনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। মূলত নারীরাই ছিল তাঁর প্রথম পছন্দ। তাঁদের কাছে জুং জানতে চাইতেন—বাড়িতে তাঁরা কোনো পাঠ পরিচালনা করছেন কি না।
গত মে মাসে শিক্ষার্থীর মা পরিচয় দিয়ে এবং ইংরেজি ভাষার শিক্ষক প্রয়োজন জানিয়ে ২৬ বছর বয়সী এক নারী শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জুং। ওই শিক্ষক দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর বুসানে বসবাস করতেন। পুলিশ তাঁর বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি।
পরবর্তী সময় ওই শিক্ষকের বাড়িতে দেখা করতে যান জুং। বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেই তিনি শিক্ষকের ওপর আক্রমণ করেন। শিক্ষকের শরীরে ১০০ বারেরও বেশি ছুরিকাঘাত করেন তিনি। এমনকি মৃত্যুর পরও তিনি উন্মত্ত আক্রমণ চালিয়ে যান।
একপর্যায়ে নিহত শিক্ষকের দেহটি টুকরো টুকরো করে একটি স্যুটকেসে ভরে বুসানের উত্তরে অবস্থিত একটি নদীর কাছাকাছি জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার জন্য ট্যাক্সি ভাড়া করেন। ওই ট্যাক্সিচালকই সন্দেহজনক যাত্রীর বিষয়ে প্রথমে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ জুংকে গ্রেপ্তার করে এবং ফেলে আসা রক্ত ভেজা স্যুটকেসও উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, জুংয়ের অনলাইন ব্রাউজিংয়ের রেকর্ডে দেখা গেছে—কীভাবে হত্যা করা যায়, তা নিয়ে তিনি কয়েক মাস ধরে গবেষণা করেছেন। তবে তিনি অসতর্ক ছিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরা এড়াতে তাঁর কোনো চেষ্টাই ছিল না। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে নিহত গৃহশিক্ষকের বাড়িতে বেশ কয়েকবার জুংকে আসা-যাওয়া করতে দেখা গেছে।
আজ শুক্রবার বুসান জেলা আদালতের এক বিচারক বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ড সমাজে ভয় ছড়িয়ে দিয়েছে, যে কেউ বিনা কারণে হত্যার শিকার হতে পারে এবং বিষয়টি সমাজের মধ্যে অবিশ্বাসকে উসকে দিয়েছে।
গত জুনে অপরাধ স্বীকার করে জুন জানিয়েছিলেন তিনি হ্যালুসিনেশন ও মানসিক ব্যাধিতে ভুগছেন। এ জন্য সাজা কম দেওয়া অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি। তবে আদালত তাঁর যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, সংঘটিত অপরাধটি অনেক সময় নিয়ে পরিকল্পনা করে করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অনেক নাটকীয় মোড়ও নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জুং দাবি করেছিলেন—শিক্ষককে অন্য কেউ হত্যা করেছে। তিনি শুধু তাঁর মরদেহটি সরিয়েছেন। পরে দাবি করেছিলেন—তর্কাতর্কির জের ধরে তিনি ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি হত্যার প্রকৃত তথ্য দিতে বাধ্য হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিষিদ্ধ না হলেও ১৯৯৭ সাল থেকে দেশটিতে কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি।
অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
১ ঘণ্টা আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
৪ ঘণ্টা আগে