আজকের পত্রিকা ডেস্ক
কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যার ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতিমধ্যে বেশ তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ভারতের পাঞ্জাবে বসবাস করা শিখ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শিখরা আশঙ্কা করছেন, ভারতে কট্টরপন্থী ও হিন্দুত্ববাদী সরকারের সহিংস প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে তাদের। পাশাপাশি কানাডার মতো দেশে উন্নত জীবন গড়ার সম্ভাবনাও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
পাঞ্জাবের ভরসিংপুরা গ্রামে বসবাস করেন হরদীপের চাচা হিম্মত সিং নিজ্জার । তিনি কৃষিকাজ করেন। হিম্মত বলেন, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলায় ট্রুডোকে খুব সাহসী বলে মনে করছেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা। তবে একজন সাধারণ ব্যক্তির জন্য সরকারের এত বড় ঝুঁকি নেওয়ার দরকার ছিল না ট্রুডোর।
হিম্মত সিংয়ের মতে, উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতি হবে এবং পাঞ্জাবের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা কমতে পারে। তিনি আরও বলেন, তাঁর গ্রামটির প্রায় প্রতিটি পরিবারই তাঁদের ছেলেমেয়েদের কানাডায় পাঠাতে চান। কারণ এখানে কৃষিকাজ করা এখন মোটেও লাভজনক নয়।
যেসব দেশ থেকে কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পড়তে যান, তার মধ্যে ভারত একটি। গত বছর কানাডার মোট আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৭ শতাংশই ছিলেন ভারতীয়।
কানাডায় উচ্চশিক্ষা নিতে যেতে চান গ্রামটির বাসিন্দা গুরসিমরান সিং (১৯)। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ভয় পাচ্ছি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা দেবে কি না, কিংবা ভারত সরকার এতে কোনো বাধা তৈরি করবে কি না।’
হরদীপের গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ সিং (৩১) বলেন, ‘মোদি সরকার রাজনৈতিক কারণেই পাঞ্জাবে একটি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। আমরা যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দাবি নিয়ে প্রতিবাদ করি, আমাদের অভিভাবকেরা ভয় পান। তাঁরা চান না তাঁদের সন্তানদের পরিণতি হরদীপের মতো হোক।’
ভারতে জন্মগ্রহণ করা হরদীপ সিং দুই দশকের বেশি আগে কানাডার নাগরিক হন। সেখানে তিনি শিখদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র ‘খালিস্তান’ গঠনের পক্ষে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। গত জুন মাসে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর বহু আগেই ভারত সরকার তাঁকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে খোঁজ চাইছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের পর গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন, এর পেছনে ভারত সরকারের এজেন্ট যুক্ত থাকতে পারে। এর পরই ভারত ও কানাডা নিজেদের দেশ থেকে পরস্পরের একজন করে কূটনৈতিককে সরিয়ে নেয়।
তবে এসব বিষয়ে দেশটিতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের নেতারা বলেন, পাঞ্জাবের জন্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্র গঠনের দাবি ভারতের জন্য হুমকিস্বরূপ। শিখদের জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের মতো এতটা কোনো সরকারই আগে করেনি।
কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যার ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতিমধ্যে বেশ তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে ভারতের পাঞ্জাবে বসবাস করা শিখ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, শিখরা আশঙ্কা করছেন, ভারতে কট্টরপন্থী ও হিন্দুত্ববাদী সরকারের সহিংস প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে তাদের। পাশাপাশি কানাডার মতো দেশে উন্নত জীবন গড়ার সম্ভাবনাও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
পাঞ্জাবের ভরসিংপুরা গ্রামে বসবাস করেন হরদীপের চাচা হিম্মত সিং নিজ্জার । তিনি কৃষিকাজ করেন। হিম্মত বলেন, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলায় ট্রুডোকে খুব সাহসী বলে মনে করছেন অঞ্চলটির বাসিন্দারা। তবে একজন সাধারণ ব্যক্তির জন্য সরকারের এত বড় ঝুঁকি নেওয়ার দরকার ছিল না ট্রুডোর।
হিম্মত সিংয়ের মতে, উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে কানাডার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতি হবে এবং পাঞ্জাবের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা কমতে পারে। তিনি আরও বলেন, তাঁর গ্রামটির প্রায় প্রতিটি পরিবারই তাঁদের ছেলেমেয়েদের কানাডায় পাঠাতে চান। কারণ এখানে কৃষিকাজ করা এখন মোটেও লাভজনক নয়।
যেসব দেশ থেকে কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পড়তে যান, তার মধ্যে ভারত একটি। গত বছর কানাডার মোট আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৭ শতাংশই ছিলেন ভারতীয়।
কানাডায় উচ্চশিক্ষা নিতে যেতে চান গ্রামটির বাসিন্দা গুরসিমরান সিং (১৯)। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ভয় পাচ্ছি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা দেবে কি না, কিংবা ভারত সরকার এতে কোনো বাধা তৈরি করবে কি না।’
হরদীপের গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ সিং (৩১) বলেন, ‘মোদি সরকার রাজনৈতিক কারণেই পাঞ্জাবে একটি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। আমরা যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দাবি নিয়ে প্রতিবাদ করি, আমাদের অভিভাবকেরা ভয় পান। তাঁরা চান না তাঁদের সন্তানদের পরিণতি হরদীপের মতো হোক।’
ভারতে জন্মগ্রহণ করা হরদীপ সিং দুই দশকের বেশি আগে কানাডার নাগরিক হন। সেখানে তিনি শিখদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র ‘খালিস্তান’ গঠনের পক্ষে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। গত জুন মাসে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর বহু আগেই ভারত সরকার তাঁকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে খোঁজ চাইছিল।
এই হত্যাকাণ্ডের পর গোয়েন্দা তথ্যের বরাতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন, এর পেছনে ভারত সরকারের এজেন্ট যুক্ত থাকতে পারে। এর পরই ভারত ও কানাডা নিজেদের দেশ থেকে পরস্পরের একজন করে কূটনৈতিককে সরিয়ে নেয়।
তবে এসব বিষয়ে দেশটিতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের নেতারা বলেন, পাঞ্জাবের জন্য স্বাধীন একটি রাষ্ট্র গঠনের দাবি ভারতের জন্য হুমকিস্বরূপ। শিখদের জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের মতো এতটা কোনো সরকারই আগে করেনি।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আত্মঘাতী ড্রোনের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর মতে, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এমন ড্রোনের ব্যবহার বাড়ার প্রেক্ষাপটে সামরিক মতবাদেও দ্রুত পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ—এর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদ
২ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রে কুখ্যাত ৯ / ১১ এর মতো আরেকটি ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল এক মার্কিন যুবক। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা আনাস সাইদের (২৮) বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসীদের
৪২ মিনিট আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রকে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা মন্ত্রণালয়ের (এইচএইচএস) প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেছেন, সাবেক এই ডেমোক্র্যাট নেতা (কেনেডি জুনিয়র) এই পদে থেকে ‘ক্ষতিকর রাসায়নিক ও দূষণ থেকে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত ক
২ ঘণ্টা আগেস্বাধীনতা যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়েছে। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের করাচি থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ে। নানা কারণেই পাকিস্তানি মালবাহী জাহাজটির বাংলাদেশের বন্দরে ভেড়ার বিষয়টিকে ঐতিহাসিক বলা হচ্ছে। আর এই ঐতিহাসিক বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্
৩ ঘণ্টা আগে