অনলাইন ডেস্ক
কানাডার জাতীয় নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি তদন্ত করতে একটি কমিশন গঠন করেছে অটোয়া। তবে কেবল ভারত নয়, অন্যান্য দেশও হস্তক্ষেপ করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে এই কমিশন। বিশেষ করে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে কানাডার জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ হয়েছে কি না, তা যাচাই করে দেখবে এই কমিশন।
গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে কানাডা দেশটির বিভিন্ন নির্বাচনে চীন ও রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিল। এবার অটোয়ার জাস্টিন ট্রুডো সরকার ভারতের নামও সেই অভিযোগের তালিকায় তুলে দিল। এমন এক সময়ে কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলল, যখন আগে থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন-রাশিয়া ছাড়াও ভারতও কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে বলে সন্দেহ করছে অটোয়া। তদন্তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি কানাডার সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক আরও অবনতি দিকে নিতে পারে। গত বছর কানাডার মাটিতে এক শিখ নেতাকে হত্যায় ভারত জড়িত ছিল বলে কানাডার অভিযোগের পর দুই দেশের সম্পর্ক এরই মধ্যে ব্যাপক শীতল হয়ে উঠেছে।
অটোয়ায় ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করেনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস টুডে জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই এই তদন্তের গণশুনানি শুরু হতে পারে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে যখন কানাডা বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে, তখন দেশটি চীন, রাশিয়া ও অন্যান্য ‘একাধিক রাষ্ট্র ও অরাষ্ট্রীয় পক্ষ’ এখানে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করেছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানিয়েছে, কানাডার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) শিখ নেতা জগমিত সিং কানাডার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এনডিপি কানাডার বিরোধী দলগুলোর মধ্যে একটি।
তবে পার্লামেন্টে সংখ্যালঘু হওয়ার পরও ট্রুডোর সরকারকে টিকিয়ে রাখতে এই এনডিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কারণ, একটি চুক্তির আওতায় এই দল ট্রুডোর সরকার পতনের লক্ষ্যে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কানাডা সরকার জানায়, গত জুনে কানাডার একটি শিখ মন্দিরের সামনে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার (৪৫) হত্যার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জড়িত এবং এ বিষয়ে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। ভারত এই দাবি অস্বীকার করেছে।
তবে এই অভিযোগের সূত্র ধরে দুই দেশের সম্পর্ক এতটাই তলানিতে নামে যে, ভারত থেকে কানাডার বিপুল পরিমাণ দূতাবাসকর্মীকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। অক্টোবরের শুরুর দিকে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে বলে ভারত। দেশটি সে সময় জানিয়েছিল, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে কূটনীতিকদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে। ফিরিয়ে না নিলে তাঁদের কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা (ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি) বাতিল করা হবে বলেও হুমকি দেয় দিল্লি।
কানাডার মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ২০ লাখ কানাডীয় নানাভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি কানাডায় অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় উৎসই হলো ভারত। এই শিক্ষার্থীদের প্রায় ৪০ শতাংশই ভারতীয়। ট্রুডো বলেছিলেন যে ভারত থেকে কয়েকজন কূটনীতিক প্রত্যাহার কানাডায় অধ্যয়নরত ভারতীয়দের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া ভ্রমণ এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও তারা জটিলতার সম্মুখীন হতে পারে।
কানাডার জাতীয় নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি তদন্ত করতে একটি কমিশন গঠন করেছে অটোয়া। তবে কেবল ভারত নয়, অন্যান্য দেশও হস্তক্ষেপ করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে এই কমিশন। বিশেষ করে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে কানাডার জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ হয়েছে কি না, তা যাচাই করে দেখবে এই কমিশন।
গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে কানাডা দেশটির বিভিন্ন নির্বাচনে চীন ও রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিল। এবার অটোয়ার জাস্টিন ট্রুডো সরকার ভারতের নামও সেই অভিযোগের তালিকায় তুলে দিল। এমন এক সময়ে কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলল, যখন আগে থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন-রাশিয়া ছাড়াও ভারতও কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে বলে সন্দেহ করছে অটোয়া। তদন্তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি কানাডার সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক আরও অবনতি দিকে নিতে পারে। গত বছর কানাডার মাটিতে এক শিখ নেতাকে হত্যায় ভারত জড়িত ছিল বলে কানাডার অভিযোগের পর দুই দেশের সম্পর্ক এরই মধ্যে ব্যাপক শীতল হয়ে উঠেছে।
অটোয়ায় ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করেনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস টুডে জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই এই তদন্তের গণশুনানি শুরু হতে পারে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে যখন কানাডা বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে, তখন দেশটি চীন, রাশিয়া ও অন্যান্য ‘একাধিক রাষ্ট্র ও অরাষ্ট্রীয় পক্ষ’ এখানে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষণ করেছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানিয়েছে, কানাডার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) শিখ নেতা জগমিত সিং কানাডার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এনডিপি কানাডার বিরোধী দলগুলোর মধ্যে একটি।
তবে পার্লামেন্টে সংখ্যালঘু হওয়ার পরও ট্রুডোর সরকারকে টিকিয়ে রাখতে এই এনডিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কারণ, একটি চুক্তির আওতায় এই দল ট্রুডোর সরকার পতনের লক্ষ্যে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কানাডা সরকার জানায়, গত জুনে কানাডার একটি শিখ মন্দিরের সামনে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার (৪৫) হত্যার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জড়িত এবং এ বিষয়ে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। ভারত এই দাবি অস্বীকার করেছে।
তবে এই অভিযোগের সূত্র ধরে দুই দেশের সম্পর্ক এতটাই তলানিতে নামে যে, ভারত থেকে কানাডার বিপুল পরিমাণ দূতাবাসকর্মীকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। অক্টোবরের শুরুর দিকে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে বলে ভারত। দেশটি সে সময় জানিয়েছিল, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে কূটনীতিকদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে। ফিরিয়ে না নিলে তাঁদের কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা (ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি) বাতিল করা হবে বলেও হুমকি দেয় দিল্লি।
কানাডার মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ২০ লাখ কানাডীয় নানাভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি কানাডায় অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় উৎসই হলো ভারত। এই শিক্ষার্থীদের প্রায় ৪০ শতাংশই ভারতীয়। ট্রুডো বলেছিলেন যে ভারত থেকে কয়েকজন কূটনীতিক প্রত্যাহার কানাডায় অধ্যয়নরত ভারতীয়দের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া ভ্রমণ এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও তারা জটিলতার সম্মুখীন হতে পারে।
অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
২ ঘণ্টা আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
৪ ঘণ্টা আগে