অনলাইন ডেস্ক
৮০০ কোটির মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছে বিশ্বের জনসংখ্যা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ১৫ নভেম্বর ঘটতে যাচ্ছে এই ঘটনা।
নতুন এই মাইলফলক নিয়ে আলাদা আয়োজন করেছে জাতিসংঘ। বিশ্ব থেকে ক্ষুধা দারিদ্র্য নিরসন এবং বৈচিত্র্যকে উদ্যাপনই এবারের প্রতিপাদ্য।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে এখনো মূলত ভূমিকা রাখছে এশিয়া এবং আফ্রিকা। ২০৩৭ সালে ৯০০ কোটির ঘর ছুঁবে জনসংখ্যা। তখনো মূল ভূমিকা রাখবে এই দুই মহাদেশ। তবে ইউরোপের অবদান থাকবে ঋণাত্মক। কারণ এ মহাদেশে জনসংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমবে।
৮০০ কোটির মাইলফলকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে ভারত। ১৫ নভেম্বর এই মাইলফলকে ভারত যোগ করবে ১৭ কোটি ৭০ লাখ (৭০০ কোটির পর)। যেখানে চীনের অবদান ৭ কোটি ৩০ লাখ। ২০২৩ সালেও চীন বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশই থাকছে। তবে ৯০০ কোটির মাইলফলকের সময় এ দেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান থাকবে ঋণাত্মক। সে হিসাবে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চীনকে পিছে ফেলেছে ভারত।
এদিকে পৃথিবীর জনসংখ্যার আকারে নতুন মাইলফলকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যতিক্রম দিক থাকছে। যেমন:
এবার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আগের মাইলফলকের তুলনায় কম। যেখানে ১৯৬৩ সালে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ, ২০২২ সালে এসে এ হার দাঁড়িয়েছে দশমিক ৮ শতাংশ। বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিভিন্ন। কিছু দেশে বৈশ্বিক হারের চেয়ে বেশি, আবার কোথাও কম, এমনকি কোথাও জনসংখ্যা ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে।
জনসংখ্যায় শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক কম, সেই সঙ্গে মানুষের আয়ু বাড়ছে। মূলত এ কারণেই শিশুর তুলনায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি থাকছে। পাশাপাশি এখন নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বে গড়ে ১০০ কন্যাশিশুর জন্মের বিপরীতে পুরুষ শিশুর জন্ম হয় ১০৬। যদিও প্রত্যাশিত আয়ু আবার নারীর বেশি।
জন্মহার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন। তবে সব দেশেই এ হার কমছে। কোথাও ঋণাত্মক হয়ে গেছে। ১৯৫০ সালে বিশ্বে প্রতিজন নারীর বিপরীতে জন্ম হতো ৫ শিশুর। সেখানে ২০২২ সালে এটি ২ দশমিক ৩। ২০৫০–এ আরও কমে ২ দশমিক ১–এ নামবে। সেই সঙ্গে একদিকে কম শিশুর জন্ম হচ্ছে, আবার মানুষের আয়ু বাড়ছে। ফলে জনসংখ্যায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে জনসংখ্যায় শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর হিস্যা ক্রমেই কমছে।
এরই মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ সেসব অঞ্চলে বসবাস করে, যেখানে জন্মহার প্রতিস্থাপন স্তরের নিচে। অর্থাৎ এখানে জন্মহারের তুলনায় মৃত্যু হার বেশি।
ভারতের মতো কিছু দেশে জন্মহার কম হওয়া সত্ত্বেও মানুষ বাড়ছে। ২০২৩ সালেই ভারত জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। ভারতে যদিও জন্মহার এরই মধ্যে নারী প্রতি ২ দশমিক ৩–এ নেমে এসেছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো–আগের তুলনায় মানুষের স্থানান্তর অনেক বেশি এখন। অর্থাৎ অভিবাসন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গড়ে ৩০ জনের ২৯ জন মানুষই জন্মস্থানে (দেশ) থাকেন। তবে অভিবাসী হওয়ার প্রবণতা ক্রমে বাড়ছে। বর্তমানে ২৮ কোটি ১০ লাখ মানুষ জন্মস্থানের বাইরের দেশে থাকছেন। এর জন্য যুদ্ধ, জলবায়ু, সুযোগ–সুবিধা ইত্যাদি কারণ দায়ী।
আরেকটি বৈশিষ্ট্য সারা বিশ্বের জন্যই বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেটি হলো বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। এটি অর্থনীতির জন্যও মোটেও সুখকর বার্তা নয়! ১৯৫০ সালে বৈশ্বিক প্রত্যাশিত গড় আয়ু ছিল ৪৬ দশমিক ৬ বছর। সেখানে ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৭২ দশমিক ৮ বছর। এ ছাড়া ২০২২ সালে ৬৫ বছর বয়সের পর প্রত্যাশিত আয়ু ১৬ দশমিক ৩ বছর, ২০৫০ সালে এই আয়ু বেড়ে হবে ১৯ দশমিক ৮ বছর। যেখানে সব দেশেই জন্মহার দ্রুত কমছে।
৮০০ কোটি জনসংখ্যার হিসাবে দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছে দুটি মহামারি। ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কোভিডে মারা গেছেন ১ কোটি ৪৯ জন মানুষ। আর ১৯৮১ সাল থেকে এইডসের মারা গেছেন ৪ কোটি ১ লাখ।
আর ওপরের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা মূল কেন্দ্রের স্থানান্তর ঘটছে। ভারত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ভূমিকায় চীনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি বিভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালের অর্ধাংশ পর্যন্ত বিশ্বের অর্ধেক মানুষই বাস করছে এশিয়ায়। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা হলো পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া (২৩০ কোটি)। আর মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষ আছে ২১০ কোটি।
ভারত এবং চীন মিলেই মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। তবে চীনের জনসংখ্যা কিন্তু আর বাড়ছে না। ২০২৩ সালের শুরুর দিকেই জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। ভারতে এখনো বছরে দশমিক ৭ শতাংশ হারে মানুষ বাড়ছে। শিগগিরই ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হবে।
অবশ্য ১৯৬০–এর দশক থেকেই পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় জন্মহার কমছে। ১৯৯০–এর দশকে জনসংখ্যা স্থির হওয়ার পর্যায়ে যায়। যেখানে ২০২২ সালে বৃদ্ধি হার দশমিক ২ শতাংশ। ২০৩০–এর দশকের মাঝামাঝিতে এ অঞ্চলের জনসংখ্যা হবে সর্বোচ্চ প্রায় ২৪০ কোটি। এরপর কমতে থাকবে।
আর মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মহার আরও ধীরে কমছে। এ অঞ্চলে বৃদ্ধি হার দশমিক ৯ শতাংশ। ২০৩৭ সালে এ অঞ্চল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। আর জনসংখ্যা বাড়বে ২০৭২ সাল পর্যন্ত, ওই বছর সর্বোচ্চ প্রায় ২৭০ কোটি হবে।
পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় জন্মহার দশমিক ২ শতাংশ। সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল এটি। আর সবচেয়ে বেশি জন্মহার সাব–সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে। এখানে জন্মহার এখন ২ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০৬০–এর মধ্যে এই অঞ্চল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এলাকায় পরিণত হতে পারে।
অন্যদিকে টানা কয়েক দশক ধরে নিম্ন জন্মহার, সেই সঙ্গে ব্যাপক অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা কমছে কিছু দেশে। পূর্ব ইউরোপের ১৭টি দেশে এই দুই কারণে ১৯৯০ সাল থেকেই জনসংখ্যা কমছে।
অপরদিকে দক্ষিণ ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ায় জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এর মধ্যে চীনও রয়েছে। আগামী বছর থেকেই চীনে জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে।
২০২২ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে ৬১টি দেশে জনসংখ্যা ১ শতাংশের বেশি সংকুচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, সার্বিয়া এবং ইউক্রেনে ২০ শতাংশ বা তারও বেশি সংকুচিত হতে পারে।
৮০০ কোটির মাইলফলক ছুঁতে যাচ্ছে বিশ্বের জনসংখ্যা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ১৫ নভেম্বর ঘটতে যাচ্ছে এই ঘটনা।
নতুন এই মাইলফলক নিয়ে আলাদা আয়োজন করেছে জাতিসংঘ। বিশ্ব থেকে ক্ষুধা দারিদ্র্য নিরসন এবং বৈচিত্র্যকে উদ্যাপনই এবারের প্রতিপাদ্য।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে এখনো মূলত ভূমিকা রাখছে এশিয়া এবং আফ্রিকা। ২০৩৭ সালে ৯০০ কোটির ঘর ছুঁবে জনসংখ্যা। তখনো মূল ভূমিকা রাখবে এই দুই মহাদেশ। তবে ইউরোপের অবদান থাকবে ঋণাত্মক। কারণ এ মহাদেশে জনসংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কমবে।
৮০০ কোটির মাইলফলকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে ভারত। ১৫ নভেম্বর এই মাইলফলকে ভারত যোগ করবে ১৭ কোটি ৭০ লাখ (৭০০ কোটির পর)। যেখানে চীনের অবদান ৭ কোটি ৩০ লাখ। ২০২৩ সালেও চীন বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশই থাকছে। তবে ৯০০ কোটির মাইলফলকের সময় এ দেশ জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান থাকবে ঋণাত্মক। সে হিসাবে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চীনকে পিছে ফেলেছে ভারত।
এদিকে পৃথিবীর জনসংখ্যার আকারে নতুন মাইলফলকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যতিক্রম দিক থাকছে। যেমন:
এবার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আগের মাইলফলকের তুলনায় কম। যেখানে ১৯৬৩ সালে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ, ২০২২ সালে এসে এ হার দাঁড়িয়েছে দশমিক ৮ শতাংশ। বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বিভিন্ন। কিছু দেশে বৈশ্বিক হারের চেয়ে বেশি, আবার কোথাও কম, এমনকি কোথাও জনসংখ্যা ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে।
জনসংখ্যায় শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক কম, সেই সঙ্গে মানুষের আয়ু বাড়ছে। মূলত এ কারণেই শিশুর তুলনায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি থাকছে। পাশাপাশি এখন নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্বে গড়ে ১০০ কন্যাশিশুর জন্মের বিপরীতে পুরুষ শিশুর জন্ম হয় ১০৬। যদিও প্রত্যাশিত আয়ু আবার নারীর বেশি।
জন্মহার বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন। তবে সব দেশেই এ হার কমছে। কোথাও ঋণাত্মক হয়ে গেছে। ১৯৫০ সালে বিশ্বে প্রতিজন নারীর বিপরীতে জন্ম হতো ৫ শিশুর। সেখানে ২০২২ সালে এটি ২ দশমিক ৩। ২০৫০–এ আরও কমে ২ দশমিক ১–এ নামবে। সেই সঙ্গে একদিকে কম শিশুর জন্ম হচ্ছে, আবার মানুষের আয়ু বাড়ছে। ফলে জনসংখ্যায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে জনসংখ্যায় শূন্য থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর হিস্যা ক্রমেই কমছে।
এরই মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ সেসব অঞ্চলে বসবাস করে, যেখানে জন্মহার প্রতিস্থাপন স্তরের নিচে। অর্থাৎ এখানে জন্মহারের তুলনায় মৃত্যু হার বেশি।
ভারতের মতো কিছু দেশে জন্মহার কম হওয়া সত্ত্বেও মানুষ বাড়ছে। ২০২৩ সালেই ভারত জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। ভারতে যদিও জন্মহার এরই মধ্যে নারী প্রতি ২ দশমিক ৩–এ নেমে এসেছে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো–আগের তুলনায় মানুষের স্থানান্তর অনেক বেশি এখন। অর্থাৎ অভিবাসন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গড়ে ৩০ জনের ২৯ জন মানুষই জন্মস্থানে (দেশ) থাকেন। তবে অভিবাসী হওয়ার প্রবণতা ক্রমে বাড়ছে। বর্তমানে ২৮ কোটি ১০ লাখ মানুষ জন্মস্থানের বাইরের দেশে থাকছেন। এর জন্য যুদ্ধ, জলবায়ু, সুযোগ–সুবিধা ইত্যাদি কারণ দায়ী।
আরেকটি বৈশিষ্ট্য সারা বিশ্বের জন্যই বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেটি হলো বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া। এটি অর্থনীতির জন্যও মোটেও সুখকর বার্তা নয়! ১৯৫০ সালে বৈশ্বিক প্রত্যাশিত গড় আয়ু ছিল ৪৬ দশমিক ৬ বছর। সেখানে ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৭২ দশমিক ৮ বছর। এ ছাড়া ২০২২ সালে ৬৫ বছর বয়সের পর প্রত্যাশিত আয়ু ১৬ দশমিক ৩ বছর, ২০৫০ সালে এই আয়ু বেড়ে হবে ১৯ দশমিক ৮ বছর। যেখানে সব দেশেই জন্মহার দ্রুত কমছে।
৮০০ কোটি জনসংখ্যার হিসাবে দারুণভাবে প্রভাব ফেলেছে দুটি মহামারি। ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কোভিডে মারা গেছেন ১ কোটি ৪৯ জন মানুষ। আর ১৯৮১ সাল থেকে এইডসের মারা গেছেন ৪ কোটি ১ লাখ।
আর ওপরের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রাখা মূল কেন্দ্রের স্থানান্তর ঘটছে। ভারত জনসংখ্যা বৃদ্ধির ভূমিকায় চীনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
অবশ্য বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি বিভিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালের অর্ধাংশ পর্যন্ত বিশ্বের অর্ধেক মানুষই বাস করছে এশিয়ায়। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা হলো পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া (২৩০ কোটি)। আর মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষ আছে ২১০ কোটি।
ভারত এবং চীন মিলেই মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। তবে চীনের জনসংখ্যা কিন্তু আর বাড়ছে না। ২০২৩ সালের শুরুর দিকেই জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। ভারতে এখনো বছরে দশমিক ৭ শতাংশ হারে মানুষ বাড়ছে। শিগগিরই ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হবে।
অবশ্য ১৯৬০–এর দশক থেকেই পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় জন্মহার কমছে। ১৯৯০–এর দশকে জনসংখ্যা স্থির হওয়ার পর্যায়ে যায়। যেখানে ২০২২ সালে বৃদ্ধি হার দশমিক ২ শতাংশ। ২০৩০–এর দশকের মাঝামাঝিতে এ অঞ্চলের জনসংখ্যা হবে সর্বোচ্চ প্রায় ২৪০ কোটি। এরপর কমতে থাকবে।
আর মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মহার আরও ধীরে কমছে। এ অঞ্চলে বৃদ্ধি হার দশমিক ৯ শতাংশ। ২০৩৭ সালে এ অঞ্চল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলে পরিণত হতে পারে। আর জনসংখ্যা বাড়বে ২০৭২ সাল পর্যন্ত, ওই বছর সর্বোচ্চ প্রায় ২৭০ কোটি হবে।
পূর্ব ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় জন্মহার দশমিক ২ শতাংশ। সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল এটি। আর সবচেয়ে বেশি জন্মহার সাব–সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলে। এখানে জন্মহার এখন ২ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০৬০–এর মধ্যে এই অঞ্চল বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এলাকায় পরিণত হতে পারে।
অন্যদিকে টানা কয়েক দশক ধরে নিম্ন জন্মহার, সেই সঙ্গে ব্যাপক অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা কমছে কিছু দেশে। পূর্ব ইউরোপের ১৭টি দেশে এই দুই কারণে ১৯৯০ সাল থেকেই জনসংখ্যা কমছে।
অপরদিকে দক্ষিণ ইউরোপ এবং পূর্ব এশিয়ায় জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে। এর মধ্যে চীনও রয়েছে। আগামী বছর থেকেই চীনে জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে।
২০২২ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে ৬১টি দেশে জনসংখ্যা ১ শতাংশের বেশি সংকুচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, সার্বিয়া এবং ইউক্রেনে ২০ শতাংশ বা তারও বেশি সংকুচিত হতে পারে।
অপ্রাপ্তবয়স্ক নারী হলেও সম্মতির ভিত্তিতে তাঁর সঙ্গে যৌনসঙ্গম ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে বলে রায় দিয়েছে মুম্বাই হাইকোর্ট। আইন অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সম্মতিকে বৈধতার জন্য যুক্তি হিসেবে প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য হবে না।
২ ঘণ্টা আগেএখন থেকে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। অতিরিক্ত ভিড় থেকে মসজিদের কার্যক্রম বিঘ্ন হওয়া ঠেকাতে এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংরক্ষণের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেকোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
৫ ঘণ্টা আগে