অনলাইন ডেস্ক
গত বছরের ৩১ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছিল। এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। আলোচিত ওই ঘটনা নিয়ে এক ব্যক্তির স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে আজ বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি ছিল অপ্রত্যাশিত। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো—বিষয়টির তদন্ত করার সময় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে দায় স্বীকার করেন ওই ব্যক্তি। দাবি করেন, একটি মরদেহ পুড়িয়ে দিতে গিয়েই পুরো ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে ওই ঘটনাটিকে অন্যতম দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের দায় স্বীকার করা ওই ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার গণমাধ্যম অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘মিস্টার অ্যাক্স’ নামে চিহ্নিত করছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, যে রাতে ভবনটিতে আগুন লেগেছিল, সেই রাতেই ওই ভবনে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে এবং শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছিলেন তিনি। পরে তিনি নিহত মানুষটির গায়ে গ্যাসোলিন ঢেলে দেন এবং একটি ম্যাচ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
মিস্টার অ্যাক্স আরও জানিয়েছেন, তিনি মাদক সেবন করেন এবং একজন মাদক কারবারির নির্দেশেই ওই ভবনটিতে বসবাস করা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করার পর ২৯ বছর বয়সী মিস্টার অ্যাক্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে ৭৬ জনকে হত্যা এবং ১২০ জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড ঘটানোর জন্যও আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মিস্টার অ্যাক্স বিশ্বাস করেন, হত্যার পর মরদেহটি জ্বালিয়ে দিতে তাঁর দেওয়া আগুনই ওই পাঁচতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ ঘটনায় নিহতদের মধ্য অন্তত ১২টি শিশুও ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ জানিয়েছে, মিস্টার অ্যাক্সকে শিগগিরই আদালতে তোলা হবে। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানানো হয়নি।
গত বছরের আগস্টে জোহানেসবার্গের শহরতলিতে অবস্থিত ওই ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সারা বিশ্বের মনোযোগ কেড়েছিল। নগর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন এই ধরনের বেশ কিছু ভবন কিছু অবৈধ বাড়িওয়ালার দ্বারা পরিচালিত হয়। সাধারণত গরিব, খেটে খাওয়া মানুষ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় অবৈধভাবে বসবাস করছেন—এমন মানুষেরাই এ ধরনের ভবনে থাকেন।
মিস্টার অ্যাক্স দাবি করেছেন, পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হতো এবং মাদক কারবারিরাই এই ভবনটি পরিচালনা করত।
উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের রাতে ভবনটির বেশির ভাগ বহির্গমন পথই তালাবদ্ধ ছিল। ফলে অসংখ্য মানুষ ভবনের ভেতরে আটকে গিয়েছিলেন। এসব মানুষের অনেকেই জানালা দিয়ে মাটিতে লাফিয়ে পড়েছেন। আবার কেউ কেউ তাঁদের সন্তানদের নিচে ছুড়ে ফেলেছেন এই আশায় যে জড়ো হওয়া মানুষ শূন্যের ওপরই তাদের ধরে ফেলবেন। এতে অনেকের হাত, পা ও মেরুদণ্ড ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার নির্দেশে অগ্নিকাণ্ডের কারণ বের করার জন্য গত বছরের অক্টোবর থেকে উদ্ধারকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলছিল।
গত বছরের ৩১ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছিল। এ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। আলোচিত ওই ঘটনা নিয়ে এক ব্যক্তির স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে আজ বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি ছিল অপ্রত্যাশিত। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো—বিষয়টির তদন্ত করার সময় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে দায় স্বীকার করেন ওই ব্যক্তি। দাবি করেন, একটি মরদেহ পুড়িয়ে দিতে গিয়েই পুরো ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে ওই ঘটনাটিকে অন্যতম দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের দায় স্বীকার করা ওই ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার গণমাধ্যম অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ‘মিস্টার অ্যাক্স’ নামে চিহ্নিত করছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, যে রাতে ভবনটিতে আগুন লেগেছিল, সেই রাতেই ওই ভবনে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে এবং শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছিলেন তিনি। পরে তিনি নিহত মানুষটির গায়ে গ্যাসোলিন ঢেলে দেন এবং একটি ম্যাচ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
মিস্টার অ্যাক্স আরও জানিয়েছেন, তিনি মাদক সেবন করেন এবং একজন মাদক কারবারির নির্দেশেই ওই ভবনটিতে বসবাস করা এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলেন।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করার পর ২৯ বছর বয়সী মিস্টার অ্যাক্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে ৭৬ জনকে হত্যা এবং ১২০ জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড ঘটানোর জন্যও আরেকটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মিস্টার অ্যাক্স বিশ্বাস করেন, হত্যার পর মরদেহটি জ্বালিয়ে দিতে তাঁর দেওয়া আগুনই ওই পাঁচতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ ঘটনায় নিহতদের মধ্য অন্তত ১২টি শিশুও ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ জানিয়েছে, মিস্টার অ্যাক্সকে শিগগিরই আদালতে তোলা হবে। তবে এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানানো হয়নি।
গত বছরের আগস্টে জোহানেসবার্গের শহরতলিতে অবস্থিত ওই ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সারা বিশ্বের মনোযোগ কেড়েছিল। নগর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন এই ধরনের বেশ কিছু ভবন কিছু অবৈধ বাড়িওয়ালার দ্বারা পরিচালিত হয়। সাধারণত গরিব, খেটে খাওয়া মানুষ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় অবৈধভাবে বসবাস করছেন—এমন মানুষেরাই এ ধরনের ভবনে থাকেন।
মিস্টার অ্যাক্স দাবি করেছেন, পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত হতো এবং মাদক কারবারিরাই এই ভবনটি পরিচালনা করত।
উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের রাতে ভবনটির বেশির ভাগ বহির্গমন পথই তালাবদ্ধ ছিল। ফলে অসংখ্য মানুষ ভবনের ভেতরে আটকে গিয়েছিলেন। এসব মানুষের অনেকেই জানালা দিয়ে মাটিতে লাফিয়ে পড়েছেন। আবার কেউ কেউ তাঁদের সন্তানদের নিচে ছুড়ে ফেলেছেন এই আশায় যে জড়ো হওয়া মানুষ শূন্যের ওপরই তাদের ধরে ফেলবেন। এতে অনেকের হাত, পা ও মেরুদণ্ড ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার নির্দেশে অগ্নিকাণ্ডের কারণ বের করার জন্য গত বছরের অক্টোবর থেকে উদ্ধারকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলছিল।
কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা এই পতনের প্রধান কারণ। জাতীয় দারিদ্র্য হ্রাস ত্বরান্বিতকরণ টিমের নীতি বিশেষজ্ঞ এগা কুরনিয়া ইয়াজিদ বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তঃসংযুক্ত কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংকোচনের জন্য দায়ী। মধ্যবিত্তরা মূলত কর রাজস্বে বড় অবদান রাখে। কিন্তু তারা খুবই সীমিত
২৯ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন প্রায় ৯০ জন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনবিরোধী সহিংসতার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে তাঁরা এ আহ্বান জানান। বার্তা
১ ঘণ্টা আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েকের নেতৃত্বে বামপন্থী দল ন্যাশনাল পিপল পাওয়ার (এনপিপি) আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছে। এই জয়ের মার্ক্সবাদী প্রেসিডেন্ট দিসানায়েকে কঠোর ব্যয় সংকোচন নীতি শিথিল করার জন্য ম্যান্ডেট পেয়েছেন
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তাঁরা সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ইরানের দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে
৩ ঘণ্টা আগে