অনলাইন ডেস্ক
মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয়, যারা চিনিজাতীয় খাবার পছন্দ করে। ফলখেকো বাদুড় এক দিনে শরীরের ওজনের দ্বিগুণ পরিমাণ মিষ্টি ফল সাবাড় করতে পারে। ফলখেকো বাদুড়ের খাদ্যাভ্যাস মূলত চিনিপ্রধান। কিন্তু তাদের এতে কোনো সমস্যা হয় না। পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকা বাদুড়ের তুলনায় এ বাদুড়গুলো দ্রুতই রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে।
সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশন সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জ্যামাইকার ফলখেকো বাদুড় নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে একদল জীববিজ্ঞানী ও জীব প্রকৌশলী। গবেষণায় তাঁরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন, কীভাবে এ বাদুড়গুলো উচ্চমাত্রার শর্করা খেয়েও সুস্থ থাকে। তাঁদের ধারণা, এ থেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের নতুন এক উপায় বের করা সম্ভব হবে।
সংবাদমাধ্যম লাইভসায়েন্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালে ডায়াবেটিস ছিল বিশ্বে মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ। মানবশরীর কার্যকরভাবে শর্করা সংশ্লেষ করতে না পারলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। এ থেকেই হতে পারে ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ।
এ গবেষণার জন্য গবেষকেরা এমন এক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন যেটির মাধ্যমে জ্যামাইকার ফলখেকো বাদুড় (আরটিবিউস জ্যামাইকেনসিস) ও পোকাখেকো বড় বাদামি বাদুড়ের (এপটেসিকাস ফাসকাস) কোষের ডিএনএ পরীক্ষা করে এদের জিনে এনকোড করা একক বিপাকীয় কাজ তুলনা করা যায়।
দেখা গেছে, ডিএনএর ২ শতাংশই এমন জিনে তৈরি, যেগুলোতে ফলখেকোর লম্বা জিহ্বাসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের নির্দেশনা রয়েছে। ডিএনএর বাকি ৯৮ শতাংশ এমন জিন দিয়ে গঠিত, যেগুলো ডিএনএকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং এনকোড করা বৈশিষ্ট্যগুলোর উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতি নির্ধারণ করে।
ফলখেকো বাদুড়ের এত পরিমাণে চিনি সংশ্লেষ করার বিবর্তনীয় ধারা বোঝার জন্য গবেষকেরা ফলখেকো ও পোকাখেকো বাদুড়ের জিনগত ও কোষগত পার্থক্য চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন। গবেষকেরা বিশেষ করে বাদুড়গুলোর অগ্ন্যাশয় ও কিডনির জিন, ডিএনএ নিয়ন্ত্রক জিন ও কোষের ধরন পর্যবেক্ষণ করে দেখেন। এ দুটি অঙ্গই মূলত বিপাকীয় রোগের সঙ্গে যুক্ত।
অগ্ন্যাশয় ইনসুলিনের মতো হরমোনগুলো নিঃসরণ করে রক্তে শর্করার পরিমাণ এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিন রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং গ্লুকাগন হরমোন রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।
গবেষণায় উঠে আসে, জ্যামাইকার ফলখেকো বাদুড়ের মধ্যে পোকাখেকো বড় আকারের বাদামি বাদুড়ের তুলনায় ইনসুলিন এবং গ্লুকাগন উৎপাদনকারী কোষ বেশি। এ ছাড়া ফলখেকো বাদুড়ের মধ্যে ডিএনএ নিয়ন্ত্রকের পরিমাণ বেশি, যা বাদুড়ের অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলোকে ইনসুলিন এবং গ্লুকাগন উৎপাদন করতে সহায়তা করে। ফলখেকো বাদুড় প্রচুর পরিমাণে চিনি খাওয়ার পরও এই দুই হরমোন একসঙ্গে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করে।
সাধারণত কিডনি রক্ত থেকে বিপাকীয় বর্জ্য আলাদা করে, পানি ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলখেকো বাদুড়ের কিডনির ক্ষেত্রে কাজটি আলাদা: রক্ত থেকে ফলের জলীয় অংশ অপসারণ এবং ফলের মধ্যে থাকা কম লবণ শরীরে ধরে রাখার কাজ করে এই অঙ্গ।
জ্যামাইকার ফলখেকো বাদুড়গুলোতে খাদ্যাভ্যাস অনুসারে কিডনি কোষের গঠনের সামঞ্জস্যকারী এবং মূত্র ঘনীভূতকারী কোষের সংখ্যাও কম। এর কারণে বড় বাদামি বাদুড়ের তুলনায় ফলখেকো বাদুড়ের মূত্র পাতলা হয়।
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দীর্ঘমেয়াদি রোগের মধ্যে একটি। যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত প্রত্যক্ষ চিকিৎসা ব্যয় এবং পরোক্ষ ব্যয় বাবদ ৪১ হাজার ২৯০ কোটি ডলার খরচ করেছে।
ডায়াবেটিসের জন্য নতুন চিকিৎসা বিকাশে বেশির ভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষাই ইঁদুরের মতো প্রচলিত পরীক্ষাগার প্রাণীর ওপর ভিত্তি করে করা হয়। পরীক্ষাগারে প্রজনন ও পর্যবেক্ষণ করা সহজ বলেই এগুলো বেছে নেওয়া হয়। তবে পরীক্ষাগারের বাইরে ফলখেকো বাদুড়ের মতো এমন স্তন্যপায়ী রয়েছে, যেগুলো প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চমাত্রার চিনি গ্রহণ ও সফলভাবে বিপাক করতে পারার মতো করে বিবর্তিত হয়েছে। এই স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো কীভাবে উচ্চ শর্করা সংশ্লেষ করে, তা খুঁজে পেলে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করা সহজ হবে।
মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী নয়, যারা চিনিজাতীয় খাবার পছন্দ করে। ফলখেকো বাদুড় এক দিনে শরীরের ওজনের দ্বিগুণ পরিমাণ মিষ্টি ফল সাবাড় করতে পারে। ফলখেকো বাদুড়ের খাদ্যাভ্যাস মূলত চিনিপ্রধান। কিন্তু তাদের এতে কোনো সমস্যা হয় না। পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকা বাদুড়ের তুলনায় এ বাদুড়গুলো দ্রুতই রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে।
সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশন সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে জ্যামাইকার ফলখেকো বাদুড় নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে একদল জীববিজ্ঞানী ও জীব প্রকৌশলী। গবেষণায় তাঁরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন, কীভাবে এ বাদুড়গুলো উচ্চমাত্রার শর্করা খেয়েও সুস্থ থাকে। তাঁদের ধারণা, এ থেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের নতুন এক উপায় বের করা সম্ভব হবে।
সংবাদমাধ্যম লাইভসায়েন্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালে ডায়াবেটিস ছিল বিশ্বে মৃত্যুর নবম প্রধান কারণ। মানবশরীর কার্যকরভাবে শর্করা সংশ্লেষ করতে না পারলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। এ থেকেই হতে পারে ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ।
এ গবেষণার জন্য গবেষকেরা এমন এক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন যেটির মাধ্যমে জ্যামাইকার ফলখেকো বাদুড় (আরটিবিউস জ্যামাইকেনসিস) ও পোকাখেকো বড় বাদামি বাদুড়ের (এপটেসিকাস ফাসকাস) কোষের ডিএনএ পরীক্ষা করে এদের জিনে এনকোড করা একক বিপাকীয় কাজ তুলনা করা যায়।
দেখা গেছে, ডিএনএর ২ শতাংশই এমন জিনে তৈরি, যেগুলোতে ফলখেকোর লম্বা জিহ্বাসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের নির্দেশনা রয়েছে। ডিএনএর বাকি ৯৮ শতাংশ এমন জিন দিয়ে গঠিত, যেগুলো ডিএনএকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং এনকোড করা বৈশিষ্ট্যগুলোর উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতি নির্ধারণ করে।
ফলখেকো বাদুড়ের এত পরিমাণে চিনি সংশ্লেষ করার বিবর্তনীয় ধারা বোঝার জন্য গবেষকেরা ফলখেকো ও পোকাখেকো বাদুড়ের জিনগত ও কোষগত পার্থক্য চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন। গবেষকেরা বিশেষ করে বাদুড়গুলোর অগ্ন্যাশয় ও কিডনির জিন, ডিএনএ নিয়ন্ত্রক জিন ও কোষের ধরন পর্যবেক্ষণ করে দেখেন। এ দুটি অঙ্গই মূলত বিপাকীয় রোগের সঙ্গে যুক্ত।
অগ্ন্যাশয় ইনসুলিনের মতো হরমোনগুলো নিঃসরণ করে রক্তে শর্করার পরিমাণ এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিন রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং গ্লুকাগন হরমোন রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়।
গবেষণায় উঠে আসে, জ্যামাইকার ফলখেকো বাদুড়ের মধ্যে পোকাখেকো বড় আকারের বাদামি বাদুড়ের তুলনায় ইনসুলিন এবং গ্লুকাগন উৎপাদনকারী কোষ বেশি। এ ছাড়া ফলখেকো বাদুড়ের মধ্যে ডিএনএ নিয়ন্ত্রকের পরিমাণ বেশি, যা বাদুড়ের অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলোকে ইনসুলিন এবং গ্লুকাগন উৎপাদন করতে সহায়তা করে। ফলখেকো বাদুড় প্রচুর পরিমাণে চিনি খাওয়ার পরও এই দুই হরমোন একসঙ্গে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করে।
সাধারণত কিডনি রক্ত থেকে বিপাকীয় বর্জ্য আলাদা করে, পানি ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলখেকো বাদুড়ের কিডনির ক্ষেত্রে কাজটি আলাদা: রক্ত থেকে ফলের জলীয় অংশ অপসারণ এবং ফলের মধ্যে থাকা কম লবণ শরীরে ধরে রাখার কাজ করে এই অঙ্গ।
জ্যামাইকার ফলখেকো বাদুড়গুলোতে খাদ্যাভ্যাস অনুসারে কিডনি কোষের গঠনের সামঞ্জস্যকারী এবং মূত্র ঘনীভূতকারী কোষের সংখ্যাও কম। এর কারণে বড় বাদামি বাদুড়ের তুলনায় ফলখেকো বাদুড়ের মূত্র পাতলা হয়।
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দীর্ঘমেয়াদি রোগের মধ্যে একটি। যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালে ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত প্রত্যক্ষ চিকিৎসা ব্যয় এবং পরোক্ষ ব্যয় বাবদ ৪১ হাজার ২৯০ কোটি ডলার খরচ করেছে।
ডায়াবেটিসের জন্য নতুন চিকিৎসা বিকাশে বেশির ভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষাই ইঁদুরের মতো প্রচলিত পরীক্ষাগার প্রাণীর ওপর ভিত্তি করে করা হয়। পরীক্ষাগারে প্রজনন ও পর্যবেক্ষণ করা সহজ বলেই এগুলো বেছে নেওয়া হয়। তবে পরীক্ষাগারের বাইরে ফলখেকো বাদুড়ের মতো এমন স্তন্যপায়ী রয়েছে, যেগুলো প্রাকৃতিকভাবেই উচ্চমাত্রার চিনি গ্রহণ ও সফলভাবে বিপাক করতে পারার মতো করে বিবর্তিত হয়েছে। এই স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো কীভাবে উচ্চ শর্করা সংশ্লেষ করে, তা খুঁজে পেলে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করা সহজ হবে।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
১৬ মিনিট আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে