অনলাইন ডেস্ক
হৃদ্রোগের চিকিৎসায় একটি বহু ব্যবহৃত ওষুধ ব্রিটেনে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতদের ওপর কম কার্যকরী। ফলে তাঁরা ইউরোপীয় বংশোদ্ভূতদের তুলনায় বারবার হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকছেন।
লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার রিসার্চের সহায়তায় পরিচালিত ওই গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিগোষ্ঠী ভেদে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন প্রভাব ফেলে সেটি বোঝার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে এই গবেষণা। সবার জন্য কার্যকর চিকিৎসা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এ গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীকে পরবর্তী হার্টঅ্যাটাক থেকে নিরাপদ রাখতে সাধারণত ক্লোপিডোগ্রেল নামের একটি ওষুধ দেওয়া হয়। এটি প্লাটিলেট রক্ত কণিকাকে একে অপরের সঙ্গে লেগে যাওয়ায় বাধা দেয়। এতে বিপজ্জনকভাবে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমে।
শরীরে ক্লোপিডোগ্রেল কার্যকর হওয়ার জন্য প্রথমে এটি সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। ইউরোপীয়দের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষের জিনে পরিবর্তন এসেছে। প্রতিটিকে জেনেটিক ভ্যারিয়েন্ট বা জিনের আলাদা ধরন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই জিনগত পরিবর্তনের কারণে CYP2C19 এনজাইম নিঃসৃত হয়, যা ক্লোপিডোগ্রেল সক্রিয় হওয়াকে ব্যাহত করে বা হার কমিয়ে দেয়।
সাধারণত ব্রিটেনে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে হৃদ্রোগের হার বেশি। অবশ্য গবেষকেরা যুক্তরাজ্যের সমস্ত দক্ষিণ এশীয়র মধ্যে এ ধরনের জিনগত পরিবর্তনের খোঁজ করেননি।
গবেষকেরা ৪৪ হাজার ৩৯৬ বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি ব্রিটিশ নাগরিকের স্বাস্থ্যগত তথ্যের ওপর জরিপ চালান। অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন লন্ডন ভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম সম্প্রদায়ভিত্তিক জিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিনস অ্যান্ড হেলথ থেকে নেওয়া একই কোহর্টের (একই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সম্প্রদায়) সদস্য।
তাঁরা ৫৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে একই জিনগত পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। অর্থাৎ তাঁদের শরীরে ক্লোপিডোগ্রেল সক্রিয় হতে পারে না। ওই কোহর্টের তিন ভাগের দুই ভাগ ব্রিটিশ দক্ষিণ এশীয়কে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর পরবর্তী অসুস্থতা ঠেকাতে ক্লোপিডোগ্রেল সেবন করতে দেওয়া হয়েছিল।
অংশগ্রহণকারীদের দীর্ঘকালের স্বাস্থ্যগত তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষক দলটি দেখায়, CYP2C19 এনজাইম নিঃসরণকারী দুই ধরনের জিন রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বারবার হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে তিনগুন।
গবেষণাটির প্রধান গবেষক ও কুইন ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ইমা ম্যাগাভার্ন বলেন, ‘ক্লোপিডোগ্রেল মূলত ইউরোপীয় বংশোদ্ভূতদের হৃদ্রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। প্রথমবারের মতো আমরা দেখাচ্ছি, যে জেনেটিক ভ্যারিয়েন্টগুলো ক্লোপিডোগ্রেলকে অকার্যকর করে তোলে সেগুলো ৫৭ শতাংশ বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতদের মধ্যে উপস্থিত। ফলে ক্লোপিডোগ্রেল নিচ্ছেন এমন ব্যক্তিদের আবারও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ গবেষণায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কাদের ক্ষেত্রে ক্লোপিডোগ্রেল কার্যকর তা চিহ্নিত করতে জিন বিদ্যা কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশদের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। তাই তাঁদের অ্যান্টি প্লাটিলেট ওষুধের প্রয়োজনীয়তা ও ক্লোপিডোগ্রেল চিকিৎসার ব্যর্থতার ঝুঁকি রয়েছে। এ গবেষণায় আরও দেখানো হয়েছে, চিকিৎসা গবেষণায় দক্ষিণ এশীয়দের প্রক্রিয়াগত কম প্রতিনিধিত্ব কীভাবে এ সম্প্রদায়কে ঝুঁকিতে ফেলছে।’
হৃদ্রোগের চিকিৎসায় একটি বহু ব্যবহৃত ওষুধ ব্রিটেনে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতদের ওপর কম কার্যকরী। ফলে তাঁরা ইউরোপীয় বংশোদ্ভূতদের তুলনায় বারবার হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকছেন।
লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার রিসার্চের সহায়তায় পরিচালিত ওই গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিগোষ্ঠী ভেদে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি কেমন প্রভাব ফেলে সেটি বোঝার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে এই গবেষণা। সবার জন্য কার্যকর চিকিৎসা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এ গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীকে পরবর্তী হার্টঅ্যাটাক থেকে নিরাপদ রাখতে সাধারণত ক্লোপিডোগ্রেল নামের একটি ওষুধ দেওয়া হয়। এটি প্লাটিলেট রক্ত কণিকাকে একে অপরের সঙ্গে লেগে যাওয়ায় বাধা দেয়। এতে বিপজ্জনকভাবে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমে।
শরীরে ক্লোপিডোগ্রেল কার্যকর হওয়ার জন্য প্রথমে এটি সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। ইউরোপীয়দের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষের জিনে পরিবর্তন এসেছে। প্রতিটিকে জেনেটিক ভ্যারিয়েন্ট বা জিনের আলাদা ধরন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই জিনগত পরিবর্তনের কারণে CYP2C19 এনজাইম নিঃসৃত হয়, যা ক্লোপিডোগ্রেল সক্রিয় হওয়াকে ব্যাহত করে বা হার কমিয়ে দেয়।
সাধারণত ব্রিটেনে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে হৃদ্রোগের হার বেশি। অবশ্য গবেষকেরা যুক্তরাজ্যের সমস্ত দক্ষিণ এশীয়র মধ্যে এ ধরনের জিনগত পরিবর্তনের খোঁজ করেননি।
গবেষকেরা ৪৪ হাজার ৩৯৬ বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি ব্রিটিশ নাগরিকের স্বাস্থ্যগত তথ্যের ওপর জরিপ চালান। অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন লন্ডন ভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম সম্প্রদায়ভিত্তিক জিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিনস অ্যান্ড হেলথ থেকে নেওয়া একই কোহর্টের (একই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সম্প্রদায়) সদস্য।
তাঁরা ৫৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর মধ্যে একই জিনগত পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। অর্থাৎ তাঁদের শরীরে ক্লোপিডোগ্রেল সক্রিয় হতে পারে না। ওই কোহর্টের তিন ভাগের দুই ভাগ ব্রিটিশ দক্ষিণ এশীয়কে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর পরবর্তী অসুস্থতা ঠেকাতে ক্লোপিডোগ্রেল সেবন করতে দেওয়া হয়েছিল।
অংশগ্রহণকারীদের দীর্ঘকালের স্বাস্থ্যগত তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষক দলটি দেখায়, CYP2C19 এনজাইম নিঃসরণকারী দুই ধরনের জিন রয়েছে এমন ব্যক্তিদের বারবার হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে তিনগুন।
গবেষণাটির প্রধান গবেষক ও কুইন ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. ইমা ম্যাগাভার্ন বলেন, ‘ক্লোপিডোগ্রেল মূলত ইউরোপীয় বংশোদ্ভূতদের হৃদ্রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। প্রথমবারের মতো আমরা দেখাচ্ছি, যে জেনেটিক ভ্যারিয়েন্টগুলো ক্লোপিডোগ্রেলকে অকার্যকর করে তোলে সেগুলো ৫৭ শতাংশ বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতদের মধ্যে উপস্থিত। ফলে ক্লোপিডোগ্রেল নিচ্ছেন এমন ব্যক্তিদের আবারও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ গবেষণায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কাদের ক্ষেত্রে ক্লোপিডোগ্রেল কার্যকর তা চিহ্নিত করতে জিন বিদ্যা কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশদের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। তাই তাঁদের অ্যান্টি প্লাটিলেট ওষুধের প্রয়োজনীয়তা ও ক্লোপিডোগ্রেল চিকিৎসার ব্যর্থতার ঝুঁকি রয়েছে। এ গবেষণায় আরও দেখানো হয়েছে, চিকিৎসা গবেষণায় দক্ষিণ এশীয়দের প্রক্রিয়াগত কম প্রতিনিধিত্ব কীভাবে এ সম্প্রদায়কে ঝুঁকিতে ফেলছে।’
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে