জাহাঙ্গীর আলম
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে টিকা তৈরির সাফল্য এলেও নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এসব টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় কাটছে না। এর মধ্যে আরও নতুন করোনাভাইরাসের মহামারি দুয়ারে কড়া নাড়ছে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে এমন একটি টিকার সন্ধান চলছে যা এই নতুন করোনাভাইরাসের সব ধরনের ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মানুষকে আজীবন না হলেও অন্তত দীর্ঘ সময় সুরক্ষা দেবে।
সেই পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছেন লিনফা ওয়াং। শুধু তা-ই নয়, এমন টিকা উদ্ভাবন সম্ভব যা সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। ওয়াংয়ের গবেষণায় এমন আশার আলোই দেখা দিয়েছে।
২০২০ সালের গোড়ার দিকে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে, লিনফা ওয়াং কয়েকটি ধারণা নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। এর মধ্যে একটি হলো পূর্ববর্তী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের রক্ত পরীক্ষা করা।
ওয়াং একজন ভাইরোলজিস্ট। তিনি ডিউক-এনইউএস মেডিকেল স্কুলে কাজ করেন। ডিউক এবং সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে সহযোগিতায় কয়েক দশক ধরে বাদুড়-বাহিত ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন।
ওয়াং দেখিয়েছেন, ২০০৩ সালে ছড়িয়ে পড়া সার্স-কোভ-১ (সার্স নামেই পরিচিত) প্রায় ৮০০ মানুষের প্রাণ নিয়েছিল, সেটি সম্ভবত অশ্বক্ষুরাকৃতির বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়।
ওয়াংয়ের নতুন তত্ত্বটি ছিল যে, যারা এই এই মূল সার্সে আক্রান্ত হওয়ার পর বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁদের শরীরে নিশ্চয় এমন অ্যান্টিবডি রয়েছে যা নতুন সার্স-কোভ-২-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে।
প্রাথমিকভাবে ওয়াং শুধু সার্সের পুরোনো সংস্করণের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি আছে এমন লোকদের রক্ত পরীক্ষা করেন। কিন্তু এ বছরের শুরুর দিকে কোভিডের বেশ কয়েকটি ধরন ছড়িয়ে পড়া শুরু হলে তিনি সেই রোগীদের আবার পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। এই মুহূর্তে, সিঙ্গাপুরের সার্স থেকে বেঁচে যাওয়া অনেকে কোভিডের টিকা নিয়েছেন।
ওয়াং যা পেয়েছিলেন তা তাঁকে অবাক করেছিল। কোভিড টিকা সার্স সারভাইভারদের শরীরে সুপার-অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল, যা সার্স এবং অন্যান্য করোনাভাইরাস থেকেও তাঁদের সুরক্ষা দিচ্ছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই আট রোগীর সবার এমন অ্যান্টিবডি ছিল যা টেস্ট-টিউব পরীক্ষায় মানুষকে কখনো সংক্রমিত করেনি এমন পাঁচটি ভিন্ন বাদুড় এবং প্যাঙ্গোলিন (পিঁপড়েভুক/বনরুই) বাহিত করোনাভাইরাস স্ট্রেনকে প্রতিহত করেছে।
গত আগস্টে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওয়াংয়ের গবেষণার ফলাফলগুলো একটি সর্বজনীন করোনাভাইরাস টিকা উদ্ভাবনের সম্ভাবনাকে জোরালো করেছে।
এমন একটা কিছুরই প্রয়োজন তীব্রভাবে অনুভব করছেন সারা দুনিয়ার জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। কারণ মাত্র ২০ বছরে তিনটি নতুন করোনাভাইরাস আবির্ভূত হয়েছে: প্রথমে সার্স, তারপর ২০১২ সালে মার্স আর এখন কোভিড-১৯। এ পরিপ্রেক্ষিতে চলমান কোভিড তো বটেই সম্ভাব্য সব করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষা দেবে এমন টিকা তৈরির চেষ্টা বেশ জোরেশোরে চলছে।
সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বিশাল ল্যাবে এমন টিকারই প্রোটোটাইপ নিয়ে কাজ করছেন ওয়াং। কোভিড-টিকা পাওয়া সার্স সারভাইভারদের মধ্যে যে ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, একই ধরনের বিস্তৃত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে এমন টিকা চাইছেন তিনি।
ওয়াংয়ের কৌশলটি হলো- কোভিড স্পাইক প্রোটিন সংবলিত একটি প্রথম ডোজের সঙ্গে হাইব্রিড সার্স প্রোটিন সমৃদ্ধ দ্বিতীয় ডোজের সংমিশ্রণ। যদি এটি কাজ করে, ওয়াং বলেন, ইঁদুরের শরীরে পরিচালিত পরীক্ষাগুলোতে যথেষ্ট ইতিবাচক ফলাফল এসেছে, কোভিড-২ বা সার্স-৩-এর সুরক্ষায় এই টিকা দেওয়া যেতে পারে।
অবশ্য শুধু ওয়াং-ই এমন টিকা নিয়ে কাজ করছেন এমন নয়। সারা বিশ্বে এরই মধ্যে এই প্রকল্পে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
মেলানি স্যাভিল, কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপারেডনেস ইনোভেশনস-এর টিকা গবেষণা ও উন্নয়নের প্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু চাই যা বিস্তৃতভাবে প্রতিরক্ষামূলক, যাতে পরেরটি যখন কোনো প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটানো শুরু করবে তখন আমাদের হাতে টিকা প্রস্তুত থাকবে।’
অসলো ভিত্তিক অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠান আগামী পাঁচ বছরে ‘ব্রড-অ্যাক্টিং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন’ তৈরি করতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে।
ওয়েইসম্যান, যিনি ফাইজার এবং মডার্নার মেসেঞ্জার আরএনএ ভ্যাকসিনে ব্যবহৃত মূল প্রযুক্তির পথিকৃৎ, সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে এমন টিকা নিয়ে গবেষণাকারীদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন।
গবেষকদের লক্ষ্য হলো- প্রাথমিকভাবে, এই জাতীয় টিকাগুলো কোভিডের মোটামুটি কাছাকাছি ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে। তবে আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হলো- সাধারণ সর্দির জন্য দায়ী এমন বেশ কয়েকটি স্ট্রেনসহ করোনাভাইরাসের বিস্তৃত প্রজাতি ও ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
প্রকৃতিতে সুপ্ত থাকা বাদুড়-বাহিত করোনাভাইরাসগুলোর আধিক্যের কারণে, কোভিডের মতো আরও মহামারির আশঙ্কা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি ফাউসিও এ আশঙ্কা থেকে করোনাভাইরাসের সমস্ত পুনরাবৃত্তিকে ঠেকিয়ে দিতে পারবে এমন টিকা উদ্ভাবনের ওপর জোর দিচ্ছেন।
গত সেপ্টেম্বরে ফাউসির সংস্থা হার্ভার্ড, ডিউক এবং উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত প্যান-করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে গবেষণার জন্য ৩৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার তহবিল ঘোষণা করেছে।
কয়েকটি বায়োটেক কোম্পানির সঙ্গে এক ডজনেরও বেশি একাডেমিক দল এই সমস্যা নিয়ে কাজ করছে। ডিউক এবং ইউএস ইউনিভার্সিটির ল্যাবগুলো এরই মধ্যে সার্স-কোভ-১, সার্স-কোভ-২ এবং এর সংশ্লিষ্ট বাদুড়-বাহিত করোনাভাইরাসসহ শক্তিশালী ক্রস-ভাইরাস (প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমণে সক্ষম) প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদর্শন করে এমন টিকার প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল্টার রিড আর্মি ইনস্টিটিউট অব রিসার্চেরও একটি শট রয়েছে যা একাধিক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়ার সক্ষমতা দেখিয়েছে। এটি এখন মানব শরীরে পরীক্ষার প্রথম ধাপে রয়েছে। এত দূর আগানো প্রথম সারির টিকার মধ্যে এটি অন্যতম।
তবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি: যেমন, ভাইরাসের কোন অংশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে হবে; কোন প্রযুক্তি সবচেয়ে ভালো কাজ করে এবং টিকাগুলো কতটা বিস্তৃত প্রজাতি ও ভ্যারিয়েন্টে কাজ করবে।
ফাইজার, মডার্না এবং আরও কয়েকটি বড় কোভিড টিকা কোম্পানি এখন পর্যন্ত অবশ্য এ খাতে খুব বেশি বিনিয়োগ করছে না। তারা এটি নিয়ে একাডেমিক গবেষণার চূড়ান্ত দেখার অপেক্ষা করছে। তারা বুস্টার ডোজ নিয়ে ব্যস্ত। তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ এখন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের উপায় খোঁজায়।
অবশ্য বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি টিকা তৈরির স্বপ্ন দেখছেন যা প্রতি বছর ফ্লুর টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দূর করবে। দৃশ্যমান অগ্রগতি অবশ্য এখনো হয়নি। এখানে মূল সমস্যা হলো, মিউটেশনের গতি। ইনফ্লুয়েঞ্জা অত্যন্ত দ্রুত বিকশিত হয়। করোনাভাইরাসগুলো যে গতিতে বিকশিত হয় তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে মহামারিতে গত দুই বছরে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গেছে তাতে বিস্তৃত প্রজাতি ও ভ্যারিয়েন্টে কাজ করবে এমন একটা সমাধান আনতেই হবে। সর্বজনীন টিকা নিয়ে কাজ করছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট পামেলা জর্কম্যান। তাঁর মতে, ‘কিছু না করাটা বোকামি হবে।’
এখানে ফ্লু টিকার ইতিহাস অনেকখানি আশা দিতে পারে। ১৯৪০-এর দশকে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ভাইরোলজিস্ট থমাস ফ্রান্সিস মার্কিন সেনাবাহিনীর সাহায্যে প্রথম দিকের টিকা তৈরি করেছিলেন। সম্ভাব্য মহামারিতে জনাকীর্ণ ব্যারাকে সেনাদের সুরক্ষা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত ছিলেন। ফ্রান্সিস এবং তাঁর উত্তরাধিকারী জোনাস সালক নিষিক্ত মুরগির ডিমে টিকা তৈরি করেছিলেন। এ পদ্ধতি আজও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বহু গবেষণায় এগুলো বেশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। ১৯৪৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সেনাদের দেওয়া একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা বি শট ৮৮ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। যেখানে বর্তমান এমআরএনএ কোভিড টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে বলে দাবি করা হয়। ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিষেধক দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক’, ১৯৫৩ সালের একটি প্রকাশনার উপসংহারে এমন কথাই বলেছিলেন থমাস ফ্রান্সিস।
প্রথম দিকের ফ্লু শটগুলো দুটি ভাইরাল স্ট্রেন এবং ১৯৭০-এর দশকে তিনটি এবং শেষ দশকে চারটি স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকর ছিল। কিন্তু টিকার ইতিহাসে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, চিকিৎসকেরা সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারেননি যে বাস্তব জগতে শটগুলো কীভাবে কাজ করে। আধুনিক ভাইরাল লোড টেস্টের পর কোভিড নির্ণয়ের জন্য পিসিআর পরীক্ষাগুলোর মতো পদ্ধতি ১৯৯০-এর দশকেই ব্যবহার শুরু হয়েছিল। এর মাধ্যমে গবেষকেরা বাস্তব-বিশ্বে ফ্লু টিকার কার্যকারিতা আরও সঠিকভাবে নির্ণয় করতে সক্ষম হচ্ছেন। ফলে ফলাফলগুলো কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে সেটি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
বছরের পর বছর ধরে গবেষকেরা আরও আধুনিক, দ্রুত উৎপাদন পদ্ধতি ব্যবহার করে ফ্লু টিকা উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেছেন। তবে একটি সর্বজনীন টিকা তৈরির প্রচেষ্টা যা সব স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কাজ করবে, ২০০৯ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচ১এন১ (সোয়াইন ফ্লু) সংস্করণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আগে পর্যন্ত সেভাবে গুরুত্ব পায়নি।
তবে এখানে বড় সমস্যা হচ্ছে, কোনো সংস্থাই এ খাতে বড় বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসছে না। জনসাধারণের প্রয়োজন এবং বাণিজ্যিক বাস্তবতার মধ্যে অন্য অনেক দ্বন্দ্বের মতো, সরকারি এবং অলাভজনক তহবিলের বড় প্রয়োজন এখানেও জরুরি। কোথা থেকে এ অর্থ আসবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। শেষ পর্যন্ত দেশগুলো সম্ভাব্য ক্রেতা এবং শটগুলো কেনা ও মজুত করার নিশ্চয়তা না দিলে বেসরকারি ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো এগোতে পারবে না।
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। অবিশ্বাস্য কম সময়ের মধ্যে টিকা তৈরির সাফল্য এলেও নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এসব টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় কাটছে না। এর মধ্যে আরও নতুন করোনাভাইরাসের মহামারি দুয়ারে কড়া নাড়ছে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। ফলে এমন একটি টিকার সন্ধান চলছে যা এই নতুন করোনাভাইরাসের সব ধরনের ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মানুষকে আজীবন না হলেও অন্তত দীর্ঘ সময় সুরক্ষা দেবে।
সেই পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছেন লিনফা ওয়াং। শুধু তা-ই নয়, এমন টিকা উদ্ভাবন সম্ভব যা সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম হবে। ওয়াংয়ের গবেষণায় এমন আশার আলোই দেখা দিয়েছে।
২০২০ সালের গোড়ার দিকে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে, লিনফা ওয়াং কয়েকটি ধারণা নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন। এর মধ্যে একটি হলো পূর্ববর্তী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের রক্ত পরীক্ষা করা।
ওয়াং একজন ভাইরোলজিস্ট। তিনি ডিউক-এনইউএস মেডিকেল স্কুলে কাজ করেন। ডিউক এবং সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে সহযোগিতায় কয়েক দশক ধরে বাদুড়-বাহিত ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন।
ওয়াং দেখিয়েছেন, ২০০৩ সালে ছড়িয়ে পড়া সার্স-কোভ-১ (সার্স নামেই পরিচিত) প্রায় ৮০০ মানুষের প্রাণ নিয়েছিল, সেটি সম্ভবত অশ্বক্ষুরাকৃতির বাদুড় থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়।
ওয়াংয়ের নতুন তত্ত্বটি ছিল যে, যারা এই এই মূল সার্সে আক্রান্ত হওয়ার পর বেঁচে গিয়েছিলেন তাঁদের শরীরে নিশ্চয় এমন অ্যান্টিবডি রয়েছে যা নতুন সার্স-কোভ-২-এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে।
প্রাথমিকভাবে ওয়াং শুধু সার্সের পুরোনো সংস্করণের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি আছে এমন লোকদের রক্ত পরীক্ষা করেন। কিন্তু এ বছরের শুরুর দিকে কোভিডের বেশ কয়েকটি ধরন ছড়িয়ে পড়া শুরু হলে তিনি সেই রোগীদের আবার পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। এই মুহূর্তে, সিঙ্গাপুরের সার্স থেকে বেঁচে যাওয়া অনেকে কোভিডের টিকা নিয়েছেন।
ওয়াং যা পেয়েছিলেন তা তাঁকে অবাক করেছিল। কোভিড টিকা সার্স সারভাইভারদের শরীরে সুপার-অ্যান্টিবডি তৈরি করেছিল, যা সার্স এবং অন্যান্য করোনাভাইরাস থেকেও তাঁদের সুরক্ষা দিচ্ছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, ওই আট রোগীর সবার এমন অ্যান্টিবডি ছিল যা টেস্ট-টিউব পরীক্ষায় মানুষকে কখনো সংক্রমিত করেনি এমন পাঁচটি ভিন্ন বাদুড় এবং প্যাঙ্গোলিন (পিঁপড়েভুক/বনরুই) বাহিত করোনাভাইরাস স্ট্রেনকে প্রতিহত করেছে।
গত আগস্টে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওয়াংয়ের গবেষণার ফলাফলগুলো একটি সর্বজনীন করোনাভাইরাস টিকা উদ্ভাবনের সম্ভাবনাকে জোরালো করেছে।
এমন একটা কিছুরই প্রয়োজন তীব্রভাবে অনুভব করছেন সারা দুনিয়ার জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। কারণ মাত্র ২০ বছরে তিনটি নতুন করোনাভাইরাস আবির্ভূত হয়েছে: প্রথমে সার্স, তারপর ২০১২ সালে মার্স আর এখন কোভিড-১৯। এ পরিপ্রেক্ষিতে চলমান কোভিড তো বটেই সম্ভাব্য সব করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষা দেবে এমন টিকা তৈরির চেষ্টা বেশ জোরেশোরে চলছে।
সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বিশাল ল্যাবে এমন টিকারই প্রোটোটাইপ নিয়ে কাজ করছেন ওয়াং। কোভিড-টিকা পাওয়া সার্স সারভাইভারদের মধ্যে যে ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, একই ধরনের বিস্তৃত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে এমন টিকা চাইছেন তিনি।
ওয়াংয়ের কৌশলটি হলো- কোভিড স্পাইক প্রোটিন সংবলিত একটি প্রথম ডোজের সঙ্গে হাইব্রিড সার্স প্রোটিন সমৃদ্ধ দ্বিতীয় ডোজের সংমিশ্রণ। যদি এটি কাজ করে, ওয়াং বলেন, ইঁদুরের শরীরে পরিচালিত পরীক্ষাগুলোতে যথেষ্ট ইতিবাচক ফলাফল এসেছে, কোভিড-২ বা সার্স-৩-এর সুরক্ষায় এই টিকা দেওয়া যেতে পারে।
অবশ্য শুধু ওয়াং-ই এমন টিকা নিয়ে কাজ করছেন এমন নয়। সারা বিশ্বে এরই মধ্যে এই প্রকল্পে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
মেলানি স্যাভিল, কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপারেডনেস ইনোভেশনস-এর টিকা গবেষণা ও উন্নয়নের প্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কিছু চাই যা বিস্তৃতভাবে প্রতিরক্ষামূলক, যাতে পরেরটি যখন কোনো প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটানো শুরু করবে তখন আমাদের হাতে টিকা প্রস্তুত থাকবে।’
অসলো ভিত্তিক অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠান আগামী পাঁচ বছরে ‘ব্রড-অ্যাক্টিং করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন’ তৈরি করতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে।
ওয়েইসম্যান, যিনি ফাইজার এবং মডার্নার মেসেঞ্জার আরএনএ ভ্যাকসিনে ব্যবহৃত মূল প্রযুক্তির পথিকৃৎ, সব ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে এমন টিকা নিয়ে গবেষণাকারীদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন।
গবেষকদের লক্ষ্য হলো- প্রাথমিকভাবে, এই জাতীয় টিকাগুলো কোভিডের মোটামুটি কাছাকাছি ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেবে। তবে আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য হলো- সাধারণ সর্দির জন্য দায়ী এমন বেশ কয়েকটি স্ট্রেনসহ করোনাভাইরাসের বিস্তৃত প্রজাতি ও ধরনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
প্রকৃতিতে সুপ্ত থাকা বাদুড়-বাহিত করোনাভাইরাসগুলোর আধিক্যের কারণে, কোভিডের মতো আরও মহামারির আশঙ্কা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি ফাউসিও এ আশঙ্কা থেকে করোনাভাইরাসের সমস্ত পুনরাবৃত্তিকে ঠেকিয়ে দিতে পারবে এমন টিকা উদ্ভাবনের ওপর জোর দিচ্ছেন।
গত সেপ্টেম্বরে ফাউসির সংস্থা হার্ভার্ড, ডিউক এবং উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত প্যান-করোনাভাইরাস টিকা নিয়ে গবেষণার জন্য ৩৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার তহবিল ঘোষণা করেছে।
কয়েকটি বায়োটেক কোম্পানির সঙ্গে এক ডজনেরও বেশি একাডেমিক দল এই সমস্যা নিয়ে কাজ করছে। ডিউক এবং ইউএস ইউনিভার্সিটির ল্যাবগুলো এরই মধ্যে সার্স-কোভ-১, সার্স-কোভ-২ এবং এর সংশ্লিষ্ট বাদুড়-বাহিত করোনাভাইরাসসহ শক্তিশালী ক্রস-ভাইরাস (প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমণে সক্ষম) প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদর্শন করে এমন টিকার প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল্টার রিড আর্মি ইনস্টিটিউট অব রিসার্চেরও একটি শট রয়েছে যা একাধিক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেওয়ার সক্ষমতা দেখিয়েছে। এটি এখন মানব শরীরে পরীক্ষার প্রথম ধাপে রয়েছে। এত দূর আগানো প্রথম সারির টিকার মধ্যে এটি অন্যতম।
তবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি: যেমন, ভাইরাসের কোন অংশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে হবে; কোন প্রযুক্তি সবচেয়ে ভালো কাজ করে এবং টিকাগুলো কতটা বিস্তৃত প্রজাতি ও ভ্যারিয়েন্টে কাজ করবে।
ফাইজার, মডার্না এবং আরও কয়েকটি বড় কোভিড টিকা কোম্পানি এখন পর্যন্ত অবশ্য এ খাতে খুব বেশি বিনিয়োগ করছে না। তারা এটি নিয়ে একাডেমিক গবেষণার চূড়ান্ত দেখার অপেক্ষা করছে। তারা বুস্টার ডোজ নিয়ে ব্যস্ত। তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ এখন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রতিরোধের উপায় খোঁজায়।
অবশ্য বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই এমন একটি টিকা তৈরির স্বপ্ন দেখছেন যা প্রতি বছর ফ্লুর টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দূর করবে। দৃশ্যমান অগ্রগতি অবশ্য এখনো হয়নি। এখানে মূল সমস্যা হলো, মিউটেশনের গতি। ইনফ্লুয়েঞ্জা অত্যন্ত দ্রুত বিকশিত হয়। করোনাভাইরাসগুলো যে গতিতে বিকশিত হয় তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে মহামারিতে গত দুই বছরে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়ে গেছে তাতে বিস্তৃত প্রজাতি ও ভ্যারিয়েন্টে কাজ করবে এমন একটা সমাধান আনতেই হবে। সর্বজনীন টিকা নিয়ে কাজ করছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট পামেলা জর্কম্যান। তাঁর মতে, ‘কিছু না করাটা বোকামি হবে।’
এখানে ফ্লু টিকার ইতিহাস অনেকখানি আশা দিতে পারে। ১৯৪০-এর দশকে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ভাইরোলজিস্ট থমাস ফ্রান্সিস মার্কিন সেনাবাহিনীর সাহায্যে প্রথম দিকের টিকা তৈরি করেছিলেন। সম্ভাব্য মহামারিতে জনাকীর্ণ ব্যারাকে সেনাদের সুরক্ষা নিয়ে তাঁরা চিন্তিত ছিলেন। ফ্রান্সিস এবং তাঁর উত্তরাধিকারী জোনাস সালক নিষিক্ত মুরগির ডিমে টিকা তৈরি করেছিলেন। এ পদ্ধতি আজও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বহু গবেষণায় এগুলো বেশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে। ১৯৪৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সেনাদের দেওয়া একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা বি শট ৮৮ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। যেখানে বর্তমান এমআরএনএ কোভিড টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকারিতা দেখিয়েছে বলে দাবি করা হয়। ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিষেধক দেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক’, ১৯৫৩ সালের একটি প্রকাশনার উপসংহারে এমন কথাই বলেছিলেন থমাস ফ্রান্সিস।
প্রথম দিকের ফ্লু শটগুলো দুটি ভাইরাল স্ট্রেন এবং ১৯৭০-এর দশকে তিনটি এবং শেষ দশকে চারটি স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকর ছিল। কিন্তু টিকার ইতিহাসে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, চিকিৎসকেরা সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারেননি যে বাস্তব জগতে শটগুলো কীভাবে কাজ করে। আধুনিক ভাইরাল লোড টেস্টের পর কোভিড নির্ণয়ের জন্য পিসিআর পরীক্ষাগুলোর মতো পদ্ধতি ১৯৯০-এর দশকেই ব্যবহার শুরু হয়েছিল। এর মাধ্যমে গবেষকেরা বাস্তব-বিশ্বে ফ্লু টিকার কার্যকারিতা আরও সঠিকভাবে নির্ণয় করতে সক্ষম হচ্ছেন। ফলে ফলাফলগুলো কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে সেটি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
বছরের পর বছর ধরে গবেষকেরা আরও আধুনিক, দ্রুত উৎপাদন পদ্ধতি ব্যবহার করে ফ্লু টিকা উদ্ভাবনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করেছেন। তবে একটি সর্বজনীন টিকা তৈরির প্রচেষ্টা যা সব স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কাজ করবে, ২০০৯ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জার এইচ১এন১ (সোয়াইন ফ্লু) সংস্করণ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আগে পর্যন্ত সেভাবে গুরুত্ব পায়নি।
তবে এখানে বড় সমস্যা হচ্ছে, কোনো সংস্থাই এ খাতে বড় বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসছে না। জনসাধারণের প্রয়োজন এবং বাণিজ্যিক বাস্তবতার মধ্যে অন্য অনেক দ্বন্দ্বের মতো, সরকারি এবং অলাভজনক তহবিলের বড় প্রয়োজন এখানেও জরুরি। কোথা থেকে এ অর্থ আসবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। শেষ পর্যন্ত দেশগুলো সম্ভাব্য ক্রেতা এবং শটগুলো কেনা ও মজুত করার নিশ্চয়তা না দিলে বেসরকারি ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো এগোতে পারবে না।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে