মো. ইকবাল হোসেন
এ সময়ের প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস গ্লুকোমিটার। এটি সহজলভ্যও বটে। অল্প সময়ে কম খরচে সুগার টেস্টের জন্য এটি সত্যিই অনন্য। ডায়াবেটিসের রোগীরা প্রায় প্রত্যেকেই এটি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এটি উপকারের পাশাপাশি আপনার কোনো ক্ষতি করছে কি না, তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?
একজন ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর তিনি চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসক ওষুধ দেন, পুষ্টিবিদ খাবারের তালিকা দেন। এরপর হয়তো চিকিৎসক বলে দেন, এক মাস পরে ফলোআপে আসবেন। আর এই এক মাসের মধ্যে সপ্তাহে এক বা দুই দিন বাড়িতে গ্লুকোমিটার দিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে দেখবেন। গ্লুকোমিটারের রিপোর্ট আপনি লিখে রাখবেন এবং ফলোআপে এসে সেটা চিকিৎসককে জানাবেন। আবার কখনো যদি আপনার খুব খারাপ লাগে, যেমন অস্থির লাগা, শরীরে কাঁপাকাঁপি করা বা চোখে হঠাৎ হঠাৎ ঝাপসা দেখা—এমন জরুরি অবস্থায় জরুরি সুগার টেস্ট করতেও পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক।
কিন্তু রোগীরা ওই এক মাস পরে আর ফলোআপে যাচ্ছেন না। শুধু বাড়িতে গ্লুকোমিটার দিয়ে সুগার টেস্ট করছেন। সুগার যদি স্বাভাবিক থাকে, তাহলে অনেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন। তার ফলে ধীরে ধীরে সুগার বাড়তে থাকে। আবার সুগার অল্প একটু বেশি থাকলে সেটাকে গুরুত্ব দেন না বেশির ভাগ মানুষ। হয়তো ব্লাড সুগার ৮-এর জায়গায় ১১ হচ্ছে, রোগী সেটাকে স্বাভাবিক ভেবে নিচ্ছেন। সুগার বাড়ার কারণ হিসেবে নিজের মনমতো কিছু একটা ভেবে নিচ্ছেন। এভাবে রোগী মাসের পরে মাস, বছরের পর বছর চিকিৎসকের কাছে ফলোআপে যাচ্ছেন না। এবার যখন রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে, তখন চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন।
অনেক দিন এমন অল্প অল্প সুগার বেশি থাকার কারণে রোগীর ডায়াবেটিসজনিত অন্যান্য সমস্যা শুরু হয়ে যায়। যেমন চোখের সমস্যা, কিডনি সমস্যা, নিউরোপ্যাথিসহ অনেক কিছু। এসব সমস্যা একবার শুরু হলে এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এসব ডায়াবেটিসজনিত জটিলতার কারণে রোগীর শারীরিক কষ্ট ও খরচ–সবই বেড়ে যায়।
কিন্তু আপনি যদি গ্লুকোমিটারের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর না করে নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে থাকেন, তাহলে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা থেকে খুব সহজে মুক্ত থাকতে পারবেন। সুরক্ষিত থাকবে আপনার চোখ, কিডনিসহ শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
আবার একটা গ্লুকোমিটারের রিপোর্টকে সম্পূর্ণ সঠিক ভাবারও কোনো কারণ নেই। ১-২ হাজার টাকার একটি ডিভাইস কখনোই কয়েক সেকেন্ডে সঠিক রিপোর্ট দিতে পারে না। গ্লুকোমিটার শুধু জরুরি অবস্থার জন্য একটি প্রয়োজনীয় ডিভাইস মাত্র। এর রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কখনোই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।
তাই নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে থাকতে হবে। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিয়মিত না হলে অঙ্গহানির আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। ডায়াবেটিস কখনো ভালো হয় না। কিন্তু সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শৃঙ্খল জীবনযাপন এবং চিকিৎসকের পরামর্শে এই রোগকে সম্পূর্ণ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
মো. ইকবাল হোসেন, সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
এ সময়ের প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস গ্লুকোমিটার। এটি সহজলভ্যও বটে। অল্প সময়ে কম খরচে সুগার টেস্টের জন্য এটি সত্যিই অনন্য। ডায়াবেটিসের রোগীরা প্রায় প্রত্যেকেই এটি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এটি উপকারের পাশাপাশি আপনার কোনো ক্ষতি করছে কি না, তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন?
একজন ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়াবেটিস ধরা পড়ার পর তিনি চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসক ওষুধ দেন, পুষ্টিবিদ খাবারের তালিকা দেন। এরপর হয়তো চিকিৎসক বলে দেন, এক মাস পরে ফলোআপে আসবেন। আর এই এক মাসের মধ্যে সপ্তাহে এক বা দুই দিন বাড়িতে গ্লুকোমিটার দিয়ে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে দেখবেন। গ্লুকোমিটারের রিপোর্ট আপনি লিখে রাখবেন এবং ফলোআপে এসে সেটা চিকিৎসককে জানাবেন। আবার কখনো যদি আপনার খুব খারাপ লাগে, যেমন অস্থির লাগা, শরীরে কাঁপাকাঁপি করা বা চোখে হঠাৎ হঠাৎ ঝাপসা দেখা—এমন জরুরি অবস্থায় জরুরি সুগার টেস্ট করতেও পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক।
কিন্তু রোগীরা ওই এক মাস পরে আর ফলোআপে যাচ্ছেন না। শুধু বাড়িতে গ্লুকোমিটার দিয়ে সুগার টেস্ট করছেন। সুগার যদি স্বাভাবিক থাকে, তাহলে অনেকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন। তার ফলে ধীরে ধীরে সুগার বাড়তে থাকে। আবার সুগার অল্প একটু বেশি থাকলে সেটাকে গুরুত্ব দেন না বেশির ভাগ মানুষ। হয়তো ব্লাড সুগার ৮-এর জায়গায় ১১ হচ্ছে, রোগী সেটাকে স্বাভাবিক ভেবে নিচ্ছেন। সুগার বাড়ার কারণ হিসেবে নিজের মনমতো কিছু একটা ভেবে নিচ্ছেন। এভাবে রোগী মাসের পরে মাস, বছরের পর বছর চিকিৎসকের কাছে ফলোআপে যাচ্ছেন না। এবার যখন রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে, তখন চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন।
অনেক দিন এমন অল্প অল্প সুগার বেশি থাকার কারণে রোগীর ডায়াবেটিসজনিত অন্যান্য সমস্যা শুরু হয়ে যায়। যেমন চোখের সমস্যা, কিডনি সমস্যা, নিউরোপ্যাথিসহ অনেক কিছু। এসব সমস্যা একবার শুরু হলে এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এসব ডায়াবেটিসজনিত জটিলতার কারণে রোগীর শারীরিক কষ্ট ও খরচ–সবই বেড়ে যায়।
কিন্তু আপনি যদি গ্লুকোমিটারের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর না করে নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে থাকেন, তাহলে ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা থেকে খুব সহজে মুক্ত থাকতে পারবেন। সুরক্ষিত থাকবে আপনার চোখ, কিডনিসহ শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।
আবার একটা গ্লুকোমিটারের রিপোর্টকে সম্পূর্ণ সঠিক ভাবারও কোনো কারণ নেই। ১-২ হাজার টাকার একটি ডিভাইস কখনোই কয়েক সেকেন্ডে সঠিক রিপোর্ট দিতে পারে না। গ্লুকোমিটার শুধু জরুরি অবস্থার জন্য একটি প্রয়োজনীয় ডিভাইস মাত্র। এর রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কখনোই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।
তাই নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে থাকতে হবে। ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিয়মিত না হলে অঙ্গহানির আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। ডায়াবেটিস কখনো ভালো হয় না। কিন্তু সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শৃঙ্খল জীবনযাপন এবং চিকিৎসকের পরামর্শে এই রোগকে সম্পূর্ণ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
মো. ইকবাল হোসেন, সিনিয়র পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
৬ ঘণ্টা আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে