ডা. মো. বখতিয়ার
পথেঘাটে চলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত হঠাৎই পা মচকে যেতে পারে। জুতার সমস্যা, অসমতল পথ, খেলাধুলা, লাফঝাঁপ ইত্যাদি কারণে পা মচকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সাধারণত শরীরের প্রতিটি জয়েন্টের চারপাশে থাকে লিগামেন্ট। এগুলো জয়েন্টকে শক্ত করে ধরে রাখে। এ জন্য একটি নির্দিষ্ট কোণ পর্যন্ত নড়াচড়া করা যায় সহজে। কিন্তু তার বেশি করতে গেলে ব্যথা লাগে। কোনো কারণে সীমার বাইরে নড়াচড়া হলে লিগামেন্টে টান পড়ে বা কিছু অংশ ছিঁড়ে যায়। এটাকেই মচকে যাওয়া বলে।
পা যেহেতু আমাদের শরীরের পুরো ভার বহন করে, তাই পা মচকে গেলে খুবই ব্যথা লাগে। এমনকি পা ফুলে যায়। যন্ত্রণার চোটে ঠিক করে দাঁড়ানো যায় না। দেখা যায়, শুধু মচকে যাওয়ার পর হেলাফেলার কারণে সমস্যাটি আরও জটিল হয়।
শুরুতে করণীয়
মচকে গেলে গোড়ালিতে চাপ দিয়ে চলাফেরা করবেন না। এতে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে। আর তাই পা মচকে গেলে প্রথমেই কোথাও বসুন। হাতের সামনে ব্যান্ডেজ থাকলে ভালো করে জড়িয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, যাতে গোড়ালি বিশ্রাম পায়। এরপর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যান।
পা বিশ্রামে রাখুন
মচকে গেলে পা বিশ্রামে রাখতে হবে। এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিন। যন্ত্রণা কমে গেলেও বিশ্রাম না নিয়ে যদি বেশি হাঁটাহাঁটি বা ভারী কাজ করেন তাহলেও গোড়ালি ফোলা থেকেই যাবে। পা এমনভাবে রাখবেন যাতে গোড়ালিতে কোনো চাপ না লাগে। কিছু একটার সাপোর্ট নিয়ে হাঁটাচলা করুন।
বরফ সেঁক
পায়ের যে কোনো ব্যথায় বরফ সেঁক খুবই ভালো উপায়। তবে বরফ কিন্তু সরাসরি দেবেন না। একটা সুতির কাপড়ে জড়িয়ে তবেই দিন। চোট পাওয়ার পর দু ঘণ্টা অন্তর এই সেঁক দিন। এতে ফোলা ভাব অনেকটাই কমে।
ক্রেপ ব্যান্ডেজ
বরফ সেঁক দেওয়ার ফলে যেমন ব্যথা কমে তেমনই ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখলে যন্ত্রণার উপশমও হয়।
* চোট পাওয়ার পর অন্তত দুই দিন শক্ত করে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখুন। এতে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
* পা ওপরে তুলে রাখুন
* পা যত নিচে ঝুলিয়ে বসবেন ব্যথা তত বাড়বে। আর তাই পা উঁচু জায়গায় রাখুন।
* ঘুমানোর সময় হার্টের লেভেল থেকে একটু উঁচুতে বালিশের ওপর পা রাখুন। এতে খুব দ্রুত ফোলা ভাব কমে আসবে।
চিকিৎসা
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে। সমস্যার তীব্রতা অনুযায়ী প্লাস্টারের প্রয়োজনও হতে পারে। পা মচকানোর সমস্যায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আলট্রাসাউন্ড থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। এক সপ্তাহ বিশ্রামের পর থেকে স্ট্রেচিং এবং তিন সপ্তাহ পর থেকে স্ট্রেংথেনিং এক্সারসাইজ খুবই উপকারী।
লেখক: জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক ও গবেষক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খাজা বদরুদদোজা মডার্ন হাসপাতাল, সফিপুর, কালিয়াকৈর, গাজীপুর
পথেঘাটে চলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত হঠাৎই পা মচকে যেতে পারে। জুতার সমস্যা, অসমতল পথ, খেলাধুলা, লাফঝাঁপ ইত্যাদি কারণে পা মচকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সাধারণত শরীরের প্রতিটি জয়েন্টের চারপাশে থাকে লিগামেন্ট। এগুলো জয়েন্টকে শক্ত করে ধরে রাখে। এ জন্য একটি নির্দিষ্ট কোণ পর্যন্ত নড়াচড়া করা যায় সহজে। কিন্তু তার বেশি করতে গেলে ব্যথা লাগে। কোনো কারণে সীমার বাইরে নড়াচড়া হলে লিগামেন্টে টান পড়ে বা কিছু অংশ ছিঁড়ে যায়। এটাকেই মচকে যাওয়া বলে।
পা যেহেতু আমাদের শরীরের পুরো ভার বহন করে, তাই পা মচকে গেলে খুবই ব্যথা লাগে। এমনকি পা ফুলে যায়। যন্ত্রণার চোটে ঠিক করে দাঁড়ানো যায় না। দেখা যায়, শুধু মচকে যাওয়ার পর হেলাফেলার কারণে সমস্যাটি আরও জটিল হয়।
শুরুতে করণীয়
মচকে গেলে গোড়ালিতে চাপ দিয়ে চলাফেরা করবেন না। এতে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে। আর তাই পা মচকে গেলে প্রথমেই কোথাও বসুন। হাতের সামনে ব্যান্ডেজ থাকলে ভালো করে জড়িয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, যাতে গোড়ালি বিশ্রাম পায়। এরপর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যান।
পা বিশ্রামে রাখুন
মচকে গেলে পা বিশ্রামে রাখতে হবে। এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিন। যন্ত্রণা কমে গেলেও বিশ্রাম না নিয়ে যদি বেশি হাঁটাহাঁটি বা ভারী কাজ করেন তাহলেও গোড়ালি ফোলা থেকেই যাবে। পা এমনভাবে রাখবেন যাতে গোড়ালিতে কোনো চাপ না লাগে। কিছু একটার সাপোর্ট নিয়ে হাঁটাচলা করুন।
বরফ সেঁক
পায়ের যে কোনো ব্যথায় বরফ সেঁক খুবই ভালো উপায়। তবে বরফ কিন্তু সরাসরি দেবেন না। একটা সুতির কাপড়ে জড়িয়ে তবেই দিন। চোট পাওয়ার পর দু ঘণ্টা অন্তর এই সেঁক দিন। এতে ফোলা ভাব অনেকটাই কমে।
ক্রেপ ব্যান্ডেজ
বরফ সেঁক দেওয়ার ফলে যেমন ব্যথা কমে তেমনই ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখলে যন্ত্রণার উপশমও হয়।
* চোট পাওয়ার পর অন্তত দুই দিন শক্ত করে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখুন। এতে ব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
* পা ওপরে তুলে রাখুন
* পা যত নিচে ঝুলিয়ে বসবেন ব্যথা তত বাড়বে। আর তাই পা উঁচু জায়গায় রাখুন।
* ঘুমানোর সময় হার্টের লেভেল থেকে একটু উঁচুতে বালিশের ওপর পা রাখুন। এতে খুব দ্রুত ফোলা ভাব কমে আসবে।
চিকিৎসা
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে। সমস্যার তীব্রতা অনুযায়ী প্লাস্টারের প্রয়োজনও হতে পারে। পা মচকানোর সমস্যায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আলট্রাসাউন্ড থেরাপি নেওয়া যেতে পারে। এক সপ্তাহ বিশ্রামের পর থেকে স্ট্রেচিং এবং তিন সপ্তাহ পর থেকে স্ট্রেংথেনিং এক্সারসাইজ খুবই উপকারী।
লেখক: জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লেখক ও গবেষক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খাজা বদরুদদোজা মডার্ন হাসপাতাল, সফিপুর, কালিয়াকৈর, গাজীপুর
শীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
২৬ মিনিট আগে‘যব কই বাত বিগার যায়ে...’ বরেণ্য ভারতীয় সংগীতশিল্পী কুমার শানুর এই গান ক্যানসার রোগ উপশমের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে বাজানো হয়। মূলত রোগ উপশমের জন্য মিউজিক থেরাপি এখন পৃথিবীতে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। সংগীতের মতো শিল্পকর্মও মানুষের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি করে। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে, এমন অভ
২৬ মিনিট আগেবয়স বাড়ার সঙ্গে জীবনের সঙ্গী হয় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা। পুরুষের প্রোস্টেট সমস্যা তেমনই একটি। এ সমস্যার রয়েছে প্রাকৃতিক সমাধান।
২৭ মিনিট আগেজ্বর, শরীরে ব্যথা এবং ক্লান্তি ফ্লুর সাধারণ লক্ষণ। এগুলো হলে বুঝতে হবে, আপনি ফ্লুতে আক্রান্ত। সাধারণত ফ্লু প্রাণঘাতী নয়। তবে কখনো কখনো বিশেষ কোনো কারণে এটি বেশি হয়ে গেলে হাসপাতালে যেতে হতে পারে। ফ্লুর সংক্রমণের সঙ্গে নিউমোনিয়া হলে সেটি আর সাধারণ থাকে না। তখন হাসপাতালে যেতে হয়।
২৮ মিনিট আগে