ডা. মো. আরমান হোসেন রনি
শিশুর জন্মের পর থেকে তার শারীরিক-মানসিক ও আবেগজনিত সব ধরনের বিকাশ হয় চোখের সাহায্যে। জন্মের পর শিশুরা সাধারণত ৮ থেকে ১২ ইঞ্চি বেশি দূরের কিছু স্পষ্ট দেখতে পায় না।
শিশুর এই দৃষ্টিশক্তির সীমা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। সাধারণত নবজাতককে যখন কোলে নেওয়া হয় অথবা আপনি যদি তার খুব কাছে যান, তখন সে আপনাকে দেখতে পায়। আর তাই একটি শিশুর কাছে আপনার চেহারা সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য। এ সময় বেশি বেশি করে শিশুর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করবেন, যাতে করে সে আপনাকে ভালো করে দেখতে পায়।
এক মাস বয়সে
প্রথম মাসে জন্মের ঠিক পরপর একটি শিশু চোখ নাড়িয়ে কীভাবে চারপাশ দেখতে হয়, তার কিছুই জানে না। তাই সে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চোখ নাড়ায়। ফলে কখনো কখনো চোখ ট্যারাও দেখাতে পারে। এই সময় শিশুর খুব কাছাকাছি গিয়ে আপনি যদি নিজের মুখ খুব ধীরে ধীরে এক পাশ থেকে অন্য পাশে নাড়াতে থাকেন, দেখবেন শিশুও আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আপনার সঙ্গে সঙ্গে সেও চোখ নাড়িয়ে আপনার মুভমেন্ট অনুসরণ করছে।
দুই মাস বয়সে
শিশু জন্মের পর থেকে সব ধরনের রং দেখতে পেলেও তখন বিভিন্ন রঙের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য করতে পারে না। এই সময়ে শিশুর দৃষ্টিশক্তি ও রঙের পার্থক্য শেখানোর জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের ছবির বই, ছবি ও রঙিন খেলনা দিয়ে উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে।
চার মাস বয়সে
এই বয়সে শিশুর হাত বাড়ানোর মতো পেশি সঞ্চালনের ক্ষমতা তৈরি হয়। হাত বাড়িয়ে কোনো জিনিস ধরার কাজটি কীভাবে সম্পন্ন করতে হবে, শিশুর মস্তিষ্ক সেটা বুঝে ওঠার মতো পরিপক্ব হয়ে যায়। সাধারণত এই বয়স থেকে শিশুরা তার যেসব ধরতে সুবিধা, যেমন মায়ের চুল, কানের দুল ইত্যাদি ধরে টান দিতে চেষ্টা করে। এই সময়ে খুব সহজেই ধরা যায় এমন কোনো নিরাপদ খেলনা শিশুর হাতে দিয়ে তার ক্রমবিকাশে সাহায্য করতে পারেন।
পাঁচ মাস বয়সে
এই বয়সে শিশু বস্তুর আকার বুঝতে শুরু করে এবং বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। সেই সঙ্গে যেকোনো বস্তুকে তার চোখ দিয়ে অনুসরণ করতে শুরু করে। এমনকি এই বয়সে অনেক শিশু যেকোনো কিছুর ছোট্ট অংশ দেখেই চিনে ফেলতে পারে। তাই এ বয়সেই শিশুর সঙ্গে যখন আপনি লুকোচুরি খেলেন, সেটা শিশু খুবই পছন্দ করে। এই বয়সে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের রঙের পার্থক্য করতে শিখে যায়।
আট মাস বয়সে
এই বয়সে এসে শিশু দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারে। এ সময় কাছে থাকা জিনিসের প্রতি তার আকর্ষণ বেশি থাকলেও কক্ষের অন্য প্রান্তে থাকা কোনো মানুষ ও জিনিসপত্রের অবস্থান বুঝতে পারে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেকোনো কিছুর চেয়ে শিশুরা মানুষের অবয়ব দেখতেই বেশি পছন্দ করে। তাই যতটা সম্ভব শিশুর কাছাকাছি থেকে তাকে আপনার চেহারা দেখার সুযোগ করে দিন এবং চোখে চোখ রেখে তাকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করুন।
শিশুর বয়স যখন আট মাসের মতো হয়ে যায়, তখন তার চোখের সামনে আপনি যা-ই আনুন না কেন, সেটি শিশু খুব উৎসাহ নিয়ে দেখবে। তাই এই সময় গৃহস্থালির সাধারণ জিনিসপত্র অথবা খেলনা শিশুর কাছে নিয়ে তাকে দেখার সুযোগ করে দিন। ঝুমঝুমি অথবা উজ্জ্বল কোনো বস্তু শিশুর চোখের সামনে ধরে এক পাশ থেকে অন্য পাশে নিন, তারপর তা ওপর থেকে নিচের দিকে এবং আবার নিচ থেকে ওপরের দিকে নিয়ে আসুন। এই নড়াচড়া তাকে আকৃষ্ট করবে। যদিও তিন-চার মাসের আগে বেশির ভাগ শিশু ওপর থেকে নিচের দিকের নাড়াচাড়া ঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারে না। এ ছাড়া আশপাশের কোন কোন বস্তু তাকে আকৃষ্ট করে, সেটা খেয়াল করুন।
শিশু যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকবে, তখন তার সামনে প্রাথমিক রঙের (লাল, নীল, হলুদ) জিনিসপত্র নিয়ে আসুন। এ ছাড়া প্রাথমিক রঙের খেলনা, রঙিন পোস্টার অথবা যেসব বইয়ে প্রচুর ছবি আছে সেগুলোও শিশুকে দেখতে দিন।
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি, চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
শিশুর জন্মের পর থেকে তার শারীরিক-মানসিক ও আবেগজনিত সব ধরনের বিকাশ হয় চোখের সাহায্যে। জন্মের পর শিশুরা সাধারণত ৮ থেকে ১২ ইঞ্চি বেশি দূরের কিছু স্পষ্ট দেখতে পায় না।
শিশুর এই দৃষ্টিশক্তির সীমা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। সাধারণত নবজাতককে যখন কোলে নেওয়া হয় অথবা আপনি যদি তার খুব কাছে যান, তখন সে আপনাকে দেখতে পায়। আর তাই একটি শিশুর কাছে আপনার চেহারা সবচেয়ে আকর্ষণীয় দৃশ্য। এ সময় বেশি বেশি করে শিশুর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করবেন, যাতে করে সে আপনাকে ভালো করে দেখতে পায়।
এক মাস বয়সে
প্রথম মাসে জন্মের ঠিক পরপর একটি শিশু চোখ নাড়িয়ে কীভাবে চারপাশ দেখতে হয়, তার কিছুই জানে না। তাই সে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চোখ নাড়ায়। ফলে কখনো কখনো চোখ ট্যারাও দেখাতে পারে। এই সময় শিশুর খুব কাছাকাছি গিয়ে আপনি যদি নিজের মুখ খুব ধীরে ধীরে এক পাশ থেকে অন্য পাশে নাড়াতে থাকেন, দেখবেন শিশুও আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আপনার সঙ্গে সঙ্গে সেও চোখ নাড়িয়ে আপনার মুভমেন্ট অনুসরণ করছে।
দুই মাস বয়সে
শিশু জন্মের পর থেকে সব ধরনের রং দেখতে পেলেও তখন বিভিন্ন রঙের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য করতে পারে না। এই সময়ে শিশুর দৃষ্টিশক্তি ও রঙের পার্থক্য শেখানোর জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের ছবির বই, ছবি ও রঙিন খেলনা দিয়ে উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে।
চার মাস বয়সে
এই বয়সে শিশুর হাত বাড়ানোর মতো পেশি সঞ্চালনের ক্ষমতা তৈরি হয়। হাত বাড়িয়ে কোনো জিনিস ধরার কাজটি কীভাবে সম্পন্ন করতে হবে, শিশুর মস্তিষ্ক সেটা বুঝে ওঠার মতো পরিপক্ব হয়ে যায়। সাধারণত এই বয়স থেকে শিশুরা তার যেসব ধরতে সুবিধা, যেমন মায়ের চুল, কানের দুল ইত্যাদি ধরে টান দিতে চেষ্টা করে। এই সময়ে খুব সহজেই ধরা যায় এমন কোনো নিরাপদ খেলনা শিশুর হাতে দিয়ে তার ক্রমবিকাশে সাহায্য করতে পারেন।
পাঁচ মাস বয়সে
এই বয়সে শিশু বস্তুর আকার বুঝতে শুরু করে এবং বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। সেই সঙ্গে যেকোনো বস্তুকে তার চোখ দিয়ে অনুসরণ করতে শুরু করে। এমনকি এই বয়সে অনেক শিশু যেকোনো কিছুর ছোট্ট অংশ দেখেই চিনে ফেলতে পারে। তাই এ বয়সেই শিশুর সঙ্গে যখন আপনি লুকোচুরি খেলেন, সেটা শিশু খুবই পছন্দ করে। এই বয়সে শিশুরা বিভিন্ন ধরনের রঙের পার্থক্য করতে শিখে যায়।
আট মাস বয়সে
এই বয়সে এসে শিশু দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারে। এ সময় কাছে থাকা জিনিসের প্রতি তার আকর্ষণ বেশি থাকলেও কক্ষের অন্য প্রান্তে থাকা কোনো মানুষ ও জিনিসপত্রের অবস্থান বুঝতে পারে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেকোনো কিছুর চেয়ে শিশুরা মানুষের অবয়ব দেখতেই বেশি পছন্দ করে। তাই যতটা সম্ভব শিশুর কাছাকাছি থেকে তাকে আপনার চেহারা দেখার সুযোগ করে দিন এবং চোখে চোখ রেখে তাকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করুন।
শিশুর বয়স যখন আট মাসের মতো হয়ে যায়, তখন তার চোখের সামনে আপনি যা-ই আনুন না কেন, সেটি শিশু খুব উৎসাহ নিয়ে দেখবে। তাই এই সময় গৃহস্থালির সাধারণ জিনিসপত্র অথবা খেলনা শিশুর কাছে নিয়ে তাকে দেখার সুযোগ করে দিন। ঝুমঝুমি অথবা উজ্জ্বল কোনো বস্তু শিশুর চোখের সামনে ধরে এক পাশ থেকে অন্য পাশে নিন, তারপর তা ওপর থেকে নিচের দিকে এবং আবার নিচ থেকে ওপরের দিকে নিয়ে আসুন। এই নড়াচড়া তাকে আকৃষ্ট করবে। যদিও তিন-চার মাসের আগে বেশির ভাগ শিশু ওপর থেকে নিচের দিকের নাড়াচাড়া ঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারে না। এ ছাড়া আশপাশের কোন কোন বস্তু তাকে আকৃষ্ট করে, সেটা খেয়াল করুন।
শিশু যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকবে, তখন তার সামনে প্রাথমিক রঙের (লাল, নীল, হলুদ) জিনিসপত্র নিয়ে আসুন। এ ছাড়া প্রাথমিক রঙের খেলনা, রঙিন পোস্টার অথবা যেসব বইয়ে প্রচুর ছবি আছে সেগুলোও শিশুকে দেখতে দিন।
ডা. মো. আরমান হোসেন রনি, চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
১২ ঘণ্টা আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
২ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে