অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
শরীরের কিছু পরীক্ষা করালে বোঝা যাবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না এবং এর কেমন প্রভাব পড়ছে শরীরে।
সৌভাগ্যবশত একটি সহজ রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় ডায়াবেটিস আছে কি না। ডায়াবেটিস শনাক্ত করার জন্য যে পরীক্ষাগুলো করতে হবে:
খালি পেটে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা বা ফাস্টিং ব্লাড গ্লুকোজ টেস্ট
রাতে আট ঘণ্টা না খেয়ে থাকার পর সকালে এসে ল্যাবে রক্তের নমুনা দেবেন। রক্তের পরিমাপ প্রতি ডেসিলিটারে ১০০ মিলিগ্রাম বা এর কম হলে ঠিক আছে। তবে ৭০ মিলিগ্রামের নিচে হলে বিপদ। একে বলে লো ব্লাড সুগার যা বিপজ্জনক। আবার প্রতি ডেসিলিটারে ১২৫ মিলিগ্রামের বেশি হলে এবং পর পর দুই-তিন বার করে এ রকম পাওয়া গেলে তা ডায়াবেটিস। আর ফলাফল ১০০ থেকে ১২৫-এর মধ্যে থাকলে তা প্রি-ডায়াবেটিস। এই পরীক্ষা সকালে করা ভালো।
ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট বা ওজিটিটি দুই নমুনা পরীক্ষা
খালি পেটে এসে সকালে রক্তের নমুনা দেওয়া। এরপর ২০০ মিলিলিটার পানিতে ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ গুলিয়ে সেই পানি পান করে দুই ঘণ্টা পর আরেকবার রক্তের নমুনা দিতে হবে। তারপর দুই নমুনার গ্লুকোজের পরিমাণ ল্যাবে টেস্ট করে দেখতে হবে। একে ডায়াবেটিস নির্ণয়ের গোল্ড টেস্ট বলা হয়। এই টেস্ট করে খালি পেটে গ্লুকোজ ১২৫-এর বেশি থাকতে পারে বা ১০০ থেকে ১২৫-এর মধ্যে থাকে। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর ২০০ মিলিগ্রামের বেশি হলে তা ডায়াবেটিস।
র্যান্ডম ব্লাড গ্লুকোজ টেস্ট
যেকোনো সময় বা অবস্থায় যদি রক্তে গ্লুকোজ মান ২০০ মিলিগ্রামের বেশি হয় প্রতি ডেসিলিটারে, তাহলে তা ডায়াবেটিস।
গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন টেস্ট
এই টেস্ট বেশি উপযোগী রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না তা বোঝার জন্য। এই টেস্ট করে গত তিন মাসে রক্তের গ্লুকোজের মানের গড় ফলাফল জানা যায়। এর শতকরা ফলাফল দেওয়া হয়। এইচবিএ অয়ান সি ৪ থেকে ৬.৫ শতাংশ হলো স্বাভাবিক। ৬.৫ শতাংশের বেশি হলে তা ডায়াবেটিস।
ক্রিয়েটিনিন টেস্ট
ডায়াবেটিস থাকলে কিডনির ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। তাই কিডনি কেমন কাজ করছে তা বোঝার জন্য এই টেস্ট করতে হবে। এর স্বাভাবিক মান ০.৬ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম বা ডেসিলিটার।
কোলেস্টেরল আর ট্রাইগ্লিসারাইড টেস্ট
মন্দ কোলেস্টেরল বা এলডিএল প্রতি ডেসিলিটারে ১০০ মিলিগ্রামের কম থাকা উচিত। আর ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল ৪৫ মিলিগ্রামের বেশি থাকা ভালো। রক্তে চর্বি বা ট্রাইগ্লিসারাইড ১৫০ মিলিগ্রামের নিচে থাকা ভালো।
প্রস্রাবের অ্যালবুমিন টেস্ট
পরীক্ষা করে দেখতে হবে প্রস্রাবে অ্যালবুমিনের উপস্থিতি কী পরিমাণ আছে। তা জানলে কিডনির অবস্থা বোঝা যায়। মূত্রে অ্যালবুমিনের উপস্থিতি মানে বুঝতে হবে কিডনির অবস্থা ভালো নয়।
হোম গ্লুকোজ মনিটরিং
আঙুলের ডগায় সুচ ফুটিয়ে রক্তের নমুনা নিয়ে ঘরে টেস্ট স্ট্রিপের সাহায্যে গ্লুকো মিটারে গ্লুকোজের পরিমাণ দেখা যায়। এতে রক্তের দৈনন্দিন গ্লুকোজের পরিমাণ জানা যায় আর এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট সহজ হয়।
শরীরের কিছু পরীক্ষা করালে বোঝা যাবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না এবং এর কেমন প্রভাব পড়ছে শরীরে।
সৌভাগ্যবশত একটি সহজ রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় ডায়াবেটিস আছে কি না। ডায়াবেটিস শনাক্ত করার জন্য যে পরীক্ষাগুলো করতে হবে:
খালি পেটে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা বা ফাস্টিং ব্লাড গ্লুকোজ টেস্ট
রাতে আট ঘণ্টা না খেয়ে থাকার পর সকালে এসে ল্যাবে রক্তের নমুনা দেবেন। রক্তের পরিমাপ প্রতি ডেসিলিটারে ১০০ মিলিগ্রাম বা এর কম হলে ঠিক আছে। তবে ৭০ মিলিগ্রামের নিচে হলে বিপদ। একে বলে লো ব্লাড সুগার যা বিপজ্জনক। আবার প্রতি ডেসিলিটারে ১২৫ মিলিগ্রামের বেশি হলে এবং পর পর দুই-তিন বার করে এ রকম পাওয়া গেলে তা ডায়াবেটিস। আর ফলাফল ১০০ থেকে ১২৫-এর মধ্যে থাকলে তা প্রি-ডায়াবেটিস। এই পরীক্ষা সকালে করা ভালো।
ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট বা ওজিটিটি দুই নমুনা পরীক্ষা
খালি পেটে এসে সকালে রক্তের নমুনা দেওয়া। এরপর ২০০ মিলিলিটার পানিতে ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ গুলিয়ে সেই পানি পান করে দুই ঘণ্টা পর আরেকবার রক্তের নমুনা দিতে হবে। তারপর দুই নমুনার গ্লুকোজের পরিমাণ ল্যাবে টেস্ট করে দেখতে হবে। একে ডায়াবেটিস নির্ণয়ের গোল্ড টেস্ট বলা হয়। এই টেস্ট করে খালি পেটে গ্লুকোজ ১২৫-এর বেশি থাকতে পারে বা ১০০ থেকে ১২৫-এর মধ্যে থাকে। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর ২০০ মিলিগ্রামের বেশি হলে তা ডায়াবেটিস।
র্যান্ডম ব্লাড গ্লুকোজ টেস্ট
যেকোনো সময় বা অবস্থায় যদি রক্তে গ্লুকোজ মান ২০০ মিলিগ্রামের বেশি হয় প্রতি ডেসিলিটারে, তাহলে তা ডায়াবেটিস।
গ্লাইকেটেড হিমোগ্লোবিন টেস্ট
এই টেস্ট বেশি উপযোগী রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না তা বোঝার জন্য। এই টেস্ট করে গত তিন মাসে রক্তের গ্লুকোজের মানের গড় ফলাফল জানা যায়। এর শতকরা ফলাফল দেওয়া হয়। এইচবিএ অয়ান সি ৪ থেকে ৬.৫ শতাংশ হলো স্বাভাবিক। ৬.৫ শতাংশের বেশি হলে তা ডায়াবেটিস।
ক্রিয়েটিনিন টেস্ট
ডায়াবেটিস থাকলে কিডনির ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। তাই কিডনি কেমন কাজ করছে তা বোঝার জন্য এই টেস্ট করতে হবে। এর স্বাভাবিক মান ০.৬ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম বা ডেসিলিটার।
কোলেস্টেরল আর ট্রাইগ্লিসারাইড টেস্ট
মন্দ কোলেস্টেরল বা এলডিএল প্রতি ডেসিলিটারে ১০০ মিলিগ্রামের কম থাকা উচিত। আর ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল ৪৫ মিলিগ্রামের বেশি থাকা ভালো। রক্তে চর্বি বা ট্রাইগ্লিসারাইড ১৫০ মিলিগ্রামের নিচে থাকা ভালো।
প্রস্রাবের অ্যালবুমিন টেস্ট
পরীক্ষা করে দেখতে হবে প্রস্রাবে অ্যালবুমিনের উপস্থিতি কী পরিমাণ আছে। তা জানলে কিডনির অবস্থা বোঝা যায়। মূত্রে অ্যালবুমিনের উপস্থিতি মানে বুঝতে হবে কিডনির অবস্থা ভালো নয়।
হোম গ্লুকোজ মনিটরিং
আঙুলের ডগায় সুচ ফুটিয়ে রক্তের নমুনা নিয়ে ঘরে টেস্ট স্ট্রিপের সাহায্যে গ্লুকো মিটারে গ্লুকোজের পরিমাণ দেখা যায়। এতে রক্তের দৈনন্দিন গ্লুকোজের পরিমাণ জানা যায় আর এর মাধ্যমে ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট সহজ হয়।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে