মো. ইকবাল হোসেন
বর্তমান সময়ের আলোচিত খাবার হানি নাট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে দিনে দিনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই খাবার। মূলত মধু ও বিভিন্ন বাদাম একসঙ্গে মিশিয়ে এর নাম দেওয়া হয়েছে হানি নাট। এটি যাঁরা খাচ্ছেন, তাঁরা শুধু বিজ্ঞাপন দেখেই কিনছেন। এর ভালোমন্দ প্রভাব সম্পর্কে হয়তো খুব ভালো ধারণা তাঁদের নেই।
হানি নাট মোটেও খারাপ খাবার নয়। এর মূল উপাদান মধু এবং বাদাম, যা খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে খুবই পুষ্টিকর খাবার। মধু আপনার শরীরে শক্তি জোগাবে। পাশাপাশি এতে অনেক খনিজ ও ভিটামিন পাওয়া যায়। অন্যদিকে বাদাম দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন হলেও তা থেকে কিছু প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডের পাশাপাশি কিছু ভিটামিন ও খনিজও পাওয়া যায়। বাদামের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে এর ভালো চর্বি, যা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষায় খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু মনে রাখতে হবে, সব খাবার সবার জন্য উপযোগী নয়। হানি নাটও সবার জন্য উপযোগী নয়। এর বিক্রেতারা প্রচারণার সময় বলে থাকেন, এটি যৌন দুর্বলতা থেকে মুক্তি দেবে। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে, হানি নাটে এমন কোনো বিশেষ উপাদান নেই, যা যৌন দুর্বলতা দূর করবে। তাই কোনো মানুষ যদি বিজ্ঞাপনে আস্থা রেখে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে দিনের পর দিন হানি নাট খেতেই থাকেন, তাহলে তাঁর সমস্যা আরও জটিল হতে পারে।
কারা খাবেন না
ডায়াবেটিস রোগী: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনুপযোগী খাবারের মধ্যে মধু একটি। তাই হানি নাট ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া নিষেধ। মধুর মূল উপাদান গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ। তাই মধু খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে। সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসজনিত অন্যান্য জটিলতা, যেমন রেটিনোপ্যাথি, নিউরোপ্যাথি, ন্যাফ্রোপ্যাথিসহ অন্যান্য জটিলতাও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
ওজন বেশি থাকলে: যাঁদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা হানি নাট খাবেন না। মধু সরল শর্করা। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি বলে এটি খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। বাদামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে বলে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হয়। তাই যাঁদের ওজন বেশি বা যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের হানি নাট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
কিডনি রোগী: কিডনি রোগীদের জন্য প্রোটিনের পরিমাণ কমাতে হয়। সে ক্ষেত্রে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন খেতে নিষেধ করা হয়। তাই কোনো কিডনি রোগী হানি নাট খেলে বাদামের কারণে তার ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাবে।
সে ক্ষেত্রে কিডনিজনিত জটিলতা, যেমন পা ফুলে যাওয়া, শরীর চুলকানো, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি আরও বাড়বে। আপনার যদি বিশেষ কোনো
শারীরিক জটিলতা না থাকে, তাহলে আপনি প্রতিদিন হালকা খাবার হিসেবে পরিমিত হানি নাট খেতে পারেন। অতিরিক্ত যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটি খাওয়ার আগে এতে ব্যবহৃত মধুর গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
বর্তমান সময়ের আলোচিত খাবার হানি নাট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে দিনে দিনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই খাবার। মূলত মধু ও বিভিন্ন বাদাম একসঙ্গে মিশিয়ে এর নাম দেওয়া হয়েছে হানি নাট। এটি যাঁরা খাচ্ছেন, তাঁরা শুধু বিজ্ঞাপন দেখেই কিনছেন। এর ভালোমন্দ প্রভাব সম্পর্কে হয়তো খুব ভালো ধারণা তাঁদের নেই।
হানি নাট মোটেও খারাপ খাবার নয়। এর মূল উপাদান মধু এবং বাদাম, যা খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে খুবই পুষ্টিকর খাবার। মধু আপনার শরীরে শক্তি জোগাবে। পাশাপাশি এতে অনেক খনিজ ও ভিটামিন পাওয়া যায়। অন্যদিকে বাদাম দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিন হলেও তা থেকে কিছু প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডের পাশাপাশি কিছু ভিটামিন ও খনিজও পাওয়া যায়। বাদামের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে এর ভালো চর্বি, যা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষায় খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু মনে রাখতে হবে, সব খাবার সবার জন্য উপযোগী নয়। হানি নাটও সবার জন্য উপযোগী নয়। এর বিক্রেতারা প্রচারণার সময় বলে থাকেন, এটি যৌন দুর্বলতা থেকে মুক্তি দেবে। কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে, হানি নাটে এমন কোনো বিশেষ উপাদান নেই, যা যৌন দুর্বলতা দূর করবে। তাই কোনো মানুষ যদি বিজ্ঞাপনে আস্থা রেখে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে দিনের পর দিন হানি নাট খেতেই থাকেন, তাহলে তাঁর সমস্যা আরও জটিল হতে পারে।
কারা খাবেন না
ডায়াবেটিস রোগী: ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনুপযোগী খাবারের মধ্যে মধু একটি। তাই হানি নাট ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া নিষেধ। মধুর মূল উপাদান গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ। তাই মধু খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে। সে ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসজনিত অন্যান্য জটিলতা, যেমন রেটিনোপ্যাথি, নিউরোপ্যাথি, ন্যাফ্রোপ্যাথিসহ অন্যান্য জটিলতাও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।
ওজন বেশি থাকলে: যাঁদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা হানি নাট খাবেন না। মধু সরল শর্করা। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি বলে এটি খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। বাদামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে বলে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যোগ হয়। তাই যাঁদের ওজন বেশি বা যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের হানি নাট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
কিডনি রোগী: কিডনি রোগীদের জন্য প্রোটিনের পরিমাণ কমাতে হয়। সে ক্ষেত্রে সেকেন্ড ক্লাস প্রোটিন খেতে নিষেধ করা হয়। তাই কোনো কিডনি রোগী হানি নাট খেলে বাদামের কারণে তার ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যাবে।
সে ক্ষেত্রে কিডনিজনিত জটিলতা, যেমন পা ফুলে যাওয়া, শরীর চুলকানো, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি আরও বাড়বে। আপনার যদি বিশেষ কোনো
শারীরিক জটিলতা না থাকে, তাহলে আপনি প্রতিদিন হালকা খাবার হিসেবে পরিমিত হানি নাট খেতে পারেন। অতিরিক্ত যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটি খাওয়ার আগে এতে ব্যবহৃত মধুর গুণগত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
২০ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে