উম্মে শায়লা রুমকি
টাইপ-১ জুভেনাইল ডায়াবেটিস হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে শিশুদের অগ্ন্যাশয় খুব কম ইনসুলিন উৎপন্ন করে বা ইনসুলিন উৎপন্ন করতে অক্ষম হয়ে যায়। ইনসুলিনের অভাবে দেহ শর্করা ভাঙতে পারে না। তাই শর্করা রক্তপ্রবাহে থেকে যায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা সর্বোচ্চ স্তরে উঠে যায় এবং মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।
লক্ষণ
ঘন ঘন মূত্রত্যাগ
খুব তৃষ্ণা লাগা
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাওয়া
লক্ষণীয় ওজন হ্রাস
অস্বাভাবিক ক্লান্তি লাগা
বমি বমি ভাব
বিরক্তি বোধ করা দ্রুত শ্বাস ফেলা বা অজ্ঞান হয়ে পড়া।
টাইপ-১ জুভেনাইল ডায়াবেটিস হলে সারা জীবন চিকিৎসা নিতে হয় এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবনধারা, শারীরিক পরিশ্রম, ডায়েট ও ইনসুলিন নিয়ে চলতে হয়। অতিরিক্ত ওজন, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, পড়াশোনার চাপ, মানসিক অস্থিরতা অনেক ক্ষেত্রে টাইপ-১ ডায়াবেটিসের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। তাই সচেতন হওয়া জরুরি।
যা করবেন
ইনডোর গেম: ঘরে বসে নানা রকম খেলায় যুক্ত করতে হবে। যেমন: হসপস, টেবিল টেনিস, দড়ির লাফ, শিশুদের বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে বল ঝুড়িতে ফেলা, বেলুন নিয়ে লাফানো, লুকোচুরি, জাম্পিং, ইনডোর সাইকেল, এমনকি যোগ হতে পারে ভালো ব্যায়াম। এ ছাড়া শিশুদের নাচের ক্লাস বা জুম্বা বেশ কার্যকর ব্যায়াম। শিশুদের সপ্তাহে প্রতিদিন অন্তত ৬০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করা প্রয়োজন।
আউটডোর গেম: প্রতিদিন নিয়ম করে ঘণ্টাখানেক সাইকেল চালানো, হাঁটা, ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, হ্যান্ডবল, সাঁতার কাটা এমনকি তায়কোয়ান্দ হতে পারে আনন্দদায়ক ব্যায়াম। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে হলে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। না হলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করা কমে গিয়ে মৃত্যুঝুঁকি বাড়তে পারে।
সতর্কতা
ব্যায়াম করার আগে রক্তের গ্লুকোজ মেপে দেখতে হবে। শিশুদের যদি ১৫০-২০০ মিলি/ডিএল কম থাকে, তাহলে ব্যায়াম শুরুর আগে ১৫ গ্রাম শর্করাজাতীয় খাবার খেতে হবে। বড়দের ক্ষেত্রে ১০০ মিলি/ডিএল কম শর্করা থাকলে অন্তত ৫-১৫ গ্রাম শর্করা খাবার খেতে হবে। যদি ব্যায়াম শুরু করার আগে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে হালকা ব্যায়াম করতে হবে। শরীরের সামর্থ্য অনুযায়ী ধীরে ধীরে ব্যায়াম করা ভালো। ব্যায়ামের সময় হাতের কাছে গ্লুকোজ বা চিনির শরবত রাখতে হবে, যাতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে দ্রুত পান করা যায়।
লেখক: ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
আরও পড়ুন:
টাইপ-১ জুভেনাইল ডায়াবেটিস হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে শিশুদের অগ্ন্যাশয় খুব কম ইনসুলিন উৎপন্ন করে বা ইনসুলিন উৎপন্ন করতে অক্ষম হয়ে যায়। ইনসুলিনের অভাবে দেহ শর্করা ভাঙতে পারে না। তাই শর্করা রক্তপ্রবাহে থেকে যায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা সর্বোচ্চ স্তরে উঠে যায় এবং মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়।
লক্ষণ
ঘন ঘন মূত্রত্যাগ
খুব তৃষ্ণা লাগা
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাওয়া
লক্ষণীয় ওজন হ্রাস
অস্বাভাবিক ক্লান্তি লাগা
বমি বমি ভাব
বিরক্তি বোধ করা দ্রুত শ্বাস ফেলা বা অজ্ঞান হয়ে পড়া।
টাইপ-১ জুভেনাইল ডায়াবেটিস হলে সারা জীবন চিকিৎসা নিতে হয় এবং নিয়মতান্ত্রিক জীবনধারা, শারীরিক পরিশ্রম, ডায়েট ও ইনসুলিন নিয়ে চলতে হয়। অতিরিক্ত ওজন, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, পড়াশোনার চাপ, মানসিক অস্থিরতা অনেক ক্ষেত্রে টাইপ-১ ডায়াবেটিসের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। তাই সচেতন হওয়া জরুরি।
যা করবেন
ইনডোর গেম: ঘরে বসে নানা রকম খেলায় যুক্ত করতে হবে। যেমন: হসপস, টেবিল টেনিস, দড়ির লাফ, শিশুদের বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে বল ঝুড়িতে ফেলা, বেলুন নিয়ে লাফানো, লুকোচুরি, জাম্পিং, ইনডোর সাইকেল, এমনকি যোগ হতে পারে ভালো ব্যায়াম। এ ছাড়া শিশুদের নাচের ক্লাস বা জুম্বা বেশ কার্যকর ব্যায়াম। শিশুদের সপ্তাহে প্রতিদিন অন্তত ৬০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম করা প্রয়োজন।
আউটডোর গেম: প্রতিদিন নিয়ম করে ঘণ্টাখানেক সাইকেল চালানো, হাঁটা, ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, হ্যান্ডবল, সাঁতার কাটা এমনকি তায়কোয়ান্দ হতে পারে আনন্দদায়ক ব্যায়াম। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে হলে ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। না হলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করা কমে গিয়ে মৃত্যুঝুঁকি বাড়তে পারে।
সতর্কতা
ব্যায়াম করার আগে রক্তের গ্লুকোজ মেপে দেখতে হবে। শিশুদের যদি ১৫০-২০০ মিলি/ডিএল কম থাকে, তাহলে ব্যায়াম শুরুর আগে ১৫ গ্রাম শর্করাজাতীয় খাবার খেতে হবে। বড়দের ক্ষেত্রে ১০০ মিলি/ডিএল কম শর্করা থাকলে অন্তত ৫-১৫ গ্রাম শর্করা খাবার খেতে হবে। যদি ব্যায়াম শুরু করার আগে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে হালকা ব্যায়াম করতে হবে। শরীরের সামর্থ্য অনুযায়ী ধীরে ধীরে ব্যায়াম করা ভালো। ব্যায়ামের সময় হাতের কাছে গ্লুকোজ বা চিনির শরবত রাখতে হবে, যাতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে দ্রুত পান করা যায়।
লেখক: ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
আরও পড়ুন:
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে