মো. আরমান বিন আজিজ মজুমদার
প্রশ্ন: তিন দিন আগে মেয়ের জন্ম। সম্ভাব্য ডেলিভারির তারিখ থেকে অনেক আগে, অর্থাৎ ৩৪ সপ্তাহের দিকে ওর জন্ম হয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, ওর চোখের রেটিনা পরীক্ষা করা জরুরি। আমি জানতে চাই, চোখের রেটিনা পরীক্ষা না করালে কি কোনো সমস্যা হবে?
আনিকা, ঢাকা
সাধারণত অপরিণত নবজাতক, অর্থাৎ ৩৫ সপ্তাহের কম সময়ে কিংবা দুই কেজির কম ওজনে জন্ম নেওয়া শিশুরা রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচিউরিটি (আরওপি) ঝুঁকির মধ্যে থাকে। শিশুদের জন্মগত অন্ধত্বের অন্যতম কারণ এটি। এ ধরনের শিশুর জন্মের ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রেটিনা পরীক্ষা করা এবং শনাক্ত হলে চিকিৎসা শুরু করা খুবই জরুরি। সময় নষ্ট না করে আপনার শিশুর চোখের রেটিনা দ্রুত একজন অভিজ্ঞ রেটিনা বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। চিকিৎসা প্রয়োজন হলে তা শুরু করা দরকার।
প্রশ্ন: আমার দুই চোখে দুটি ভিন্ন পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করি। বাম চোখে -২.৫ এবং ডান চোখে -১.৫। ইদানীং ৩০ মিনিটের বেশি মোবাইল দেখলে বাম চোখ নিজ থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। শুধু ডান চোখ দিয়ে দেখার কারণে বাম চোখ ব্যথা করে এবং বাম চোখ দিয়ে পানি পড়ে। এ সমস্যার সমাধান কী?
মাহবুবুর রশিদ, ময়মনসিংহ
একনাগাড়ে দীর্ঘ সময় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের সময় ঘন ঘন চোখের পলক ফেলুন। কিছুক্ষণ পরপর কাজে বিরতি দিন। আপনার বাম চোখের চশমার পাওয়ার কিছুটা বেশি হওয়ায় দুই চোখের বাইনোকুলার ইমব্যালেন্সিং থেকেও এ সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া মাসল ফ্যাটিগনেস, ড্রাই আই কিংবা ইনফেকশনের ব্যাপারটাও ফেলে দেওয়া যায় না। আপাতত একটি ভালো মানের আর্টিফিশিয়াল টিয়ার দিনে ৩-৪ বার ব্যবহার করে সমস্যার উপশম হয় কি না, দেখুন। অবস্থার উন্নতি না হলে একজন অভিজ্ঞ চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। চশমার পাওয়ার পুনরায় চেক করুন এবং সমস্যার কথা খুলে বলুন।
প্রশ্ন: ছেলের বয়স ১০ বছর। ইদানীং লক্ষ করছি, সে টিভির সামনে গিয়ে টিভি দেখে এবং মাঝেমধ্যে মাথাব্যথার কথাও বলে। সমাধান জানতে চাই।
সুমনা শোভা, সাতক্ষীরা
আমেরিকান ভিজ্যুয়াল রিপ্রোডাকশন স্ট্যান্ডার্ডের মতে, টিভি দেখার দূরত্ব যাচাই করার সর্বোত্তম উপায়টি হচ্ছে, টিভির পর্দা যত ইঞ্চি তাকে শূন্য দশমিক ৮৪ দিয়ে ভাগ দেওয়া। কেউ ৬৫ ইঞ্চির টিভি কিনতে চাইলে ৬৫-কে শূন্য দশমিক ৮৪ দিয়ে ভাগ দিলে পাওয়া যায় ৭৭ ইঞ্চি। সে হিসাবে ২৮ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ২ দশমিক ৭ ফুট, ৩২ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ৩ দশমিক ২ ফুট, ৪০ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ৪ ফুট, ৫০ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ৫ ফুট, ৬০ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ৬ ফুট আর ৮৫ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ৮ দশমিক ৪ ফুট। মোটামুটি এই হলো গাণিতিক হিসাব। তবে সাধারণত টিভি দেখার দূরত্ব ৮ থেকে ১০ ফুট রাখতে বলা হয়। কখনোই টিভির সামনে গিয়ে দেখা উচিত নয়। শিশুদের এ কাজ থেকে বিরত রাখবেন। প্রশ্নে আপনার শিশুটি চশমা ব্যবহার করে কি না, তা উল্লেখ করেননি। আপনার সন্তানের চশমার প্রয়োজন আছে কি না, তা পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। ব্যবস্থাপত্রে চশমা দেওয়া হলে তা ব্যবহারে যত্নবান হোন। টিভি, মোবাইল, কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি থাকলে তা কমানোর ব্যাপারেও সতর্ক হোন।
প্রশ্ন: শিশুর বয়স ৯ মাস। চিকিৎসক বলেছেন, ওর চোখে ছানি পড়েছে। অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করাতে হবে। শিশুদেরও কি ছানি পড়তে পারে? অপারেশন ছাড়া এর বিকল্প কোনো চিকিৎসা আছে কি?
জীবন কৃষ্ণ, সিলেট
যেকোনো বয়সে, যেকোনো সময়ে ছানি পড়তে পারে। শিশুদের স্থায়ী অন্ধত্ব ও দৃষ্টিস্বল্পতার অন্যতম প্রধান কারণ জন্মগত ছানি। সাধারণত গর্ভকালীন কিছু জটিলতা, আঘাত কিংবা সংক্রমণের কারণে ছানি পড়তে পারে। অপারেশন ছানি রোগের একমাত্র চিকিৎসা। আপনি অতিদ্রুত একজন শিশু চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে আপনার সন্তানের অপারেশন করিয়ে ফেলুন। অপারেশনে দেরি হলে শিশুর চোখের দৃষ্টি আজীবনের জন্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন, মো. আরমান বিন আজিজ মজুমদার, সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
প্রশ্ন: তিন দিন আগে মেয়ের জন্ম। সম্ভাব্য ডেলিভারির তারিখ থেকে অনেক আগে, অর্থাৎ ৩৪ সপ্তাহের দিকে ওর জন্ম হয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, ওর চোখের রেটিনা পরীক্ষা করা জরুরি। আমি জানতে চাই, চোখের রেটিনা পরীক্ষা না করালে কি কোনো সমস্যা হবে?
আনিকা, ঢাকা
সাধারণত অপরিণত নবজাতক, অর্থাৎ ৩৫ সপ্তাহের কম সময়ে কিংবা দুই কেজির কম ওজনে জন্ম নেওয়া শিশুরা রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচিউরিটি (আরওপি) ঝুঁকির মধ্যে থাকে। শিশুদের জন্মগত অন্ধত্বের অন্যতম কারণ এটি। এ ধরনের শিশুর জন্মের ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রেটিনা পরীক্ষা করা এবং শনাক্ত হলে চিকিৎসা শুরু করা খুবই জরুরি। সময় নষ্ট না করে আপনার শিশুর চোখের রেটিনা দ্রুত একজন অভিজ্ঞ রেটিনা বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। চিকিৎসা প্রয়োজন হলে তা শুরু করা দরকার।
প্রশ্ন: আমার দুই চোখে দুটি ভিন্ন পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করি। বাম চোখে -২.৫ এবং ডান চোখে -১.৫। ইদানীং ৩০ মিনিটের বেশি মোবাইল দেখলে বাম চোখ নিজ থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। শুধু ডান চোখ দিয়ে দেখার কারণে বাম চোখ ব্যথা করে এবং বাম চোখ দিয়ে পানি পড়ে। এ সমস্যার সমাধান কী?
মাহবুবুর রশিদ, ময়মনসিংহ
একনাগাড়ে দীর্ঘ সময় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের সময় ঘন ঘন চোখের পলক ফেলুন। কিছুক্ষণ পরপর কাজে বিরতি দিন। আপনার বাম চোখের চশমার পাওয়ার কিছুটা বেশি হওয়ায় দুই চোখের বাইনোকুলার ইমব্যালেন্সিং থেকেও এ সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া মাসল ফ্যাটিগনেস, ড্রাই আই কিংবা ইনফেকশনের ব্যাপারটাও ফেলে দেওয়া যায় না। আপাতত একটি ভালো মানের আর্টিফিশিয়াল টিয়ার দিনে ৩-৪ বার ব্যবহার করে সমস্যার উপশম হয় কি না, দেখুন। অবস্থার উন্নতি না হলে একজন অভিজ্ঞ চক্ষুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। চশমার পাওয়ার পুনরায় চেক করুন এবং সমস্যার কথা খুলে বলুন।
প্রশ্ন: ছেলের বয়স ১০ বছর। ইদানীং লক্ষ করছি, সে টিভির সামনে গিয়ে টিভি দেখে এবং মাঝেমধ্যে মাথাব্যথার কথাও বলে। সমাধান জানতে চাই।
সুমনা শোভা, সাতক্ষীরা
আমেরিকান ভিজ্যুয়াল রিপ্রোডাকশন স্ট্যান্ডার্ডের মতে, টিভি দেখার দূরত্ব যাচাই করার সর্বোত্তম উপায়টি হচ্ছে, টিভির পর্দা যত ইঞ্চি তাকে শূন্য দশমিক ৮৪ দিয়ে ভাগ দেওয়া। কেউ ৬৫ ইঞ্চির টিভি কিনতে চাইলে ৬৫-কে শূন্য দশমিক ৮৪ দিয়ে ভাগ দিলে পাওয়া যায় ৭৭ ইঞ্চি। সে হিসাবে ২৮ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ২ দশমিক ৭ ফুট, ৩২ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ৩ দশমিক ২ ফুট, ৪০ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ৪ ফুট, ৫০ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ৫ ফুট, ৬০ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ৬ ফুট আর ৮৫ ইঞ্চির টিভি হলে দূরত্ব হবে ৮ দশমিক ৪ ফুট। মোটামুটি এই হলো গাণিতিক হিসাব। তবে সাধারণত টিভি দেখার দূরত্ব ৮ থেকে ১০ ফুট রাখতে বলা হয়। কখনোই টিভির সামনে গিয়ে দেখা উচিত নয়। শিশুদের এ কাজ থেকে বিরত রাখবেন। প্রশ্নে আপনার শিশুটি চশমা ব্যবহার করে কি না, তা উল্লেখ করেননি। আপনার সন্তানের চশমার প্রয়োজন আছে কি না, তা পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। ব্যবস্থাপত্রে চশমা দেওয়া হলে তা ব্যবহারে যত্নবান হোন। টিভি, মোবাইল, কম্পিউটার ব্যবহারে আসক্তি থাকলে তা কমানোর ব্যাপারেও সতর্ক হোন।
প্রশ্ন: শিশুর বয়স ৯ মাস। চিকিৎসক বলেছেন, ওর চোখে ছানি পড়েছে। অপারেশনের মাধ্যমে অপসারণ করাতে হবে। শিশুদেরও কি ছানি পড়তে পারে? অপারেশন ছাড়া এর বিকল্প কোনো চিকিৎসা আছে কি?
জীবন কৃষ্ণ, সিলেট
যেকোনো বয়সে, যেকোনো সময়ে ছানি পড়তে পারে। শিশুদের স্থায়ী অন্ধত্ব ও দৃষ্টিস্বল্পতার অন্যতম প্রধান কারণ জন্মগত ছানি। সাধারণত গর্ভকালীন কিছু জটিলতা, আঘাত কিংবা সংক্রমণের কারণে ছানি পড়তে পারে। অপারেশন ছানি রোগের একমাত্র চিকিৎসা। আপনি অতিদ্রুত একজন শিশু চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে আপনার সন্তানের অপারেশন করিয়ে ফেলুন। অপারেশনে দেরি হলে শিশুর চোখের দৃষ্টি আজীবনের জন্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
পরামর্শ দিয়েছেন, মো. আরমান বিন আজিজ মজুমদার, সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
২ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
২ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে