ডা. মো. ফরহাদ আহমেদ
ক্যানসার রোগ নিয়ে মানুষ এখন অনেক সচেতন। আবার ক্যানসার নিয়ে ভীতির কারণও আছে। তাই কোন ধরনের টিউমার ক্যানসার সৃষ্টি করে আর কোন ধরনের টিউমার সেটা করে না, তা জানতে হবে।
টিউমার হলো শরীরের অস্বাভাবিক টিস্যুপিণ্ড, যার কোষ বৃদ্ধি হয় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক দ্রুত, অনিয়ন্ত্রিত ও সমন্বয়হীনভাবে। কোষের ধরন ও আচরণ অনুসারে টিউমার দুই ধরনের। বিনাইন ও ম্যালিগনেন্ট। বিনাইন টিউমার বিপজ্জনক নয়।
বিনাইন টিউমারের বৈশিষ্ট্য
তবে ম্যালিগনেন্ট টিউমার খুবই বিপজ্জনক। এটি স্বভাবতই কোনো আবরণে বেষ্টিত থাকে না। ফলে বৃদ্ধি হয় অনিয়ন্ত্রিত ও অগোছালোভাবে, বৃদ্ধি ঘটে দ্রুত, আশপাশের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে, রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্য জায়গায়ও ছড়িয়ে পড়ে। এই ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে আমরা ক্যানসার নামে জানি। শরীরের অন্য কোথাও, যেমন ফুসফুস, থাইরয়েড, খাদ্যনালি, কিডনি কিংবা নারীদের ক্ষেত্রে স্তনে ক্যানসার হলে অনেক ক্ষেত্রে সেটা মস্তিষ্কে ছড়িয়ে যেতে পারে, যেটাকে মেটাস্টাটিক টিউমার বলে। আবার মস্তিষ্কের নিজস্ব ক্যানসারও রয়েছে, যেটা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং খুব দ্রুত বড় হয়।
লক্ষণ
ক্যানসার আক্রান্ত হলে ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব, রক্তশূন্যতা, অল্প সময়ে ওজন কমে যাওয়া, দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ার মতো লক্ষণ প্রকাশ পায়। একই সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে প্যারালাইসিস, কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া, তীব্র মাথাব্যথা, বমি, ঘনঘন খিঁচুনি, জ্ঞান হারিয়ে ফেলা—এ ধরনের উপসর্গও দেখা দেয়।
চিকিৎসা
এসব ক্যানসারে দ্রুত সময়ের রেফারেল ও চিকিৎসা শুরু না হলে, রোগীর সার্বিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সার্জারি করে টিউমার বের করে আনলে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রেডিওকেমোথেরাপি নিলে রোগী অনেক দিন বেঁচে থাকেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রোগীদের ফিজিওথেরাপি, স্পিচ থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপিরও প্রয়োজন হয়।
অস্ত্রোপচার
ক্যানসার-আক্রান্ত কোষগুলো এবং তার আশপাশের কোষগুলোকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে সরিয়ে ফেলা হয়। ক্যানসার যদি অল্প জায়গাজুড়ে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে এ ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়।
রেডিওথেরাপি
নিয়ন্ত্রিতভাবে শরীরের অংশবিশেষে তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করে সেই জায়গার কোষগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়।
কেমোথেরাপি
ক্যানসার কোষকে ধ্বংস করতে অ্যান্টি-ক্যানসার (সাইটোটক্সিক) ড্রাগস বা ওষুধ ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের কেমোথেরাপি ওষুধ রয়েছে। এগুলোর কোনোটা ট্যাবলেট আবার কোনোটা ক্যাপসুল হিসেবে খেতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ওষুধগুলো স্যালাইনের সঙ্গে বা অন্য কোনোভাবে সরাসরি রক্তে দিয়ে দেয়া হয়। রক্তের সঙ্গে মিশে এই ওষুধগুলো শরীরের যেখানে যেখানে ক্যানসার কোষ রয়েছে, সেখানে গিয়ে সেগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
পরামর্শ দিয়েছেন: ব্রেন, নিউরোভাসকুলার ও স্পাইন সার্জারি বিশেষজ্ঞ, নিউরো সার্জারি বিভাগ, আলোক হাসপাতাল, মিরপুর-১০, ঢাকা
ক্যানসার রোগ নিয়ে মানুষ এখন অনেক সচেতন। আবার ক্যানসার নিয়ে ভীতির কারণও আছে। তাই কোন ধরনের টিউমার ক্যানসার সৃষ্টি করে আর কোন ধরনের টিউমার সেটা করে না, তা জানতে হবে।
টিউমার হলো শরীরের অস্বাভাবিক টিস্যুপিণ্ড, যার কোষ বৃদ্ধি হয় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক দ্রুত, অনিয়ন্ত্রিত ও সমন্বয়হীনভাবে। কোষের ধরন ও আচরণ অনুসারে টিউমার দুই ধরনের। বিনাইন ও ম্যালিগনেন্ট। বিনাইন টিউমার বিপজ্জনক নয়।
বিনাইন টিউমারের বৈশিষ্ট্য
তবে ম্যালিগনেন্ট টিউমার খুবই বিপজ্জনক। এটি স্বভাবতই কোনো আবরণে বেষ্টিত থাকে না। ফলে বৃদ্ধি হয় অনিয়ন্ত্রিত ও অগোছালোভাবে, বৃদ্ধি ঘটে দ্রুত, আশপাশের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে, রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্য জায়গায়ও ছড়িয়ে পড়ে। এই ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে আমরা ক্যানসার নামে জানি। শরীরের অন্য কোথাও, যেমন ফুসফুস, থাইরয়েড, খাদ্যনালি, কিডনি কিংবা নারীদের ক্ষেত্রে স্তনে ক্যানসার হলে অনেক ক্ষেত্রে সেটা মস্তিষ্কে ছড়িয়ে যেতে পারে, যেটাকে মেটাস্টাটিক টিউমার বলে। আবার মস্তিষ্কের নিজস্ব ক্যানসারও রয়েছে, যেটা মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং খুব দ্রুত বড় হয়।
লক্ষণ
ক্যানসার আক্রান্ত হলে ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব, রক্তশূন্যতা, অল্প সময়ে ওজন কমে যাওয়া, দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ার মতো লক্ষণ প্রকাশ পায়। একই সঙ্গে মস্তিষ্কের ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে প্যারালাইসিস, কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া, তীব্র মাথাব্যথা, বমি, ঘনঘন খিঁচুনি, জ্ঞান হারিয়ে ফেলা—এ ধরনের উপসর্গও দেখা দেয়।
চিকিৎসা
এসব ক্যানসারে দ্রুত সময়ের রেফারেল ও চিকিৎসা শুরু না হলে, রোগীর সার্বিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সার্জারি করে টিউমার বের করে আনলে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রেডিওকেমোথেরাপি নিলে রোগী অনেক দিন বেঁচে থাকেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রোগীদের ফিজিওথেরাপি, স্পিচ থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপিরও প্রয়োজন হয়।
অস্ত্রোপচার
ক্যানসার-আক্রান্ত কোষগুলো এবং তার আশপাশের কোষগুলোকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে সরিয়ে ফেলা হয়। ক্যানসার যদি অল্প জায়গাজুড়ে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলে এ ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়।
রেডিওথেরাপি
নিয়ন্ত্রিতভাবে শরীরের অংশবিশেষে তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করে সেই জায়গার কোষগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়।
কেমোথেরাপি
ক্যানসার কোষকে ধ্বংস করতে অ্যান্টি-ক্যানসার (সাইটোটক্সিক) ড্রাগস বা ওষুধ ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের কেমোথেরাপি ওষুধ রয়েছে। এগুলোর কোনোটা ট্যাবলেট আবার কোনোটা ক্যাপসুল হিসেবে খেতে হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ওষুধগুলো স্যালাইনের সঙ্গে বা অন্য কোনোভাবে সরাসরি রক্তে দিয়ে দেয়া হয়। রক্তের সঙ্গে মিশে এই ওষুধগুলো শরীরের যেখানে যেখানে ক্যানসার কোষ রয়েছে, সেখানে গিয়ে সেগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে।
পরামর্শ দিয়েছেন: ব্রেন, নিউরোভাসকুলার ও স্পাইন সার্জারি বিশেষজ্ঞ, নিউরো সার্জারি বিভাগ, আলোক হাসপাতাল, মিরপুর-১০, ঢাকা
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
২১ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে