নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে নারী স্বাস্থ্যের বিষয়টি এখনো অবহেলিত। অনেক পরিবারেই নারীকে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতালে যেতে স্বামী বা শাশুড়ির অনুমতি নিতে হয়। নারী স্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে শিক্ষিতদের মধ্যেও সচেতনতার অভাব রয়েছে। স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সচেতন করতে পাঠ্যক্রমে প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে পড়াতে সংকোচ বোধ করেন।
বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশনের (বিডব্লিউএইচসি) চার দশক পূর্তি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থার কর্মকর্তারা। সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে নারীস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শরিফ মোস্তফা হেলাল বলেন, ‘স্কুল পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তকে খুব সুন্দরভাবে প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গায়ই আমরা শুনেছি, শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের বলেন ওই চ্যাপ্টারগুলো বাসায় পড়ে নিতে। যেসব জায়গায় শিক্ষক নারী এবং শিক্ষার্থীদের সবাই কিশোরী, সেসব ক্ষেত্রেও এমনটা করা হয়। অর্থাৎ শিক্ষকেরা এ বিষয়গুলো পড়াতে সংকোচ বোধ করেন। শিক্ষকদের এই সংকোচ কাটাতে হবে।’
বক্তারা জানান, প্রসবজনিত রোগ ফিস্টুলা নারীদের একটি জটিল সমস্যা। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে অনেক নারীই এই রোগে আক্রান্ত হন। মাতৃস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হলে ফিস্টুলার মতো অনেক জটিল অসুখ এড়ানো সম্ভব।
সংস্থার সভাপতি নাসিমুন আরা হক বলেন, ‘মা হওয়াটা নারীর দুর্বলতা নয়, শক্তি। গর্ভবতী অবস্থায় সঠিক চিকিৎসা পাওয়া নারীর অধিকার। মাতৃমৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। কিন্তু আমাদের আরও কাজ করতে হবে। আমরা চাই, আর একজন নারীকেও যেন সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করতে না হয়।’
বিডব্লিউএইচসি ৪২ বছর ধরে নারীস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে। ১৯৮০ সালের ১ এপ্রিল সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সেবা দেওয়ার মধ্য দিয়ে সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিডব্লিউএইচসির নেতারা সংস্থাটির ৪২ বছরের কার্যক্রম, সফলতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তাঁরা জানান, ৪২ বছরে বিডব্লিউএইচসি ৭ কোটির বেশি নারীকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলেছে। এ সময়ে ৯২টি প্রকল্পের কাজ হয়েছে।
সংস্থার সহসভাপতি জাহানারা সাদেক বলেন, ‘১৯৮৪ সালে আমরা প্রথম নারীদের এমআর (মাসিক নিয়মিতকরণ) সেবা দেওয়া শুরু করি। সে সময় পরিবার পরিকল্পনার বিষয়টি একরকম নিষিদ্ধই ছিল। ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫৪ জন নারীকে আমরা এই সেবা দিয়েছি।’
স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি নারীদের আইনগত বিষয়ে সচেতন করে তোলা এবং বাল্যবিবাহ দূরীকরণেও কাজ করছে বিডব্লিউএইচসি। সারা দেশে ১৫টি সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে এসব কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
দেশে নারী স্বাস্থ্যের বিষয়টি এখনো অবহেলিত। অনেক পরিবারেই নারীকে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতালে যেতে স্বামী বা শাশুড়ির অনুমতি নিতে হয়। নারী স্বাস্থ্য ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে শিক্ষিতদের মধ্যেও সচেতনতার অভাব রয়েছে। স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সচেতন করতে পাঠ্যক্রমে প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে পড়াতে সংকোচ বোধ করেন।
বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশনের (বিডব্লিউএইচসি) চার দশক পূর্তি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থার কর্মকর্তারা। সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে নারীস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শরিফ মোস্তফা হেলাল বলেন, ‘স্কুল পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তকে খুব সুন্দরভাবে প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গায়ই আমরা শুনেছি, শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের বলেন ওই চ্যাপ্টারগুলো বাসায় পড়ে নিতে। যেসব জায়গায় শিক্ষক নারী এবং শিক্ষার্থীদের সবাই কিশোরী, সেসব ক্ষেত্রেও এমনটা করা হয়। অর্থাৎ শিক্ষকেরা এ বিষয়গুলো পড়াতে সংকোচ বোধ করেন। শিক্ষকদের এই সংকোচ কাটাতে হবে।’
বক্তারা জানান, প্রসবজনিত রোগ ফিস্টুলা নারীদের একটি জটিল সমস্যা। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়ার কারণে অনেক নারীই এই রোগে আক্রান্ত হন। মাতৃস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হলে ফিস্টুলার মতো অনেক জটিল অসুখ এড়ানো সম্ভব।
সংস্থার সভাপতি নাসিমুন আরা হক বলেন, ‘মা হওয়াটা নারীর দুর্বলতা নয়, শক্তি। গর্ভবতী অবস্থায় সঠিক চিকিৎসা পাওয়া নারীর অধিকার। মাতৃমৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। কিন্তু আমাদের আরও কাজ করতে হবে। আমরা চাই, আর একজন নারীকেও যেন সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করতে না হয়।’
বিডব্লিউএইচসি ৪২ বছর ধরে নারীস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছে। ১৯৮০ সালের ১ এপ্রিল সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সেবা দেওয়ার মধ্য দিয়ে সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিডব্লিউএইচসির নেতারা সংস্থাটির ৪২ বছরের কার্যক্রম, সফলতা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তাঁরা জানান, ৪২ বছরে বিডব্লিউএইচসি ৭ কোটির বেশি নারীকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলেছে। এ সময়ে ৯২টি প্রকল্পের কাজ হয়েছে।
সংস্থার সহসভাপতি জাহানারা সাদেক বলেন, ‘১৯৮৪ সালে আমরা প্রথম নারীদের এমআর (মাসিক নিয়মিতকরণ) সেবা দেওয়া শুরু করি। সে সময় পরিবার পরিকল্পনার বিষয়টি একরকম নিষিদ্ধই ছিল। ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫৪ জন নারীকে আমরা এই সেবা দিয়েছি।’
স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি নারীদের আইনগত বিষয়ে সচেতন করে তোলা এবং বাল্যবিবাহ দূরীকরণেও কাজ করছে বিডব্লিউএইচসি। সারা দেশে ১৫টি সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে এসব কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে