লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ
সুস্থ জীবনের জন্য শরীরচর্চার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। স্থূলতা, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকতে অনেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন। রোজার সময় স্বাভাবিক কারণে অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে, রোজা রেখে শরীরচর্চা করা যাবে কি না। শুরুতেই বলে রাখা ভালো, রোজা ও শরীরচর্চা একই সঙ্গে চলতে পারে।
আমরা যখন না খেয়ে থাকি, তখন শুরুতে আমাদের শরীর সঞ্চিত শর্করা ভেঙে প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয়। এই শর্করা আসে মূলত যকৃৎ থেকে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে সঞ্চিত শর্করার জোগান শেষ হয়ে যায়। তখন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে সঞ্চিত চর্বি। এ কারণে রোজা রাখা অবস্থায় শরীরচর্চা করলে শরীরের জন্য শক্তির জোগান দিতে গিয়ে চর্বির মজুত কমতে থাকে। যাঁরা স্থূলকায়, তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোজা রেখে শরীরচর্চা করার সময় সিমপ্যাথেটিক স্নায়ুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। শরীরচর্চার ফলে মস্তিষ্ক, স্নায়ুকোষ ও পেশি সতেজ থাকে। এ কারণে রোজা রেখে শরীরচর্চা করলে শরীরে বাড়তি কিছু ইতিবাচক সুফল পাওয়া যায়। তবে রোজা রেখে শরীরচর্চা করতে গেলে কিছু বিষয়ের ওপর অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে।
লক্ষণীয় বিষয়
গরমের সময় শরীরচর্চা করলে যথেষ্ট পরিমাণ পানি ও লবণের ঘাটতি হতে পারে। পানিশূন্যতা তৈরি হলে শরীরের জন্য তা হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে জন্য পানিশূন্যতা যাতে তৈরি না হয়, সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। ঘাটতি পূরণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ফলমূল পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কমলা, আঙুর, মালটা, টমেটো, শসা ইত্যাদি পানির অন্যতম উৎস। খাদ্যতালিকায় এসব ফলমূল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ইফতারের পর থেকে সাহ্রির আগপর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করে শরীরে যথেষ্ট পানি ধরে রাখতে হবে। মিহি শর্করাজাতীয় খাদ্যের তুলনায় তন্তুজাতীয় শর্করা খাদ্য গ্রহণ করার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। আর খাদ্যতালিকায় অবশ্যই আমিষের জোগান থাকতে হবে।
কখন শরীরচর্চা করবেন
রোজা রেখে শরীরচর্চার জন্য যথাযথ সময় নির্বাচন করা খুবই জরুরি। তারাবির নামাজের পর শরীরচর্চা করা ভালো। এ সময় ইচ্ছেমতো পানি পান করা যায় এবং শারীরিক কোনো অসুবিধা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। ইফতারের পর থেকে তারাবির আগপর্যন্ত শরীরচর্চা করা সম্ভব। তবে যাঁরা সুস্থ-সুঠাম দেহের অধিকারী, তাঁদের যদি পানিশূন্যতার আশঙ্কা না থাকে, তাহলে ইফতারের আগেও শরীরচর্চা করতে পারেন।
রোজা রেখে সকালে শরীরচর্চা করলে পানিশূন্যতার আশঙ্কা থাকে। সে জন্য সময়টি বাদ দেওয়া উচিত।
কোন ধরনের শরীরচর্চা উত্তম
রোজা রেখে হালকা ও মাঝারি মাত্রার শরীরচর্চা করা যেতে পারে। হাঁটা, ধীরগতিতে জগিং করা, ওজনদার কিছু উত্তোলন করা, সাঁতার কাটা, সাইক্লিং, গলফ খেলার মতো মৃদু মাত্রার ব্যায়াম করতে কোনো বাধা নেই। যেসব শরীরচর্চায় হৃৎস্পন্দনের গতি মিনিটে ১৫০-এর বেশি হয়, সে ধরনের শরীরচর্চা রোজা রেখে করা যাবে না। পেশিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম রোজার সময় বেশি উপযোগী। রিচআপ, পুশআপ, ওজন উত্তোলন, জায়গায় দাঁড়িয়ে ওঠবস করা—এ ধরনের ব্যায়ামের পর্যায়ে পড়ে।
সুস্থ জীবনের জন্য শরীরচর্চার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। স্থূলতা, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকতে অনেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন। রোজার সময় স্বাভাবিক কারণে অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হতে পারে, রোজা রেখে শরীরচর্চা করা যাবে কি না। শুরুতেই বলে রাখা ভালো, রোজা ও শরীরচর্চা একই সঙ্গে চলতে পারে।
আমরা যখন না খেয়ে থাকি, তখন শুরুতে আমাদের শরীর সঞ্চিত শর্করা ভেঙে প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয়। এই শর্করা আসে মূলত যকৃৎ থেকে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে সঞ্চিত শর্করার জোগান শেষ হয়ে যায়। তখন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে সঞ্চিত চর্বি। এ কারণে রোজা রাখা অবস্থায় শরীরচর্চা করলে শরীরের জন্য শক্তির জোগান দিতে গিয়ে চর্বির মজুত কমতে থাকে। যাঁরা স্থূলকায়, তাঁদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোজা রেখে শরীরচর্চা করার সময় সিমপ্যাথেটিক স্নায়ুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। শরীরচর্চার ফলে মস্তিষ্ক, স্নায়ুকোষ ও পেশি সতেজ থাকে। এ কারণে রোজা রেখে শরীরচর্চা করলে শরীরে বাড়তি কিছু ইতিবাচক সুফল পাওয়া যায়। তবে রোজা রেখে শরীরচর্চা করতে গেলে কিছু বিষয়ের ওপর অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে।
লক্ষণীয় বিষয়
গরমের সময় শরীরচর্চা করলে যথেষ্ট পরিমাণ পানি ও লবণের ঘাটতি হতে পারে। পানিশূন্যতা তৈরি হলে শরীরের জন্য তা হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। সে জন্য পানিশূন্যতা যাতে তৈরি না হয়, সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। ঘাটতি পূরণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ফলমূল পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কমলা, আঙুর, মালটা, টমেটো, শসা ইত্যাদি পানির অন্যতম উৎস। খাদ্যতালিকায় এসব ফলমূল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ইফতারের পর থেকে সাহ্রির আগপর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করে শরীরে যথেষ্ট পানি ধরে রাখতে হবে। মিহি শর্করাজাতীয় খাদ্যের তুলনায় তন্তুজাতীয় শর্করা খাদ্য গ্রহণ করার দিকে বেশি নজর দিতে হবে। আর খাদ্যতালিকায় অবশ্যই আমিষের জোগান থাকতে হবে।
কখন শরীরচর্চা করবেন
রোজা রেখে শরীরচর্চার জন্য যথাযথ সময় নির্বাচন করা খুবই জরুরি। তারাবির নামাজের পর শরীরচর্চা করা ভালো। এ সময় ইচ্ছেমতো পানি পান করা যায় এবং শারীরিক কোনো অসুবিধা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। ইফতারের পর থেকে তারাবির আগপর্যন্ত শরীরচর্চা করা সম্ভব। তবে যাঁরা সুস্থ-সুঠাম দেহের অধিকারী, তাঁদের যদি পানিশূন্যতার আশঙ্কা না থাকে, তাহলে ইফতারের আগেও শরীরচর্চা করতে পারেন।
রোজা রেখে সকালে শরীরচর্চা করলে পানিশূন্যতার আশঙ্কা থাকে। সে জন্য সময়টি বাদ দেওয়া উচিত।
কোন ধরনের শরীরচর্চা উত্তম
রোজা রেখে হালকা ও মাঝারি মাত্রার শরীরচর্চা করা যেতে পারে। হাঁটা, ধীরগতিতে জগিং করা, ওজনদার কিছু উত্তোলন করা, সাঁতার কাটা, সাইক্লিং, গলফ খেলার মতো মৃদু মাত্রার ব্যায়াম করতে কোনো বাধা নেই। যেসব শরীরচর্চায় হৃৎস্পন্দনের গতি মিনিটে ১৫০-এর বেশি হয়, সে ধরনের শরীরচর্চা রোজা রেখে করা যাবে না। পেশিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম রোজার সময় বেশি উপযোগী। রিচআপ, পুশআপ, ওজন উত্তোলন, জায়গায় দাঁড়িয়ে ওঠবস করা—এ ধরনের ব্যায়ামের পর্যায়ে পড়ে।
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
২১ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে