কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
একটি পরিবারে যখন নতুন কোনো প্রাণের আগমন ঘটে, তখন তার জন্য সবকিছুই বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়। এই নতুন প্রাণটি যখন শারীরিকভাবে অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার অভিভাবকেরা। তাঁরা চান শিশুটির জন্য সর্বোচ্চ সেবা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে। তাই জানা থাকা ভালো—কোথায় আছে শিশুর জন্য কোন কোন চিকিৎসা সুবিধা।
১৯৭২ সালে ধানমন্ডির একটি বাড়িতে ৫০টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। এরপর ১৯৭৭ সালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালটি। বর্তমানে এই হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৭০৩। ২০২১ সালে হাসপাতালটিকে সরকার সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ঘোষণা করে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২১ পাস করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতাল।
টিকিট সংগ্রহ: বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সেবা পেতে হলে শিশুর অভিভাবককে হাসপাতালের রিসিপশন থেকে একটি টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। স্ক্রিন, সিডিসহ ইমার্জেন্সি, ডেন্টাল, মেডিসিন ও সার্জারির জন্য টিকিটের মূল্য ১২০ টাকা এবং কনসালট্যান্টের জন্য ২০০ টাকা।
বিনা মূল্যের সিট: হাসপাতালটির প্রায় ৩৮ শতাংশ সিট বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য বরাদ্দ। ওষুধ, চিকিৎসাসেবা, বেড ফিসহ রোগীর খাবারও এ ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য: হাসপাতালটির রিসিপশনের করিডর পার হয়ে সামনের দিকে গেলে মূল ভবনে ঢোকার রাস্তা। সেখানে গাছের ছায়ায় দোলনা, স্লিপারসহ একটি ছোট পার্ক আছে। আছে সিমেন্টের তৈরি জীবজন্তু। অসুস্থ শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পার্কটি নির্দিষ্ট সময় খোলা ও বন্ধ করা হয়।
রোগীর সঙ্গে দেখা করার সময়: ২৪ ঘণ্টায় তিনবার রোগীর সঙ্গে দেখা করা যাবে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে নয়টা, বেলা একটা থেকে আড়াইটা এবং বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। এই সময়ের বাইরে রোগীর সঙ্গের কোনো অতিরিক্ত লোক ওয়ার্ডের ভেতরে অবস্থান করতে পারবে না।
যেসব সুবিধা আছে: স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) এমন একটি জেনেটিক রোগ, যার কারণে শিশুদের পেশি দুর্বল ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে সামান্য নড়াচড়াতেও অসুবিধা হয় শিশুর। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২০২২ সাল থেকে বিরল এই রোগের চিকিৎসা শুরু হয়।
হাসপাতালটিতে রয়েছে শিশু হৃদ্রোগ সার্জারি ইউনিট, ক্যাথ ল্যাব ও কার্ডিয়াক আইসিইউ। রয়েছে শিশুদের কিডনিজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য কিডনি আইসিইউ, ক্রিটিক্যাল কেয়ার নেফ্রোলজি অ্যান্ড ডায়ালাইসিস ইউনিট। শিশুর পুষ্টি, লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিভাগে পুষ্টি ও লিভারের পাশাপাশি অন্ত্রের জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের চিকিৎসা হয় এখানে। আরও রয়েছে অ্যাজমা সেন্টার, পিরিয়ডিক রেস্পেটরি সেন্টার ও শিশু ডায়াবেটিস সেন্টার। এ ছাড়া নিউরোলজি বিভাগের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে অটিজমসহ বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল অসুখ ও শিশুদের মানসিক সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। বর্তমানে ঠান্ডার কারণে বেশির ভাগ শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। নিউমোনিয়া রিসার্চ সেন্টারটিতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।
প্রতিদিনের ভাড়া: শিশুদের পিআইসিইউ, এনআইসিইউ, সিআইসিইউর এক দিনের ভাড়া ছয় হাজার টাকা। সেখানে ওষুধ, নেবুলাইজার ও অক্সিজেন ফি আলাদা করে দিতে হয়। এ ছাড়া কার্ডিয়াক এইচডিইউ এবং সিসইএনডির ভাড়া ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া সাধারণ কেবিনভাড়া ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ওয়ার্ডে বেডভাড়া ৭০০ টাকা।
৩৮ শতাংশ সংরক্ষিত শয্যার কারণে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ এখানে সমান সেবা নিতে পারেন বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ জন্যই হাসপাতালটিকে ২০০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতরে রয়েছে ব্যাংকিং সুবিধা ও এটিএম বুথ। ফলে শিশুর চিকিৎসা বাবদ জরুরি ভিত্তিতে টাকার দরকার হলে দ্রুতই এটিএম সেবা গ্রহণ করতে পারবেন অভিভাবকেরা।
একটি পরিবারে যখন নতুন কোনো প্রাণের আগমন ঘটে, তখন তার জন্য সবকিছুই বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়। এই নতুন প্রাণটি যখন শারীরিকভাবে অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার অভিভাবকেরা। তাঁরা চান শিশুটির জন্য সর্বোচ্চ সেবা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে। তাই জানা থাকা ভালো—কোথায় আছে শিশুর জন্য কোন কোন চিকিৎসা সুবিধা।
১৯৭২ সালে ধানমন্ডির একটি বাড়িতে ৫০টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। এরপর ১৯৭৭ সালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালটি। বর্তমানে এই হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৭০৩। ২০২১ সালে হাসপাতালটিকে সরকার সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ঘোষণা করে শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট আইন, ২০২১ পাস করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতাল।
টিকিট সংগ্রহ: বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সেবা পেতে হলে শিশুর অভিভাবককে হাসপাতালের রিসিপশন থেকে একটি টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। স্ক্রিন, সিডিসহ ইমার্জেন্সি, ডেন্টাল, মেডিসিন ও সার্জারির জন্য টিকিটের মূল্য ১২০ টাকা এবং কনসালট্যান্টের জন্য ২০০ টাকা।
বিনা মূল্যের সিট: হাসপাতালটির প্রায় ৩৮ শতাংশ সিট বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য বরাদ্দ। ওষুধ, চিকিৎসাসেবা, বেড ফিসহ রোগীর খাবারও এ ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য: হাসপাতালটির রিসিপশনের করিডর পার হয়ে সামনের দিকে গেলে মূল ভবনে ঢোকার রাস্তা। সেখানে গাছের ছায়ায় দোলনা, স্লিপারসহ একটি ছোট পার্ক আছে। আছে সিমেন্টের তৈরি জীবজন্তু। অসুস্থ শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে পার্কটি নির্দিষ্ট সময় খোলা ও বন্ধ করা হয়।
রোগীর সঙ্গে দেখা করার সময়: ২৪ ঘণ্টায় তিনবার রোগীর সঙ্গে দেখা করা যাবে। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে নয়টা, বেলা একটা থেকে আড়াইটা এবং বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা। এই সময়ের বাইরে রোগীর সঙ্গের কোনো অতিরিক্ত লোক ওয়ার্ডের ভেতরে অবস্থান করতে পারবে না।
যেসব সুবিধা আছে: স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি (এসএমএ) এমন একটি জেনেটিক রোগ, যার কারণে শিশুদের পেশি দুর্বল ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে সামান্য নড়াচড়াতেও অসুবিধা হয় শিশুর। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ২০২২ সাল থেকে বিরল এই রোগের চিকিৎসা শুরু হয়।
হাসপাতালটিতে রয়েছে শিশু হৃদ্রোগ সার্জারি ইউনিট, ক্যাথ ল্যাব ও কার্ডিয়াক আইসিইউ। রয়েছে শিশুদের কিডনিজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য কিডনি আইসিইউ, ক্রিটিক্যাল কেয়ার নেফ্রোলজি অ্যান্ড ডায়ালাইসিস ইউনিট। শিশুর পুষ্টি, লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিভাগে পুষ্টি ও লিভারের পাশাপাশি অন্ত্রের জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের চিকিৎসা হয় এখানে। আরও রয়েছে অ্যাজমা সেন্টার, পিরিয়ডিক রেস্পেটরি সেন্টার ও শিশু ডায়াবেটিস সেন্টার। এ ছাড়া নিউরোলজি বিভাগের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে অটিজমসহ বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল অসুখ ও শিশুদের মানসিক সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। বর্তমানে ঠান্ডার কারণে বেশির ভাগ শিশুই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। নিউমোনিয়া রিসার্চ সেন্টারটিতে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সার্বক্ষণিক সেবা নিশ্চিত করছেন সেখানকার চিকিৎসকেরা।
প্রতিদিনের ভাড়া: শিশুদের পিআইসিইউ, এনআইসিইউ, সিআইসিইউর এক দিনের ভাড়া ছয় হাজার টাকা। সেখানে ওষুধ, নেবুলাইজার ও অক্সিজেন ফি আলাদা করে দিতে হয়। এ ছাড়া কার্ডিয়াক এইচডিইউ এবং সিসইএনডির ভাড়া ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া সাধারণ কেবিনভাড়া ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ওয়ার্ডে বেডভাড়া ৭০০ টাকা।
৩৮ শতাংশ সংরক্ষিত শয্যার কারণে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ এখানে সমান সেবা নিতে পারেন বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ জন্যই হাসপাতালটিকে ২০০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করার পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি হাসপাতালের ভেতরে রয়েছে ব্যাংকিং সুবিধা ও এটিএম বুথ। ফলে শিশুর চিকিৎসা বাবদ জরুরি ভিত্তিতে টাকার দরকার হলে দ্রুতই এটিএম সেবা গ্রহণ করতে পারবেন অভিভাবকেরা।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে