বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বিশ্বে মোট মৃত্যুর ৩৩ শতাংশই হয় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে। আর হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ৮০ শতাংশেরই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রতি ২ মিনিটে একজন কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যান। এই সময় রোগীকে কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর)দেওয়া গেলে ১০ শতাংশ মৃত্যু রোধ করা সম্ভব।
আজ শুক্রবার বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বিষয়ক সচেতনতা ও সিপিআর প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আন্তর্জাতিক হার্ট ফেডারেশনের তথ্যের ভিত্তিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। সকালে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশন (হেলো) ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেলোর সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মো. কাইউম খান। প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসি অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী। বিশেষ অতিথি ছিলেন হেলোর উপদেষ্টা এবং অতিরিক্ত সচিব (অব.) মশিউর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, জাতীয় হৃদ্রোগ হাসপাতালের অধ্যাপক ও হেলোর প্রতিষ্ঠাতা ডা. মহসীন আহমদ।
কর্মশালায় হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আসিফ জামান তুষার ও ডা. মাহবুবা আক্তার চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে সিপিআর বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সকালে রাজধানীর হাতির ঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সাইকেল র্যালি এবং বিকেলে হেলোর সহযোগী সংগঠন আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের প্রিভেন্টিভ কার্ডিওকনের মাধ্যমে তাদের দিনব্যাপী এই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পর রোগীর জন্য ১০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় সিপিআর দেওয়া গেলে অনেক রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। পাঠ্যপুস্তকে সিপিআরকে অন্তর্ভুক্তকরণ ও স্কুল, কলেজে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক অকাল মৃত্যু রোধ করা যাবে।
অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী বলেন, সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। একটু সচেতন হলেই সিপিআরের মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। সময়মতো সিপিআর দেওয়া গেলে মৃত প্রায় মানুষকে প্রাণ দেওয়া যায়।
অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, জনসাধারণের মাঝে সিপিআর প্রশিক্ষণ একটি আবশ্যকীয় উদ্যোগ। হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের মতো সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ-ব্যাপারে এগিয়ে আসার ব্যাপারে তিনি অনুরোধ জানান।
অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমদ বলেন, ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর পেছনে সিপিআরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। উন্নত বিশ্বে এই গুরুত্ব উপলব্ধি করে সেখানে সিপিআর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে আমাদের দেশে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর সম্পর্কে জনসাধারণের ধারণা খুব একটা নেই। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। স্কুলের পাঠ্যতালিকায় সিপিআর অন্তর্ভুক্তির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই তা বাস্তবায়নে সক্ষম হব।’
বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথ সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউনুছুর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘বিশ্বে প্রতি বছর ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ হৃদ্রোগ, স্ট্রোক ও হার্ট ফেইলিউরে মারা যান। অথচ আমরা জীবনাচরণে কিছু পরিবর্তন যেমন—স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক দুশ্চিন্তা পরিহার করলে এই মরণব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’
দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বিশ্বে মোট মৃত্যুর ৩৩ শতাংশই হয় কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে। আর হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ৮০ শতাংশেরই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রতি ২ মিনিটে একজন কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যান। এই সময় রোগীকে কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর)দেওয়া গেলে ১০ শতাংশ মৃত্যু রোধ করা সম্ভব।
আজ শুক্রবার বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বিষয়ক সচেতনতা ও সিপিআর প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আন্তর্জাতিক হার্ট ফেডারেশনের তথ্যের ভিত্তিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। সকালে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশন (হেলো) ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেলোর সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মো. কাইউম খান। প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসি অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী। বিশেষ অতিথি ছিলেন হেলোর উপদেষ্টা এবং অতিরিক্ত সচিব (অব.) মশিউর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, জাতীয় হৃদ্রোগ হাসপাতালের অধ্যাপক ও হেলোর প্রতিষ্ঠাতা ডা. মহসীন আহমদ।
কর্মশালায় হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আসিফ জামান তুষার ও ডা. মাহবুবা আক্তার চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে সিপিআর বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সকালে রাজধানীর হাতির ঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সাইকেল র্যালি এবং বিকেলে হেলোর সহযোগী সংগঠন আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের প্রিভেন্টিভ কার্ডিওকনের মাধ্যমে তাদের দিনব্যাপী এই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পর রোগীর জন্য ১০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় সিপিআর দেওয়া গেলে অনেক রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। পাঠ্যপুস্তকে সিপিআরকে অন্তর্ভুক্তকরণ ও স্কুল, কলেজে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক অকাল মৃত্যু রোধ করা যাবে।
অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী বলেন, সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। একটু সচেতন হলেই সিপিআরের মাধ্যমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। সময়মতো সিপিআর দেওয়া গেলে মৃত প্রায় মানুষকে প্রাণ দেওয়া যায়।
অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, জনসাধারণের মাঝে সিপিআর প্রশিক্ষণ একটি আবশ্যকীয় উদ্যোগ। হেলো-আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের মতো সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এ-ব্যাপারে এগিয়ে আসার ব্যাপারে তিনি অনুরোধ জানান।
অধ্যাপক ডা. মহসীন আহমদ বলেন, ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচানোর পেছনে সিপিআরের ভূমিকা অনস্বীকার্য। উন্নত বিশ্বে এই গুরুত্ব উপলব্ধি করে সেখানে সিপিআর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে আমাদের দেশে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও সিপিআর সম্পর্কে জনসাধারণের ধারণা খুব একটা নেই। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। স্কুলের পাঠ্যতালিকায় সিপিআর অন্তর্ভুক্তির জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই তা বাস্তবায়নে সক্ষম হব।’
বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথ সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউনুছুর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘বিশ্বে প্রতি বছর ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ হৃদ্রোগ, স্ট্রোক ও হার্ট ফেইলিউরে মারা যান। অথচ আমরা জীবনাচরণে কিছু পরিবর্তন যেমন—স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক দুশ্চিন্তা পরিহার করলে এই মরণব্যাধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।’
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে