নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, সেটিকে গুজব বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনো এই রোগের কোনো রোগী ধরা পড়েনি।’ এ ছাড়া সংক্রামক এই রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘মাঙ্কিপক্স’ নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পশু থেকে এ রোগ ছড়ায়। সুতরাং যাদের ঘরে পোষা প্রাণী আছে, তাদের আলাদাভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনাভাইরাস শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বে আরও একটি ভাইরাস জেঁকে বসার উপক্রম হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ ১৪টি দেশে একটি ফুসকুড়িসহ জ্বরের ঘটনা ঘটেছে, যা মাঙ্কিপক্স হিসেবে নির্ণয় করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে শণাক্তযোগ্য ও বর্ধনশীল ব্যাধি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।’
উপাচার্য বলেন, ‘ইতিমধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।’
মাঙ্কিপক্সের উৎপত্তি প্রসঙ্গে শারফুদ্দিন বলেন, ‘এটি একটি ডিএনএ ভাইরাস। কাউপক্স, ভ্যাক্সিনিয়া ও ভ্যারিওলা এই গ্রুপের ভাইরাস। এটি একটি জুনোটিক ভাইরাস, যার প্রাথমিক সংক্রমণ সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বা সম্ভবত তাদের অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ঘটে বলে মনে করা হয়। এই ভাইরাসের দুটি স্ট্রেন আছে। কঙ্গো বেসিন স্ট্রেন পশ্চিম আফ্রিকার স্ট্রেনের চেয়ে বেশি মারাত্মক। এই ভাইরাস পশু থেকে প্রাণী এবং পশু থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণই সবচেয়ে ভয়ংকর মাধ্যম বলে বিবেচিত। এর শতকরা ৯০ জন রোগী ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। গুটিবসন্তের টিকা বন্ধ করা এর একটি কারণ হতে পারে।
মাঙ্কিপক্স সম্পর্কিত পড়তে - এখানে ক্লিক করুন
উপাচার্য শারফুদ্দিন বলেন, ‘গুটিবসন্তের টিকা মাঙ্কিপক্স থেকে শতকরা ৮৫ ভাগ সুরক্ষা প্রদান করে। ২ সপ্তাহের মধ্যে, সম্ভব হলে চার দিনের মধ্যে এটি ব্যবহার করতে হবে। জ্বরজনিত অসুখের সঙ্গে ঠান্ডা লাগা, ঘাম, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, ফ্যারিঞ্জাইটিস, শ্বাসকষ্ট ও কাশি হয়ে থাকে। এ ছাড়া ১ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ফুসকুড়ি তৈরি হয়। ফুসকুড়ি প্রায়ই মুখে শুরু হয় এবং তারপর শরীরের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি দুই থেকে চার সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে। এগুলো মুখমণ্ডল, শরীর, হাত-পা ও মাথার ত্বকে হয়ে থাকে। হাতের তালু ও পায়ের পাতায় ক্ষত দেখা যেতে পারে। এগুলো ব্যথাহীন হয়। যদি ব্যথা থাকে, তাহলে এটি সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হতে পারে। চুলকানি থাকতে পারে। হেমোরেজিক এবং ফ্ল্যাট ফর্ম, যা গুটিবসন্তের সঙ্গে দেখা যায়, মাঙ্কিপক্সের রোগীদের ক্ষেত্রে এটা দেখা যায় না।’
সাবধানতা প্রসঙ্গে উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন বলেন, ‘আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন প্রাণীর সংস্পর্শে যাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। প্রাণীর কামড়, আঁচড় ও লালা বা প্রস্রাবের স্পর্শ থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য। আর আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে সব ক্ষত শুকানো পর্যন্ত আইসোলেশন আর কোয়ারেন্টাইন করে চিকিৎসা করা আবশ্যক।’
গুজব থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনো এই রোগের কোনো রোগী ধরা পড়েনি। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে যেমনভাবে বাংলাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দিইনি, সেরকমভাবে আমরা মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের জন্যও প্রস্তুত আছি। দেশের মানুষকে যেকোনো ধরনের গুজব বা আতঙ্ক এড়িয়ে চলে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো এই রোগ থেকেও আমরা জাতিকে নিরাপদ রাখতে পারব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। এটি একটি নিছক গুজব।’
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
দেশে মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, সেটিকে গুজব বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনো এই রোগের কোনো রোগী ধরা পড়েনি।’ এ ছাড়া সংক্রামক এই রোগ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘মাঙ্কিপক্স’ নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পশু থেকে এ রোগ ছড়ায়। সুতরাং যাদের ঘরে পোষা প্রাণী আছে, তাদের আলাদাভাবে সতর্ক থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনাভাইরাস শেষ হওয়ার আগেই বিশ্বে আরও একটি ভাইরাস জেঁকে বসার উপক্রম হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ইতালি, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ ১৪টি দেশে একটি ফুসকুড়িসহ জ্বরের ঘটনা ঘটেছে, যা মাঙ্কিপক্স হিসেবে নির্ণয় করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে শণাক্তযোগ্য ও বর্ধনশীল ব্যাধি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।’
উপাচার্য বলেন, ‘ইতিমধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।’
মাঙ্কিপক্সের উৎপত্তি প্রসঙ্গে শারফুদ্দিন বলেন, ‘এটি একটি ডিএনএ ভাইরাস। কাউপক্স, ভ্যাক্সিনিয়া ও ভ্যারিওলা এই গ্রুপের ভাইরাস। এটি একটি জুনোটিক ভাইরাস, যার প্রাথমিক সংক্রমণ সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বা সম্ভবত তাদের অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস খাওয়ার মাধ্যমে ঘটে বলে মনে করা হয়। এই ভাইরাসের দুটি স্ট্রেন আছে। কঙ্গো বেসিন স্ট্রেন পশ্চিম আফ্রিকার স্ট্রেনের চেয়ে বেশি মারাত্মক। এই ভাইরাস পশু থেকে প্রাণী এবং পশু থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণই সবচেয়ে ভয়ংকর মাধ্যম বলে বিবেচিত। এর শতকরা ৯০ জন রোগী ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। গুটিবসন্তের টিকা বন্ধ করা এর একটি কারণ হতে পারে।
মাঙ্কিপক্স সম্পর্কিত পড়তে - এখানে ক্লিক করুন
উপাচার্য শারফুদ্দিন বলেন, ‘গুটিবসন্তের টিকা মাঙ্কিপক্স থেকে শতকরা ৮৫ ভাগ সুরক্ষা প্রদান করে। ২ সপ্তাহের মধ্যে, সম্ভব হলে চার দিনের মধ্যে এটি ব্যবহার করতে হবে। জ্বরজনিত অসুখের সঙ্গে ঠান্ডা লাগা, ঘাম, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, পিঠে ব্যথা, ক্ষুধামন্দা, ফ্যারিঞ্জাইটিস, শ্বাসকষ্ট ও কাশি হয়ে থাকে। এ ছাড়া ১ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ফুসকুড়ি তৈরি হয়। ফুসকুড়ি প্রায়ই মুখে শুরু হয় এবং তারপর শরীরের বাকি অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি দুই থেকে চার সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে। এগুলো মুখমণ্ডল, শরীর, হাত-পা ও মাথার ত্বকে হয়ে থাকে। হাতের তালু ও পায়ের পাতায় ক্ষত দেখা যেতে পারে। এগুলো ব্যথাহীন হয়। যদি ব্যথা থাকে, তাহলে এটি সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হতে পারে। চুলকানি থাকতে পারে। হেমোরেজিক এবং ফ্ল্যাট ফর্ম, যা গুটিবসন্তের সঙ্গে দেখা যায়, মাঙ্কিপক্সের রোগীদের ক্ষেত্রে এটা দেখা যায় না।’
সাবধানতা প্রসঙ্গে উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন বলেন, ‘আক্রান্ত বা সন্দেহভাজন প্রাণীর সংস্পর্শে যাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। প্রাণীর কামড়, আঁচড় ও লালা বা প্রস্রাবের স্পর্শ থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য। আর আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে সব ক্ষত শুকানো পর্যন্ত আইসোলেশন আর কোয়ারেন্টাইন করে চিকিৎসা করা আবশ্যক।’
গুজব থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনো এই রোগের কোনো রোগী ধরা পড়েনি। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে যেমনভাবে বাংলাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দিইনি, সেরকমভাবে আমরা মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের জন্যও প্রস্তুত আছি। দেশের মানুষকে যেকোনো ধরনের গুজব বা আতঙ্ক এড়িয়ে চলে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো এই রোগ থেকেও আমরা জাতিকে নিরাপদ রাখতে পারব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। এটি একটি নিছক গুজব।’
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
বিশ্বে প্রথমবারের মতো সফলভাবে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করে তিনজন ব্যক্তির চোখের ঝাপসা দৃষ্টি সারিয়ে ফেলেছেন জাপানের গবেষকেরা। চোখের কর্নিয়ার গুরুতর ক্ষতির কারণে তাদের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল। এই গবেষণামূলক চিকিৎসা পদ্ধতিটি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
৫ ঘণ্টা আগেঅ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগে