অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীর বুকে বসে মহাশূন্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রোবটের সাহায্যে অস্ত্রোপচার করেছেন বিজ্ঞানীরা। শূন্য অভিকর্ষে এই প্রথম কোনো অস্ত্রোপচার করা হলো, তাও আবার রোবটের সাহায্যে। অস্ত্রোপচার করা রোবটটিকে মূলত পৃথিবী থেকেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মূলত এক ধরনের সিমুলেটেড টিস্যুর ওপর খুবই ছোট আকারের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। অস্ত্রোপচার করা এই ছোট রোবটটির নাম স্পেস মিরা বা এমআইআরএ অর্থাৎ মিনিয়েচারাইজড ইন ভিভো অ্যাসিস্ট্যান্ট। পৃথিবীর মাটি থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ওপরে মহাশূন্যে অবস্থিত ঘূর্ণমান একটি গবেষণাগারে অস্ত্রোপচারটি সম্পন্ন করে মিরা। যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কার লিনকন থেকে একদল গবেষক এই অস্ত্রোপচারে নির্দেশনা দেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে যদি কখনো মহাশূন্য ভ্রমণের সময় কোনো নভোচারীর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নির্দেশনা বা অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশাল মাইলফলক। এমনকি পৃথিবীর দূরের কোনো প্রান্তে যেখানে এখনো চিকিৎসা সেবা পৌঁছায়নি সেখানেও জরুরি অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ঘটনা একটি দারুণ সুযোগ সৃষ্টির পথ খুলে দিয়েছে।
মিরার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভার্চুয়াল ইনসিশনের চিফ টেকনোলজি অফিসার শেন ফ্যারিটর জানান, মাত্র ২ পাউন্ড বা ৯০০ গ্রাম ওজনের এই রোবটটিকে শূন্য অভিকর্ষে চলার মতো করে তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া মানুষের দেহে ছোটখাটো কাটাছেঁড়া করতে পারে এমন কিছু যন্ত্রও জুড়ে দেওয়া হয়েছে এতে। এই রোবটটি ঠিক মানুষের মতো করেই নড়াচড়া করতে পারে। এই রোবটের ডান হাতটি মূলত কাটাছেঁড়ার যন্ত্র ধরে রাখে এবং বাম হাতটি সংশ্লিষ্ট বস্তু বা অঙ্গকে ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়।
শেন ফ্যারিটর বলেন, ‘এটি (মিরা রোবট) সার্জনদের জন্য অতিরিক্ত হাত ও চোখ হিসেবে কাজ করে এবং পৃথিবী থেকেই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মহাশূন্যে ছোট পরিসরে দ্রুত অস্ত্রোপচার করার সুযোগ দেয়।’ শেন এই রোবটটি তৈরি করতে বিগত ২০ বছর ধরে কাজ করেছেন।
এর আগে, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ কেনভিরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে মিরা এবং একদিন পর ১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছায়।
গত শনিবার মিরা এই অস্ত্রোপচারটি সম্পন্ন করে। মূলত রাবার ব্যান্ডের সাহায্যে তৈরি এক ধরনের সিমুলেটেড টিস্যুর ওপর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে মিরা। এ ক্ষেত্রে মিরা এক হাতে ওই সিমুলেটেড টিস্যু ধরে ছিল এবং অপর হাতে সেটিতে ব্যবচ্ছেদ করেছে। শেন ফ্যারিটর জানিয়েছে, তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেছে—মিরাকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেটি সে অনুসারেই কাজ করেছে এবং প্রতিবার সেটি নির্দেশিত টিস্যুকেই ব্যবচ্ছেদ করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে আমাদের মিশন সফল।’
তবে এই অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা মনে করা হচ্ছিল, রোবটটির সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিলম্ব অর্থাৎ পৃথিবী থেকে রোবটটিকে নির্দেশ দেওয়ার পর তা কতক্ষণ পর মিরার কাছে পৌঁছায় সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠাকে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এ ক্ষেত্রে মাত্র দশমিক ৮৫ সেকেন্ড বিলম্ব হয়।
এ বিষয়ে কোলোরেক্টাল সার্জন ড. মিশেল জবস্ট বলেন, ‘একজন মানুষের ক্ষেত্রে যদি রক্তপাত হয় তবে অবিলম্বে তা বন্ধ করা আমার কাজ। কিন্তু রক্তপাত হওয়া ও তারপর তা বন্ধ করার মধ্যে যদি ৮০০ থেকে ৮৫০ মিলিসেকেন্ডের ব্যবধান থাকে তবে তা আসলে একজন রোগীর জন্য আশঙ্কাজনক হয়ে দাঁড়াবে।’ ড. মিশেল জবস্ট মানুষের ওপর মিরা রোবট ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার করা প্রথম সার্জনদের একজন।
ড. জবস্ট আরও বলেন, ‘একজন রোগীর ক্ষেত্রে মাত্র ৫ সেকেন্ড দেরিই মহাবিপর্যয় ডেকে আনতে পারে এবং এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ বা আধ সেকেন্ডই তাঁর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এই বিলম্ব আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
পৃথিবীর বুকে বসে মহাশূন্যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রোবটের সাহায্যে অস্ত্রোপচার করেছেন বিজ্ঞানীরা। শূন্য অভিকর্ষে এই প্রথম কোনো অস্ত্রোপচার করা হলো, তাও আবার রোবটের সাহায্যে। অস্ত্রোপচার করা রোবটটিকে মূলত পৃথিবী থেকেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মূলত এক ধরনের সিমুলেটেড টিস্যুর ওপর খুবই ছোট আকারের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। অস্ত্রোপচার করা এই ছোট রোবটটির নাম স্পেস মিরা বা এমআইআরএ অর্থাৎ মিনিয়েচারাইজড ইন ভিভো অ্যাসিস্ট্যান্ট। পৃথিবীর মাটি থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ওপরে মহাশূন্যে অবস্থিত ঘূর্ণমান একটি গবেষণাগারে অস্ত্রোপচারটি সম্পন্ন করে মিরা। যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কার লিনকন থেকে একদল গবেষক এই অস্ত্রোপচারে নির্দেশনা দেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে যদি কখনো মহাশূন্য ভ্রমণের সময় কোনো নভোচারীর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয় সে ক্ষেত্রে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নির্দেশনা বা অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে এটি একটি বিশাল মাইলফলক। এমনকি পৃথিবীর দূরের কোনো প্রান্তে যেখানে এখনো চিকিৎসা সেবা পৌঁছায়নি সেখানেও জরুরি অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ঘটনা একটি দারুণ সুযোগ সৃষ্টির পথ খুলে দিয়েছে।
মিরার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভার্চুয়াল ইনসিশনের চিফ টেকনোলজি অফিসার শেন ফ্যারিটর জানান, মাত্র ২ পাউন্ড বা ৯০০ গ্রাম ওজনের এই রোবটটিকে শূন্য অভিকর্ষে চলার মতো করে তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া মানুষের দেহে ছোটখাটো কাটাছেঁড়া করতে পারে এমন কিছু যন্ত্রও জুড়ে দেওয়া হয়েছে এতে। এই রোবটটি ঠিক মানুষের মতো করেই নড়াচড়া করতে পারে। এই রোবটের ডান হাতটি মূলত কাটাছেঁড়ার যন্ত্র ধরে রাখে এবং বাম হাতটি সংশ্লিষ্ট বস্তু বা অঙ্গকে ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়।
শেন ফ্যারিটর বলেন, ‘এটি (মিরা রোবট) সার্জনদের জন্য অতিরিক্ত হাত ও চোখ হিসেবে কাজ করে এবং পৃথিবী থেকেই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মহাশূন্যে ছোট পরিসরে দ্রুত অস্ত্রোপচার করার সুযোগ দেয়।’ শেন এই রোবটটি তৈরি করতে বিগত ২০ বছর ধরে কাজ করেছেন।
এর আগে, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ কেনভিরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে মিরা এবং একদিন পর ১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছায়।
গত শনিবার মিরা এই অস্ত্রোপচারটি সম্পন্ন করে। মূলত রাবার ব্যান্ডের সাহায্যে তৈরি এক ধরনের সিমুলেটেড টিস্যুর ওপর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করে মিরা। এ ক্ষেত্রে মিরা এক হাতে ওই সিমুলেটেড টিস্যু ধরে ছিল এবং অপর হাতে সেটিতে ব্যবচ্ছেদ করেছে। শেন ফ্যারিটর জানিয়েছে, তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেছে—মিরাকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেটি সে অনুসারেই কাজ করেছে এবং প্রতিবার সেটি নির্দেশিত টিস্যুকেই ব্যবচ্ছেদ করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে আমাদের মিশন সফল।’
তবে এই অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা মনে করা হচ্ছিল, রোবটটির সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিলম্ব অর্থাৎ পৃথিবী থেকে রোবটটিকে নির্দেশ দেওয়ার পর তা কতক্ষণ পর মিরার কাছে পৌঁছায় সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠাকে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, এ ক্ষেত্রে মাত্র দশমিক ৮৫ সেকেন্ড বিলম্ব হয়।
এ বিষয়ে কোলোরেক্টাল সার্জন ড. মিশেল জবস্ট বলেন, ‘একজন মানুষের ক্ষেত্রে যদি রক্তপাত হয় তবে অবিলম্বে তা বন্ধ করা আমার কাজ। কিন্তু রক্তপাত হওয়া ও তারপর তা বন্ধ করার মধ্যে যদি ৮০০ থেকে ৮৫০ মিলিসেকেন্ডের ব্যবধান থাকে তবে তা আসলে একজন রোগীর জন্য আশঙ্কাজনক হয়ে দাঁড়াবে।’ ড. মিশেল জবস্ট মানুষের ওপর মিরা রোবট ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার করা প্রথম সার্জনদের একজন।
ড. জবস্ট আরও বলেন, ‘একজন রোগীর ক্ষেত্রে মাত্র ৫ সেকেন্ড দেরিই মহাবিপর্যয় ডেকে আনতে পারে এবং এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশ বা আধ সেকেন্ডই তাঁর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এই বিলম্ব আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে