অনলাইন ডেস্ক
করোনা মহামারির প্রথমদিকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছিল যে, কোভিড-১৯ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি তাঁদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল, করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় ও ঘর-বাড়ির ভেতরকে সংক্রমণের আঁতুড়ঘর করে তোলে। বিষয়টি গবেষকেরা জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করতে থাকেন। অবশেষে ২০২১ সালের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি মেনে নেয়।
বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে, সংস্থাটি পরামর্শদাতাদের একটি গ্রুপকে (কিছু বৈজ্ঞানিক সমালোচকসহ) প্যাথোজেনগুলো ছড়িয়ে পড়ার উপায়গুলো শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেয়। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর দলটি নতুন সংজ্ঞা তৈরি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
ডব্লিউএইচওর আগের অবস্থান ছিল যে, মাত্র কয়েকটি প্যাথোজেন বায়ুবাহিত হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। সেগুলো বাতাসের মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণুর মতো বড় দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের নতুন প্রতিবেদনটি বিস্তৃত ক্যাটাগরি তুলে ধরেছে, যা বিস্তারে আকৃতি বা দূরত্বের ওপর নির্ভর করে না। বিজ্ঞানীদের নতুন এই তথ্য বিতর্কিত ছিল কারণ তাঁরা দাবি করেছিলেন, রোগ নিয়ন্ত্রণ এখন আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে, যেমন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চা কক্ষ এবং প্রতিরক্ষামূলক আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির খরচ।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক দলটির সদস্য ড. এড নারডেল বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। সবাই এতে খুশি না হলেও স্বীকৃত পরিভাষাসহ বায়ুবাহিত রোগ প্রতিরোধে আমরা সত্যিই নতুন যাত্রা শুরু করেছি।’
করোনা মহামারির আগে ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো রোগ ছড়ানোর কয়েকটি মাধ্যমের স্বীকৃতি দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল আক্রান্ত ব্যক্তি বা তাঁর ব্যবহৃত কোনো বস্তুর সংস্পর্শে সংক্রমণ।
‘ড্রপলেট ট্রান্সমিশন’ বলতে রোগের স্বল্প-পরিসরের বিস্তারকে বোঝায়। কেউ কাশি বা হাঁচি দিলে ৫ মাইক্রন (এক মিটারের পাঁচ মিলিয়নের এক ভাগ) থেকে বড় ফোঁটা সরাসরি অপর ব্যক্তির চোখমুখ বা নাকে পড়ে ড্রপলেট ট্রান্সমিশন হতে পারে।
‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ’ বলতে মুষ্টিমেয় কিছু রোগকে বোঝায়, যা ৫ মাইক্রনের চেয়ে ক্ষুদ্র ফোঁটায় ছড়িয়ে পড়ে। এই সংক্রমণ পদ্ধতিতে ভাইরাস শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত দীর্ঘসময় পর্যন্ত বাতাসে ভাসতে থাকে।
কোভিডের শুরুতে ডব্লিওএইচও বলেছিল, কোভিড-১৯ সম্ভবত ছোট দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটি হতে পারে সরাসরি সংস্পর্শ বা ড্রপলেট সংক্রমণের মাধ্যমে।
ওইসময় হংকং ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইউগুও লি এবং অন্যান্য সমালোচক বলেছিলেন, ডব্লিওএইচও কোভিড বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিকে উপেক্ষা করেছে। মহামারিটি ছড়িয়ে পড়লে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে দীর্ঘ দূরত্বে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পান। যদিও কিছু বিজ্ঞানী আবার এই গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ডব্লিওএইচও ২০২১ সালের নভেম্বরে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে এবং ড. লিকে কো-চেয়ার হতে বলে। দলটির মিটিংয়ে ডা. লি এবং অন্যরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ডব্লিওএইচও ভুল দ্বিধাবিভক্তির ওপর নির্ভর করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ড্রপলেট ভাসমান থাকার জন্য ৫ মাইক্রনের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বড় ফোঁটাও দীর্ঘ সময়ের জন্য ভেসে থাকতে পারে।
গবেষকেরা আরও যুক্তি দিয়েছিলেন, স্বল্প-পরিসরের সংক্রমণ প্রমাণ করে না যে, একটি রোগ শুধুমাত্র হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই ছড়ায়। সংক্রমিত লোকেরা শ্বাস নেওয়া বা কথা বলার মাধ্যমে ড্রপলেট ছড়াতে পারে, যা পরে আশপাশের ব্যক্তিদের সংক্রমণ করতে পারে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে।
নতুন প্রতিবেদনটি রোগ ছড়ানোর মাধ্যমগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এর মধ্য একটি সংস্পর্শজনিত এবং অন্যগুলো বায়ুবাহিত। তাঁরা দ্বিতীয় মাধ্যমকে ‘এয়ার ট্রান্সমিশন মাধ্যম’ বলতে সম্মত হয়েছে। তবে ভার্জিনিয়া টেকের পরিবেশবিষয়ক প্রকৌশলী এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য লিনসে মার এই শব্দগুচ্ছটিকে বায়ুবাহিত সংক্রমণের মতো সহজ শব্দের চেয়ে বাজে বলে মনে করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা খুব সেকেলে হয়েছে। আমরা সহজ পরিভাষা খুঁজছিলাম, যা সবাই সহজে বুঝতে পারবে।’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্যাথোজেন দুটি উপায়ে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একটি হলো সরাসরি, যা চোখ-মুখ বা নাকের শ্লেষ্মায় পৌঁছাতে পারে। অন্যটি হল ‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ/ইনহেলেশন’, যেখানে ড্রপলেটগুলো নিশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করে।
বিজ্ঞানীরা নতুন পরিভাষা উত্থাপন করলে ডব্লিওএইচও তা গ্রহণ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পাশাপাশি আফ্রিকা, চীন এবং ইউরোপের সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি করে।
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. জেরেমি ফারার বলেছেন, একত্রে কাজ করার জন্য চুক্তি করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
কিন্তু নতুন প্রতিবেদনে কীভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে রোগ ছড়ানো বন্ধ করা উচিত—সে বিষয়ে এজেন্সিগুলোকে কোনো সুপারিশ করা হয়নি। গবেষকেরা স্বীকার করেছেন, তাঁরা এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
বায়ুবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোর নির্দেশিকাতে ব্যয়বহুল ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসবের মধ্যে রয়েছ, বায়ুচাপশূন্য নিরবচ্ছিন্ন কক্ষ রাখা, সূক্ষ্ম ড্রপলেট ঠেকাতে এন ৯৫ শ্বাসযন্ত্র ব্যবহার এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক যন্ত্রপাতি রাখা। তবে কোনো রোগগুলো এই ধরনের নিয়ন্ত্রণের নিশ্চয়তা দেয় বা হাসপাতালের বাইরে কী প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত তা স্পষ্ট নয়।
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. ওয়াল্টার জিংগ বলেছেন, পুরোনো নিয়মে আরও সরল নির্দেশিকা দেওয়া ছিল। উদাহরণস্বরূপ; সংক্রমণ এড়াতে কারও হাঁচি-কাশি থেকে কয়েক ফুট দূরে থাকাকে কার্যকর উপায় বলে মনে করা হতো। এটি সরল ছিল এবং হয়তো সত্য নয়, তবে এটি উদ্দেশ্য পূরণ করেছে। এখন আমাদের অন্য প্রতিকারের কথা ভাবতে হবে।’
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. ফারার বলেছেন, ‘এই ধরনের নির্দেশিকাগুলো স্পষ্ট পরীক্ষামূলক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। যদিও সেই প্রমাণ এখনো অনেক রোগের ক্ষেত্রেই দুষ্প্রাপ্য। বিজ্ঞানীরা এখনো বিতর্ক করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় কি না। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এ নিয়ে গবেষণা-অধ্যয়ন করা হয়েছে। আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জানি, কিন্তু আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য আমাদের এই ধরনের কাজ খুবই প্রয়োজন।’
করোনা মহামারির প্রথমদিকে বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছিল যে, কোভিড-১৯ বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে সংস্থাটি তাঁদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
বিজ্ঞানীদের দাবি ছিল, করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় ও ঘর-বাড়ির ভেতরকে সংক্রমণের আঁতুড়ঘর করে তোলে। বিষয়টি গবেষকেরা জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করতে থাকেন। অবশেষে ২০২১ সালের শেষের দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি মেনে নেয়।
বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে, সংস্থাটি পরামর্শদাতাদের একটি গ্রুপকে (কিছু বৈজ্ঞানিক সমালোচকসহ) প্যাথোজেনগুলো ছড়িয়ে পড়ার উপায়গুলো শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা হালনাগাদ করার নির্দেশনা দেয়। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আলোচনার পর দলটি নতুন সংজ্ঞা তৈরি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
ডব্লিউএইচওর আগের অবস্থান ছিল যে, মাত্র কয়েকটি প্যাথোজেন বায়ুবাহিত হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। সেগুলো বাতাসের মাধ্যমে যক্ষ্মার জীবাণুর মতো বড় দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের নতুন প্রতিবেদনটি বিস্তৃত ক্যাটাগরি তুলে ধরেছে, যা বিস্তারে আকৃতি বা দূরত্বের ওপর নির্ভর করে না। বিজ্ঞানীদের নতুন এই তথ্য বিতর্কিত ছিল কারণ তাঁরা দাবি করেছিলেন, রোগ নিয়ন্ত্রণ এখন আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে, যেমন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চা কক্ষ এবং প্রতিরক্ষামূলক আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতির খরচ।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক দলটির সদস্য ড. এড নারডেল বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। সবাই এতে খুশি না হলেও স্বীকৃত পরিভাষাসহ বায়ুবাহিত রোগ প্রতিরোধে আমরা সত্যিই নতুন যাত্রা শুরু করেছি।’
করোনা মহামারির আগে ডব্লিউএইচও এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো রোগ ছড়ানোর কয়েকটি মাধ্যমের স্বীকৃতি দিয়েছিল। এর মধ্যে একটি ছিল আক্রান্ত ব্যক্তি বা তাঁর ব্যবহৃত কোনো বস্তুর সংস্পর্শে সংক্রমণ।
‘ড্রপলেট ট্রান্সমিশন’ বলতে রোগের স্বল্প-পরিসরের বিস্তারকে বোঝায়। কেউ কাশি বা হাঁচি দিলে ৫ মাইক্রন (এক মিটারের পাঁচ মিলিয়নের এক ভাগ) থেকে বড় ফোঁটা সরাসরি অপর ব্যক্তির চোখমুখ বা নাকে পড়ে ড্রপলেট ট্রান্সমিশন হতে পারে।
‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ’ বলতে মুষ্টিমেয় কিছু রোগকে বোঝায়, যা ৫ মাইক্রনের চেয়ে ক্ষুদ্র ফোঁটায় ছড়িয়ে পড়ে। এই সংক্রমণ পদ্ধতিতে ভাইরাস শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত দীর্ঘসময় পর্যন্ত বাতাসে ভাসতে থাকে।
কোভিডের শুরুতে ডব্লিওএইচও বলেছিল, কোভিড-১৯ সম্ভবত ছোট দূরত্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেটি হতে পারে সরাসরি সংস্পর্শ বা ড্রপলেট সংক্রমণের মাধ্যমে।
ওইসময় হংকং ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইউগুও লি এবং অন্যান্য সমালোচক বলেছিলেন, ডব্লিওএইচও কোভিড বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিকে উপেক্ষা করেছে। মহামারিটি ছড়িয়ে পড়লে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে দীর্ঘ দূরত্বে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পান। যদিও কিছু বিজ্ঞানী আবার এই গবেষণার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ডব্লিওএইচও ২০২১ সালের নভেম্বরে নতুন উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে এবং ড. লিকে কো-চেয়ার হতে বলে। দলটির মিটিংয়ে ডা. লি এবং অন্যরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, ডব্লিওএইচও ভুল দ্বিধাবিভক্তির ওপর নির্ভর করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ড্রপলেট ভাসমান থাকার জন্য ৫ মাইক্রনের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বড় ফোঁটাও দীর্ঘ সময়ের জন্য ভেসে থাকতে পারে।
গবেষকেরা আরও যুক্তি দিয়েছিলেন, স্বল্প-পরিসরের সংক্রমণ প্রমাণ করে না যে, একটি রোগ শুধুমাত্র হাঁচি-কাশির মাধ্যমেই ছড়ায়। সংক্রমিত লোকেরা শ্বাস নেওয়া বা কথা বলার মাধ্যমে ড্রপলেট ছড়াতে পারে, যা পরে আশপাশের ব্যক্তিদের সংক্রমণ করতে পারে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে।
নতুন প্রতিবেদনটি রোগ ছড়ানোর মাধ্যমগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। এর মধ্য একটি সংস্পর্শজনিত এবং অন্যগুলো বায়ুবাহিত। তাঁরা দ্বিতীয় মাধ্যমকে ‘এয়ার ট্রান্সমিশন মাধ্যম’ বলতে সম্মত হয়েছে। তবে ভার্জিনিয়া টেকের পরিবেশবিষয়ক প্রকৌশলী এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য লিনসে মার এই শব্দগুচ্ছটিকে বায়ুবাহিত সংক্রমণের মতো সহজ শব্দের চেয়ে বাজে বলে মনে করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটা খুব সেকেলে হয়েছে। আমরা সহজ পরিভাষা খুঁজছিলাম, যা সবাই সহজে বুঝতে পারবে।’
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্যাথোজেন দুটি উপায়ে বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একটি হলো সরাসরি, যা চোখ-মুখ বা নাকের শ্লেষ্মায় পৌঁছাতে পারে। অন্যটি হল ‘বায়ুবাহিত সংক্রমণ/ইনহেলেশন’, যেখানে ড্রপলেটগুলো নিশ্বাসের সঙ্গে প্রবেশ করে।
বিজ্ঞানীরা নতুন পরিভাষা উত্থাপন করলে ডব্লিওএইচও তা গ্রহণ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের পাশাপাশি আফ্রিকা, চীন এবং ইউরোপের সহযোগীদের সঙ্গে চুক্তি করে।
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. জেরেমি ফারার বলেছেন, একত্রে কাজ করার জন্য চুক্তি করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
কিন্তু নতুন প্রতিবেদনে কীভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে রোগ ছড়ানো বন্ধ করা উচিত—সে বিষয়ে এজেন্সিগুলোকে কোনো সুপারিশ করা হয়নি। গবেষকেরা স্বীকার করেছেন, তাঁরা এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
বায়ুবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোর নির্দেশিকাতে ব্যয়বহুল ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসবের মধ্যে রয়েছ, বায়ুচাপশূন্য নিরবচ্ছিন্ন কক্ষ রাখা, সূক্ষ্ম ড্রপলেট ঠেকাতে এন ৯৫ শ্বাসযন্ত্র ব্যবহার এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক যন্ত্রপাতি রাখা। তবে কোনো রোগগুলো এই ধরনের নিয়ন্ত্রণের নিশ্চয়তা দেয় বা হাসপাতালের বাইরে কী প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত তা স্পষ্ট নয়।
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. ওয়াল্টার জিংগ বলেছেন, পুরোনো নিয়মে আরও সরল নির্দেশিকা দেওয়া ছিল। উদাহরণস্বরূপ; সংক্রমণ এড়াতে কারও হাঁচি-কাশি থেকে কয়েক ফুট দূরে থাকাকে কার্যকর উপায় বলে মনে করা হতো। এটি সরল ছিল এবং হয়তো সত্য নয়, তবে এটি উদ্দেশ্য পূরণ করেছে। এখন আমাদের অন্য প্রতিকারের কথা ভাবতে হবে।’
ডব্লিওএইচওর প্রধান বিজ্ঞানী ডা. ফারার বলেছেন, ‘এই ধরনের নির্দেশিকাগুলো স্পষ্ট পরীক্ষামূলক প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। যদিও সেই প্রমাণ এখনো অনেক রোগের ক্ষেত্রেই দুষ্প্রাপ্য। বিজ্ঞানীরা এখনো বিতর্ক করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইনফ্লুয়েঞ্জা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় কি না। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এ নিয়ে গবেষণা-অধ্যয়ন করা হয়েছে। আমরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জানি, কিন্তু আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য আমাদের এই ধরনের কাজ খুবই প্রয়োজন।’
অ্যাজমা বা হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে শিশুদের স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগেবিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যগত অসমতা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। চারটি দেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে বৈশ্বিক ডায়াবেটিসের অর্ধেকেরও বেশি। ২০২২ সালে ভারতে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ২১ কোটি ২০ লাখ, যা বৈশ্বিক হিসাবের চার ভাগের এক ভাগ।
১ দিন আগেশারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আজ বুধবার ‘আন্তর্জাতিক শারীরিক পুনর্বাসন চিকিৎসা (পিএমআর) দিবস ২০২৪’ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (বিএসপিএমআর) এবং বিএসএমএমইউ-এর ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড
২ দিন আগেস্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন।
২ দিন আগে