ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে গত কয়েক দিন ধরে ৩৮ সেকেন্ডের একটি কোলাজ ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। ভিডিওটিতে কোলাজের একটি অংশে একজন ব্যক্তিকে বাঁধাকপি সদৃশ একটি বস্তু প্রস্তুত করতে দেখা যাচ্ছে। অন্য অংশে একজন ব্যক্তি বলছেন, ‘ভাই দেখেন, চায়নারা আমাদের কি খাওয়াচ্ছে? কৃত্রিম বাঁধাকপি, কৃত্রিম ডিম, কৃত্রিম চাল...চায়নারা বানাচ্ছে আর আমরা খাচ্ছি। এসব খেয়ে আমরা নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছি।’
আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভিডিওটি ৪ লাখ ৬৩ হাজার বার দেখা হয়েছে।
কৃত্রিম বাঁধাকপি?
কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে কৃত্রিম বাঁধাকপি প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে প্রদর্শিত ভিডিওটির সঙ্গে টিকটকে ভাইরাল ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়। ভিডিওটি ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে এবং দাবি করা হয়, চীনা ব্যবসায়ীরা আমেরিকান রেস্তোরাঁ এবং সুপারমার্কেটে বিক্রির জন্য ‘সিনথেটিক বাঁধাকপি’ বা কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরি করছেন।
স্নোপস জানায়, ভিডিওটি চীনা ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরির নয়। ভিডিওটিতে মূলত জাপানের রেস্টুরেন্টগুলোতে প্রদর্শনীর জন্য কৃত্রিম লেটুস পাতা তৈরির প্রক্রিয়া দেখানো হচ্ছিল। এই কৃত্রিম সবজিগুলো মোম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া বাঁধাকপির দাম অন্যান্য সবজির চেয়ে তুলনামূক কম হওয়ায় এমন কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরি করে বাজারে বিক্রি মোটেও লাভজনক হবে না।
আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত ফিলিপাইনের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ভেরা ফাইলসেও গত বছরের ৭ জুন কৃত্রিম বাঁধাকপি নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই সময় ফিলিপাইনেও এমন কৃত্রিম বাঁধাকপি বাজারজাত করা ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে জানায়, ভিডিওতে কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরির ব্যাপারটি সত্য। তবে এই বাঁধাকপিগুলো ভোগ্যপণ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি করা হয় না। এগুলো মূলত প্রদর্শনীর জন্য জাপানে তৈরি করা মোমের বাঁধাকপি।
এই প্রতিবেদন সূত্রে ইউটিউবে ‘ম্যাকডিটিউব’ নামের একটি চ্যানেলে ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে একজন ব্যক্তিকে বাঁধাকপি সদৃশ বস্তু তৈরি করেন এবং শেষে কেটে দেখান।
ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণীতে বলা হয়েছে, জাপানের গিফুর গুঁজো শহরের রেস্তোরাঁয় ভোক্তাদের খাবারের মেনু দেখানোর জন্য খাবারের কৃত্রিম নমুনা তৈরি শুরু হয়েছিল। এই নমুনাগুলো প্লাস্টিক, মোম এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি করে রংতুলি দিয়ে আসল বর্ণ আঁকা হয়। কেউ চাইলে সাধারণ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এমন ‘অতি–বাস্তব’ কৃত্রিম খাবার তৈরি করতে পারেন।
এটি ছাড়াও বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে জাপানের এই ‘অতি–বাস্তব’ কৃত্রিম খাবারের কিছু ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন, ‘রাসেল অ্যান্ড জুন’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালে প্রচারিত ‘জাপানিজ ফেক ফুড স্যাম্পলস’ নামের একটি ভিডিও পাওয়া যায়।
জাপানের এই ‘ফেক ফুড’ সম্পর্কে কোটাকু নামের একটি গেমস ভিত্তিক সংবাদ এবং মতামত ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরির প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে। কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরির জন্য গরম পানিতে তরল প্লাস্টিক রাখা হয় এবং ধীরে ধীরে এগুলোকে বাঁধাকপির আকৃতি দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জাপানের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের সামনে ক্রেতা আকৃষ্ট করতে প্লাস্টিকের খাবার প্রদর্শন করা হয়। কৃত্রিম খাবারগুলো মূল মেন্যুর নমুনা হিসেবে দেখানো হয়। ফলে নমুনা দেখে ভোক্তারা তাঁদের মেন্যু পছন্দ করতে পারেন।
একই ওয়েবসাইটে ২০১২ সালে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাপানে এই খাবারগুলোকে ‘শোকুহিন’ বলে। দেশটিতে ২০ শতকের শুরু থেকে প্লাস্টিকের তৈরি এমন খাবারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ‘শোকুহিন’ সাধারণত প্লাস্টিক রেজিন দিয়ে তৈরি করা হয়।
শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে গত কয়েক দিন ধরে ৩৮ সেকেন্ডের একটি কোলাজ ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। ভিডিওটিতে কোলাজের একটি অংশে একজন ব্যক্তিকে বাঁধাকপি সদৃশ একটি বস্তু প্রস্তুত করতে দেখা যাচ্ছে। অন্য অংশে একজন ব্যক্তি বলছেন, ‘ভাই দেখেন, চায়নারা আমাদের কি খাওয়াচ্ছে? কৃত্রিম বাঁধাকপি, কৃত্রিম ডিম, কৃত্রিম চাল...চায়নারা বানাচ্ছে আর আমরা খাচ্ছি। এসব খেয়ে আমরা নানা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছি।’
আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভিডিওটি ৪ লাখ ৬৩ হাজার বার দেখা হয়েছে।
কৃত্রিম বাঁধাকপি?
কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে কৃত্রিম বাঁধাকপি প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে প্রদর্শিত ভিডিওটির সঙ্গে টিকটকে ভাইরাল ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়। ভিডিওটি ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে এবং দাবি করা হয়, চীনা ব্যবসায়ীরা আমেরিকান রেস্তোরাঁ এবং সুপারমার্কেটে বিক্রির জন্য ‘সিনথেটিক বাঁধাকপি’ বা কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরি করছেন।
স্নোপস জানায়, ভিডিওটি চীনা ব্যবসায়ীদের কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরির নয়। ভিডিওটিতে মূলত জাপানের রেস্টুরেন্টগুলোতে প্রদর্শনীর জন্য কৃত্রিম লেটুস পাতা তৈরির প্রক্রিয়া দেখানো হচ্ছিল। এই কৃত্রিম সবজিগুলো মোম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া বাঁধাকপির দাম অন্যান্য সবজির চেয়ে তুলনামূক কম হওয়ায় এমন কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরি করে বাজারে বিক্রি মোটেও লাভজনক হবে না।
আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত ফিলিপাইনের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ভেরা ফাইলসেও গত বছরের ৭ জুন কৃত্রিম বাঁধাকপি নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই সময় ফিলিপাইনেও এমন কৃত্রিম বাঁধাকপি বাজারজাত করা ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে জানায়, ভিডিওতে কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরির ব্যাপারটি সত্য। তবে এই বাঁধাকপিগুলো ভোগ্যপণ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি করা হয় না। এগুলো মূলত প্রদর্শনীর জন্য জাপানে তৈরি করা মোমের বাঁধাকপি।
এই প্রতিবেদন সূত্রে ইউটিউবে ‘ম্যাকডিটিউব’ নামের একটি চ্যানেলে ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে একজন ব্যক্তিকে বাঁধাকপি সদৃশ বস্তু তৈরি করেন এবং শেষে কেটে দেখান।
ভিডিওটির বিস্তারিত বিবরণীতে বলা হয়েছে, জাপানের গিফুর গুঁজো শহরের রেস্তোরাঁয় ভোক্তাদের খাবারের মেনু দেখানোর জন্য খাবারের কৃত্রিম নমুনা তৈরি শুরু হয়েছিল। এই নমুনাগুলো প্লাস্টিক, মোম এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি করে রংতুলি দিয়ে আসল বর্ণ আঁকা হয়। কেউ চাইলে সাধারণ কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এমন ‘অতি–বাস্তব’ কৃত্রিম খাবার তৈরি করতে পারেন।
এটি ছাড়াও বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে জাপানের এই ‘অতি–বাস্তব’ কৃত্রিম খাবারের কিছু ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। যেমন, ‘রাসেল অ্যান্ড জুন’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৬ সালে প্রচারিত ‘জাপানিজ ফেক ফুড স্যাম্পলস’ নামের একটি ভিডিও পাওয়া যায়।
জাপানের এই ‘ফেক ফুড’ সম্পর্কে কোটাকু নামের একটি গেমস ভিত্তিক সংবাদ এবং মতামত ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরির প্রক্রিয়া দেখানো হয়েছে। কৃত্রিম বাঁধাকপি তৈরির জন্য গরম পানিতে তরল প্লাস্টিক রাখা হয় এবং ধীরে ধীরে এগুলোকে বাঁধাকপির আকৃতি দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জাপানের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের সামনে ক্রেতা আকৃষ্ট করতে প্লাস্টিকের খাবার প্রদর্শন করা হয়। কৃত্রিম খাবারগুলো মূল মেন্যুর নমুনা হিসেবে দেখানো হয়। ফলে নমুনা দেখে ভোক্তারা তাঁদের মেন্যু পছন্দ করতে পারেন।
একই ওয়েবসাইটে ২০১২ সালে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাপানে এই খাবারগুলোকে ‘শোকুহিন’ বলে। দেশটিতে ২০ শতকের শুরু থেকে প্লাস্টিকের তৈরি এমন খাবারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ‘শোকুহিন’ সাধারণত প্লাস্টিক রেজিন দিয়ে তৈরি করা হয়।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
৩ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
৩ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৪ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৪ দিন আগে