ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘স্বামীর প্রতি রাগ কমানোর জন্য নারীদের মিলন মেলা, এই বাগানে নারীরা আসেন, তাদের স্বামীদের প্রতি ক্ষোভগুলো প্রকাশ করার জন্য’— এমন দাবিতে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কিছু সংখ্যক নারী জঙ্গলের মধ্যে উচ্চ স্বরে চিৎকার করছেন, কেউ আবার লাঠি মাটিতে ক্রমাগত আঘাত করে যাচ্ছেন। ‘মুহাম্মদ মহিউদ্দীন সোহাগ’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ৪ জুন উল্লিখিত দাবিতে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি আজ শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভাইরাল এ ভিডিও নিয়ে অনুসন্ধানে মিলেছে কিছু চমকপ্রদ তথ্য।
প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড ধরে খুঁজে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। গত ৮ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, জঙ্গলে নারীদের এই উচ্চ স্বরে চিৎকার, মাটিতে লাঠি ভাঙার যে দৃশ্যটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সেটির একটি নাম রয়েছে। ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘রেইজ রিচুয়াল’ বা রাগ ঝাড়ার রীতি। এই রীতির প্রবক্তা মিয়া বান্দুচ্চি নামে স্বঘোষিত এক ‘আধ্যাত্মিক গুরু মা’ ও লেখক। তিনি অনলাইনে ‘মিয়া ম্যাজিক’ নামে বেশি পরিচিত।
রেইজ রিচুয়াল বা প্রথা সম্পর্কে ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এটি এমন এক অনুষ্ঠান, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা জঙ্গলের মধ্যে চিৎকার করেন এবং হাতে থাকা বড় লাঠি দিয়ে ক্রমাগত মাটিতে আঘাত করতে থাকেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের এমন ব্যক্তিদের এবং অভিজ্ঞতার কথা ভাবতে উৎসাহিত করা হয়, যারা তাদের প্রতি কোনো অন্যায় করেছে।
মিয়া বান্দুচ্চির ‘রেইজ রিচুয়াল’–এ অংশ নেওয়া নারীরা অন্তত ২০ মিনিটের জন্য চিৎকার করেন এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করেন বা সাধারণত যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের শরীর সক্ষম থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকে। উক্ত রিচুয়ালটি যেন প্রতিবেশীদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, তাই জঙ্গলে পালন করা হয়। দিনভেদে এ প্রথা বা রীতি পালনের জন্য একজন নারীকে প্রায় ২ হাজার থেকে ৪ হাজার ডলার খরচ করতে হয়।
ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে মিয়া ম্যাজিকের রাগ ঝাড়ার ভিডিওগুলোর ব্যাপক জনপ্রিয় রয়েছে। এখান থেকেই মিয়া ম্যাজিকের অনুসারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজে গত ২৬ মে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। এসব প্রতিবেদন থেকে রেইজ রিচুয়াল বা প্রথাটি স্বামীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশের জন্য নারীদের এক জায়গায় সমবেত হওয়ার ব্যাপারে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং জানা যায়, অংশগ্রহণকারী নারীরা এই প্রথায় যোগ দেন, তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া কোনো খারাপ ঘটনা বা যে কোনো ব্যক্তির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মানসিক শান্তি পেতে।
পরে আরও খুঁজে মিয়া বান্দুচ্চির একটি ওয়েবসাইটও পাওয়া যায়। মিয়া বান্দুচ্চি এখানেও ‘রেইজ রিচুয়াল’ বা রাগ প্রকাশের প্রথাটি নিয়ে একই বর্ণনা দিয়েছেন। মিয়া বান্দুচ্চির ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২৮ মে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে স্বামীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশের জন্য নারীদের এক জায়গায় সমবেত হওয়ার দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি পাওয়া যায়।
সুতরাং এটি স্পষ্ট, মিয়া বান্দুচ্চি নামের একজন স্বঘোষিত ‘আধ্যাত্মিক গুরু মা’ এবং লেখকের নারীদের জীবনের রাগ, ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশের জন্য ‘রেইজ রিচুয়াল’ বা রাগ ঝাড়ার একটি রীতি চালু করেছেন। যেখানে জঙ্গলে গিয়ে নারীরা লাঠি নিয়ে মাটিতে পিটিয়ে পিটিয়ে এবং চিৎকার করে তাদের সকল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই রাগ–ক্ষোভ কেবল স্বামীদের প্রতিই নয়, যে কারও প্রতিই হতে পারে।
‘স্বামীর প্রতি রাগ কমানোর জন্য নারীদের মিলন মেলা, এই বাগানে নারীরা আসেন, তাদের স্বামীদের প্রতি ক্ষোভগুলো প্রকাশ করার জন্য’— এমন দাবিতে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কিছু সংখ্যক নারী জঙ্গলের মধ্যে উচ্চ স্বরে চিৎকার করছেন, কেউ আবার লাঠি মাটিতে ক্রমাগত আঘাত করে যাচ্ছেন। ‘মুহাম্মদ মহিউদ্দীন সোহাগ’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ৪ জুন উল্লিখিত দাবিতে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি আজ শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার বার দেখা হয়েছে। ভাইরাল এ ভিডিও নিয়ে অনুসন্ধানে মিলেছে কিছু চমকপ্রদ তথ্য।
প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড ধরে খুঁজে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ইউএসএ টুডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। গত ৮ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, জঙ্গলে নারীদের এই উচ্চ স্বরে চিৎকার, মাটিতে লাঠি ভাঙার যে দৃশ্যটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সেটির একটি নাম রয়েছে। ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘রেইজ রিচুয়াল’ বা রাগ ঝাড়ার রীতি। এই রীতির প্রবক্তা মিয়া বান্দুচ্চি নামে স্বঘোষিত এক ‘আধ্যাত্মিক গুরু মা’ ও লেখক। তিনি অনলাইনে ‘মিয়া ম্যাজিক’ নামে বেশি পরিচিত।
রেইজ রিচুয়াল বা প্রথা সম্পর্কে ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এটি এমন এক অনুষ্ঠান, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা জঙ্গলের মধ্যে চিৎকার করেন এবং হাতে থাকা বড় লাঠি দিয়ে ক্রমাগত মাটিতে আঘাত করতে থাকেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের এমন ব্যক্তিদের এবং অভিজ্ঞতার কথা ভাবতে উৎসাহিত করা হয়, যারা তাদের প্রতি কোনো অন্যায় করেছে।
মিয়া বান্দুচ্চির ‘রেইজ রিচুয়াল’–এ অংশ নেওয়া নারীরা অন্তত ২০ মিনিটের জন্য চিৎকার করেন এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করেন বা সাধারণত যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের শরীর সক্ষম থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকে। উক্ত রিচুয়ালটি যেন প্রতিবেশীদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, তাই জঙ্গলে পালন করা হয়। দিনভেদে এ প্রথা বা রীতি পালনের জন্য একজন নারীকে প্রায় ২ হাজার থেকে ৪ হাজার ডলার খরচ করতে হয়।
ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানা যায়, শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে মিয়া ম্যাজিকের রাগ ঝাড়ার ভিডিওগুলোর ব্যাপক জনপ্রিয় রয়েছে। এখান থেকেই মিয়া ম্যাজিকের অনুসারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজে গত ২৬ মে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেও একই তথ্য জানা যায়। এসব প্রতিবেদন থেকে রেইজ রিচুয়াল বা প্রথাটি স্বামীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশের জন্য নারীদের এক জায়গায় সমবেত হওয়ার ব্যাপারে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং জানা যায়, অংশগ্রহণকারী নারীরা এই প্রথায় যোগ দেন, তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া কোনো খারাপ ঘটনা বা যে কোনো ব্যক্তির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে মানসিক শান্তি পেতে।
পরে আরও খুঁজে মিয়া বান্দুচ্চির একটি ওয়েবসাইটও পাওয়া যায়। মিয়া বান্দুচ্চি এখানেও ‘রেইজ রিচুয়াল’ বা রাগ প্রকাশের প্রথাটি নিয়ে একই বর্ণনা দিয়েছেন। মিয়া বান্দুচ্চির ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ২৮ মে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে স্বামীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশের জন্য নারীদের এক জায়গায় সমবেত হওয়ার দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি পাওয়া যায়।
সুতরাং এটি স্পষ্ট, মিয়া বান্দুচ্চি নামের একজন স্বঘোষিত ‘আধ্যাত্মিক গুরু মা’ এবং লেখকের নারীদের জীবনের রাগ, ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশের জন্য ‘রেইজ রিচুয়াল’ বা রাগ ঝাড়ার একটি রীতি চালু করেছেন। যেখানে জঙ্গলে গিয়ে নারীরা লাঠি নিয়ে মাটিতে পিটিয়ে পিটিয়ে এবং চিৎকার করে তাদের সকল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই রাগ–ক্ষোভ কেবল স্বামীদের প্রতিই নয়, যে কারও প্রতিই হতে পারে।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৩ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে