ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও দানবীর আসিফ আজিজ ভারতের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পাশে মসজিদ নির্মাণে ৫ হাজার কোটি দান করেছেন—এমন দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৫ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পাশে যে মসজিদ নির্মাণ করা হবে, সেখানে ৫ হাজার কোটি টাকা দান করে বিশ্বের ব্যক্তিগত দানবীর হিসেবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন আসিফ আজিজ।
ভিডিওটিতে আরও দাবি করা হয়েছে, বিখ্যাত ম্যাগাজিন ডেইলি টেলিগ্রাফে এ নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন আসিফ আজিজ। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘মসজিদ নির্মাণ করতে শুধু টাকা নয় হিম্মত ও সাহসের প্রয়োজন, রাম মন্দিরের পাশে বাবরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি দান করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
ভিডিওটিতে দাবি করা তথ্য অনুযায়ী, মুসলিম দরদি এই আসিফ আজিজ হলেন সেই ব্যক্তি যিনি গত এক বছর লন্ডনের ট্রোকাডেরো নামে একটি বিখ্যাত রিসোর্ট কিনে সেটি মসজিদে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ নিয়ে ইংল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়িয়েছিল।
ভিডিওটি ‘Any News 360’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। গত শুক্রবার (১ মার্চ) পেজটিতে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেল ৪টা পর্যন্ত এটি ৪ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে, রিয়েকশন পড়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার। ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে ৬৬ হাজার।
কে এই আসিফ আজিজ?
আসিফ আজিজের জন্ম পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাবিতে, ১৯৬৭ সালে। পরে লন্ডনে থিতু হন। তিনি লন্ডনের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ক্রাইটেরিওন ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী এবং প্রতিষ্ঠাতা। একই সঙ্গে আজিজ ফাউন্ডেশনেরও প্রধান। এই ফাউন্ডেশন ব্রিটিশ মুসলিম শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর স্কলারশিপ দিয়ে থাকে এবং এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৫০টির বেশি স্কলারশিপ দিয়েছে। লন্ডনে রমজানে নানা উদ্যোগ, ইফতার আয়োজন, ব্রিটিশ মুসলমানদের নানাবিধ কল্যাণ এবং নামাজের স্থান প্রতিষ্ঠায় ফাউন্ডেশনটির ভূমিকা আছে। এ ছাড়া ফাউন্ডেশনটি ইসলাম ফোবিয়া সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতেও কাজ করে।
অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণে আসিফ আজিজ অর্থ দান করেছেন?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে এক্স (সাবেক টুইটার) ও ইনস্টাগ্রামের বেশ কিছু অ্যাকাউন্টে আসিফ আজিজ ভারতের অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণে ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন দাবিতে পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। তবে পোস্টগুলোতে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। যেমন, এক্সে গত ২২ জানুয়ারি শীতল সিং নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে অযোধ্যায় নির্মিতব্য মসজিদটির নকশা এবং আসিফ আজিজের ছবি টুইট করে লেখা হয়, লন্ডনে বসবাসরত আসিফ আজিজ অযোধ্যায় নির্মিতব্য মসজিদটির জন্য ৫ হাজার কোটি দান করেছেন। টুইটটিতে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
এ দাবি সম্পর্কিত সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি পাওয়া যায় ‘অল মুসলিম সিস ওয়ান’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। অ্যাকাউন্টটিতে গত ১৭ জানুয়ারি করা একটি পোস্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি আসিফ আজিজ অযোধ্যায় নির্মিতব্য মসজিদটির জন্য ৫ হাজার ভারতীয় রুপি দান করেছেন। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি প্রত্যেকটি মসজিদের জন্য ইট দান করবেন। ইটগুলো ২০০ বছর পর্যন্ত কিছু হবে না এবং ইটগুলোতে একটি (ইলেকট্রনিক) চিপ ও তাঁর নাম খোদাই করা থাকবে। যাতে অন্য ধর্মের লোকেরা এগুলো না নিয়ে যেতে পারে। এখানেও কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
দাবিটির অধিকতর সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি–ওয়ার্ড দিয়ে অনুসন্ধানেও দাবিটির পক্ষে কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভাইরাল ভিডিওটিতে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে আসিফ আজিজ অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণে অর্থ সহায়তার বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দাবি করা হয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমটিতে খুঁজে তাঁর এমন কোনো সাক্ষাৎকার পাওয়া যায়নি।
আসিফ আজিজের প্রতিষ্ঠান আজিজ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটেও এমন কোনো তথ্য নেই। ভারতীয় আদালতের রায়ে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থলে রাম মন্দির এবং এর কিছুটা দূরে একটি স্থানে মসজিদ নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। নির্মিতব্য মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে মহানবী (সা.)–এর নামে মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ। মসজিদটি নির্মাণে ইন্দো–ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। ট্রাস্টটির নামে খোলা ফেসবুক পেজ ও এক্স অ্যাকাউন্টে আসিফ আজিজের দান সম্পর্কিত কোনো তথ্য নেই।
পরে আরও খুঁজে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে প্রকাশিত বার্তা ভারতীতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এতে বলা হয়, অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের জন্য আসিফ আজিজের দান করার দাবিটি কোনো গ্রহণযোগ্য সূত্র ছাড়াই প্রচার করা হচ্ছে। দাবিটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
অযোধ্যায় মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ মসজিদ নির্মাণে বিপুল অংকের টাকা দান করেছেন বলে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির নামে এর আগেও বেশ কিছু তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। এর মধ্যে পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নামে ৪৫ কোটি টাকা দানের খবর অন্যতম। একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান এসব তথ্য ভুয়া বলে প্রমাণ করেছে। যুক্তরাজ্যের দানবীর এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আসিফ আজিজের নামে ছড়ানো তথ্যটিও এমন।
লন্ডনে রিসোর্ট কিনে মসজিদ বানিয়েছেন আসিফ আজিজ?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল দাবিটির একটি অংশে দাবি করা হয়েছে, তিনি লন্ডনের ট্রোকাডেরোর একটি বিখ্যাত রিসোর্ট কিনে সেটি মসজিদে রূপান্তরিত করেছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত পাকিস্তানের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান সোচ ফ্যাক্টচেক ও মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান মিসবার থেকে জানা যায়, ট্রোকাডেরো ভবনটি ১৮৯৬ সালে রেস্টুরেন্ট হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে ১৯৮০–এর দশকে ভবনটি প্রদর্শনী ও বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়।
২০০৫ সালে আসিফ আজিজের প্রতিষ্ঠান ক্রাইটেরিওন ক্যাপিটাল ২২ কোটি পাউন্ড দিয়ে এটি কিনে নেয়। ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের দ্য সানসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করে, আসিফ আজিজ লন্ডনের ট্রোকাডেরো ভবনকে মসজিদে রূপান্তর করতে যাচ্ছেন। এরপরই আসিফ আজিজের দাতব্য প্রতিষ্ঠান একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, ট্রোকাডেরো ভবনকে মসজিদে রূপান্তরের দাবিটি সঠিক নয়।
যুক্তরাজ্যের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও দানবীর আসিফ আজিজ ভারতের অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পাশে মসজিদ নির্মাণে ৫ হাজার কোটি দান করেছেন—এমন দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৫ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পাশে যে মসজিদ নির্মাণ করা হবে, সেখানে ৫ হাজার কোটি টাকা দান করে বিশ্বের ব্যক্তিগত দানবীর হিসেবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন আসিফ আজিজ।
ভিডিওটিতে আরও দাবি করা হয়েছে, বিখ্যাত ম্যাগাজিন ডেইলি টেলিগ্রাফে এ নিয়ে একটি সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন আসিফ আজিজ। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘মসজিদ নির্মাণ করতে শুধু টাকা নয় হিম্মত ও সাহসের প্রয়োজন, রাম মন্দিরের পাশে বাবরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি দান করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
ভিডিওটিতে দাবি করা তথ্য অনুযায়ী, মুসলিম দরদি এই আসিফ আজিজ হলেন সেই ব্যক্তি যিনি গত এক বছর লন্ডনের ট্রোকাডেরো নামে একটি বিখ্যাত রিসোর্ট কিনে সেটি মসজিদে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ নিয়ে ইংল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়িয়েছিল।
ভিডিওটি ‘Any News 360’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। গত শুক্রবার (১ মার্চ) পেজটিতে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেল ৪টা পর্যন্ত এটি ৪ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে, রিয়েকশন পড়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার। ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে ৬৬ হাজার।
কে এই আসিফ আজিজ?
আসিফ আজিজের জন্ম পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাবিতে, ১৯৬৭ সালে। পরে লন্ডনে থিতু হন। তিনি লন্ডনের রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ক্রাইটেরিওন ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী এবং প্রতিষ্ঠাতা। একই সঙ্গে আজিজ ফাউন্ডেশনেরও প্রধান। এই ফাউন্ডেশন ব্রিটিশ মুসলিম শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর স্কলারশিপ দিয়ে থাকে এবং এখন পর্যন্ত ৫০টির বেশি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৫০টির বেশি স্কলারশিপ দিয়েছে। লন্ডনে রমজানে নানা উদ্যোগ, ইফতার আয়োজন, ব্রিটিশ মুসলমানদের নানাবিধ কল্যাণ এবং নামাজের স্থান প্রতিষ্ঠায় ফাউন্ডেশনটির ভূমিকা আছে। এ ছাড়া ফাউন্ডেশনটি ইসলাম ফোবিয়া সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতেও কাজ করে।
অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণে আসিফ আজিজ অর্থ দান করেছেন?
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে এক্স (সাবেক টুইটার) ও ইনস্টাগ্রামের বেশ কিছু অ্যাকাউন্টে আসিফ আজিজ ভারতের অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণে ৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন দাবিতে পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। তবে পোস্টগুলোতে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। যেমন, এক্সে গত ২২ জানুয়ারি শীতল সিং নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে অযোধ্যায় নির্মিতব্য মসজিদটির নকশা এবং আসিফ আজিজের ছবি টুইট করে লেখা হয়, লন্ডনে বসবাসরত আসিফ আজিজ অযোধ্যায় নির্মিতব্য মসজিদটির জন্য ৫ হাজার কোটি দান করেছেন। টুইটটিতে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
এ দাবি সম্পর্কিত সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি পাওয়া যায় ‘অল মুসলিম সিস ওয়ান’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। অ্যাকাউন্টটিতে গত ১৭ জানুয়ারি করা একটি পোস্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি আসিফ আজিজ অযোধ্যায় নির্মিতব্য মসজিদটির জন্য ৫ হাজার ভারতীয় রুপি দান করেছেন। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি প্রত্যেকটি মসজিদের জন্য ইট দান করবেন। ইটগুলো ২০০ বছর পর্যন্ত কিছু হবে না এবং ইটগুলোতে একটি (ইলেকট্রনিক) চিপ ও তাঁর নাম খোদাই করা থাকবে। যাতে অন্য ধর্মের লোকেরা এগুলো না নিয়ে যেতে পারে। এখানেও কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি।
দাবিটির অধিকতর সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন কি–ওয়ার্ড দিয়ে অনুসন্ধানেও দাবিটির পক্ষে কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভাইরাল ভিডিওটিতে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে আসিফ আজিজ অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণে অর্থ সহায়তার বিষয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দাবি করা হয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমটিতে খুঁজে তাঁর এমন কোনো সাক্ষাৎকার পাওয়া যায়নি।
আসিফ আজিজের প্রতিষ্ঠান আজিজ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটেও এমন কোনো তথ্য নেই। ভারতীয় আদালতের রায়ে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থলে রাম মন্দির এবং এর কিছুটা দূরে একটি স্থানে মসজিদ নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। নির্মিতব্য মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে মহানবী (সা.)–এর নামে মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ। মসজিদটি নির্মাণে ইন্দো–ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। ট্রাস্টটির নামে খোলা ফেসবুক পেজ ও এক্স অ্যাকাউন্টে আসিফ আজিজের দান সম্পর্কিত কোনো তথ্য নেই।
পরে আরও খুঁজে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে প্রকাশিত বার্তা ভারতীতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এতে বলা হয়, অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণের জন্য আসিফ আজিজের দান করার দাবিটি কোনো গ্রহণযোগ্য সূত্র ছাড়াই প্রচার করা হচ্ছে। দাবিটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
অযোধ্যায় মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ মসজিদ নির্মাণে বিপুল অংকের টাকা দান করেছেন বলে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির নামে এর আগেও বেশ কিছু তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। এর মধ্যে পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নামে ৪৫ কোটি টাকা দানের খবর অন্যতম। একাধিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান এসব তথ্য ভুয়া বলে প্রমাণ করেছে। যুক্তরাজ্যের দানবীর এবং রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আসিফ আজিজের নামে ছড়ানো তথ্যটিও এমন।
লন্ডনে রিসোর্ট কিনে মসজিদ বানিয়েছেন আসিফ আজিজ?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল দাবিটির একটি অংশে দাবি করা হয়েছে, তিনি লন্ডনের ট্রোকাডেরোর একটি বিখ্যাত রিসোর্ট কিনে সেটি মসজিদে রূপান্তরিত করেছিলেন। তবে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত পাকিস্তানের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান সোচ ফ্যাক্টচেক ও মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান মিসবার থেকে জানা যায়, ট্রোকাডেরো ভবনটি ১৮৯৬ সালে রেস্টুরেন্ট হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে ১৯৮০–এর দশকে ভবনটি প্রদর্শনী ও বিনোদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়।
২০০৫ সালে আসিফ আজিজের প্রতিষ্ঠান ক্রাইটেরিওন ক্যাপিটাল ২২ কোটি পাউন্ড দিয়ে এটি কিনে নেয়। ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের দ্য সানসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম দাবি করে, আসিফ আজিজ লন্ডনের ট্রোকাডেরো ভবনকে মসজিদে রূপান্তর করতে যাচ্ছেন। এরপরই আসিফ আজিজের দাতব্য প্রতিষ্ঠান একটি বিবৃতি দিয়ে জানায়, ট্রোকাডেরো ভবনকে মসজিদে রূপান্তরের দাবিটি সঠিক নয়।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
২ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
৩ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৪ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৪ দিন আগে