ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
প্রতিবছরের অক্টোবর মাসকে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতার মাস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এ কর্মসূচি নিয়ে আজকের পত্রিকায় নিবন্ধ লেখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী। ওই নিবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাতে মারা যান প্রায় ৮ হাজার জন। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক।
স্তন ক্যানসারের এই ভয়াবহ চিত্রের পেছনে সচেতনতার অভাব বড় কারণ। সচেতনতার অভাবে একদিকে যেমন রোগের প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ কঠিন হয়ে পড়ে, অন্যদিকে ক্যানসার নিয়ে নানা ভুল ধারণাও ছড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘ব্রা স্তন ক্যানসার সৃষ্টি করে’। আসলেই কি তাই? এ ধারণার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে?
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্রেস্ট ক্যানসার ফাউন্ডেশন ব্রায়ের সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ককে প্রচলিত ধারণা হিসেবে উল্লেখ করেছে। ফাউন্ডেশনটি স্তন ক্যানসার নিয়ে প্রচলিত এ ধারণা প্রসঙ্গে জানায়, কোনো ধরনের ব্রা-ই ক্যানসার সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়। একসময় মনে করা হতো, আন্ডারওয়্যার ব্রা স্তনের লিম্ফ ফ্লো বা তরল চলাচলে বাধা দেয়, যা ধীরে ধীরে স্তন ক্যানসারের দিকে ধাবিত হয়। এ দাবিকে সমর্থন করার মতো কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। অনুরূপভাবে এ দাবির পক্ষেও কোনো প্রমাণ নেই যে ব্রা না পরা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সর্বোপরি, শরীরের জন্য উপযুক্ত ব্রা না পরলে তা অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। তাই জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্রা খুঁজে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যানসার প্রতিরোধ ও ক্যানসার রোগীদের সহায়তায় কাজ করা অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্যানসার কাউন্সিল ব্রায়ের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে জানায়, ব্রা পরা বা না পরা এবং স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়—এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য গবেষণা নেই। দাবি করা হয়, আন্ডারওয়্যার ব্রা স্তনের তরল চলাচলে বাধা দিয়ে ব্রেস্ট ক্যানসার সৃষ্টি করে। তবে এ দাবিকে সমর্থনের জন্য কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। ঘুমানোর সময় ব্রা পরা ব্যক্তিগত পছন্দ। ক্যানসারের ঝুঁকির বিষয়ে চিন্তা না করেই কেউ তা বেছে নিতে পারেন।
ক্যানসার নিয়ে কাজ করা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্বাধীন ক্যানসার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানসার রিসার্চ ইউকে জানায়, ব্রা পরা বা ব্রাতে মোবাইল ফোন রাখা ক্যানসারের কারণ—এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ব্রা ও ক্যানসার কীভাবে যুক্ত, তার কোনো বৈজ্ঞানিক যোগসূত্র না থাকায় এই বিষয়ে খুব বেশি গবেষণা হয়নি। তবে গবেষণা ডেটাবেইস পাবমেডে প্রকাশিত এ-সম্পর্কিত এক গবেষণার সূত্রে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ব্রা পরা ও স্তন ক্যানসারের মধ্যে কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই নারীদের ব্রা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
একই গবেষণার সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি জানায়, ২০১৪ সালে দেড় হাজারের বেশি নারীর ওপর করা গবেষণায় ব্রা পরা ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। এ ধারণার উৎপত্তি মূলত একটি বই থেকে, যেখানে দাবি করা হয়েছে, ব্রা স্তনের লিম্ফ ফ্লো বা তরল চলাচলে বাধা দেয় এবং এর ফলে স্তন ক্যানসার হয়।
পাবমেডে প্রকাশিত গবেষণাটি দেখুন এখানে।
ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ রিসার্চের ওয়েবসাইট থেকে এ বই সম্পর্কে জানা যায়। এ থেকে জানা যায়, ব্রা স্তন ক্যানসারের কারণ—এমন ধারণার সম্ভাব্য উৎপত্তি ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত ‘ড্রেসেড টু কিল’ নামের এক বই থেকে। সিডনি রস সিঙ্গার ও সোমা গ্রিসমাইজার নামে দুজন আমেরিকান লেখকের লেখা এ বইয়ে দাবি করা হয়, যে নারীরা দৈনিক ১২ ঘণ্টা আন্ডারওয়্যার ব্রা পরে থাকে, তারা উচ্চমাত্রায় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। কারণ, ব্রা লিম্ফ সিস্টেমকে বাধা দেয়। বইয়ে উল্লেখিত এ দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
ওয়েবসাইটটিতে আমেরিকান চিকিৎসক ও লেখক ডা. সুসান মার্গারেট লাভের ‘ব্রেস্ট বুক’ বইয়ের বরাত দিয়ে এ ধারণার উৎপত্তির সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে বলা হয়, মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হলো, মানুষ সব সময় অনিশ্চয়তা এবং ভয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। মানুষ কোনো কিছু থেকে বাঁচতে অন্যের ওপর দায় চাপাতে চায় এবং এ কারণেই স্তন ক্যানসার এড়াতে ব্রা পরা থেকে বিরত থাকার প্রসঙ্গ আসে। বিশ্বব্যাপী অঞ্চলভেদে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির তারতম্য দেখা যায়। আর এ ঝুঁকি খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা, চিকিৎসাসেবা প্রাপ্যতার মতো বিষয়গুলো দ্বারা আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, অতিরিক্ত ওজন বা শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি থাকা একজন নারীর স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব উটাহর চিকিৎসাবিষয়ক ওয়েবপেজ জানায়, ব্রার সঙ্গে স্তন ক্যানসারের কোনো সম্পর্ক নেই; বরং স্তন ক্যানসার থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা ও অ্যালকোহল পরিহার করা জরুরি। স্থূল নারী বা অ্যালকোহলে আসক্ত নারীরা অতিমাত্রায় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।
স্তন ক্যানসার দ্রুত শনাক্ত করা এবং এটি ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করার একটি প্রমাণিত উপায় হলো ম্যামোগ্রাম। ৪৫ বছর বয়সের পরে একজন নারীর প্রতিবছর এটি করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ম্যামোগ্রাম হলো স্তনের একটি এক্স-রে ছবি। স্তন ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে চিকিৎসকেরা ম্যামোগ্রাম ব্যবহার করেন। নিয়মিত ম্যামোগ্রাম স্তন ক্যানসার প্রাথমিক অবস্থাতেই শনাক্ত করতে পারে, কখনো কখনো এটি অনুভব করা যায় তিন বছর আগেই।
সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাতে মারা যান প্রায় ৮ হাজার জন। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার বেশি। এ হার মানুষের মধ্যে তৈরি করেছে আতঙ্ক, ভয়। এ আতঙ্ক, ভয় থেকেই স্তন ক্যানসার থেকে বাঁচতে মানুষ নানা পন্থা অবলম্বন করে। এগুলোর মধ্যে প্রধানতম ব্রা পরা থেকে বিরত থাকা। যদিও গবেষক ও চিকিৎসকেরা ব্রার সঙ্গে স্তন ক্যানসার হওয়ার মধ্যে কোনো বৈজ্ঞানিক যোগসূত্র খুঁজে পাননি।
প্রতিবছরের অক্টোবর মাসকে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যানসার নিয়ে সচেতনতার মাস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের এ কর্মসূচি নিয়ে আজকের পত্রিকায় নিবন্ধ লেখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী। ওই নিবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাতে মারা যান প্রায় ৮ হাজার জন। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক।
স্তন ক্যানসারের এই ভয়াবহ চিত্রের পেছনে সচেতনতার অভাব বড় কারণ। সচেতনতার অভাবে একদিকে যেমন রোগের প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ কঠিন হয়ে পড়ে, অন্যদিকে ক্যানসার নিয়ে নানা ভুল ধারণাও ছড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ‘ব্রা স্তন ক্যানসার সৃষ্টি করে’। আসলেই কি তাই? এ ধারণার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে?
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্রেস্ট ক্যানসার ফাউন্ডেশন ব্রায়ের সঙ্গে ক্যানসারের সম্পর্ককে প্রচলিত ধারণা হিসেবে উল্লেখ করেছে। ফাউন্ডেশনটি স্তন ক্যানসার নিয়ে প্রচলিত এ ধারণা প্রসঙ্গে জানায়, কোনো ধরনের ব্রা-ই ক্যানসার সৃষ্টির জন্য দায়ী নয়। একসময় মনে করা হতো, আন্ডারওয়্যার ব্রা স্তনের লিম্ফ ফ্লো বা তরল চলাচলে বাধা দেয়, যা ধীরে ধীরে স্তন ক্যানসারের দিকে ধাবিত হয়। এ দাবিকে সমর্থন করার মতো কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। অনুরূপভাবে এ দাবির পক্ষেও কোনো প্রমাণ নেই যে ব্রা না পরা স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। সর্বোপরি, শরীরের জন্য উপযুক্ত ব্রা না পরলে তা অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। তাই জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্রা খুঁজে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যানসার প্রতিরোধ ও ক্যানসার রোগীদের সহায়তায় কাজ করা অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান ক্যানসার কাউন্সিল ব্রায়ের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে জানায়, ব্রা পরা বা না পরা এবং স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়—এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য গবেষণা নেই। দাবি করা হয়, আন্ডারওয়্যার ব্রা স্তনের তরল চলাচলে বাধা দিয়ে ব্রেস্ট ক্যানসার সৃষ্টি করে। তবে এ দাবিকে সমর্থনের জন্য কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। ঘুমানোর সময় ব্রা পরা ব্যক্তিগত পছন্দ। ক্যানসারের ঝুঁকির বিষয়ে চিন্তা না করেই কেউ তা বেছে নিতে পারেন।
ক্যানসার নিয়ে কাজ করা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্বাধীন ক্যানসার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানসার রিসার্চ ইউকে জানায়, ব্রা পরা বা ব্রাতে মোবাইল ফোন রাখা ক্যানসারের কারণ—এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ব্রা ও ক্যানসার কীভাবে যুক্ত, তার কোনো বৈজ্ঞানিক যোগসূত্র না থাকায় এই বিষয়ে খুব বেশি গবেষণা হয়নি। তবে গবেষণা ডেটাবেইস পাবমেডে প্রকাশিত এ-সম্পর্কিত এক গবেষণার সূত্রে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ব্রা পরা ও স্তন ক্যানসারের মধ্যে কোনো যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই নারীদের ব্রা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
একই গবেষণার সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি জানায়, ২০১৪ সালে দেড় হাজারের বেশি নারীর ওপর করা গবেষণায় ব্রা পরা ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। এ ধারণার উৎপত্তি মূলত একটি বই থেকে, যেখানে দাবি করা হয়েছে, ব্রা স্তনের লিম্ফ ফ্লো বা তরল চলাচলে বাধা দেয় এবং এর ফলে স্তন ক্যানসার হয়।
পাবমেডে প্রকাশিত গবেষণাটি দেখুন এখানে।
ওয়াশিংটন ডিসিভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ রিসার্চের ওয়েবসাইট থেকে এ বই সম্পর্কে জানা যায়। এ থেকে জানা যায়, ব্রা স্তন ক্যানসারের কারণ—এমন ধারণার সম্ভাব্য উৎপত্তি ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত ‘ড্রেসেড টু কিল’ নামের এক বই থেকে। সিডনি রস সিঙ্গার ও সোমা গ্রিসমাইজার নামে দুজন আমেরিকান লেখকের লেখা এ বইয়ে দাবি করা হয়, যে নারীরা দৈনিক ১২ ঘণ্টা আন্ডারওয়্যার ব্রা পরে থাকে, তারা উচ্চমাত্রায় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। কারণ, ব্রা লিম্ফ সিস্টেমকে বাধা দেয়। বইয়ে উল্লেখিত এ দাবির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
ওয়েবসাইটটিতে আমেরিকান চিকিৎসক ও লেখক ডা. সুসান মার্গারেট লাভের ‘ব্রেস্ট বুক’ বইয়ের বরাত দিয়ে এ ধারণার উৎপত্তির সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে বলা হয়, মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হলো, মানুষ সব সময় অনিশ্চয়তা এবং ভয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। মানুষ কোনো কিছু থেকে বাঁচতে অন্যের ওপর দায় চাপাতে চায় এবং এ কারণেই স্তন ক্যানসার এড়াতে ব্রা পরা থেকে বিরত থাকার প্রসঙ্গ আসে। বিশ্বব্যাপী অঞ্চলভেদে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির তারতম্য দেখা যায়। আর এ ঝুঁকি খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা, চিকিৎসাসেবা প্রাপ্যতার মতো বিষয়গুলো দ্বারা আরও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, অতিরিক্ত ওজন বা শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি থাকা একজন নারীর স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব উটাহর চিকিৎসাবিষয়ক ওয়েবপেজ জানায়, ব্রার সঙ্গে স্তন ক্যানসারের কোনো সম্পর্ক নেই; বরং স্তন ক্যানসার থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা ও অ্যালকোহল পরিহার করা জরুরি। স্থূল নারী বা অ্যালকোহলে আসক্ত নারীরা অতিমাত্রায় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।
স্তন ক্যানসার দ্রুত শনাক্ত করা এবং এটি ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করার একটি প্রমাণিত উপায় হলো ম্যামোগ্রাম। ৪৫ বছর বয়সের পরে একজন নারীর প্রতিবছর এটি করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ম্যামোগ্রাম হলো স্তনের একটি এক্স-রে ছবি। স্তন ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে চিকিৎসকেরা ম্যামোগ্রাম ব্যবহার করেন। নিয়মিত ম্যামোগ্রাম স্তন ক্যানসার প্রাথমিক অবস্থাতেই শনাক্ত করতে পারে, কখনো কখনো এটি অনুভব করা যায় তিন বছর আগেই।
সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ হাজার নারী নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাতে মারা যান প্রায় ৮ হাজার জন। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার বেশি। এ হার মানুষের মধ্যে তৈরি করেছে আতঙ্ক, ভয়। এ আতঙ্ক, ভয় থেকেই স্তন ক্যানসার থেকে বাঁচতে মানুষ নানা পন্থা অবলম্বন করে। এগুলোর মধ্যে প্রধানতম ব্রা পরা থেকে বিরত থাকা। যদিও গবেষক ও চিকিৎসকেরা ব্রার সঙ্গে স্তন ক্যানসার হওয়ার মধ্যে কোনো বৈজ্ঞানিক যোগসূত্র খুঁজে পাননি।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৩ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে