ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
কালো রঙের একটি পাথরের ওপর কিছু রূপালি পেরেক রাখার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেগুলো গলে যাওয়ার একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ওপর লেখা, ‘পাথরটি আফগানিস্তানে পাওয়া গেছে। এই পাথরে হাত দিলে ঠাণ্ডা লাগে এবং লোহার কোনো জিনিস রাখলেই গলে যায়।’‘আশার আলো ২০২৩’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা এমন একটি ভিডিও আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১১ লাখ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে দেড় হাজারের বেশি। কমেন্ট পড়েছে আড়াইশোর বেশি। এসব কমেন্টের কোনো কোনোটিতে নেটিজেনরা পাথরটিকে ‘ইউরেনিয়াম’ দাবি করে মন্তব্য করেছেন।
এটি কি অলৌকিক ঘটনা?
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে জেদ্দাহ অ্যাস্ট্রনমি সোসাইটি নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বরে প্রচারিত একই ভিডিওটি পাওয়া যায়। আরবি ভাষায় দেওয়া ভিডিওটির ক্যাপশনের ইংরেজি অনুবাদ দাঁড়ায়, ‘হোক্স অ্যালার্ট বা প্রতারণা থেকে সাবধান! সোশ্যাল মিডিয়ায় কালো পাথরের ওপর পেরেক রাখার পর গলে যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওয়ের প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, এখানে ব্যবহার করা পেরেকটি গ্যালিয়াম ধাতুর তৈরি। এই ধাতু কঠিন এবং প্রায় ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে যায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকেও এমন একটি ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওই বছরের ৬ এপ্রিল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে একটি কালো পাথরের ওপর একটি পেরেক রাখার পরপরই গলে যাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়, পেরেক গলিয়ে ফেলা কালো পাথরটি কিছু সৈন্য প্রথম আবিষ্কার করেন। তাঁরা পাথরটির কাছে তাঁদের অস্ত্র রাখলে সেগুলো গলে যায়।
স্নোপসের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ওই সময়ের ভাইরাল ভিডিওর দাবিটি সন্দেহজনক। কারণ, অস্ত্র লোহার তৈরি। আর লোহা গলানো হলে লাল বর্ণের হবে। ভিডিওর মতো উজ্জ্বল রূপালি বর্ণের হবে না। ভিডিওতে পাথরের ওপর রাখা বস্তুটি প্রকৃতপক্ষে গ্যালিয়াম। এটি কক্ষ তাপমাত্রায় (২০–২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) কঠিন অবস্থায় থাকে, কিন্তু প্রায় ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গলে যায়। সূর্যালোকে রাখা একটি কালো পাথর খুব সহজেই এই তাপমাত্রায় পৌঁছে যেতে পারে এবং গ্যালিয়ামকে গলিয়ে ফেলতে পারে।
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি অব কেমেস্ট্রির ওয়েবসাইট থেকেও গ্যালিয়ামের এই ধর্ম সম্পর্কে জানা যায়। ওয়েবসাইটটি থেকে জানা যায়, গ্যালিয়াম ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থায় থাকে এবং ২৯ দশমিক ৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে যায়।
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা সম্পর্কিত ইউটিউব চ্যানেলে গ্যালিয়াম দিয়ে পেরেক, চামচ বানিয়ে সেটিকে গলিয়ে ফেলার একাধিক ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। আবার হাতের তালুতেও গলানোর দৃশ্য দেখা যায়। এর মধ্যে অ্যাকশন ল্যাব শর্টস নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গ্যালিয়াম দিয়ে পেরেক বানানো ও হেয়ার ড্রায়ারের বাতাস দিয়ে সেই পেরেক গলিয়ে ফেলার একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওতে এক ব্যক্তি প্রথমে গ্যালিয়াম দিয়ে পেরেক তৈরি করেন এবং সেই পেরেক একটি কাঠের মধ্যে পুঁতে হেয়ার ড্রায়ারের বাতাস দিয়ে গলিয়ে ফেলেন।
ওয়েন ব্রেসলিন নামের আরেকটি ইউটিউব চ্যানেলে গ্যালিয়াম দিয়ে চামচ তৈরি করেন এক ব্যক্তি। পরে সেই চামচটি গরম পানিতে রেখে নাড়াচাড়া করতেই সেটি গলে যেতে দেখা যায়।
আর মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণে হাতের তালুতেও গ্যালিয়াম গলে যেতে পারে।
স্পষ্টত, ভাইরাল ভিডিওটির দাবি সঠিক নয়। পাথরের ওপর গলে যাওয়া পেরেক সদৃশ বস্তুগুলো গ্যালিয়াম ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে। কারণ গ্যালিয়াম ধাতু কঠিন হলেও মাত্র ২৯ দশমিক ৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে যায়। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা সম্পর্কিত এমন অনেক ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যায়।
কালো রঙের একটি পাথরের ওপর কিছু রূপালি পেরেক রাখার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেগুলো গলে যাওয়ার একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ওপর লেখা, ‘পাথরটি আফগানিস্তানে পাওয়া গেছে। এই পাথরে হাত দিলে ঠাণ্ডা লাগে এবং লোহার কোনো জিনিস রাখলেই গলে যায়।’‘আশার আলো ২০২৩’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা এমন একটি ভিডিও আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১১ লাখ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটি শেয়ার হয়েছে দেড় হাজারের বেশি। কমেন্ট পড়েছে আড়াইশোর বেশি। এসব কমেন্টের কোনো কোনোটিতে নেটিজেনরা পাথরটিকে ‘ইউরেনিয়াম’ দাবি করে মন্তব্য করেছেন।
এটি কি অলৌকিক ঘটনা?
রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে জেদ্দাহ অ্যাস্ট্রনমি সোসাইটি নামের একটি ফেসবুক পেজে ২০২১ সালের ২৭ নভেম্বরে প্রচারিত একই ভিডিওটি পাওয়া যায়। আরবি ভাষায় দেওয়া ভিডিওটির ক্যাপশনের ইংরেজি অনুবাদ দাঁড়ায়, ‘হোক্স অ্যালার্ট বা প্রতারণা থেকে সাবধান! সোশ্যাল মিডিয়ায় কালো পাথরের ওপর পেরেক রাখার পর গলে যাওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওয়ের প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, এখানে ব্যবহার করা পেরেকটি গ্যালিয়াম ধাতুর তৈরি। এই ধাতু কঠিন এবং প্রায় ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে যায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকেও এমন একটি ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ওই বছরের ৬ এপ্রিল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে একটি কালো পাথরের ওপর একটি পেরেক রাখার পরপরই গলে যাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়, পেরেক গলিয়ে ফেলা কালো পাথরটি কিছু সৈন্য প্রথম আবিষ্কার করেন। তাঁরা পাথরটির কাছে তাঁদের অস্ত্র রাখলে সেগুলো গলে যায়।
স্নোপসের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ওই সময়ের ভাইরাল ভিডিওর দাবিটি সন্দেহজনক। কারণ, অস্ত্র লোহার তৈরি। আর লোহা গলানো হলে লাল বর্ণের হবে। ভিডিওর মতো উজ্জ্বল রূপালি বর্ণের হবে না। ভিডিওতে পাথরের ওপর রাখা বস্তুটি প্রকৃতপক্ষে গ্যালিয়াম। এটি কক্ষ তাপমাত্রায় (২০–২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) কঠিন অবস্থায় থাকে, কিন্তু প্রায় ২৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গলে যায়। সূর্যালোকে রাখা একটি কালো পাথর খুব সহজেই এই তাপমাত্রায় পৌঁছে যেতে পারে এবং গ্যালিয়ামকে গলিয়ে ফেলতে পারে।
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি অব কেমেস্ট্রির ওয়েবসাইট থেকেও গ্যালিয়ামের এই ধর্ম সম্পর্কে জানা যায়। ওয়েবসাইটটি থেকে জানা যায়, গ্যালিয়াম ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থায় থাকে এবং ২৯ দশমিক ৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে যায়।
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা সম্পর্কিত ইউটিউব চ্যানেলে গ্যালিয়াম দিয়ে পেরেক, চামচ বানিয়ে সেটিকে গলিয়ে ফেলার একাধিক ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। আবার হাতের তালুতেও গলানোর দৃশ্য দেখা যায়। এর মধ্যে অ্যাকশন ল্যাব শর্টস নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গ্যালিয়াম দিয়ে পেরেক বানানো ও হেয়ার ড্রায়ারের বাতাস দিয়ে সেই পেরেক গলিয়ে ফেলার একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওতে এক ব্যক্তি প্রথমে গ্যালিয়াম দিয়ে পেরেক তৈরি করেন এবং সেই পেরেক একটি কাঠের মধ্যে পুঁতে হেয়ার ড্রায়ারের বাতাস দিয়ে গলিয়ে ফেলেন।
ওয়েন ব্রেসলিন নামের আরেকটি ইউটিউব চ্যানেলে গ্যালিয়াম দিয়ে চামচ তৈরি করেন এক ব্যক্তি। পরে সেই চামচটি গরম পানিতে রেখে নাড়াচাড়া করতেই সেটি গলে যেতে দেখা যায়।
আর মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারণে হাতের তালুতেও গ্যালিয়াম গলে যেতে পারে।
স্পষ্টত, ভাইরাল ভিডিওটির দাবি সঠিক নয়। পাথরের ওপর গলে যাওয়া পেরেক সদৃশ বস্তুগুলো গ্যালিয়াম ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে। কারণ গ্যালিয়াম ধাতু কঠিন হলেও মাত্র ২৯ দশমিক ৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে যায়। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা সম্পর্কিত এমন অনেক ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
২ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
৩ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৪ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৪ দিন আগে