ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
এখন গ্রীষ্মকাল। এই সময়ে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে অনেকেই ব্যবহার করেন ডিওডোরেন্ট এবং অ্যান্টিপারসপিরেন্ট। এই দুই উপকরণ নিয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে এসেছে ‘আতঙ্কিত’ হওয়ার মতো তথ্য। যেমন, জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের জীবনযাপন পাতায় ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল—‘অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট ব্যবহার থেকে হতে পারে ক্যানসার’।
ডেইলি বাংলাদেশ নামের একটি নিউজ পোর্টালের লাইফস্টাইল পাতায় ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ‘অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট মারাত্মক ক্ষতির কারণ!’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘ডিওডোরেন্ট আর অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারের ফলে রোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বহু ক্ষতিকারক টক্সিনস বেরিয়ে যায়। কিন্তু রোমকূপ বন্ধ থাকলে তা শরীরের ভেতর জমতে থাকে। এতে শরীরের কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি ক্যানসারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
এসব ছাড়াও বেশ কিছু নিউজ পোর্টালে ওঠে এসেছে এমন তথ্য। এ ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারে ক্যানসার বা নারীদের স্তন ক্যানসার হওয়ার আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে? খুঁজে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত রশওয়েল পার্ক কম্প্রিহেনসিভ ক্যানসার সেন্টারের ওয়েবসাইটে দাবিটির সূত্রপাত সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। ক্যানসার গবেষণা নিয়ে ১৮৯৮ সাল থেকে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, স্তন ক্যানসারের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্টকে জড়িয়ে বহুল প্রচারিত দাবিটির সূত্রপাত ১৯৯০–এর দশকের শেষদিক থেকে ই–মেইল বার্তার মাধ্যমে।
ই–মেইল বার্তাগুলোতে দাবি করা হয়, ‘আন্ডার আর্ম বা বগলে ব্যবহৃত প্রসাধনী পণ্য ডিওডোরেন্ট, অ্যান্টিপারসপিরেন্টে ক্ষতিকারক রাসায়নিক রয়েছে। অ্যান্টিপারসপিরেন্টে অ্যালুমিনিয়াম জাতীয় উপাদান থাকে, যা ত্বকের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। আবার বগল শেভ করার ফলে ত্বকে ছোট ছোট ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এসব ক্ষত অ্যান্টিপারসপিরেন্টের অ্যালুমিনিয়াম যৌগ বগলের নিচে থাকা লসিকা গ্রন্থির মাধ্যমে দেহে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। অ্যান্টিপারসপিরেন্টের ঘাম–প্রতিরোধক গুণাবলির কারণে দেহ থেকে এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক বের হতে পারে না। ফলে একসময় দেহের কোষগুলো এসব রাসায়নিকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ক্যানসারে পরিণত হয়।’
গবেষকদের বরাত দিয়ে রশওয়েল পার্ক কম্প্রেহেনসিভ ক্যানসার সেন্টার জানায়, ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির সম্পর্ক নেই। লসিকা গ্রন্থির সঙ্গে ঘর্মগ্রন্থির সংযোগ নেই। এ ছাড়া ত্বক অ্যান্টিপারসপিরেন্টের অ্যালুমিনিয়াম যৌগ শোষণ করে—এরও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। এটিও অসম্ভব যে, ত্বকের ছোট ছোট ক্ষতের মাধ্যমে ক্যানসার সৃষ্টিকারী জীবাণু শরীরে প্রবেশ এবং স্তনের কোষগুলোতে পৌঁছে যেতে পারে।
অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারে স্তন ক্যানসার হতে পারে—এমন দাবি বহু বছর ধরে প্রচার হয়ে আসছে উল্লেখ করে আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি জানায়, এই দাবি প্রসঙ্গে খুবই সীমিত পর্যায়ে গবেষণা হয়েছে। তবে এসব গবেষণার অধিকাংশতেই অ্যান্টিপারসপিরেন্ট এবং স্তন ক্যানসারের মধ্যে কোনো সংযোগ পাওয়া যায়নি। যেমন, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় ৮০০ নারী এবং একই সংখ্যক সুস্থ নারীর ওপরে করা একটি গবেষণায় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট, ডিওডোরেন্ট ব্যবহার বা আন্ডারআর্ম শেভিংয়ের কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
তবে গবেষণাগুলোর বেশির ভাগই কেস–কন্ট্রোল গবেষণা। যেখানে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত এবং সুস্থ মানুষকে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারের পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। এই ধরনের গবেষণা প্রায়শই ব্যাখ্যা করা কঠিন। কারণ, এসব গবেষণার ফলাফল সাধারণত একজন ব্যক্তির স্মৃতির ওপর নির্ভর করে। যদিও কিছু গবেষণায় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট, ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের সম্ভাব্য সম্পর্ক থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। কিন্তু গবেষণাগুলো করা হয়েছে অল্পসংখ্যক নমুনার ওপর। ফলে এসব গবেষণার ফলাফল সতর্কতার সঙ্গে ব্যাখ্যা করা দরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট দাবিটি প্রসঙ্গে জানায়, যেহেতু আন্ডারআর্ম অ্যান্টিপারসপিরেন্ট বা ডিওডোরেন্ট স্তনের কাছাকাছি প্রয়োগ করা হয় এবং এতে সম্ভাব্য ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে, তাই দাবি করা হয়, এগুলোর ব্যবহার এবং স্তন ক্যানসারের মধ্যে একটি সম্ভাব্য সংযোগ থাকতে পারে। যদিও এই পণ্যগুলোর ব্যবহারের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
কেউ কেউ দাবি করেন, অ্যান্টিপারসপিরেন্টে থাকা অ্যালুমিনিয়াম যৌগ স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে কোনো গবেষণায় এ দাবির পক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট জানায়, অ্যান্টিপারসপিরেন্ট বা প্রসাধনীতে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম যৌগ স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়—এর পক্ষে কোনো স্পষ্ট প্রমাণ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ) অ্যান্টিপারসপিরেন্ট এবং স্তন ক্যানসারের মধ্যে কোনো সংযোগ পায়নি বলে জানায়। ব্রিটিশ ক্যানসার রিসার্চ ২০১৪ সালে স্তন ক্যানসারের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট এবং চুলের কৃত্রিম রঙের সম্পর্ক থাকার দাবিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০১৩ সালে ইরানের তেহরান ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্সেসের নির্বাচিত হাসপাতালগুলোতে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্টে থাকা অ্যালুমিনিয়াম যৌগের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করা হয়। ইরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ২৭৪ জন স্তন ক্যানসারের রোগীর ওপর গবেষণাটি করেন। এই গবেষণাতেও স্তন ক্যানসারের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্টে থাকা অ্যালুমিনিয়াম যৌগের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সাময়িকীতে ইরাকে স্তন ক্যানসারের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, স্তন ক্যানসারের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্টের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং পারিবারিক ইতিহাস, মুখে গর্ভনিরোধক বড়ি গ্রহণের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের সম্পর্ক পাওয়া যায়।
সুতরাং, ঘাম নিরোধক বা ঘামের দুর্গন্ধ রোধে ব্যবহৃত অ্যান্টিপারসপিরেন্ট, ডিওডোরেন্টের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের কোনো সম্পর্ক আছে—কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন প্রমাণ মেলেনি।
এখন গ্রীষ্মকাল। এই সময়ে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে অনেকেই ব্যবহার করেন ডিওডোরেন্ট এবং অ্যান্টিপারসপিরেন্ট। এই দুই উপকরণ নিয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে এসেছে ‘আতঙ্কিত’ হওয়ার মতো তথ্য। যেমন, জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের জীবনযাপন পাতায় ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল—‘অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট ব্যবহার থেকে হতে পারে ক্যানসার’।
ডেইলি বাংলাদেশ নামের একটি নিউজ পোর্টালের লাইফস্টাইল পাতায় ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ‘অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট মারাত্মক ক্ষতির কারণ!’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘ডিওডোরেন্ট আর অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারের ফলে রোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বহু ক্ষতিকারক টক্সিনস বেরিয়ে যায়। কিন্তু রোমকূপ বন্ধ থাকলে তা শরীরের ভেতর জমতে থাকে। এতে শরীরের কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এমনকি ক্যানসারের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
এসব ছাড়াও বেশ কিছু নিউজ পোর্টালে ওঠে এসেছে এমন তথ্য। এ ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারে ক্যানসার বা নারীদের স্তন ক্যানসার হওয়ার আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে? খুঁজে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত রশওয়েল পার্ক কম্প্রিহেনসিভ ক্যানসার সেন্টারের ওয়েবসাইটে দাবিটির সূত্রপাত সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। ক্যানসার গবেষণা নিয়ে ১৮৯৮ সাল থেকে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, স্তন ক্যানসারের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্টকে জড়িয়ে বহুল প্রচারিত দাবিটির সূত্রপাত ১৯৯০–এর দশকের শেষদিক থেকে ই–মেইল বার্তার মাধ্যমে।
ই–মেইল বার্তাগুলোতে দাবি করা হয়, ‘আন্ডার আর্ম বা বগলে ব্যবহৃত প্রসাধনী পণ্য ডিওডোরেন্ট, অ্যান্টিপারসপিরেন্টে ক্ষতিকারক রাসায়নিক রয়েছে। অ্যান্টিপারসপিরেন্টে অ্যালুমিনিয়াম জাতীয় উপাদান থাকে, যা ত্বকের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। আবার বগল শেভ করার ফলে ত্বকে ছোট ছোট ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এসব ক্ষত অ্যান্টিপারসপিরেন্টের অ্যালুমিনিয়াম যৌগ বগলের নিচে থাকা লসিকা গ্রন্থির মাধ্যমে দেহে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। অ্যান্টিপারসপিরেন্টের ঘাম–প্রতিরোধক গুণাবলির কারণে দেহ থেকে এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক বের হতে পারে না। ফলে একসময় দেহের কোষগুলো এসব রাসায়নিকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ক্যানসারে পরিণত হয়।’
গবেষকদের বরাত দিয়ে রশওয়েল পার্ক কম্প্রেহেনসিভ ক্যানসার সেন্টার জানায়, ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির সম্পর্ক নেই। লসিকা গ্রন্থির সঙ্গে ঘর্মগ্রন্থির সংযোগ নেই। এ ছাড়া ত্বক অ্যান্টিপারসপিরেন্টের অ্যালুমিনিয়াম যৌগ শোষণ করে—এরও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। এটিও অসম্ভব যে, ত্বকের ছোট ছোট ক্ষতের মাধ্যমে ক্যানসার সৃষ্টিকারী জীবাণু শরীরে প্রবেশ এবং স্তনের কোষগুলোতে পৌঁছে যেতে পারে।
অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারে স্তন ক্যানসার হতে পারে—এমন দাবি বহু বছর ধরে প্রচার হয়ে আসছে উল্লেখ করে আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি জানায়, এই দাবি প্রসঙ্গে খুবই সীমিত পর্যায়ে গবেষণা হয়েছে। তবে এসব গবেষণার অধিকাংশতেই অ্যান্টিপারসপিরেন্ট এবং স্তন ক্যানসারের মধ্যে কোনো সংযোগ পাওয়া যায়নি। যেমন, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় ৮০০ নারী এবং একই সংখ্যক সুস্থ নারীর ওপরে করা একটি গবেষণায় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট, ডিওডোরেন্ট ব্যবহার বা আন্ডারআর্ম শেভিংয়ের কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
তবে গবেষণাগুলোর বেশির ভাগই কেস–কন্ট্রোল গবেষণা। যেখানে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত এবং সুস্থ মানুষকে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারের পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। এই ধরনের গবেষণা প্রায়শই ব্যাখ্যা করা কঠিন। কারণ, এসব গবেষণার ফলাফল সাধারণত একজন ব্যক্তির স্মৃতির ওপর নির্ভর করে। যদিও কিছু গবেষণায় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকির সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট, ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের সম্ভাব্য সম্পর্ক থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। কিন্তু গবেষণাগুলো করা হয়েছে অল্পসংখ্যক নমুনার ওপর। ফলে এসব গবেষণার ফলাফল সতর্কতার সঙ্গে ব্যাখ্যা করা দরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট দাবিটি প্রসঙ্গে জানায়, যেহেতু আন্ডারআর্ম অ্যান্টিপারসপিরেন্ট বা ডিওডোরেন্ট স্তনের কাছাকাছি প্রয়োগ করা হয় এবং এতে সম্ভাব্য ক্ষতিকারক উপাদান রয়েছে, তাই দাবি করা হয়, এগুলোর ব্যবহার এবং স্তন ক্যানসারের মধ্যে একটি সম্ভাব্য সংযোগ থাকতে পারে। যদিও এই পণ্যগুলোর ব্যবহারের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
কেউ কেউ দাবি করেন, অ্যান্টিপারসপিরেন্টে থাকা অ্যালুমিনিয়াম যৌগ স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে কোনো গবেষণায় এ দাবির পক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট জানায়, অ্যান্টিপারসপিরেন্ট বা প্রসাধনীতে ব্যবহৃত অ্যালুমিনিয়াম যৌগ স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়—এর পক্ষে কোনো স্পষ্ট প্রমাণ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনও (এফডিএ) অ্যান্টিপারসপিরেন্ট এবং স্তন ক্যানসারের মধ্যে কোনো সংযোগ পায়নি বলে জানায়। ব্রিটিশ ক্যানসার রিসার্চ ২০১৪ সালে স্তন ক্যানসারের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট এবং চুলের কৃত্রিম রঙের সম্পর্ক থাকার দাবিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
২০১৩ সালে ইরানের তেহরান ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্সেসের নির্বাচিত হাসপাতালগুলোতে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্টে থাকা অ্যালুমিনিয়াম যৌগের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করা হয়। ইরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ২৭৪ জন স্তন ক্যানসারের রোগীর ওপর গবেষণাটি করেন। এই গবেষণাতেও স্তন ক্যানসারের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্টে থাকা অ্যালুমিনিয়াম যৌগের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সাময়িকীতে ইরাকে স্তন ক্যানসারের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্ট ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, স্তন ক্যানসারের সঙ্গে অ্যান্টিপারসপিরেন্টের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং পারিবারিক ইতিহাস, মুখে গর্ভনিরোধক বড়ি গ্রহণের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের সম্পর্ক পাওয়া যায়।
সুতরাং, ঘাম নিরোধক বা ঘামের দুর্গন্ধ রোধে ব্যবহৃত অ্যান্টিপারসপিরেন্ট, ডিওডোরেন্টের সঙ্গে স্তন ক্যানসারের কোনো সম্পর্ক আছে—কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন প্রমাণ মেলেনি।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১৭ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
১ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
২ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
২ দিন আগে