ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সমস্যা বা সংকট মোকাবিলার চেষ্টা না করে কেউ এড়িয়ে যেতে চাইলে তাকে উটপাখির সঙ্গে তুলনা করা হয়। কারণ, বিপদ এড়াতে উটপাখি নাকি বালুতে মুখ গুঁজে। এমন ধারণা সাহিত্যে, বিজ্ঞাপনে, মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু আসলেই কি উটপাখি বালুতে মাথা গুঁজে বিপদ এড়ানোর চেষ্টা করে?
কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানবিষয়ক একাডেমিক প্রতিষ্ঠান অফিস ফর সায়েন্স অ্যান্ড সোসাইটি (ওএসএস) বলছে, ‘বিপদে উটপাখির বালুতে মাথা গোঁজার’ ধারণা মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রচলিত একটি ভুল ধারণা। এর জন্ম প্রাচীন রোমে। কেউ যখন সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন রূপকার্থে এটির ভুল ব্যবহারের প্রচলন হয়েছে।
কিন্তু এই ভুল ধারণা ভিত্তি পেল কীভাবে? এ বিষয়ের ওএসএসের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, উটপাখির মাথা শরীরের চেয়ে অনেক ছোট বলে মাথা নামিয়ে ফেললে বালুতে গুঁজে ফেলেছে বিভ্রম হওয়া স্বাভাবিক। দ্বিতীয়ত, এই পাখি অন্যদের মতো বাসা বাঁধে না; বালুতে গর্ত খুঁড়ে সেখানেই ডিম ঢেকে রাখে। এরপর ঠোঁট ব্যবহার করে গুঁজে রাখা ডিমগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করে এবং উল্টে দেয়—এখান থেকেও বালুতে মাথা গোঁজার ধারণার সূত্রপাত হতে পারে। তৃতীয়ত, শিকারি প্রাণীর হামলার আশঙ্কার মুখে নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে মাথা মাটির কাছাকাছি নামিয়ে ফেলে। এ থেকেও ধারণা হতে পারে, উটপাখি বিপদে পড়লে বালুতে মাথা গুঁজে ফেলে। কিন্তু আসলে তা সঠিক নয়।
উটপাখির বালুতে মাথা গোঁজা নিয়ে এক নিবন্ধে বিজ্ঞানবিষয়ক জনপ্রিয় লেখক ড. কার্ল করুজেলনিকির মত তুলে ধরেছে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (এবিসি)। সেখানে বলা হয়, সম্ভবত বিখ্যাত রোমান চিন্তাবিদ ও প্রাকৃতিক দার্শনিক লিনি দ্য এলডারের (খ্রিষ্টপূর্ব ২৩-৭৯) মাধ্যমে ‘উটপাখির বালুতে মাথা গোঁজার’ ধারণার উৎপত্তি হয়েছে।
লিনি চারপাশের জগৎ সম্পর্কে তীব্র কৌতূহলী ছিলেন। ‘ন্যাচারাল হিস্ট্রি’ নামে ৩৭টি খণ্ডের বই লেখেন তিনি। এর মধ্যে দশম খণ্ডের প্রথম অধ্যায়ে উটপাখি নিয়ে তিনি বলেন, ‘...they imagine, when they have thrust their head and neck into a bush, that the whole of their body is concealed’ অর্থাৎ, ‘উটপাখি মনে করে, যখন তারা তাদের মাথা ও ঘাড় একটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ফেলে, তখন তাদের পুরো দেহ ঢেকে যায়।’
ঐতিহাসিকদের ধারণা, এই একক বাক্য থেকেই উটপাখিদের বালুতে মাথা গুঁজে ফেলার ধারণার উৎপত্তি।
ড. কার্ল করুজেলনিকি লেখেন, উটপাখি বিপদে পড়লে প্রধানত তিনটি কৌশল অবলম্বন করে থাকে। দৌড়ে পালিয়ে যায় (উটপাখি ভয় পেলে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে), লাথি মারে (এর লাথি ১০ মিলিমিটার পুরত্বের ইস্পাতের রডকে সমকোণে বাঁকানোর জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সহজেই মানুষের পা ভেঙে দিতে পারে) অথবা লুকানোর চেষ্টা করে; বিশেষত ডিমে তা দেওয়ার সময়। উটপাখি যখন লুকানোর চেষ্টা করে, তখন তাদের লম্বা ঘাড়, মাথাও মাটির সমান্তরালে থাকে, ফলে তাদের দেখতে ঘাসের ঢিবির মতো মনে হয়।
প্রকৃতি রক্ষায় ও বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ক্লিভল্যান্ড জিওলজিক্যাল সোসাইটি। এই সংগঠনও ‘উটপাখির বালুতে মাথা গোঁজার’ ধারণাকে প্রচলিত জনপ্রিয় বিশ্বাস হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ক্লিভল্যান্ড জিওলজিক্যাল সোসাইটি বলছে, উটপাখি বিপদ দেখলে এবং দৌড়ে পালাতে না পারলে এটি মাটিতে শুয়ে স্থির হয়ে থাকে এবং মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে কখনো কখনো উটপাখিকে বালুতে মাথা গুঁজতে দেখা যায়, তবে এটি ভয় পাওয়ার কারণে নয়। উটপাখিরা বালুতে গর্ত খুঁড়ে তাদের ডিমের জন্য বাসা তৈরি করে। উটপাখি দিনে কয়েকবার তার ঠোঁট ব্যবহার করে বাসার মধ্যে ডিম ঘুরিয়ে দেয়।
বিপদে পড়লে উটপাখির ‘বালিতে মাথা গোঁজার’ ধারণাটিকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইটের কিডস বিভাগে একই সঙ্গে প্রচলিত বিশ্বাস ও দৃষ্টিভ্রম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমেরিকান অস্ট্রিচ অ্যাসোসিয়েশনের গ্লিন্ডা কানিংহাম বলেন, পাখি জগতের সবচেয়ে বড় উটপাখি। কিন্তু তাদের মাথা শরীরের তুলনায় খুবই ছোট। তাই একটু দূর থেকে তাদের মাথা মাটির দিকে নামানো দেখলে মনে হবে, পাখিটি বালুতে মাথা গুঁজে রেখেছে।
সেখানে আরও বলা হয়, উটপাখি যদি বালুতে মাথা গুঁজে রাখত, তাহলে তারা শ্বাস নিতে পারত না। মূলত, পাখিটি ডিমে তা দিতে মাটিতে গর্ত খোঁড়ে এবং দিনে বিভিন্ন সময়ে এই গর্তে মাথা ঢুকিয়ে ডিমগুলো নাড়াচড়া করে, যা দেখে মনে হয়, উটপাখি বালুতে মাথা গুঁজে রেখেছে।
বিবিসির সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন জানায়, এটি একটি প্রচলিত ধারণা। উটপাখি শিকারি থেকে আত্মরক্ষার্থে বালুতে বেশিক্ষণ মাথা গুঁজে থাকতে পারবে না। কারণ এর ফলে পাখিটির পক্ষে শ্বাস নেওয়া সম্ভব হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস আ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ক্রিস্টোফার এস বেয়ার্ড বলেন, উটপাখি কখনোই বালুতে মাথা গোঁজে না। বিশেষ করে শিকারি প্রাণীর আক্রমণের মুহূর্তে তো নয়ই। বরং উটপাখি বিপদের মুখোমুখি হলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।
চিড়িয়াখানা ও প্রাকৃতিক ইতিহাসবিষয়ক লেখক ক্লাইভ রুটসের লেখা ‘ফ্লাইটলেস বার্ডস’ বইয়ের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, উটপাখি দৌড়ে পালিয়ে অথবা আক্রমণের মাধ্যমে শিকারি প্রাণীর মোকাবিলা করে। উটপাখির খুব শক্তিশালী পা রয়েছে এবং এর মাধ্যমে জোরালো লাথি দিয়ে মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। উটপাখির বিপদে পড়লে বালুতে মাথা গোঁজার ধারণাটির সম্ভাব্য উৎপত্তি তাদের দৈহিক গঠন থেকে।
সিদ্ধান্ত
ইংরেজি ভাষাসহ বাংলা ভাষায় প্রচলিত একটি বাগধারা উটপাখির মতো মাথা গুঁজে রাখা। যার অর্থ হলো, কোনো বিপদ বা সমস্যা দেখেও তা মোকাবিলা না করে নিজেকে লুকিয়ে রাখা। এই বাগধারার সঙ্গে উটপাখিকে জুড়ে দেওয়া হলেও বিপজ্জনক বলে উটপাখির পক্ষে বালুতে মাথা গুঁজে রাখা সহজাত প্রবৃত্তিবিরুদ্ধ। কারণ বেশিক্ষণ মাথা গুঁজে থাকলে শ্বাস আটকে মৃত্যু হতে পারে। বাস্তবে উটপাখি ঠোঁট দিয়ে বালু খুঁড়ে গর্তে নিজের ডিম সংরক্ষণ ও পরিচর্যা করে। তা থেকেই মাথা গোঁজার ভুল ধারণার উৎপত্তি হয়েছে।
সমস্যা বা সংকট মোকাবিলার চেষ্টা না করে কেউ এড়িয়ে যেতে চাইলে তাকে উটপাখির সঙ্গে তুলনা করা হয়। কারণ, বিপদ এড়াতে উটপাখি নাকি বালুতে মুখ গুঁজে। এমন ধারণা সাহিত্যে, বিজ্ঞাপনে, মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু আসলেই কি উটপাখি বালুতে মাথা গুঁজে বিপদ এড়ানোর চেষ্টা করে?
কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানবিষয়ক একাডেমিক প্রতিষ্ঠান অফিস ফর সায়েন্স অ্যান্ড সোসাইটি (ওএসএস) বলছে, ‘বিপদে উটপাখির বালুতে মাথা গোঁজার’ ধারণা মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রচলিত একটি ভুল ধারণা। এর জন্ম প্রাচীন রোমে। কেউ যখন সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তখন রূপকার্থে এটির ভুল ব্যবহারের প্রচলন হয়েছে।
কিন্তু এই ভুল ধারণা ভিত্তি পেল কীভাবে? এ বিষয়ের ওএসএসের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, উটপাখির মাথা শরীরের চেয়ে অনেক ছোট বলে মাথা নামিয়ে ফেললে বালুতে গুঁজে ফেলেছে বিভ্রম হওয়া স্বাভাবিক। দ্বিতীয়ত, এই পাখি অন্যদের মতো বাসা বাঁধে না; বালুতে গর্ত খুঁড়ে সেখানেই ডিম ঢেকে রাখে। এরপর ঠোঁট ব্যবহার করে গুঁজে রাখা ডিমগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করে এবং উল্টে দেয়—এখান থেকেও বালুতে মাথা গোঁজার ধারণার সূত্রপাত হতে পারে। তৃতীয়ত, শিকারি প্রাণীর হামলার আশঙ্কার মুখে নিজেকে লুকিয়ে ফেলতে মাথা মাটির কাছাকাছি নামিয়ে ফেলে। এ থেকেও ধারণা হতে পারে, উটপাখি বিপদে পড়লে বালুতে মাথা গুঁজে ফেলে। কিন্তু আসলে তা সঠিক নয়।
উটপাখির বালুতে মাথা গোঁজা নিয়ে এক নিবন্ধে বিজ্ঞানবিষয়ক জনপ্রিয় লেখক ড. কার্ল করুজেলনিকির মত তুলে ধরেছে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (এবিসি)। সেখানে বলা হয়, সম্ভবত বিখ্যাত রোমান চিন্তাবিদ ও প্রাকৃতিক দার্শনিক লিনি দ্য এলডারের (খ্রিষ্টপূর্ব ২৩-৭৯) মাধ্যমে ‘উটপাখির বালুতে মাথা গোঁজার’ ধারণার উৎপত্তি হয়েছে।
লিনি চারপাশের জগৎ সম্পর্কে তীব্র কৌতূহলী ছিলেন। ‘ন্যাচারাল হিস্ট্রি’ নামে ৩৭টি খণ্ডের বই লেখেন তিনি। এর মধ্যে দশম খণ্ডের প্রথম অধ্যায়ে উটপাখি নিয়ে তিনি বলেন, ‘...they imagine, when they have thrust their head and neck into a bush, that the whole of their body is concealed’ অর্থাৎ, ‘উটপাখি মনে করে, যখন তারা তাদের মাথা ও ঘাড় একটি ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ফেলে, তখন তাদের পুরো দেহ ঢেকে যায়।’
ঐতিহাসিকদের ধারণা, এই একক বাক্য থেকেই উটপাখিদের বালুতে মাথা গুঁজে ফেলার ধারণার উৎপত্তি।
ড. কার্ল করুজেলনিকি লেখেন, উটপাখি বিপদে পড়লে প্রধানত তিনটি কৌশল অবলম্বন করে থাকে। দৌড়ে পালিয়ে যায় (উটপাখি ভয় পেলে ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে), লাথি মারে (এর লাথি ১০ মিলিমিটার পুরত্বের ইস্পাতের রডকে সমকোণে বাঁকানোর জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সহজেই মানুষের পা ভেঙে দিতে পারে) অথবা লুকানোর চেষ্টা করে; বিশেষত ডিমে তা দেওয়ার সময়। উটপাখি যখন লুকানোর চেষ্টা করে, তখন তাদের লম্বা ঘাড়, মাথাও মাটির সমান্তরালে থাকে, ফলে তাদের দেখতে ঘাসের ঢিবির মতো মনে হয়।
প্রকৃতি রক্ষায় ও বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ক্লিভল্যান্ড জিওলজিক্যাল সোসাইটি। এই সংগঠনও ‘উটপাখির বালুতে মাথা গোঁজার’ ধারণাকে প্রচলিত জনপ্রিয় বিশ্বাস হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ক্লিভল্যান্ড জিওলজিক্যাল সোসাইটি বলছে, উটপাখি বিপদ দেখলে এবং দৌড়ে পালাতে না পারলে এটি মাটিতে শুয়ে স্থির হয়ে থাকে এবং মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে কখনো কখনো উটপাখিকে বালুতে মাথা গুঁজতে দেখা যায়, তবে এটি ভয় পাওয়ার কারণে নয়। উটপাখিরা বালুতে গর্ত খুঁড়ে তাদের ডিমের জন্য বাসা তৈরি করে। উটপাখি দিনে কয়েকবার তার ঠোঁট ব্যবহার করে বাসার মধ্যে ডিম ঘুরিয়ে দেয়।
বিপদে পড়লে উটপাখির ‘বালিতে মাথা গোঁজার’ ধারণাটিকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইটের কিডস বিভাগে একই সঙ্গে প্রচলিত বিশ্বাস ও দৃষ্টিভ্রম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমেরিকান অস্ট্রিচ অ্যাসোসিয়েশনের গ্লিন্ডা কানিংহাম বলেন, পাখি জগতের সবচেয়ে বড় উটপাখি। কিন্তু তাদের মাথা শরীরের তুলনায় খুবই ছোট। তাই একটু দূর থেকে তাদের মাথা মাটির দিকে নামানো দেখলে মনে হবে, পাখিটি বালুতে মাথা গুঁজে রেখেছে।
সেখানে আরও বলা হয়, উটপাখি যদি বালুতে মাথা গুঁজে রাখত, তাহলে তারা শ্বাস নিতে পারত না। মূলত, পাখিটি ডিমে তা দিতে মাটিতে গর্ত খোঁড়ে এবং দিনে বিভিন্ন সময়ে এই গর্তে মাথা ঢুকিয়ে ডিমগুলো নাড়াচড়া করে, যা দেখে মনে হয়, উটপাখি বালুতে মাথা গুঁজে রেখেছে।
বিবিসির সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন জানায়, এটি একটি প্রচলিত ধারণা। উটপাখি শিকারি থেকে আত্মরক্ষার্থে বালুতে বেশিক্ষণ মাথা গুঁজে থাকতে পারবে না। কারণ এর ফলে পাখিটির পক্ষে শ্বাস নেওয়া সম্ভব হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস আ অ্যান্ড এম ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ক্রিস্টোফার এস বেয়ার্ড বলেন, উটপাখি কখনোই বালুতে মাথা গোঁজে না। বিশেষ করে শিকারি প্রাণীর আক্রমণের মুহূর্তে তো নয়ই। বরং উটপাখি বিপদের মুখোমুখি হলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।
চিড়িয়াখানা ও প্রাকৃতিক ইতিহাসবিষয়ক লেখক ক্লাইভ রুটসের লেখা ‘ফ্লাইটলেস বার্ডস’ বইয়ের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, উটপাখি দৌড়ে পালিয়ে অথবা আক্রমণের মাধ্যমে শিকারি প্রাণীর মোকাবিলা করে। উটপাখির খুব শক্তিশালী পা রয়েছে এবং এর মাধ্যমে জোরালো লাথি দিয়ে মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। উটপাখির বিপদে পড়লে বালুতে মাথা গোঁজার ধারণাটির সম্ভাব্য উৎপত্তি তাদের দৈহিক গঠন থেকে।
সিদ্ধান্ত
ইংরেজি ভাষাসহ বাংলা ভাষায় প্রচলিত একটি বাগধারা উটপাখির মতো মাথা গুঁজে রাখা। যার অর্থ হলো, কোনো বিপদ বা সমস্যা দেখেও তা মোকাবিলা না করে নিজেকে লুকিয়ে রাখা। এই বাগধারার সঙ্গে উটপাখিকে জুড়ে দেওয়া হলেও বিপজ্জনক বলে উটপাখির পক্ষে বালুতে মাথা গুঁজে রাখা সহজাত প্রবৃত্তিবিরুদ্ধ। কারণ বেশিক্ষণ মাথা গুঁজে থাকলে শ্বাস আটকে মৃত্যু হতে পারে। বাস্তবে উটপাখি ঠোঁট দিয়ে বালু খুঁড়ে গর্তে নিজের ডিম সংরক্ষণ ও পরিচর্যা করে। তা থেকেই মাথা গোঁজার ভুল ধারণার উৎপত্তি হয়েছে।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৩ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে