ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
বয়ঃসন্ধিতে মুখে ব্রণ ওঠা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। তবে যেকোনো বয়সী নারী–পুরুষের ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মুখে ব্রণের কারণে অনেকে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। চিকিৎসার পেছনে ব্যয় করেন বিপুল অর্থ। এসবে সমাধান না পেয়ে অনেকে বেছে নেন লোকমুখে বা বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া টোটকা। এসব টোটকার একটি বাসি মুখের লালা।
প্রশ্নোত্তরমূলক ওয়েবসাইট কৌরাতে মুখের ব্রণ কমাতে বাসি লালা কতক্ষণ লাগিয়ে রাখতে হবে বাংলায় এমন একটি প্রশ্নও পাওয়া যায়। এ প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্নজন বিভিন্ন উত্তর দিয়েছেন। চিকিৎসক পরিচয়ে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এই চিকিৎসা ব্যবস্থা কে দিয়েছেন? মুখের লালা একধরনের টক্সিন। এটা মনে রাখতে হবে।’
আবার ওয়ার্ল্ডওয়াইড হেলথ বেনেফিটস নামের একটি কৌরা অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘বাসি লালা মুখে ব্রণ কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে এটি কতক্ষণ লাগিয়ে রাখলে কার্যকর হবে তা নির্ভর করে ব্রণের তীব্রতা এবং ত্বকের ধরনের ওপর। সাধারণত, ব্রণ কমাতে বাসি লালা ১৫ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখলে যথেষ্ট।’
ব্রণ কেন হয়?
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব আর্থরাইটিস অ্যান্ড মাস্ককিউলো স্কেলেটাল অ্যান্ড স্কিন ডিজিজেসের ওয়েবসাইটে চিকিৎসক ও গবেষকদের বরাত দিয়ে ব্রণ হওয়ার বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবাম নামের একধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয়। যখন সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত পদার্থ তৈরি হয়, তখন এটি ত্বকের মৃত কোষের সঙ্গে মিশে এই গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ করে দিয়ে সেবাম নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত করে। ফলে এটি ব্যাকটেরিয়া, বিশেষ করে প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়াম ব্রণ (পি. অ্যাকনিকস) তৈরির জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। এই ব্যাকটেরিয়ার কারণেই ব্রণ হয়। এ ছাড়া হরমোনের পরিবর্তন, বিষণ্নতা, কিছু ওষুধ, পারিবারিক ইতিহাস এমনকি খাদ্যাভ্যাসের কারণেও ব্রণ হতে পারে।
লালায় কি এমন কোনো উপাদান থাকে, যা ব্রণ দূর করতে পারে?
ভারতের স্বাস্থ্যবিষয়ক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান দ্য হেলদি ইন্ডিয়ান প্রজেক্টের (থিপ) ওয়েবসাইটে এ প্রশ্নের উত্তরে জানায়, মুখের লালা বিশেষ করে বাসি লালা হচ্ছে পানি, বিভিন্ন এনজাইম, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য পদার্থের মিশ্রণ। এসব এনজাইমের মধ্যে অ্যামাইলেজ এবং লাইপেজের মতো এনজাইমগুলো কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। অন্যদিকে লাইসোজাইম, ল্যাকটোফেরিন এবং ইমিউনোগ্লোবুলিনের মতো ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপাদান মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বাসি লালায় বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা ত্বকে, বিশেষ করে উন্মুক্ত পিম্পল বা সংবেদনশীল জায়গায় প্রয়োগ করলে ক্ষতি হতে পারে। লালার লাইসোজাইমের নিয়মিত প্রয়োগ ব্রণের বিরুদ্ধে কার্যকর—এমন প্রমাণ নেই। বাসি লালা ব্রণ সারাতে পারে এমন ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের হিঙ্গোলির রাশি হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাশি সোনি দ্য হেলদি ইন্ডিয়ান প্রজেক্টকে বলেন, ‘লালায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত এনজাইম রয়েছে, তবে এটি ব্রণ নিরাময় করতে পারে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। প্রকৃতপক্ষে, ব্রণে বাসি লালা লাগালে, বিশেষ করে ওই ব্যক্তির ত্বক যদি ব্রণপ্রবণ হয়, তাহলে এভাবে লালা প্রয়োগ আরও ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে এবং ব্রণের পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে।’
বৈজ্ঞানিক ভিত্তির অনুপস্থিতি সত্ত্বেও মানুষ কেন এই ধরনের দাওয়ায় বিশ্বাস করে?
অনেকেই ঘরোয়া টোটকা এবং প্রচলিত ধারণার প্রতি বিশ্বাস রাখেন। কারণ, এসব ধারণা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসছে। আবার অনেক সময় সেলিব্রিটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররাও এসব ধারণা ছড়াতে এবং মানুষের মাঝে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে কাজ করেন। আবার ভুল তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কারণ, এসব ভুল তথ্য মানুষকে দ্রুত ফল পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ফলে মানুষও যাচাই–বাছাই ছাড়াই এসব তথ্য বিশ্বাস করে।
সর্বোপরি, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এক ব্যক্তির জন্য যা কার্যকর, তা অন্যের জন্য কাজের না–ও হতে পারে। আবার কিছু কিছু টোটকা অন্যের জন্য ক্ষতির কারণও হতে পারে। ফলে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়ার যোগ্য নন, এমন কারও কথা বিশ্বাস করা উচিত নয়।
বয়ঃসন্ধিতে মুখে ব্রণ ওঠা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। তবে যেকোনো বয়সী নারী–পুরুষের ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মুখে ব্রণের কারণে অনেকে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। চিকিৎসার পেছনে ব্যয় করেন বিপুল অর্থ। এসবে সমাধান না পেয়ে অনেকে বেছে নেন লোকমুখে বা বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া টোটকা। এসব টোটকার একটি বাসি মুখের লালা।
প্রশ্নোত্তরমূলক ওয়েবসাইট কৌরাতে মুখের ব্রণ কমাতে বাসি লালা কতক্ষণ লাগিয়ে রাখতে হবে বাংলায় এমন একটি প্রশ্নও পাওয়া যায়। এ প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্নজন বিভিন্ন উত্তর দিয়েছেন। চিকিৎসক পরিচয়ে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এই চিকিৎসা ব্যবস্থা কে দিয়েছেন? মুখের লালা একধরনের টক্সিন। এটা মনে রাখতে হবে।’
আবার ওয়ার্ল্ডওয়াইড হেলথ বেনেফিটস নামের একটি কৌরা অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘বাসি লালা মুখে ব্রণ কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে এটি কতক্ষণ লাগিয়ে রাখলে কার্যকর হবে তা নির্ভর করে ব্রণের তীব্রতা এবং ত্বকের ধরনের ওপর। সাধারণত, ব্রণ কমাতে বাসি লালা ১৫ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখলে যথেষ্ট।’
ব্রণ কেন হয়?
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব আর্থরাইটিস অ্যান্ড মাস্ককিউলো স্কেলেটাল অ্যান্ড স্কিন ডিজিজেসের ওয়েবসাইটে চিকিৎসক ও গবেষকদের বরাত দিয়ে ব্রণ হওয়ার বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবাম নামের একধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয়। যখন সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত পদার্থ তৈরি হয়, তখন এটি ত্বকের মৃত কোষের সঙ্গে মিশে এই গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ করে দিয়ে সেবাম নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত করে। ফলে এটি ব্যাকটেরিয়া, বিশেষ করে প্রোপিওনিব্যাকটেরিয়াম ব্রণ (পি. অ্যাকনিকস) তৈরির জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। এই ব্যাকটেরিয়ার কারণেই ব্রণ হয়। এ ছাড়া হরমোনের পরিবর্তন, বিষণ্নতা, কিছু ওষুধ, পারিবারিক ইতিহাস এমনকি খাদ্যাভ্যাসের কারণেও ব্রণ হতে পারে।
লালায় কি এমন কোনো উপাদান থাকে, যা ব্রণ দূর করতে পারে?
ভারতের স্বাস্থ্যবিষয়ক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান দ্য হেলদি ইন্ডিয়ান প্রজেক্টের (থিপ) ওয়েবসাইটে এ প্রশ্নের উত্তরে জানায়, মুখের লালা বিশেষ করে বাসি লালা হচ্ছে পানি, বিভিন্ন এনজাইম, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য পদার্থের মিশ্রণ। এসব এনজাইমের মধ্যে অ্যামাইলেজ এবং লাইপেজের মতো এনজাইমগুলো কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে। অন্যদিকে লাইসোজাইম, ল্যাকটোফেরিন এবং ইমিউনোগ্লোবুলিনের মতো ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী উপাদান মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বাসি লালায় বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা ত্বকে, বিশেষ করে উন্মুক্ত পিম্পল বা সংবেদনশীল জায়গায় প্রয়োগ করলে ক্ষতি হতে পারে। লালার লাইসোজাইমের নিয়মিত প্রয়োগ ব্রণের বিরুদ্ধে কার্যকর—এমন প্রমাণ নেই। বাসি লালা ব্রণ সারাতে পারে এমন ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের হিঙ্গোলির রাশি হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাশি সোনি দ্য হেলদি ইন্ডিয়ান প্রজেক্টকে বলেন, ‘লালায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত এনজাইম রয়েছে, তবে এটি ব্রণ নিরাময় করতে পারে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। প্রকৃতপক্ষে, ব্রণে বাসি লালা লাগালে, বিশেষ করে ওই ব্যক্তির ত্বক যদি ব্রণপ্রবণ হয়, তাহলে এভাবে লালা প্রয়োগ আরও ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে এবং ব্রণের পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে।’
বৈজ্ঞানিক ভিত্তির অনুপস্থিতি সত্ত্বেও মানুষ কেন এই ধরনের দাওয়ায় বিশ্বাস করে?
অনেকেই ঘরোয়া টোটকা এবং প্রচলিত ধারণার প্রতি বিশ্বাস রাখেন। কারণ, এসব ধারণা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসছে। আবার অনেক সময় সেলিব্রিটি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররাও এসব ধারণা ছড়াতে এবং মানুষের মাঝে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে কাজ করেন। আবার ভুল তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কারণ, এসব ভুল তথ্য মানুষকে দ্রুত ফল পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ফলে মানুষও যাচাই–বাছাই ছাড়াই এসব তথ্য বিশ্বাস করে।
সর্বোপরি, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এক ব্যক্তির জন্য যা কার্যকর, তা অন্যের জন্য কাজের না–ও হতে পারে। আবার কিছু কিছু টোটকা অন্যের জন্য ক্ষতির কারণও হতে পারে। ফলে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়ার যোগ্য নন, এমন কারও কথা বিশ্বাস করা উচিত নয়।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
১ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
২ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৩ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৩ দিন আগে