ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে বাংকারের একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে—এটি হামাসের তৈরি সুড়ঙ্গ; যা হামাস ইসরায়েলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে তৈরি করেছে।
আজাদস কেমিস্ট্রি পয়েন্ট (এসিপি) নামের এক ফেসবুক পেজ থেকে ৯ নভেম্বর প্রচারিত এমন এক ভিডিও আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ২টা পর্যন্ত ২৫ হাজার বার দেখা হয়েছে। এতে প্রতিক্রিয়া পড়েছে প্রায় ৯০০-র বেশি। ভিডিওটির কমেন্ট বক্সে নেটিজেনদের প্রশংসাসূচক বিভিন্ন ধর্মীয় শব্দ কমেন্ট করতে দেখা যায়। ভিডিওটি এখানে (আর্কাইভ)।
ভিডিওটি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সেও (সাবেক টুইটার) ইংরেজি ভাষায় প্রচার হতে দেখা যায়। এমন কিছু টুইট দেখুন এখানে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি গাজায় অবস্থিত হামাসের কোনো বাংকার বা টানেল নয়। এটি লন্ডনে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত একটি বাংকার। ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে সেখানে উরবেক্সকেভ (urbexkev) নামে একটি টিকটক আইডি দেখা যায়। টিকটকে খুঁজে গত ৩১ অক্টোবর আইডিটিতে ডব্লিউডব্লিউ ২ (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ), আন্ডারগ্রাউন্ড ইত্যাদি কিছু হ্যাশট্যাগ দিয়ে আলোচিত ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। আইডিটিতে ৮ নভেম্বর একই স্থানের আরেকটি ভিডিও দেখা যায়। সেখানে স্থানটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার সেনাসদর দপ্তর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে ‘দ্য সিক্রেটভল্ট’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেলে গত ১১ জুলাই প্রচারিত ভিডিওয়ের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।ভিডিওটিতে বাংকারটির কোনো নাম ও স্থান উল্লেখ করা হয়নি। তবে ডেসক্রিপশন বক্সে ‘বিয়ন্ড দ্য পয়েন্ট’ নামে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিডিওটিতে দেখানো বাংকারটি রেগেট আর্মির বাংকার, এটি ইংল্যান্ডের সারে কাউন্টির শহর রেগেটে অবস্থিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি নির্মিত।
প্রতিবেদনটিতে বাংকারটির বেশ কিছু ছবি রয়েছে, যার সব কটিই ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে সাদৃশ্য বহন করে।
ইউটিউবে বিভিন্ন সময়ে ধারণ করা একই স্থানের আরও একাধিক ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এসব ভিডিওয়ের ডেসক্রিপশন থেকেও জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামাসের ব্যাংকার দাবি করে প্রচারিত বাংকারটি মূলত ইংল্যান্ডের সারে কাউন্টির শহর রেগেটে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্যাংকার। ভিডিওগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি হয়। এ যুদ্ধ ঘিরে আলোচিত ছিল হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্ক বা বাংকার।
সিদ্ধান্ত
গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সব জায়গায় আলোচিত ছিল হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্ক বা বাংকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি বাংকারের ভিডিও হামাসের বাংকার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে বাংকারের একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে—এটি হামাসের তৈরি সুড়ঙ্গ; যা হামাস ইসরায়েলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে তৈরি করেছে।
আজাদস কেমিস্ট্রি পয়েন্ট (এসিপি) নামের এক ফেসবুক পেজ থেকে ৯ নভেম্বর প্রচারিত এমন এক ভিডিও আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ২টা পর্যন্ত ২৫ হাজার বার দেখা হয়েছে। এতে প্রতিক্রিয়া পড়েছে প্রায় ৯০০-র বেশি। ভিডিওটির কমেন্ট বক্সে নেটিজেনদের প্রশংসাসূচক বিভিন্ন ধর্মীয় শব্দ কমেন্ট করতে দেখা যায়। ভিডিওটি এখানে (আর্কাইভ)।
ভিডিওটি মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সেও (সাবেক টুইটার) ইংরেজি ভাষায় প্রচার হতে দেখা যায়। এমন কিছু টুইট দেখুন এখানে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এটি গাজায় অবস্থিত হামাসের কোনো বাংকার বা টানেল নয়। এটি লন্ডনে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত একটি বাংকার। ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে সেখানে উরবেক্সকেভ (urbexkev) নামে একটি টিকটক আইডি দেখা যায়। টিকটকে খুঁজে গত ৩১ অক্টোবর আইডিটিতে ডব্লিউডব্লিউ ২ (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ), আন্ডারগ্রাউন্ড ইত্যাদি কিছু হ্যাশট্যাগ দিয়ে আলোচিত ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। আইডিটিতে ৮ নভেম্বর একই স্থানের আরেকটি ভিডিও দেখা যায়। সেখানে স্থানটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার সেনাসদর দপ্তর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে ‘দ্য সিক্রেটভল্ট’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেলে গত ১১ জুলাই প্রচারিত ভিডিওয়ের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।ভিডিওটিতে বাংকারটির কোনো নাম ও স্থান উল্লেখ করা হয়নি। তবে ডেসক্রিপশন বক্সে ‘বিয়ন্ড দ্য পয়েন্ট’ নামে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিডিওটিতে দেখানো বাংকারটি রেগেট আর্মির বাংকার, এটি ইংল্যান্ডের সারে কাউন্টির শহর রেগেটে অবস্থিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি নির্মিত।
প্রতিবেদনটিতে বাংকারটির বেশ কিছু ছবি রয়েছে, যার সব কটিই ভাইরাল ভিডিওটির সঙ্গে সাদৃশ্য বহন করে।
ইউটিউবে বিভিন্ন সময়ে ধারণ করা একই স্থানের আরও একাধিক ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। এসব ভিডিওয়ের ডেসক্রিপশন থেকেও জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামাসের ব্যাংকার দাবি করে প্রচারিত বাংকারটি মূলত ইংল্যান্ডের সারে কাউন্টির শহর রেগেটে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ব্যাংকার। ভিডিওগুলো দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ ছয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি হয়। এ যুদ্ধ ঘিরে আলোচিত ছিল হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্ক বা বাংকার।
সিদ্ধান্ত
গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সব জায়গায় আলোচিত ছিল হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার বিস্তৃত টানেল নেটওয়ার্ক বা বাংকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি বাংকারের ভিডিও হামাসের বাংকার দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
৩ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
৪ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৫ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৫ দিন আগে