অনলাইন ডেস্ক
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে; ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠছেন পোপ ফ্রান্সিস, পরছেন ব্যালেন্সিয়াগার জ্যাকেট; হলিউডের জনপ্রিয় সব তারকা করছেন শিবপূজো- এমনসব চমকপ্রদ ছবিতে ফেসবুক সয়লাব। মানুষ সেসবে বিশ্বাস করছে, গোগ্রাসে লাইক-শেয়ার দিচ্ছে।
কোনো কিছুর প্রশংসায় আমরা যে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে উঠি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এসব ছবি বিবেচনায় নিলে তা আদতেই আর বিশ্বাসযোগ্য থাকছে না। কারণ, এগুলোর কোনোটিই সত্য নয়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এসব কৃত্রিম চিত্র তৈরি করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে, যে কেউ তৈরি করতে পারে এমন ‘হাইপার রিয়েলিস্টিক’ বা অতিবাস্তব ছবি।
নিছক মজার করার জন্য এসব তৈরিতে ক্ষতি নেই। কিন্তু এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে মানুষ সেটাকে প্রকৃত ঘটনা বলে ধরে নিতে পারে, তাতে হুমকি তৈরি হতে পারে। এআই প্রযুক্তি নতুন বলে এখনো অনেকেই প্রকৃত ছবি ও এআই নির্মিত ছবির তফাৎ বুঝতে পারেন না।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে ‘বডি ডাবল’ ও ‘স্টান্টম্যান’ হিসেবে হলিউড অভিনেতা টমক্রুজের সঙ্গে তার মতোই দুজনকে দেখা যায়। কিন্তু রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনটি ছবির কোনোটিই বাস্তব নয়, এগুলো এআই দিয়ে তৈরি করা।
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে দেখা যায়, এসব ছবি যেই ফেসবুক আইডিতে প্রথমে শেয়ার করা হয়, সেগুলোর ক্যাপশনে ছবিগুলো যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি তা উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় নেতিবাচক কোনো প্রভাবের খবর না মিললেও আদতে টম ক্রুজ অভিনয়ের ক্ষেত্রে ‘বডি ডাবল’ ও ‘স্টান্টম্যান’ ব্যবহার করেন না। কিন্তু এই ছবি থেকে ভুল ধারণা নেওয়ার অবকাশ থাকে।
একইভাবে এআই দিয়ে তৈরি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছিল, যেটি বাস্তবে সঠিক নয়। তেমনি নিছক মজা করার জন্য তৈরি হলিউড অভিনেতা ডোয়াইন জনসনের পূজো করার ছবি অনেকে ব্যবহার করেছেন ধর্মীয় প্রচারণা হিসেবে। রাজনৈতিক বা ধর্মীয় স্পর্শকাতর ছবিগুলো মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে, যার মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ছবি বাস্তব না কৃত্রিম বুঝবেন যেভাবে
মানুষের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট ব্যবহার করে এআই দিনদিন নিখুঁত ছবি তৈরি করছে। তবে তা ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। কিছু বিষয় লক্ষ্য করলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি ছবি চিহ্নিত করা সম্ভব।
ছবির উৎস: কোনো ছবি নিয়ে সন্দেহ জাগলে, তার উৎস বের করার চেষ্টা করতে হবে। ছবির নিচে মন্তব্যে অনেকসময় ছবির উৎস উল্লেখ করা থাকে। এছাড়াও রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে উৎস খুঁজে বের করা যায়। এর জন্য গুগল ইমেজ রিভার্স সার্চ, টিনআই অথবা ইয়ানডেক্সের মতো টুলস ব্যবহার করা যেতে পারে।
ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড প্রায়ই ব্লার বা কৃত্রিমভাবে ঝাপসা করে দেয়া হয়। প্রথম দেখায় তা মূল অবজেক্টের উপর ফোকাস করা মনে হলেও ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যায় তা ইচ্ছা করে অস্পষ্ট করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে একই ব্যাকগ্রাউন্ড বারবার ব্যবহার করা হয়।
ছবিটি অতি মসৃণ কিনা: এআই দিয়ে তৈরি করা ছবি সাধারণত খুবই মসৃণ হয়। ত্বকে কোনো ধরনের খুঁত, ভাঁজ বা টেক্সচার দেখা যায় না। এমনকি দাঁত-চুলও বাস্তবতার তুলনায় অতিসদৃশ মনে হয়। প্রায়ই একটি তল আরেকটি তলের সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায় যে তা আর আলাদা করা যায় না।
এআইয়ের সাধারণ ভুল: কৃত্রিম ছবি তৈরিতে এখন মিডজার্নি, ডাল–ই ও ডিপএআইয়ের মতো টুল ব্যবহার করা হয়। তবে সেগুলো এখনো নিখুঁত হয় না বলে ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুতিনের ছবিটিতে পুলিশের ডান হাত ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, তাতে পাঁচটির বদলে ছয়টি আঙ্গুল আছে। তেমনি পোপ ফ্রান্সিসের গলার ক্রুশে একটি দিক নেই। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাঁর চারটি আঙ্গুল।
তথ্যসূত্র: রিউমার স্ক্যানার, ডয়চে ভেলে
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে; ফ্যাশন সচেতন হয়ে উঠছেন পোপ ফ্রান্সিস, পরছেন ব্যালেন্সিয়াগার জ্যাকেট; হলিউডের জনপ্রিয় সব তারকা করছেন শিবপূজো- এমনসব চমকপ্রদ ছবিতে ফেসবুক সয়লাব। মানুষ সেসবে বিশ্বাস করছে, গোগ্রাসে লাইক-শেয়ার দিচ্ছে।
কোনো কিছুর প্রশংসায় আমরা যে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে উঠি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এসব ছবি বিবেচনায় নিলে তা আদতেই আর বিশ্বাসযোগ্য থাকছে না। কারণ, এগুলোর কোনোটিই সত্য নয়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এসব কৃত্রিম চিত্র তৈরি করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে, যে কেউ তৈরি করতে পারে এমন ‘হাইপার রিয়েলিস্টিক’ বা অতিবাস্তব ছবি।
নিছক মজার করার জন্য এসব তৈরিতে ক্ষতি নেই। কিন্তু এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে মানুষ সেটাকে প্রকৃত ঘটনা বলে ধরে নিতে পারে, তাতে হুমকি তৈরি হতে পারে। এআই প্রযুক্তি নতুন বলে এখনো অনেকেই প্রকৃত ছবি ও এআই নির্মিত ছবির তফাৎ বুঝতে পারেন না।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে ‘বডি ডাবল’ ও ‘স্টান্টম্যান’ হিসেবে হলিউড অভিনেতা টমক্রুজের সঙ্গে তার মতোই দুজনকে দেখা যায়। কিন্তু রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনটি ছবির কোনোটিই বাস্তব নয়, এগুলো এআই দিয়ে তৈরি করা।
রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে দেখা যায়, এসব ছবি যেই ফেসবুক আইডিতে প্রথমে শেয়ার করা হয়, সেগুলোর ক্যাপশনে ছবিগুলো যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি তা উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় নেতিবাচক কোনো প্রভাবের খবর না মিললেও আদতে টম ক্রুজ অভিনয়ের ক্ষেত্রে ‘বডি ডাবল’ ও ‘স্টান্টম্যান’ ব্যবহার করেন না। কিন্তু এই ছবি থেকে ভুল ধারণা নেওয়ার অবকাশ থাকে।
একইভাবে এআই দিয়ে তৈরি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছিল, যেটি বাস্তবে সঠিক নয়। তেমনি নিছক মজা করার জন্য তৈরি হলিউড অভিনেতা ডোয়াইন জনসনের পূজো করার ছবি অনেকে ব্যবহার করেছেন ধর্মীয় প্রচারণা হিসেবে। রাজনৈতিক বা ধর্মীয় স্পর্শকাতর ছবিগুলো মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে, যার মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ছবি বাস্তব না কৃত্রিম বুঝবেন যেভাবে
মানুষের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট ব্যবহার করে এআই দিনদিন নিখুঁত ছবি তৈরি করছে। তবে তা ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। কিছু বিষয় লক্ষ্য করলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি ছবি চিহ্নিত করা সম্ভব।
ছবির উৎস: কোনো ছবি নিয়ে সন্দেহ জাগলে, তার উৎস বের করার চেষ্টা করতে হবে। ছবির নিচে মন্তব্যে অনেকসময় ছবির উৎস উল্লেখ করা থাকে। এছাড়াও রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে উৎস খুঁজে বের করা যায়। এর জন্য গুগল ইমেজ রিভার্স সার্চ, টিনআই অথবা ইয়ানডেক্সের মতো টুলস ব্যবহার করা যেতে পারে।
ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড প্রায়ই ব্লার বা কৃত্রিমভাবে ঝাপসা করে দেয়া হয়। প্রথম দেখায় তা মূল অবজেক্টের উপর ফোকাস করা মনে হলেও ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যায় তা ইচ্ছা করে অস্পষ্ট করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে একই ব্যাকগ্রাউন্ড বারবার ব্যবহার করা হয়।
ছবিটি অতি মসৃণ কিনা: এআই দিয়ে তৈরি করা ছবি সাধারণত খুবই মসৃণ হয়। ত্বকে কোনো ধরনের খুঁত, ভাঁজ বা টেক্সচার দেখা যায় না। এমনকি দাঁত-চুলও বাস্তবতার তুলনায় অতিসদৃশ মনে হয়। প্রায়ই একটি তল আরেকটি তলের সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায় যে তা আর আলাদা করা যায় না।
এআইয়ের সাধারণ ভুল: কৃত্রিম ছবি তৈরিতে এখন মিডজার্নি, ডাল–ই ও ডিপএআইয়ের মতো টুল ব্যবহার করা হয়। তবে সেগুলো এখনো নিখুঁত হয় না বলে ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুতিনের ছবিটিতে পুলিশের ডান হাত ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, তাতে পাঁচটির বদলে ছয়টি আঙ্গুল আছে। তেমনি পোপ ফ্রান্সিসের গলার ক্রুশে একটি দিক নেই। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাঁর চারটি আঙ্গুল।
তথ্যসূত্র: রিউমার স্ক্যানার, ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশে এক হিন্দু নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে দাবিতে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রক্তাক্ত এক নারীকে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দীপক শর্মা নামের একটি ভারতীয় এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিওটি টুইট করে দাবি করা হয়, ‘ভিড
৩ দিন আগেআওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাবরিনা চৌধুরী নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এমন দাবিতে স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে লেখেন, ‘Sabnam Faria কিছুক্ষণ আগে একটা পোস্ট করলেন ৫ মিনিট পর ডিলিট করে দিলেন।’
৪ দিন আগেএলিস থমাস নামের এক ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স গবেষকের বরাত দিয়ে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, ট্রাম্পকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে সাহায্য করেছে এআই পরিচালিত বট নেটওয়ার্ক।
৫ দিন আগেগত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ‘প্রবাসী জীবন’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। পোস্টটি আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক শেয়ার হয়েছে। রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের বেশি। ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৪২ হাজার বার।
৫ দিন আগে