আবদুল মালেক
আবদুল মালেককে এমনিতে চেনার কথা নয় কারও। পুরানা পল্টন লেনের বিষ্ণুপ্রিয় ভবনে থাকতেন। আবুল বরকতের মামা তিনি। ঢাকায় আসার পর এই মামার বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করতেন বরকত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট আবদুল মালেক চাকরি করতেন ইন্ডিয়ান অডিট বিভাগে। দেশ ভাগ হলে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং এজিপিতে অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে মামির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বরকত বলেছিল, ‘আজ ইউনিভার্সিটিতে বড় ধরনের গোলমাল হতে পারে।’
মামি মোহসিনা খাতুন বলেছিলেন, ‘তবে যাচ্ছ কেন?’
বরকত বলেছিল, ‘বেশি গোলমাল হলে আমি লাইব্রেরিতে চলে যাব।’
সেই যে বেরিয়ে গেল বরকত, আর ফিরে এল না। বিকেল ৪টার দিকে বরকতের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর এল বাড়িতে। ৫টায় অফিস থেকে ফিরে আবদুল মালেক পেলেন সেই সংবাদ। তক্ষুনি তিনি মেডিকেলে ছুটে গেলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে বরকতের কাছে যেতে দেয়নি। বরকতের শরীরে অস্ত্রোপচার করেছিলেন ডা. কর্নেল গিয়াস উদ্দিন। তিনি এসে আবদুল মালেককে জানান, ওকে বাঁচানো যায়নি। আবদুল মালেক পুলিশের কাছে গিয়ে বললেন, ‘লাশ নিয়ে যেতে চাই।’
পুলিশ বলল, ‘লাশ নেওয়া যাবে না।’ পুলিশ অফিসার ওবায়দুল্লাহ বললেন, ‘দাফনের সময় আত্মীয়রা থাকতে পারবে।’
আবদুল মালেক বললেন, ‘দাফনের ব্যবস্থা আমরা করব। বরকতকে খয়রাতি কাফনে দাফন করতে দেব না।’
পুলিশ কর্তৃপক্ষ সে দাবি মেনে নিয়েছিল। তখন আবদুল মালেকের কাছ থেকে কবর কেনার টাকা আর কাফনের খরচের টাকা গ্রহণ করে পুলিশ।
রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে দাফন হয়। লাশ মেডিকেল থেকে আজিমপুর কবরস্থানে নেওয়ার জন্য পুলিশ জিপের ব্যবস্থা করে। পরিবারের কয়েকজন সদস্য, ডা. কাশেম, মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ডা. হাবিব উদ্দিন ছিলেন দাফনের সময়।
যখন কবর দেওয়া শেষ হয়, তখন ফজরের আজানের আওয়াজ ভেসে আসছিল।
সূত্র: মোস্তফা কামাল, ভাষা আন্দোলন সাতচল্লিশ থেকে বায়ান্ন, পৃষ্ঠা ২৯০-২৯২
আবদুল মালেককে এমনিতে চেনার কথা নয় কারও। পুরানা পল্টন লেনের বিষ্ণুপ্রিয় ভবনে থাকতেন। আবুল বরকতের মামা তিনি। ঢাকায় আসার পর এই মামার বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করতেন বরকত। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট আবদুল মালেক চাকরি করতেন ইন্ডিয়ান অডিট বিভাগে। দেশ ভাগ হলে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসেন এবং এজিপিতে অ্যাকাউন্টস অফিসার হিসেবে যোগ দেন। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে মামির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বরকত বলেছিল, ‘আজ ইউনিভার্সিটিতে বড় ধরনের গোলমাল হতে পারে।’
মামি মোহসিনা খাতুন বলেছিলেন, ‘তবে যাচ্ছ কেন?’
বরকত বলেছিল, ‘বেশি গোলমাল হলে আমি লাইব্রেরিতে চলে যাব।’
সেই যে বেরিয়ে গেল বরকত, আর ফিরে এল না। বিকেল ৪টার দিকে বরকতের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর এল বাড়িতে। ৫টায় অফিস থেকে ফিরে আবদুল মালেক পেলেন সেই সংবাদ। তক্ষুনি তিনি মেডিকেলে ছুটে গেলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে বরকতের কাছে যেতে দেয়নি। বরকতের শরীরে অস্ত্রোপচার করেছিলেন ডা. কর্নেল গিয়াস উদ্দিন। তিনি এসে আবদুল মালেককে জানান, ওকে বাঁচানো যায়নি। আবদুল মালেক পুলিশের কাছে গিয়ে বললেন, ‘লাশ নিয়ে যেতে চাই।’
পুলিশ বলল, ‘লাশ নেওয়া যাবে না।’ পুলিশ অফিসার ওবায়দুল্লাহ বললেন, ‘দাফনের সময় আত্মীয়রা থাকতে পারবে।’
আবদুল মালেক বললেন, ‘দাফনের ব্যবস্থা আমরা করব। বরকতকে খয়রাতি কাফনে দাফন করতে দেব না।’
পুলিশ কর্তৃপক্ষ সে দাবি মেনে নিয়েছিল। তখন আবদুল মালেকের কাছ থেকে কবর কেনার টাকা আর কাফনের খরচের টাকা গ্রহণ করে পুলিশ।
রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে দাফন হয়। লাশ মেডিকেল থেকে আজিমপুর কবরস্থানে নেওয়ার জন্য পুলিশ জিপের ব্যবস্থা করে। পরিবারের কয়েকজন সদস্য, ডা. কাশেম, মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ডা. হাবিব উদ্দিন ছিলেন দাফনের সময়।
যখন কবর দেওয়া শেষ হয়, তখন ফজরের আজানের আওয়াজ ভেসে আসছিল।
সূত্র: মোস্তফা কামাল, ভাষা আন্দোলন সাতচল্লিশ থেকে বায়ান্ন, পৃষ্ঠা ২৯০-২৯২
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৯ ঘণ্টা আগে