নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বহু বাধা রিয়ে চট্টগ্রাম শহরে প্রথমবারের মতো আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছিল পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প। এই মাসের শুরুতে মাটি ভরাটের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রকল্পের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এতে আবারও স্থবিরতা নেমেছে এই প্রকল্পে।
তবে ওয়াসার দাবি, এই বিষয়টি আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। হয়তো বাদীপক্ষ আদালতে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেননি। এখন আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সংস্থাটি।
১৯৬২ সালে হালিশহরের চৌচালা এলাকায় ১৬৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে ওয়াসা। সেখানে পয়োনিষ্কাশনের প্রকল্প তৈরির চিন্তা শুরু থেকেই ছিল সংস্থাটির। তবে বহুদিন পড়ে থাকায় জায়গাটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় অধিগ্রহণ করা জায়গা ফেরত পেতে এলাকাবাসী ২০০১ সালে হাই কোর্টে রিট করে। সে জন্য ২০১৬ সালে অধিগ্রহণ করা জমিতে সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়ে ওয়াসা।
এরপর ২০১৭ সালে এই প্রকল্পের ভূমি জটিলতা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তা স্থিরতায় এসেছিল। অবশ্য এরপরও বাধা পুরোপুরি কাটেনি। ২০২০ সালে সীমানা প্রাচীরের কাজ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে পড়ে সংস্থাটি। অবশ্য এরপর বিষয়টির এক ধরনের সমাধান হয়। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শুরু হতেই আবারও বিপত্তি।
গত ৪ এপ্রিল শুনানি শেষে গত বুধবার ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আদালতে হাজির হয়ে বাদীর অভিযোগের বিষয়ে জবাব না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কথা বলা হয়েছে আদেশে।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মামলার বাদী ছৈয়দ মুহাম্মদ এনামুল হক মুনিরী বলেছেন, ‘ওয়াসা বর্তমানে যেখানে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেখানে স্থানীয়দের জায়গা আছে। এ জায়গা নতুন করে অধিগ্রহণ করতে হবে অন্যথায় স্থানীয়দের জায়গা স্থানীয়দের বুঝিয়ে দিতে হবে। এই অধিকার আদায়ে আমরা মামলা করেছিলাম। আদালত মামলার শুনানি শেষে প্রকল্পের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।’
তবে প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আগেই উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেখানে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার পর তো আমরা দুই বছর আগে সীমানা দেয়াল করলাম। এখন কাজও শুরু করেছি। হয়তো পুরো বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়নি। উচ্চ আদালতের নজরে আনলে নিশ্চয় একটি সমাধান আমাদের দেবেন। অবশ্য আমরা এখনো আদালতের নির্দেশনার কপি এখনো পাইনি। সেটি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
বাদীপক্ষ অনেক কিছু গোপন করেছে জানিয়ে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা যেগুলো গোপন করেছে, সেগুলো আমরা পুনরায় আদালতে উপস্থাপন করব। সেখানে আসল তথ্যটা তুলে ধরা হবে। আশা করছি, দ্রুতই এর সমাধান হয়ে যাবে।’
বহু বাধা রিয়ে চট্টগ্রাম শহরে প্রথমবারের মতো আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছিল পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প। এই মাসের শুরুতে মাটি ভরাটের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে প্রকল্পের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এতে আবারও স্থবিরতা নেমেছে এই প্রকল্পে।
তবে ওয়াসার দাবি, এই বিষয়টি আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। হয়তো বাদীপক্ষ আদালতে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করেননি। এখন আদালতের রায়ের কপি পাওয়ার পর এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সংস্থাটি।
১৯৬২ সালে হালিশহরের চৌচালা এলাকায় ১৬৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে ওয়াসা। সেখানে পয়োনিষ্কাশনের প্রকল্প তৈরির চিন্তা শুরু থেকেই ছিল সংস্থাটির। তবে বহুদিন পড়ে থাকায় জায়গাটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়ায় অধিগ্রহণ করা জায়গা ফেরত পেতে এলাকাবাসী ২০০১ সালে হাই কোর্টে রিট করে। সে জন্য ২০১৬ সালে অধিগ্রহণ করা জমিতে সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়ে ওয়াসা।
এরপর ২০১৭ সালে এই প্রকল্পের ভূমি জটিলতা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তা স্থিরতায় এসেছিল। অবশ্য এরপরও বাধা পুরোপুরি কাটেনি। ২০২০ সালে সীমানা প্রাচীরের কাজ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে পড়ে সংস্থাটি। অবশ্য এরপর বিষয়টির এক ধরনের সমাধান হয়। কিন্তু প্রকল্পের কাজ শুরু হতেই আবারও বিপত্তি।
গত ৪ এপ্রিল শুনানি শেষে গত বুধবার ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আদালতে হাজির হয়ে বাদীর অভিযোগের বিষয়ে জবাব না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কথা বলা হয়েছে আদেশে।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মামলার বাদী ছৈয়দ মুহাম্মদ এনামুল হক মুনিরী বলেছেন, ‘ওয়াসা বর্তমানে যেখানে পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেখানে স্থানীয়দের জায়গা আছে। এ জায়গা নতুন করে অধিগ্রহণ করতে হবে অন্যথায় স্থানীয়দের জায়গা স্থানীয়দের বুঝিয়ে দিতে হবে। এই অধিকার আদায়ে আমরা মামলা করেছিলাম। আদালত মামলার শুনানি শেষে প্রকল্পের কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।’
তবে প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আগেই উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেখানে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার পর তো আমরা দুই বছর আগে সীমানা দেয়াল করলাম। এখন কাজও শুরু করেছি। হয়তো পুরো বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়নি। উচ্চ আদালতের নজরে আনলে নিশ্চয় একটি সমাধান আমাদের দেবেন। অবশ্য আমরা এখনো আদালতের নির্দেশনার কপি এখনো পাইনি। সেটি পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
বাদীপক্ষ অনেক কিছু গোপন করেছে জানিয়ে ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁরা যেগুলো গোপন করেছে, সেগুলো আমরা পুনরায় আদালতে উপস্থাপন করব। সেখানে আসল তথ্যটা তুলে ধরা হবে। আশা করছি, দ্রুতই এর সমাধান হয়ে যাবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে