সম্পাদকীয়
যে আকস্মিক বন্যায় দেশের পূর্বাঞ্চল ডুবে গিয়েছিল, সেই বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে এখন পানিবাহিত নানা রোগের শঙ্কা শুরু হচ্ছে। এই মুহূর্তেও দেশের নানা প্রান্ত থেকে স্বেচ্ছাসেবীদের বন্যাকবলিত এলাকায় ছুটে গিয়ে সাহায্য করার বিষয়টি অবশ্যই প্রশংসনীয়। আগস্ট মাসে শুরু হওয়া বন্যাটি হুট করে আক্রমণ করায় আগাম প্রস্তুতির সুযোগ ছিল না। তবে পূর্বাভাসের তথ্য কিংবা ভারত-বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে যে রাজনীতি চলেছে এই বন্যাকে কেন্দ্র করে, তা সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত।
যাই হোক, সবকিছু ছাপিয়ে যে বিষয়টি মানুষের মনে স্বস্তি দিয়েছে, তা হলো কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই মানুষের বিপদে মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছে। মনে হচ্ছে আরও কিছু বেশি সময় এই বিপদ থাকবে এবং শেষ পর্যন্ত সাহায্যের এই চর্চা থামানো যাবে না। কেননা আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে আরেক দুশ্চিন্তার খবর—আশঙ্কা করা হচ্ছে আগস্টের মতো সেপ্টেম্বর মাসেও দেখা দেবে আকস্মিক বন্যা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, সেপ্টেম্বরে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
আরও বলা হচ্ছে, উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় এবং সারা দেশে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা বজ্রঝড় হতে পারে।
তার মানে, বর্তমানের বন্যাকবলিত এলাকা ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে আরও অঞ্চল। যেহেতু আরেকটি বন্যার আগাম পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে, সেহেতু নিশ্চয়ই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া কিছুটা সহজ হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর যেসব এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছে, সেসব এলাকার বাসিন্দাদের সময়মতো নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণসামগ্রীর মজুত থাকতে হবে, এ কথা সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানই, যারা বন্যা নিয়ে কাজ করবে, নিশ্চয়ই ভালো করে জানে।
এ সময়টিতে কৃষির দিকেও নজর দেওয়া উচিত। এবারের বন্যায় দেখা গেছে কীভাবে পানিতে ডুবে ফসল নষ্ট হয়েছে। গবাদি পশু কিংবা মাছের অনেক খামারির ক্ষতি হয়েছে লাখ-কোটি টাকা। কী করে মানুষের ঘরবাড়িসহ খামার রক্ষা করা যায়, সে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিও জরুরি। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে দেশের মানুষকে নিরাশ করবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, এ মাসের বন্যা হবে স্বল্পমেয়াদি, কিন্তু বন্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় দীর্ঘমেয়াদি হওয়া উচিত। আবার, প্রতিবছরই দেশের কোথাও না কোথাও বন্যা হয়, কোনোটা স্বল্পমেয়াদি, কোনোটা এ বছরের বন্যার মতো ভয়াবহ। এই সংকট কাটানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনারই প্রয়োজন। বন্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে হলে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে আঞ্চলিক সহযোগিতার দিকে। যে দেশগুলো এই অঞ্চলের নদীপ্রবাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে আলোচনা করে পানিবণ্টন ব্যবস্থার সুরাহা করা হলে বন্যার ভয়াবহতা কমবে। আর নিজ দেশে উন্নয়নের নামে নদীকে বিপদগ্রস্ত যেন না করা হয়, সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
যে আকস্মিক বন্যায় দেশের পূর্বাঞ্চল ডুবে গিয়েছিল, সেই বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে এখন পানিবাহিত নানা রোগের শঙ্কা শুরু হচ্ছে। এই মুহূর্তেও দেশের নানা প্রান্ত থেকে স্বেচ্ছাসেবীদের বন্যাকবলিত এলাকায় ছুটে গিয়ে সাহায্য করার বিষয়টি অবশ্যই প্রশংসনীয়। আগস্ট মাসে শুরু হওয়া বন্যাটি হুট করে আক্রমণ করায় আগাম প্রস্তুতির সুযোগ ছিল না। তবে পূর্বাভাসের তথ্য কিংবা ভারত-বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে যে রাজনীতি চলেছে এই বন্যাকে কেন্দ্র করে, তা সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত।
যাই হোক, সবকিছু ছাপিয়ে যে বিষয়টি মানুষের মনে স্বস্তি দিয়েছে, তা হলো কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই মানুষের বিপদে মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছে। মনে হচ্ছে আরও কিছু বেশি সময় এই বিপদ থাকবে এবং শেষ পর্যন্ত সাহায্যের এই চর্চা থামানো যাবে না। কেননা আবহাওয়া অধিদপ্তর ও বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে আরেক দুশ্চিন্তার খবর—আশঙ্কা করা হচ্ছে আগস্টের মতো সেপ্টেম্বর মাসেও দেখা দেবে আকস্মিক বন্যা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, সেপ্টেম্বরে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
আরও বলা হচ্ছে, উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় এবং সারা দেশে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা বজ্রঝড় হতে পারে।
তার মানে, বর্তমানের বন্যাকবলিত এলাকা ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে আরও অঞ্চল। যেহেতু আরেকটি বন্যার আগাম পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে, সেহেতু নিশ্চয়ই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া কিছুটা সহজ হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তর যেসব এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছে, সেসব এলাকার বাসিন্দাদের সময়মতো নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণ ত্রাণসামগ্রীর মজুত থাকতে হবে, এ কথা সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানই, যারা বন্যা নিয়ে কাজ করবে, নিশ্চয়ই ভালো করে জানে।
এ সময়টিতে কৃষির দিকেও নজর দেওয়া উচিত। এবারের বন্যায় দেখা গেছে কীভাবে পানিতে ডুবে ফসল নষ্ট হয়েছে। গবাদি পশু কিংবা মাছের অনেক খামারির ক্ষতি হয়েছে লাখ-কোটি টাকা। কী করে মানুষের ঘরবাড়িসহ খামার রক্ষা করা যায়, সে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিও জরুরি। আমরা আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার এ ব্যাপারে দেশের মানুষকে নিরাশ করবে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, এ মাসের বন্যা হবে স্বল্পমেয়াদি, কিন্তু বন্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় দীর্ঘমেয়াদি হওয়া উচিত। আবার, প্রতিবছরই দেশের কোথাও না কোথাও বন্যা হয়, কোনোটা স্বল্পমেয়াদি, কোনোটা এ বছরের বন্যার মতো ভয়াবহ। এই সংকট কাটানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনারই প্রয়োজন। বন্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজতে হলে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে আঞ্চলিক সহযোগিতার দিকে। যে দেশগুলো এই অঞ্চলের নদীপ্রবাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে আলোচনা করে পানিবণ্টন ব্যবস্থার সুরাহা করা হলে বন্যার ভয়াবহতা কমবে। আর নিজ দেশে উন্নয়নের নামে নদীকে বিপদগ্রস্ত যেন না করা হয়, সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে