সম্পাদকীয়
নকল ও নিম্নমানের প্রসাধনী নিয়ে আজকের পত্রিকায় শুক্রবার প্রকাশিত সংবাদটি নতুন কিছু নয়। আমাদের সমাজে যে অসততাগুলো ভিত্তি পেয়েছে, তারই একটি উদাহরণ মাত্র। রয়েছে ভেজাল প্রসাধনী, রয়েছে মানহীন প্রসাধনী। এই ভেজাল আর মানহীন প্রসাধনীর পাহাড় ডিঙিয়ে সবার পক্ষে ভালো প্রসাধনসামগ্রীর নাগাল পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। সুতরাং অর্থের ক্ষতির পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতিও হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
আর কোনো ব্যাপারে প্রশংসাযোগ্য কোনো কাজ আছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। কিন্তু কোনো কিছু নকল করার ব্যাপারে আমাদের মতো পারদর্শিতা ও অভিজ্ঞতা একমাত্র চীন দেশ ছাড়া আর কারও আছে কি না, আমাদের জানা নেই। শোনা যায়, চীনে নকল সামগ্রী তৈরি করা ওদের বাঁ হাতের কাজ। অনায়াসে নকল হয়ে যায় পণ্য। তবে চীনে সত্যিকারের পণ্যও উৎপাদিত হয়। দামি ব্যাগ, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, খেলাধুলা সামগ্রীর কথা বলতে হয়। কিন্তু কারখানা থেকে উৎপাদিত এসব খাঁটি সামগ্রী কোনো না কোনোভাবে চলে আসে নকল কারখানায়। তখন সেগুলো বিক্রি হতে থাকে ‘অরিজিনাল’ হিসেবে। চীনে তো আসল জিনিসও তৈরি হয়, সেখান থেকেই তৈরি হয় নকল। আর আমরা শুধু নকল পণ্য তৈরি করে অসততায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দীক্ষা নিয়েছি যেন!
প্রসাধনসামগ্রীর চাহিদা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। বিজ্ঞাপনের জন্য এরা যে খরচ করে, তা তাজ্জব হয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। বিজ্ঞাপনের এমনই দাপট যে কালোকে সাদা করার নানা তরিকা নিয়ে যে বিজ্ঞাপনগুলো হয়, সেগুলোর প্রতিবাদও করতে দেখা যায় না ভয়ংকর প্রতিবাদী মানুষদেরও। ফরসা হওয়াটা যেন জীবনের চাওয়া-পাওয়ার জন্য একটি বিশাল ব্যাপার। কথাটা বলা হলো শুধু এই কারণে যে বিজ্ঞাপন আপাত আদরকারী বিষয়কেও জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ বলে প্রচার করতে পারে এবং তাতে বহু মানুষ প্রলুব্ধ হয়।
তাই এই প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার করলে ত্বকের যে ক্ষতি হতে পারে, সে কথা নকলবাজেরা জানে। কিন্তু অন্যের ক্ষতির কথা ভেবে নিজের আখের গোছানো বন্ধ করবে—এ রকম নীতিবোধ তাদের নেই। ফলে, কোনো একসময় বিবেকের তাড়নায় এরা হঠাৎ সবাই ভোল পাল্টে মানবদরদি হয়ে উঠবে এবং নকল সামগ্রী তৈরি করবে না—এ রকম ভাবা ভুল।
একটাই পথ আছে এদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করার তা হলো, যেকোনোভাবে এদের প্রতিহত করা। এদের অপরাধের শাস্তি দেওয়া। সে কাজটি করতে হলে প্রথমেই এই অপরাধী চক্রকে ভেঙে ফেলার জন্য আন্তরিক হতে হবে। এদের কেউ কেউ অপরাধের শাস্তি পেতে থাকলে অন্যরা সতর্ক হবে এবং ক্রমাগত এদের দিকে নজর রাখলে একসময় এই ব্যবসা ছেড়ে দেবে। শঙ্কা শুধু একটাই, যারা এদের কর্মকাণ্ড নস্যাৎ করার দায়িত্ব নেবে, তারাই আবার কোনো কারণে এদের বন্ধু হয়ে যায় কি না। কারণ শর্ষের ভেতর ভূত দেখতে দেখতেই আমাদের দিনকাল চলছে।
নকল ও নিম্নমানের প্রসাধনী নিয়ে আজকের পত্রিকায় শুক্রবার প্রকাশিত সংবাদটি নতুন কিছু নয়। আমাদের সমাজে যে অসততাগুলো ভিত্তি পেয়েছে, তারই একটি উদাহরণ মাত্র। রয়েছে ভেজাল প্রসাধনী, রয়েছে মানহীন প্রসাধনী। এই ভেজাল আর মানহীন প্রসাধনীর পাহাড় ডিঙিয়ে সবার পক্ষে ভালো প্রসাধনসামগ্রীর নাগাল পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। সুতরাং অর্থের ক্ষতির পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতিও হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
আর কোনো ব্যাপারে প্রশংসাযোগ্য কোনো কাজ আছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। কিন্তু কোনো কিছু নকল করার ব্যাপারে আমাদের মতো পারদর্শিতা ও অভিজ্ঞতা একমাত্র চীন দেশ ছাড়া আর কারও আছে কি না, আমাদের জানা নেই। শোনা যায়, চীনে নকল সামগ্রী তৈরি করা ওদের বাঁ হাতের কাজ। অনায়াসে নকল হয়ে যায় পণ্য। তবে চীনে সত্যিকারের পণ্যও উৎপাদিত হয়। দামি ব্যাগ, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট, খেলাধুলা সামগ্রীর কথা বলতে হয়। কিন্তু কারখানা থেকে উৎপাদিত এসব খাঁটি সামগ্রী কোনো না কোনোভাবে চলে আসে নকল কারখানায়। তখন সেগুলো বিক্রি হতে থাকে ‘অরিজিনাল’ হিসেবে। চীনে তো আসল জিনিসও তৈরি হয়, সেখান থেকেই তৈরি হয় নকল। আর আমরা শুধু নকল পণ্য তৈরি করে অসততায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দীক্ষা নিয়েছি যেন!
প্রসাধনসামগ্রীর চাহিদা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। বিজ্ঞাপনের জন্য এরা যে খরচ করে, তা তাজ্জব হয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। বিজ্ঞাপনের এমনই দাপট যে কালোকে সাদা করার নানা তরিকা নিয়ে যে বিজ্ঞাপনগুলো হয়, সেগুলোর প্রতিবাদও করতে দেখা যায় না ভয়ংকর প্রতিবাদী মানুষদেরও। ফরসা হওয়াটা যেন জীবনের চাওয়া-পাওয়ার জন্য একটি বিশাল ব্যাপার। কথাটা বলা হলো শুধু এই কারণে যে বিজ্ঞাপন আপাত আদরকারী বিষয়কেও জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ বলে প্রচার করতে পারে এবং তাতে বহু মানুষ প্রলুব্ধ হয়।
তাই এই প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার করলে ত্বকের যে ক্ষতি হতে পারে, সে কথা নকলবাজেরা জানে। কিন্তু অন্যের ক্ষতির কথা ভেবে নিজের আখের গোছানো বন্ধ করবে—এ রকম নীতিবোধ তাদের নেই। ফলে, কোনো একসময় বিবেকের তাড়নায় এরা হঠাৎ সবাই ভোল পাল্টে মানবদরদি হয়ে উঠবে এবং নকল সামগ্রী তৈরি করবে না—এ রকম ভাবা ভুল।
একটাই পথ আছে এদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করার তা হলো, যেকোনোভাবে এদের প্রতিহত করা। এদের অপরাধের শাস্তি দেওয়া। সে কাজটি করতে হলে প্রথমেই এই অপরাধী চক্রকে ভেঙে ফেলার জন্য আন্তরিক হতে হবে। এদের কেউ কেউ অপরাধের শাস্তি পেতে থাকলে অন্যরা সতর্ক হবে এবং ক্রমাগত এদের দিকে নজর রাখলে একসময় এই ব্যবসা ছেড়ে দেবে। শঙ্কা শুধু একটাই, যারা এদের কর্মকাণ্ড নস্যাৎ করার দায়িত্ব নেবে, তারাই আবার কোনো কারণে এদের বন্ধু হয়ে যায় কি না। কারণ শর্ষের ভেতর ভূত দেখতে দেখতেই আমাদের দিনকাল চলছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে