সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। এর মধ্যেই তীব্র হয়েছে লোডশেডিং। দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে গ্রামে। বিদ্যুৎ-সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিল্পোৎপাদন। এই অবস্থায় সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে। কিন্তু কীভাবে? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর আশা, কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চালু হবে। আর তখন লোডশেডিং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ডলার-সংকটের কারণে সরকার কয়লাসহ অন্যান্য জ্বালানি পণ্য আমদানি করতে পারছে না। ফলে জ্বালানি সংকটে প্রায় সব কটি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমেছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট।
এই অবস্থায় চলতি মাসের ২০-২১ তারিখের মধ্যে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে এনে লোডশেডিং মোকাবিলার পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, চলতি মাসের ২৬ তারিখের আগে কয়লা এসে পৌঁছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। তাঁরা এখন তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে। তাঁদের আশা, বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের চাহিদা কমবে, তখন লোডশেডিংও কমে আসবে।
অর্ধেকের কম সক্ষমতায় চলছে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পেট্রোবাংলার ৫ ও ৬ জুনের তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ২ হাজার ১৭৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ১৯৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি থাকলেও উৎপাদন করা যাচ্ছে ৩ হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ। অন্যদিকে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি থাকলেও উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র ১ হাজার মেগাওয়াটের একটু বেশি।
এই অবস্থায় লোডশেডিং কবে নাগাদ সহনীয় পর্যায়ে আসবে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘দেশে ভয়াবহ গরম পড়ছে। গরম না কমলে চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমাদের আশা, এই মাসের ১০-১২ তারিখের দিকে দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তারপর হয়তো লোডশেডিং একটু কমবে।’
পায়রা চালু হতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ লাগবে
গ্যাস ও তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর পর বিদ্যুতের বড় উৎস কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো। কিন্তু কয়লা না থাকায় এরই মধ্যে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটই বন্ধ হয়ে গেছে।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য কয়লা আমদানি করতে এখনো ঋণপত্র খোলা হয়নি। তবে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ২৫-২৬ তারিখের মধ্যে প্রথম জাহাজ কয়লা নিয়ে বন্দরে আসার সম্ভাবনা আছে।
জানা গেছে, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি) ৪ লাখ টন কয়লা আমদানি করার জন্য ঋণপত্র খুলবে। কয়লা আসবে ইন্দোনেশিয়া থেকে।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্ল্যান্ট ম্যানেজার শাহ আব্দুল মওলা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিএমসি আগের বকেয়া ৩৯ কোটি ডলারের মধ্যে ১০ কোটি ডলার দেওয়ার পর কয়লার আমদানির ঋণপত্র খুলতে সম্মত হয়েছে। চলতি মাসের ২৫-২৬ তারিখের মধ্যে কয়লা আমদানি করা গেলেও বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে কমপক্ষে আরও ২ দিন সময় লাগবে। এর মধ্যে কাস্টমস ক্লিয়ার করতে লাগে এক দিন। তারপর প্ল্যান্টে কয়লা এনে উৎপাদন শুরু করতে লাগে আরও এক দিন।
সেই হিসাবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র ২৭ জুলাইয়ের আগে চালু হচ্ছে না বলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রটির দুজন কর্মকর্তা। তাঁরা বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলেও পুরো ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতায় প্রথমে উৎপাদনে আসবে না। প্রথমে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট চালু করা হবে, তারপর কয়লার মজুত থাকা সাপেক্ষে ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
এ নিয়ে পিডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আশা করছেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চলতি ২১-২২ তারিখের মধ্যে চালু হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ২৭ জুনের আগে চালু হচ্ছে না।’
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চলছে আংশিক সক্ষমতায়
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট চালু হওয়ার পর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটি ও কয়লার অভাবে বেশ কয়েকবার বন্ধ ছিল। দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসবে আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের দিকে। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত ১৭ মে পুনরায় চালু হলেও এখনো পূর্ণ সক্ষমতায় চলতে পারছে না। গত সোমবার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ৩৭৪ মেগাওয়াট।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখন যে কয়লার মজুত আছে, তা দিয়ে আমরা আংশিক সক্ষমতায় চালাচ্ছি। প্রথম ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় চালালে আমাদের যে কয়লা আছে, সেটা দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। কয়লাবাহী বাকি জাহাজগুলো না আসা পর্যন্ত একটু একটু করে চালাচ্ছি।’
বিদ্যুতের জোগান বাড়াতে খুচরা চিন্তা
বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবির কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার মূলত পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় চালু করে লোডশেডিং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা বলছে। সেই সঙ্গে ভারতের আদানি, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অবস্থিত এস আলম গ্রুপের এস এস পাওয়ার ও খুলনায় অবস্থিত ২২৫ মেগাওয়াটের একটি তেলচালিত বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাস সেন্টারের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ সরবরাহ ছিল ১ হাজার মেগাওয়াটের একটু বেশি। অন্যদিকে এস এস পাওয়ারের বিদ্যুৎ চট্টগ্রামের সরবরাহ করা গেলেও ঢাকায় নিয়ে আসা সম্ভব নয়। কারণ, পিজিসিবি এখনো চট্টগ্রামের মদুনাঘাট সাবস্টেশন থেকে মদুনাঘাট সাবস্টেশনের মধ্যে এখনো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পুরোপুরি স্থাপন করতে পারেনি। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলেও পর্যাপ্ত কয়লার অভাবে কত দিন চালানো যাবে, সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে।
অন্যদিকে খুলনায় অবস্থিত ২২৫ মেগাওয়াটের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। এর মধ্যেই তীব্র হয়েছে লোডশেডিং। দিনে ১০ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে গ্রামে। বিদ্যুৎ-সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিল্পোৎপাদন। এই অবস্থায় সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে। কিন্তু কীভাবে? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর আশা, কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চালু হবে। আর তখন লোডশেডিং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
ডলার-সংকটের কারণে সরকার কয়লাসহ অন্যান্য জ্বালানি পণ্য আমদানি করতে পারছে না। ফলে জ্বালানি সংকটে প্রায় সব কটি কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমেছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট।
এই অবস্থায় চলতি মাসের ২০-২১ তারিখের মধ্যে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে এনে লোডশেডিং মোকাবিলার পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, চলতি মাসের ২৬ তারিখের আগে কয়লা এসে পৌঁছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। তাঁরা এখন তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে। তাঁদের আশা, বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের চাহিদা কমবে, তখন লোডশেডিংও কমে আসবে।
অর্ধেকের কম সক্ষমতায় চলছে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পেট্রোবাংলার ৫ ও ৬ জুনের তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ২ হাজার ১৭৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ১ হাজার ১৯৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি থাকলেও উৎপাদন করা যাচ্ছে ৩ হাজার মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ। অন্যদিকে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি থাকলেও উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র ১ হাজার মেগাওয়াটের একটু বেশি।
এই অবস্থায় লোডশেডিং কবে নাগাদ সহনীয় পর্যায়ে আসবে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘দেশে ভয়াবহ গরম পড়ছে। গরম না কমলে চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমাদের আশা, এই মাসের ১০-১২ তারিখের দিকে দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তারপর হয়তো লোডশেডিং একটু কমবে।’
পায়রা চালু হতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ লাগবে
গ্যাস ও তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর পর বিদ্যুতের বড় উৎস কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলো। কিন্তু কয়লা না থাকায় এরই মধ্যে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটই বন্ধ হয়ে গেছে।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য কয়লা আমদানি করতে এখনো ঋণপত্র খোলা হয়নি। তবে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ২৫-২৬ তারিখের মধ্যে প্রথম জাহাজ কয়লা নিয়ে বন্দরে আসার সম্ভাবনা আছে।
জানা গেছে, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি) ৪ লাখ টন কয়লা আমদানি করার জন্য ঋণপত্র খুলবে। কয়লা আসবে ইন্দোনেশিয়া থেকে।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্ল্যান্ট ম্যানেজার শাহ আব্দুল মওলা এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, সিএমসি আগের বকেয়া ৩৯ কোটি ডলারের মধ্যে ১০ কোটি ডলার দেওয়ার পর কয়লার আমদানির ঋণপত্র খুলতে সম্মত হয়েছে। চলতি মাসের ২৫-২৬ তারিখের মধ্যে কয়লা আমদানি করা গেলেও বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে কমপক্ষে আরও ২ দিন সময় লাগবে। এর মধ্যে কাস্টমস ক্লিয়ার করতে লাগে এক দিন। তারপর প্ল্যান্টে কয়লা এনে উৎপাদন শুরু করতে লাগে আরও এক দিন।
সেই হিসাবে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র ২৭ জুলাইয়ের আগে চালু হচ্ছে না বলে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রটির দুজন কর্মকর্তা। তাঁরা বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলেও পুরো ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতায় প্রথমে উৎপাদনে আসবে না। প্রথমে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট চালু করা হবে, তারপর কয়লার মজুত থাকা সাপেক্ষে ৬৬০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট চালুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
এ নিয়ে পিডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আশা করছেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র চলতি ২১-২২ তারিখের মধ্যে চালু হবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র ২৭ জুনের আগে চালু হচ্ছে না।’
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চলছে আংশিক সক্ষমতায়
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট চালু হওয়ার পর থেকে যান্ত্রিক ত্রুটি ও কয়লার অভাবে বেশ কয়েকবার বন্ধ ছিল। দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসবে আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের দিকে। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত ১৭ মে পুনরায় চালু হলেও এখনো পূর্ণ সক্ষমতায় চলতে পারছে না। গত সোমবার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ৩৭৪ মেগাওয়াট।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখন যে কয়লার মজুত আছে, তা দিয়ে আমরা আংশিক সক্ষমতায় চালাচ্ছি। প্রথম ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় চালালে আমাদের যে কয়লা আছে, সেটা দ্রুত শেষ হয়ে যাবে। কয়লাবাহী বাকি জাহাজগুলো না আসা পর্যন্ত একটু একটু করে চালাচ্ছি।’
বিদ্যুতের জোগান বাড়াতে খুচরা চিন্তা
বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবির কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার মূলত পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় চালু করে লোডশেডিং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কথা বলছে। সেই সঙ্গে ভারতের আদানি, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অবস্থিত এস আলম গ্রুপের এস এস পাওয়ার ও খুলনায় অবস্থিত ২২৫ মেগাওয়াটের একটি তেলচালিত বিদ্যুৎ পুনরায় চালু করে উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাস সেন্টারের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ সরবরাহ ছিল ১ হাজার মেগাওয়াটের একটু বেশি। অন্যদিকে এস এস পাওয়ারের বিদ্যুৎ চট্টগ্রামের সরবরাহ করা গেলেও ঢাকায় নিয়ে আসা সম্ভব নয়। কারণ, পিজিসিবি এখনো চট্টগ্রামের মদুনাঘাট সাবস্টেশন থেকে মদুনাঘাট সাবস্টেশনের মধ্যে এখনো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পুরোপুরি স্থাপন করতে পারেনি। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলেও পর্যাপ্ত কয়লার অভাবে কত দিন চালানো যাবে, সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে।
অন্যদিকে খুলনায় অবস্থিত ২২৫ মেগাওয়াটের ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে