চার উপজেলায় জাল সনদধারী শিক্ষক ২৬ জন

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ৩৫

রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে জাল সনদধারী শিক্ষক আছেন ৪৪৩ জন। প্রথম পর্বে ১৯৩ জন শিক্ষকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। গত সোমবার এই তালিকা প্রকাশের পর রংপুরের ৪ উপজেলার ২৬ জন শিক্ষকের নাম আসে, যাঁরা একেকজন ৮-১০ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জাল সনদ ব্যবহার করে শিক্ষকতা করে আসছেন।

তাঁদের মধ্যে রংপুর সদর উপজেলার ৯ জন রয়েছেন। এর মধ্যে ২ জন এমপিওভুক্ত ও ৭ জন এমপিওভুক্ত নন।

সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদে চাকরিরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধি অভিযানের ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের জাল সনদধারী শিক্ষকদের প্রথম পর্বের তালিকা প্রকাশ করে গত সোমবার। নিয়ম অনুযায়ী, এই শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতিসহ সরকারি কোষাগার থেকে প্রাপ্ত টাকা ফেরত দিতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

তালিকা অনুযায়ী রংপুর সদরের জাল সনদধারী শিক্ষকেরা হলেন মুলাটোল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জ্যোতি প্রকাশ শর্মা, হিন্দুধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক দীপক কুমার বর্মা, শ্যামপুর ডিগ্রি কলেজের বাংলার প্রভাষক শামীমা আক্তার, মাহিগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবিদা সুলতানা, বাংলা বিভাগের প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ফৌজিয়া বেগম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক জেসমিন আরা জাহান, সেকেন্দার বাদশা ও দর্শন বিভাগের প্রভাষক হাবিবা আক্তার।

পীরগাছায় তিনজন জাল সনদধারী শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন এমপিওভুক্ত, একজন নন-এমপিওভুক্ত। তাঁরা হলেন পীরগাছা কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রভাষক জগদীশ চন্দ্র রায়, শরীরচর্চা শিক্ষক মশিউর রহমান এবং অন্নদানগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম।

তালিকায় দুজন জাল সনদধারী শিক্ষক পাওয়া গেছে মিঠাপুকুরে। তাঁদের মধ্যে একজন এমপিওভুক্ত, অপরজন নন-এমপিওভুক্ত। তাঁরা হলেন ছড়ান ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক নুরুল ইসলাম, অপরজন মির্জাপুর আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ধর্ম বিষয়ের সহকারী শিক্ষক একরামুল হক।

গঙ্গাচড়ায় আটজন জাল সনদধারী শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত। তাঁরা হলেন বড়বিল দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সমাজ বিষয়ের সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা সুলতানা, হাজী দেলওয়ার হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মনজয় কুমার রায়।

গঙ্গাচড়ার জাল সনদধারী বাকি ছয়জন এমপিওভুক্ত নন। তাঁরা হলেন পাকুড়িয়া শরীফ কলেজের দর্শনের প্রভাষক রেজাউল করিম, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক আব্দুল বাতেন, গঙ্গাচড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিষয়ের প্রভাষক সুলতানা আফরোজা, ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক খালেকুর রহমান, গজঘন্টা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক নারায়ণ কুমার রায়।

এসব জাল সনদধারী কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোনে কল করা হলে কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। এখনো অফিশিয়াল কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত